সাব্বির আম্মেদ তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তাড়াশ-কুন্দইল সড়ক পাকা করনে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহারের অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই সড়ক পাকা করনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ কাজে নিন্ম মানের খোয়া,বিটুমিন ও পাথর ব্যাবহার করা হচ্চে।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ডিজিটাল মিকচার মেশিন নতুন হওয়ায় বিটুমিন মেশানোর একটু সমস্যা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ-কুন্দইল সড়কটির ৩ হাজার ৬ শত মিটার পাকা করনের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আলী। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি টাকা। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, নিম্ন মানের খোয়া বিছানো হয়েছে। নিম্ন মানের পাথর ও নি¤œ মানের ইরানী বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে।
কুন্দইল গ্রমের ভ্যানচালক মিনার হোসেন, লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি মাসুদ রানা, পথচারী আয়নাল, আবুল কাসেম ও আব্দুল হামিদসহ অনেকে বলেন, সড়কটির কাজে নিম্ন মানের খোয়া, পাথর ও বিটুমিন, ব্যবহার করছে ঠিকাদারের লোকজন।এদিকে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও গুরুদাসপুর উপজেলার অন্তত চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক এটি। ধান, সরিষা ও ভুট্টাসহ এ অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরবরাহ করা হয় এ পথেই। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতে যাওয়ার রাস্তাও এটি। এ রাস্তাটি সঠিক ভবে পাকা করন না হলে কয়েক লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পরবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ইকতেখার আহমেদ বলেন, ডিজিটাল মিকচার মেশিন নতুন হওয়ায় বিটুমিন মেশানোর সমস্যা হয়। এই কারণে বিভিন্ন স্থানে সঠিকভাবে পাথর বিটুমিন মেশানো হয়নি। রাস্তার কাজে কিছু নিম্ন মান ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্ন মানের খোয়া এবং ইট ব্যবহার করায় এলাকাবাসীর বর্তমানে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।নিম্ন মানের খোয়া, পাথর ও বিটুমিন, ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, , ডিজিটাল মিকচার মেশিন নতুন হওয়ায় বিটুমিন মেশানো একটু সমস্যা হয়। সেই কারণে এলাকাবাসীরা কাজটি বন্ধ করে দেন।
