তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পুংরৌহালী গ্রাম থেকে মহেশরৌহালী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার মাটির রাস্তা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করছেন আব্দুর রহিম। তিনি পুংরৌহালী গ্রামের বাসিন্দা এবং নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিয়ে নিজে নগদ অর্থ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম। সোমবার (১৫ মার্চ) থেকে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম জানান, দীর্ঘদিন থেকে সরু রাস্তায় চলাচল করলেও রাস্তাটি পুরোপুরি নির্মাণ করার জন্য মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো আশার আলো দেখেনি গ্রামবাসী। তাই গ্রামবাসীর দাবি এই রাস্তা আমার নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দিতে হবে। এই জন্য গ্রামের সবার সহযোগিতা নিয়েই কাজ শুরু করেছি।গ্রামের ৯০ বছরের বৃদ্ধ মনের হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাঁদা পানি দিয়ে চলাচল করতে করতে জীবনটা কেটে গেল! কিন্তু আমাদের ভোগান্তি নিরসনে কেউ এগিয়ে আসলো না।
গ্রামবাসিরা জানান, গ্রাম থেকে বের হবার একমাত্র এই রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের মানুষ চলাচল করে। সারা দেশে বিভিন্ন রাস্তা ঘাট পাকাকরণ হলেও আমরা এমন দুর্ভাগা যে মাটি কেটেও কেউ রাস্তা নির্মাণ করে দেয়নি। ধান-চালসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে আমাদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে হাটুপানি ভেঙে তিন কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে স্কুল কলেজে যাওয়া আসা করে ছেলে-মেয়েরা। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান মেম্বারদের জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী মিলে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিমের নিজের অর্থ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে।উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, বর্তমান রাস্তার কোনো প্রকল্প নেই। আগামিতে চেষ্টা করবো রাস্তা নির্মাণ ও পাকা করণের জন্য।তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বলেন, রাস্তা ঘাট নির্মাণ, পাকা করণের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে প্রকল্প আকারে দিতে হয়। পাকা করণের জন্য প্রকল্প আকারে দিলে অবশ্যই তা পাকা করণ করা হবে।