সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ জানান, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন তাড়াশের চৌধুরাই তাড়াশ জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা জমিদাররা। সময়টা নবাবি আমল। পরবর্তীতে ইংরেজরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে তাড়াশ জমিদারির আরো শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ইংরেজরা খুশি হয়ে জমিদার বনওয়ারি লালকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। জানা যায়, এ জমিদার বংশের অনন্য কীর্তি ১৯০৬ সালে তাড়াশে স্কুল প্রতিষ্ঠা, পাবনায় বনমালী ইনিস্টিউট ও তাড়াশ ভবন নির্মাণ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ নির্মাণের জন্য এককালীন এক লাখ দান, সিরাজগঞ্জ সরকারি বিএল স্কুল নির্মাণ, সরকারি সালেহা ইসহাক গার্লস স্কুলের একটি ভবন নির্মাণ, পাবনার বনয়ারী নগর ফরিদপুর পত্তন ও বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রীদের জন্য তাড়াশ সত্র নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে এ জমিদারি তিন তরফে ভাগ হয়ে যায়। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এরা ভারতে পাড়ি জমান। তাদের প্রবর্তিত ঝুলন উৎসব এতটাই জাঁকজমকপূর্ণ ছিল যে, তা মাসব্যাপী হতো। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন তাড়াশ উপজেলা সনাতন সংস্থার সভাপতি সঞ্জিত কর্মকার।