বিশেষ প্রতিনিধি : সরকার ভুমি সেবায় দূর্নীতিমুক্ত করতে ডিজিটালইড ও হেলপ ডেস্কের মাধ্যমে সেবা চালু করলে ও তাড়াশ উপজেলা ভুমি অফিসে এর সুফল মিলছে না। ভুমি অফিসের প্রবেশ পথে দালাল থেকে সতর্ক ও সেবা প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন প্যানাসাইনর্বোডে ভুমি সুবিধা সেবা বিষয়ে লেখা থাকলে এই অফিসে কিছু কর্মচারীদের সহায়তায় দালালদের মাধ্যমে কাজ করার নানা অভিযোগ রয়েছে। উৎকোচ না দিলে অথবা দালাল ছাড়া সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ বেশিরভাগ গ্রাহকের । সরেজমিনে গিয়ে ভুমি অফিসের কিছু কর্মচারীদের সহায়তায় দালালদের অফিসে বসে থাকার চিত্র পাওয়া যায় ।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা ভুমি অফিসে আগত নামজারি কেসসহ বিভিন্ন ভুমি সেবা নিতে আসা বেশিরভাগ গ্রাহকরা চিহ্নিত দালাল জহুরুলসহ কয়েকজন দালালদের মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দেশীগ্রামের সুলতান মাহমুদ জানান একটি নামজারি কেসের ওয়ারিস সনদ এর ভুল ধরে আমার নামজারি কেস আটকে রাখেন কানুনগো।পরে ৩ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে পাশ করাতে হয়েছে। উপজেলার নলুয়াকান্দিগ্রামের নুরুল ইসলামের অভিযোগ একটি খতিয়ান সংশোধনের অফিসের প্রধান সহকারীকে উৎকোচ দিতে হয়েছে । শুধু সুলতান মাহমুদ ও নুরুল ইসলাম নন নাম না প্রকাশের শর্তে অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেন টাকা না দিলে কাজ না করে দিনের পর দিন আবেদন আটকে থাকে এবং হয়রানির শিকার হতে হয় । মাধাইনগর ইউনিয়ন বি,এন,পির নেতা জহুরুল ইসলামসহ কয়েকজন দালাল অফিসে এসে কর্মচারীদের সহায়তায় কাজ করতে বসে থাকতে দেখা যায়। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দালাল জহুরুল প্রতিদনই নামজারি সহকারী মোঃ রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন টেবিলে বসে আছেন। নামজারি সহকারী মোঃ রুহুল আমিনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান এই জহুরুলকে অফিসে আসতে নিষেধ করেছি তার পরেও সে আসে। একাধিক সুত্র অফিস পিয়ন রুহুল আমিন ও ওয়ারেস আলীসহ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তবে পিয়ন রুহুল আমিন ও ওয়ারেস আলী তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন । এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জান্নাতুল ফেরদৌস জানান তিনি এ বিষয়ে খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।