স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রমজানের শুরুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে তারাবির নামাজের সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ উপজেলার চার লক্ষাধিক মানুষকে। এদিকে তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছেন, গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে।
সোমবার উপজেলার আট ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাতে তারাবির নামাজ শুরুর আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর তারাবির নামাজ শেষ হওয়ার বেশ কিছু সময় পর বিদ্যুৎ আসে। তাছাড়া অনেক এলাকাতে ইফতারের সময় থেকে তারাবির নামাজ অবদি বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। কিন্তু তাড়াশ সদরে ভিন্ন চিত্র ছিল। কেবল ঐ নির্দিষ্ট এলাকাটুকোয় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ মেলে।
তাড়াশ পৌর এলাকার কহিত গ্রামের শফিকুল ইসলাম, বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামের খায়ের আহমেদ, সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের শিপন আহমেদ, দেশিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাগাড়ি গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘরগ্রামের শাহালম হোসেন, মাধাইনগর ইউনিয়নের ভিকমপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, নওগাঁ ইউনিয়নের মাটিয়া মালিপাড়ার মতিউর রহমান, তালম ইউনিয়নের তালম গ্রামের উজ্জল হোসাইনসহ অনেকে বলেন, তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা অসহনীয় কষ্ট পাচ্ছি। মসজিদের মধ্যে ভ্যাপসা গরমে ঘেমে ও রাতে ঘুমাতে না পেরে পুরোদমে অসুস্থ হওয়ার দশা হয়েছে।ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, দেশে লোডশেডিং নেই। কেন ঘন-ঘন বিদ্যুৎ যায়। তাহলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কতভাগ লোডশেডিং – এ প্রশ্ন স্বাভাবিক। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এহেন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চেয়েছেন তাড়াশবাসী । এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিরাপদ কুমার দাশ সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তাকে বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম দিচ্ছে। ফলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা
