অসুস্থ সাংবাদিক ফারুক আহমেদের পাশে  ড. মোহাম্মাদ আব্দুস সামাদ

Spread the love
সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) থেকে ফারুক আহমেদঃ
তারুণ্য এর অহংকার জনগণের অত্যন্ত  আস্তা ভাজন ব্যক্তিত্ব যিনি ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত নিরহংকার অমায়িক  আদর্শবান মেধাবী, আত্নপ্রত্যয়ী, মানবতার কল্যাণে নিবেদিত, অসাধারণ প্রঙ্গামান এবং সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন সাহসী একজন মানুষ। বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মোনোনীত  সিরাজগঞ্জ ৩ রায়গঞ্জ, তাড়াশ  ও সলঙ্গা আসন থেকে এমপি পদপ্রার্থী শায়েখ আলহাজ্ব মাওলানা অধ্যাপক মোহাম্মাদ আব্দুস সামাদ গত ৯ অক্টোবর রোজ বৃহপতিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার রিপোটার ও সলঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ সভাতি অসুস্থ সাংবাদিক মোঃ ফারুক আহমেদের নিজ বাসায় তার পাশে বসে রোগমুক্তসহ ও তার সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহুর কাছে দোয়া শেষে তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য কোরআন ও সহীহাদিস থেকে অসুস্থ রোগী দেখার ফজিলত সম্পর্কে তিনি নেতা ককর্মীদের উদ্দেশ্য এই সব কথা গুলি বলেন, সুস্থত – অসুস্থতা দুটোকেই আল্লাহর নেয়ামত বলা তিরমিজি শরিফের  ২৪০২ নম্বর  হাদিস উল্লেখ করে বলেন,   মুমিনদের উচিত সুস্থতায় আল্লাহর শুকরিয়া ও অসুস্থতায় ধৈর্য ধারণ করা। তিনি আরো বলেন,
কেয়ামতের দিন বিপদগ্রস্ত লোকদের যে মহা পুরস্কার দেয়া হবে তা দেখে আফিয়াতের অধিকারী লোকেরা কামনা করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি তাদের দেহ কাঁচি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করা হত (আর তার বিনিময়ে আখেরাতের এ মহা পুরস্কার লাভ হত।
ইসলামের দৃষ্টিতে কেউ অসুস্থ হলে সেবা-শুশ্রূষা ইত্যাদি পাওয়া তার অধিকার। রোগী ও অসুস্থকে দেখতে যাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নতও বটে। রোগীকে দেখতে যাওয়ার সময় তার খোঁজখবর নেওয়া, প্রয়োজনে তার সেবাযত্ন করা এবং তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করার ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম।
আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা সম্পর্কে মুসলিম শরিফের ২৫৬৯ নম্র হাদিস উল্লেখ করে তিনি তার কর্মীদের যা বললেন,
কেমামতের দিন মানুষকে, যেসব বিষয়ের জন্য আল্লাহ তায়ালার সামনে জবাবদিহিতা করতে হবে তার একটি রোগীর সেবা না করা এবং এতে অবহেলা।এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন বলবেন, হে বনি আদম! আমি অসুস্থ ছিলাম। তুমি আমাকে দেখতে আসোনি। সে বলবে, হে আমার রব! আমি আপনাকে কীভাবে দেখতে যাব? আপনি তো বিশ্বজাহানের রব! আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, আমাকে অবশ্যই তার কাছে পেতে।’ অন্যত্র বোখারি ১০/১১২ হাদিস ও ৫৬৪৭ নম্বর হাদিস উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, হজরত আবু মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তদের অন্ন দাও, রোগীদের সেবা করো এবং বন্দিদের মুক্তি দাও।
 তিনি আরো ইবনে মাজার ১/৪৬৪ ও ১৪৪৩
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগীকে সেবা করতে যায়, আকাশ থেকে একজন আহ্বানকারী তাকে লক্ষ করে বলেন, তুমি মুবারক হও এবং মুবারক হোক তোমার এই পদচারণা। তুমি জান্নাতে নিজ আবাস তৈরি করে নিলে। তিরমিজি শরিফের ৯০৯ নম্বর হাদিস উল্লেখ করে তিনি বলেন, রুগির খোঁজ-খবর রাখার ফজিলতের বিষয়ে হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তি তার অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ তার কাছে অবস্থান করে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থেকে।
 ফেরেশতাদের দোয়া প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন,আলী (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলমান অপর (অসুস্থ) মুসলমানকে সকালে দেখতে গেলে ৭০ হাজার ফেরেশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। যদি সে সন্ধ্যাবেলা তাকে দেখতে যায়, তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা ভোর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরি করা হয়।’
হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) সূত্রে তিরমিজি  শরিফের ৪/২৫ ও ২০৯৪ নম্বর বর্ণিত,  হাদিস উল্লেখ করে অধ্যাপক শায়েখ আলহাজ্ব ড. মোহাম্মাদ আব্দুস সামাদ   বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা যখন কোনো রোগীর কাছে যাবে, তার জীবন সম্পর্কে আনন্দদায়ক কথা বলবে, তাকে সান্ত্বনা দেবে। (এ সান্ত্বনার বাণী) ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে না, যা ঘটার তা-ই ঘটবে, কিন্তু তার মন সান্ত্বনা লাভ করবে। যা রোগীকে দেখতে যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য। এই মহামানবের মুখে রুগি দেখার কথা শুনে সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা আবেগে আব্রুতো হয়ে পড়েন। ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের সভাতি তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম ও সহসভাপতি আলহাজ্ব সোলাইমান হোসেনসহ তৃনমূলপর্যয়ের নেতা কর্মীরা এই প্রতিনিধিকে জানান, আমরা এবারে সিরাজগঞ্জ ৩ সংসদীয় আসনে এমন একটি নেতা পেয়েছি তিনি সর্ব উচ্চ ডিগ্রী ধারি শিক্ষিতো ব্যক্তিত্ত মানুষ যিনি ডক্টর, একসাথে ইমাম, এমনকি যিনি গরীব দুঃখী অসহায় মানুুষের ভালোবাসা ও আস্তাভাজন ব্যক্তি তাছাড়া রায়গঞ্জ,তাড়াশ ও সলঙ্গাবাসির বিভিন্ন উন্নয়নের রূপকার আমাদের গণমানুষের নেতা প্রফেসর শায়েখ ড. মোহাম্মাদ আব্দুস সামাদকে পেয়ে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। তারা আরো বলেন, আমরা যানি তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলে মন্ত্রী হওয়ারও যোগত্য আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,৩নং ধুবিল ইউনিয়নের সভাতি অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, সহসভাপতি আলহাজ্ব সোলাইমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা নূরুল ইসলামসহ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD