হাদিউল হৃদয়: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমে উঠেছে খিরার আড়ৎ। এ বছর খিরার ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হলেও উৎপাদনের পরিমাণ কম এ অঞ্চলে। খিরার চাহিদা বেশি হওয়ায় কৃষকরা পাইকারি বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন । ভাল দাম পেয়ে তারা বেজায় খুশি ।
গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘুরিয়া গ্রামে খিরার আড়তে গিয়ে দেখা যায়, খিরা কমপক্ষে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৩৫২ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে খিরার সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে বারুহাস ইউনিয়নে। তালম ইউনিয়নের পাড়িল গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, প্রতি ১০ শতাংশ (১ কাঠা) জমিতে খিরা আবাদ করতে সার-কীটনাশক ও শ্রমিকসহ ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর প্রচ- শীত থাকার পরও খিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হাট-বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে এবং আড়তে প্রতি বস্তা সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা প্রতিদনই এসব খিরা কিনে ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, ‘খিরা’ একটি উপাদেয় সবজি। গুল্মজাতীয় সবজির মধ্যে শসার মতো খিরাই একমাত্র কাঁচা খাওয়ার উপযোগী। ‘খিরা’ সালাদের উপকরণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। গরমে পানির তৃৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের চর্বি কমাতেও সহায়ক ‘খিরা’। বাজারে দেশীয় উফশী ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষ হয়ে থাকে। অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ করা যায়। তাই খিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি।
