তাড়াশও উল্লাপাড়ায় জলাবদ্ধতা সরিষার আবাদ বন্ধ অর্ধশতাধিক বাড়ি পানিবন্দি

Spread the love

শাহজাহান আলী :  সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও উল্লাপাড়ায় বন্যার পানি এখনও মাঠ থেকে নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে রবিসষ্য আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করতে না পারলে এ বছর সরিষার আবাদ হবে না। তাড়াশ,চাটমোহর ভাঙ্গুড়া শাহজাদপুর উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হবে না। তাছাড়া অন্যান্য সব মাঠ থেকে পানি বের হয়ে গেলেও চলনবিলের তাড়াশের হামকুড়িয়া গ্রামের কাটাখালনদীর দুই পাশের পানি জমি থেকে বের হতে না পারায় স্থায়ী জলাবদ্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে পরিত্রানের জন্য কৃষকগণ কোন উপায় এখনও না পেয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছেন। হামকুড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, দিদার আলী জানান চলনবিলের এই মাঠে প্রতি বছর সরিষার আবাদ হতো কিন্ত কাটানদীর পার উচু হওয়ায় জমি থেকে পানি বের হতে পারছে না। সরকারের অপরিকল্পিক খাল খননের পাশাপাশি পানি নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বেমালুম খেসারত দিতে হচ্ছে কৃষকদের। তাড়াশের মাগুড়া থেকে নিমাইচড়া পযর্ন্ত কাটাখাল সংস্কার করা হলেও কোন স্থানেই পানি বের হওয়ায় ব্যবস্থা নেই। যে কারনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন রবি সষ্য আবাদ করতে না পেরে। আর সরকারের লোকসান হচ্ছে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে না পেরে।

অপরদিকে উল্লাপাড়ার দূর্গানগর ইউনিয়নের গাড়লগাঁতীসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠ থেকে পানি বের না হওয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে চলনবিলে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর আবাদি জমিতে সরিষার আবাদ করতে পারবে না কৃষকরা। এ জলাবদ্ধতার কারণে গাড়লগাঁতী, আলমনগর, বাবলাপাড়া ও দূর্গানগর গ্রামের প্রায় ৫০টি বাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরেজমিন গ্রামবাসী জানায়, গাড়লগাঁতী গ্রামের মাঠ থেকে হেমন্তবাড়ি নদী পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল ছিল। ওই খাল দিয়ে বন্যার পানি গাড়লগাঁতীর মাঠ থেকে দ্রুত বের হয়ে যেত। পানি মাঠ থেকে নেমে গেলে কৃষক কার্তিক মাসে সরিষার আবাদ করত। কিন্তু খালের জমি পৈতৃক সম্পত্তি হওয়ায় তা বিক্রি করে দেন মালিকরা। ক্রেতারা সেটি ভরাট করে রাস্তা ও বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন। এতে মাঠ থেকে পানি বের হতে না পারায় গত ৪ বছর ধরে সরিষার আবাদ হচ্ছে না। গত ২ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে দূর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাঠ থেকে পানি বের করার জন্য পাইপ বসানো হয়েছিল। কিন্তু বছর না পার হতেই পাইপ চুরি হয়ে যায়। এতে আবারও পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ জলাবদ্ধতার কারণে ওই চারটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। # তাং ১৯,১১,২০
শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ
মোবাইল নং০১৭৪০৯৬৬৮৩৯

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this:

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD