বলদারামের ঘাট
এম আব্দুল হালীম বাচ্চু
কেউ আর যায় না সে ঘাটে
এখন আর বলদারামের নাম কেউ
মুখেও আনে না;
সবাই শুধু ফিসফাস করে!
ঘাটটা ভালো না,
মনে হয় ওখানে কিছু একটা আছে!
জলও সেখানে নড়ে না-
তবুও একটা ঢেউ কেন যেন
বুকের ভেতর খামাখাই গর্জন করে!
ওখানকার বাতাসও চুপসে থাকে;
নৌকার পালও ওড়ে না
থমকে থাকে মাঝ নদীতেই।
লোকজন বলে-
রাত নামলে সেখানে নামে অন্য কিছু
না মানুষ, না জন্তু।
কী যেন একটা হয় ওখানে;
ওখানে গেলে শুধু চোখ জ্বলে না
অনুভবও জ্বলে!
হাড়ের ভেতরটাও বাঁশফাটা শব্দের মতো
মর্মর করে।
বছর দশেক আগে এক ছেলেকে
দেখা গিয়েছিল ভোরে,
সেখানে চোখ খুলে বসে ছিল সে
যেন কিছু একটা দেখে এসেছে সে
যা বলা যায় না!
বলদারাম নাকি নিজেই ডুবে গিয়েছিল
এক আশ্বিনের দুপুরে।
তাঁর নৌকা ফিরেছিল কিন্তু সে ফেরেনি!
সেই থেকে ঘাটটা বদলে গেছে।
শুধু ঘাট নয়, জলও।
তবু কেউ কেউ সেখানে যায়
তারা আর ফেরে না ঠিকভাবে
ফিরলেও বোবা চোখে কী যেন ভাবে;
ভাষাও থাকে না কারও মুখে!
বলদারামের ঘাট এখন শুধু ঘাট নয়
একটা থমকে থাকা ভয়, শুধুই একটা গল্প।
এম আব্দুল হালীম বাচ্চু
প্র/ গণেশ লণ্ড্রী রূপকথা রোড পাবনা ৬৬০০
০১৭১৮৬১১৩৩৭৩