সলঙ্গায় সরকারী রেকর্ডভুক্ত রাস্তার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে

Spread the love
সলঙ্গা প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলা সলঙ্গা ৩নং ধুবিল ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আমশড়া গ্রামে সরকারি রাস্তার মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তাটা ভূমিগ্রাসিদের জমির সাথে প্রায় মিশে যাওয়ায় ১২ ফুট চান্দি থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট চান্দি হওয়ায় আবার কথাও আগাছাতে পরিণিত হওয়ায়  সরকারি রেকর্ডভুক্ত রাস্তাটা আজ মানচিত্র থেকে হেরে যেতে বসেছে দেখার কেহ নেই।
জানা যায়, আমশড়া মৌজায় প্রায় ১ এক কিলিমিটার রাস্তা আমশড়া পূর্ব পাড়া হোসেন আলীর বাড়ি একটু পূর্বে চুনিয়াখা মৌজা পাকা মোড় হইতে আমশড়া কবরস্থানের পাকা রাস্তার মোড় পর্যন্ত। রাস্তার দুই ধারের প্রভাবশালী, ভূমিগ্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে যার যার জমির গাঁ ঘেসে জন সাধারণদের চলাচলের জন্য সরকারিভাবে রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পরও  রাস্তার পার্শ থেকে মাটি কেটে জবর দখল করে খাওয়া বা নিজ জমি বানিয়ে নেওয়ায় খুবদ্ধ স্থানীয় এলাকা বাসিরা। ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেরকে এলাকার কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। আমশড়া  গ্রামে একটি ঐতিহ্যবাহী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, হাফিজিয়া কাওমিয়া মাদ্রাসা, দুইটি সরকারি প্রাইমারী স্কুল, একটি প্রাচীনতম হাট ও পার্শ্ববর্তী দুইটি গ্রাম চুনিয়াখাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং  রৌহদহ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়ে, একটি  হাইস্কুল, ও একটি হাটসহ এলাকার শিক্ষার্থী ও জনসাধারনের চলাচলে এক মাত্র রাস্তা হওয়ায় তাদের  নিদারুন কষ্ট হচ্ছে এমনকি রাস্তাটা বর্তমানে এখন রাস্তাটা জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়েপড়েছে ।যে সামান্ন টুকু রাস্তার চান্দি আছে তাও আবার জঙ্গলে ভরপুর হয়ে সাপ বিচ্ছুর বাসগৃহে পরিনিত হয়ে পড়েছে। এতো রাস্তা নয় সে যেন আফরিকার জঙ্গল।  এক কিলিমিটার রাস্তাটা চলাচলের অনুপযোগীী হয়ে পড়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকেসহ মৃত ব্যক্তিদের কবরস্থানে নিতে তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে নিয়ে যেতে রীতিমত কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকজন জবর দখলকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,আমাদের জমির পাশের আইল কেটেছি সরকারি রাস্তাতো কাটি নাই। সরকার যদি পাই তখন না হয় ছেড়ে দেব। ধুবিল ইউনিয়নেেে নায়াবের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা কাটার বিষয়টি আমি জানিনা। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
                    এ বিষয়ে ধুবিল ইউপি চেয়াম্যানের সাথে গত বৃহঃপতিবার বিকাল ৫ টার সময়        মোটোফোনে যোগাযোগ করে হলে তার মোবাইল
                    ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক গ্রাম প্রধান ও সাধারণ লোকজন জানান, আমরা জানি জনসাধরণের চলাচলে সরকারি রাস্তা ব্যক্তিগত জমির আয়তন এইভাবেই বাড়িয়ে  থাকে তারা এই এক কিলোমিটার রাস্তার পাশের জমির মালিকেরা প্রভাবশালী তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বললে আমাদের যে কোন সময় হয়রানি করবে। তাই রাস্তা কাটার ঘটনাটি সত্য হলেও বর্তমানে মুখ খুলতে পারছি না। তবে সরকারি কোন কর্মকর্তা রাস্তাটি মাফজোপ করতে আসলে মুখলবো।
 এলকাবাসির প্রাণির দাবি রাস্তা যেন মাফজোপ দিয়ে মাটি ফেলে সাধারণ মানুষের চলাচলসহ মৃত ব্যক্তিদের কবরস্থানে নিয়ে যেতে সুবিধা হয়।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD