৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন ও মামলা
আবুল কালাম আজাদ।।
নাটোরের গুরুদাসপুরে নৌকা স্কুল খ্যাত আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড প্রাপ্ত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ‘‘ সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার (এসএসএস) এর সাবেক ম্যানেজার হিসাব রক্ষক সুপ্রকাশ পালের বিরুদ্ধে চাকুরী, পদোন্নতি দেওয়া এবং আমবাগান, পুকুর লীজ প্রদানের নামে প্রতারনা , হয়রানি এবং ঠিকাদার/ সরবরাহকারি বাছাইয়ের নামে ভবিভিন্ন অনৈতিক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছেন প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও এলাকার জনগন ।
বুধবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় গুরুদাসপুর উপজেলা থানামোড় শাপলা চত্তরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল ইসলাম, লাইব্রেরি সহকারি মো. আরিফুল ইসলাম, মো. শাহাদত হোসেন প্রমূখ। বক্তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা আমলি আদালতে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। আশরাফুল বলেন, তাকে পদোন্নতি দেওয়ার নামে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেন সুপ্রকাশ। ১০ ফেব্রয়ারী ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় এবং ১ লক্ষ টাকা পদোন্নতির পর দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় পদোন্নতি হয়নি এবং টাকাও ফেরত পাননি। আবার আরিফুল ইসলামের স্ত্রীকে সরকারী প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন সুপ্রকাশ এবং গত ফেব্রয়ারী মাসে তাকে দুই কিস্তিতে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। চাকরি এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা আমলি আদালতে ২৯/০৫/২০২২ ইং সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্থ আশরাফুল ও আরিফুল ইসলাম।
গুরুদাসপুরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত বিন্যাবাড়ি গ্রামের রফাত আলী বলেন,তাঁর কাছ কাছ থেকে পুকুর ও আমবাগান লীজ দেওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ টাকা নিলেও পুকুর বা আমবাগান লীজ না দিয়ে টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন সুপ্রকাশ। এভাবে ১২ জনের কাছ থেকে ৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে ওই বিক্ষোভ-মানববন্ধন হয়। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সুপ্রকাশ বলেন, চাকরি ও পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। সংস্থার নির্বাহি পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান নিজেই এসব নিয়ন্ত্রন করেন। তাই টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সুপ্রকাশ বলেন , আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় আমার বেতন ভাতার ৮ লাখ টাকা ও সার্টিফিকেটগুলো ফেরত দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশিন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দেয়া । প্রকৃতপক্ষে মানববন্ধন করেছেন যেসব কর্মচারী তারাও নির্বাহী পরিচালকের কাছে জিম্মি। নির্বাহী পরিচালক রেজোয়ানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।#
# আবুল কালাম আজাদ, গুরুদাসপুর, নাটোর, ০১৭২৪ ০৮৪৯৭৩ # ৬/৭/২২ #
|