মাহে রমজানে সুস্থ থাকবেন! নাকী ভাইরাস্ আক্রান্ত হবেন

Spread the love

(গবেষনামূলক প্রবন্ধ)
অধ্যাপক ফজলুর রহমান ঃ হে বিশ^াসীগণ! পূর্ব সূরীদের মত রোজা তোমাদের ওপরও ফরজ করা হয়েছে- যাতে তোমরা ¯্রষ্ঠা সচেতন থাকতে পারো (সূরা বাকারা-আয়াত ১৮৩)। আসসালামু আলাইকুম। সবার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আগামী ১৪ই এপ্রিল ২০২১ থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হচ্ছে। শোকর আলহামদুলিল্লাহ। আমরা ভাগ্যবান আরেকবার ¯্রষ্ঠা সচেতন হবার সুযোগ পাচ্ছি। কারণ রোজা ¯্রষ্ঠা সচেতনতার মাস, আপনি যদি এই রমজান মাসে ¯্রষ্ঠা সচেতন থাকতে পারেন এবং তার অনুশীলন আপনি করেন এই রমজান মাসে আপনি সুস্থ থাকবেন, ভাল থাকবেন। এ জন্যই রাসূল (স.) বলেছেন, তোমরা রোজা রাখো যেন সুস্থ থাকতে পারো কারণ এই সুস্থতা শারীরিক, মানসিক, দৈহিক, সামাজিক, আত্মীক সব দিক থেকে যেন আপনি ভাল থাকতে পারেন। সে জন্যই রমজান মাসের এত গুরুত্ব। সঠিক নিয়মে রোজা পালন করতে হলে আপনার ক্ষুধা লাগতে হবে। আর এই দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থাকার ফলে দেহ কোষে একটা খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়- যখনই বাহিরের খাবার এই কোষগুলো পায়না তখন ইতি পূর্বে কোষের ভিতরে ডাস্টবিনে যে টকসিন বিষানুগুলো ফেলে দিয়েছিল এই টকসিন সে গুলোকে খেতে শুরু করে এবং এই টকসিন গুলোকেই শক্তিতে রূপান্তরিত করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটাকে বলা হয় অটোফিজি। আসলে রোজার বৈজ্ঞানিক নামই হলো অটোফিজি।
যা হোক, এই পবিত্র রমজানে ভোজনদাস হবেন না। সেহেরীতে যত কম খাবেন-ক্ষুধা আপনার তত কম লাগবে। মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস আপনার পিছনে জোঁকেরমত লেগে আছে তাই নিয়মিত কালজিরা, একটু মধু,লেবু পানি ও এক কয়া রসুন খান ভাইরাস পালাবে। সেহরীতে সামন্য ভাত- সবজি-কলা, খেজুর, দই-চিড়া খাবেন। মাছ মাংস যা খাবার ইফতারের পরে রাতে খাবেন। ইফতারে ভাজা-পোড়া খেতে যাবেন না- যদি মনে করেন সুস্থ থাকবেন- দেহ মনকে চাঙ্গা রেখে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকবেন, তবে শুধু খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করবেন। এই খেজুর পানি এত দ্রুত দেহে সুক্রোজ তৈরী করে যা দেহে তাৎক্ষনিক প্রাণ শক্তি তৈরীতে সহায়তা করে। ইফতারের সময় বিভিন্ন প্রকৃতির শরবত, ভাজাপোড়া না খেয়ে এই অভ্যাসটা চর্চা করুন। মাগরিব এর নামাজ পড়ে তারপর খেয়ালমত খান, দেখবেন আপনার রোজা অন্য বছরের চেয়ে আলাদা মনে হচ্ছে। অবশ্যই আপনি অন্য বছরের চেয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন- ইনশাল্লাহ্ । রোজা আসবে, রোজা চলে যাবে- আপনি যদি আপনার দেহ মনকে এই সুযোগে বদলাতে না পারেন তাহলে রোজা আপনাকে কি দেবে? রোজার সুযোগ আসলো, কিন্তু শুনাহ মাফ করতে পারলাম না, শরীরকে রোগ মুক্তও করতে পারলাম না, এমন কী ভিতরে কোনই পরিবর্তন এলো না-তাহলে কি হলো! আপনি যদি বাঁচতে চান!এখনও সময় আছে পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে ভারচুয়াল ভাইরাস খ্যাত-ফেসবুক,ইউটুব, ভিডিও গেমসে আসক্ত হবেন না। একটু নিয়ম পালন করেন দেখবেন এবারের রমজান আপনার কাছে অন্য রকম মনে হবে। কারণ এ ভারর্চুয়াল ভাইরাস্ জুয়া খেলার চেয়ে সর্বনাশা নেশা ও পাপ।
এ মাসে আমরা এমন এক খাবার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই। যার ফলশ্রুতি হলো অসুস্থতা, ¯ৃষ্টি হয় নতুন নতুন রোগের। ছুটতে হয় ডাক্তারের দিকে এবং ঔষধের দিকে । মনে রাখবেন সারা পৃথিবীতে সবার মাথায় ওপর আর মাত্র দু/একটি “এন্টিবায়োটিক” ডোজ অবশিষ্ট আছে। এই ডোজ শেষ হলে তীর্থের কাকের মত ঔষধের আশায় বসে থাকলেও ডাক্তার মিলবে কিন্ত ঔষধ মিলবে না। তাই এখন থেকেই সাবধান-সতর্ক- হুশিয়ার।
লেখক, কবি, কলামিষ্ট ও সমাজকর্মী।
মোবাঃ ০১৭৩০-৯৪২৫৭৫

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD