আজ পাঁচ অক্টোবর শিক্ষক দিবস

Spread the love
 মুফতি খোন্দকার আমিনুল আবদুল্লাহ্
 আজ পাঁচ অক্টোবর শিক্ষক দিবস।
তবু আমার কাছে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক উৎসব নয়।
এটি যেন এক নীরব শ্রদ্ধার দিন—স্মৃতির জানালায় মুখ তুলে দাঁড়ায় কিছু মানুষ,
যাঁদের হাতে গড়া আমাদের বেঁচে থাকা, ভাবা, আর মানুষ হওয়া।
যখন প্রথমবার কুরআনের অক্ষর হাতে নিয়েছিলাম,
তখনও বুঝিনি, সেই অক্ষরের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জীবনবোধের পুরো মানচিত্র।
সেই মানচিত্রের প্রথম রেখা এঁকেছিলেন
আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী ইয়াকুব আলী সাহেব (রৌহা মাদ্রাসা)।
তাঁর মুখের তাজবীদের আওয়াজে যেন কুরআনের অক্ষরগুলো প্রাণ পেত।
এরপর যাঁর কণ্ঠে শুনেছি তিলাওয়াতের মিষ্টি সুর,
তিনি ক্বারী রফিকুল ইসলাম (কোরব আলী) সাহেব—
তাঁর প্রতিটি উচ্চারণে ছিল আলোর আহ্বান,
আর শেখানোর ভেতরে ছিল ধৈর্য ও নিষ্ঠার পবিত্র ছোঁয়া।
নলুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম স্যার
এবং কালিয়াকৈরের নূরুল ইসলাম সরকার স্যার—
তাঁরা শুধু পাঠ্যবই খুলে দেননি,
খুলে দিয়েছিলেন চিন্তার জানালা।
তাঁদের মাধ্যমে শিখেছি, শিক্ষা শুধু মুখস্থ করার নয়,
বরং বোঝার, প্রশ্ন করার, এবং নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের নাম।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ নূরী স্যার ছিলেন আলোকিত মানুষের প্রতিচ্ছবি।
তাঁর কাছে শিক্ষা মানেই জাগরণ, অনুসন্ধান ও আলোর সন্ধান।
সাবেক প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান আকন্দ স্যার
ও বড়াইদহ গ্রামের শাজাহান আলী স্যার—
তাঁদের কঠোরতা ছিল ভালোবাসার আবরণে ঢাকা।
যে রাগকে একদিন ভয় পেয়েছিলাম,
আজ বুঝি, সেটিই ছিল জীবনের ভিত গড়ার হাতিয়ার।
ধনকুন্ডির আয়েশা মাওলা বক্স দাখিল মাদ্রাসার দুই আলোকিত নক্ষত্র—
মাওলানা হাফিজুর রহমান সরকার সাহেব
ও মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম সাহেব—
তাঁরা ছিলেন শিক্ষার প্রকৃত কারিগর,
যাঁরা বইয়ের বাইরেও মানুষ গড়ার কাজটি নিঃস্বার্থভাবে করে গেছেন।
রৌহা মাদ্রাসা, বগুড়া ফুলতলা মাদ্রাসা
ও খুলনা দারুল উলুম কাওমী মাদ্রাসার
সেই নীরব, নিরহংকার শিক্ষকরা
ছিলেন আমার ভাবনার ভিত, বিশ্বাসের ইট, চরিত্রের গাঁথুনি।
তাঁদের কেউ আলোচনায় নেই,
কেউ কেউ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন চিরশান্তির দেশে।
তবু তাঁদের প্রতিটি দৃষ্টি, প্রতিটি উপদেশ
আজও আমার হৃদয়ের ভেতর প্রতিধ্বনি তোলে।
হে আল্লাহ,
যাঁরা এখনো জীবিত, তাঁদের দিনগুলো করো শান্তি, সম্মান ও ইমানের আলোয় পরিপূর্ণ।
আর যাঁরা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন,
তাঁদের কবর বানিয়ে দাও জান্নাতের সুগন্ধি বাগান।
তাঁদের ত্যাগ কবুল করো,
আর আমাদেরকেও তাঁদের শিক্ষার যোগ্য উত্তরসূরি করে গড়ে তোলো।
আজ শিক্ষক দিবসের এই বিশেষ দিনে
আমি তাঁদের সবার প্রতি জানাই অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা, দোয়া ও কৃতজ্ঞতা।
কারণ তাঁরা শুধু শিক্ষক নন—
তাঁরাই আমার জীবনের দিকনির্দেশক,
আমার আলোর মানুষ।
On Mon, Oct 6, 2025, 12:11 PM Chalonbeel Barta <chalonbeelbarta@gmail.com> wrote:

Article published online .
Thanks .
Razu

On Mon, Oct 6, 2025 at 6:32 AM Shakina Islamic Tv <kmaminuliu@gmail.com> wrote:
>
> চাঁদ কি সত্যিই আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে?
>
> মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ
>
> বিজ্ঞান বলছে— চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এ ঘটনা বাস্তব এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘটছে। প্রতিবছর প্রায় এক থেকে দেড় ইঞ্চি করে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে— এমনটাই জানিয়েছে নাসা ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
>
> মানুষের চোখে এই পরিবর্তন ধরা পড়ে না, কিন্তু মহাবিশ্বের সময়ের হিসাব অনুযায়ী এটি এক বিশাল রূপান্তর। বিজ্ঞানীদের মতে, কোটি কোটি বছর পরে এমন সময়ও আসবে যখন পৃথিবীর আকাশে আর চাঁদ দৃশ্যমান থাকবে না।
>
> চাঁদ একসময় পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি ছিল। সৃষ্টির প্রারম্ভে এটি ছিল গলিত আগুনের গোলার মতো উজ্জ্বল— যেন রাতের আকাশে আরেকটি সূর্য! তখন পৃথিবীও অনেক দ্রুত নিজের অক্ষে ঘুরত; একদিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র চার ঘণ্টা। সময়ের প্রবাহে মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে শুরু করে।
>
> বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন, চাঁদ পৃথিবীর মহাসাগরের দিকে আকর্ষণ সৃষ্টি করে, আবার মহাসাগরের ঢেউয়ের প্রতিক্রিয়াশক্তি চাঁদকে বিপরীত দিকে টেনে নেয়। এই টানাপোড়েনের ফলে চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
>
> অ্যাপোলো মিশনের নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে কিছু প্রতিফলক আয়না স্থাপন করেছিলেন। পৃথিবী থেকে লেজার রশ্মি প্রেরণ করে আজও সেই আয়নাগুলোর প্রতিফলন বিশ্লেষণ করা হয়, যার মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে— চাঁদ সত্যিই প্রতি বছর সামান্য হলেও দূরে সরে যাচ্ছে।
>
> বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রায় ৬০০ কোটি বছর পর চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে না। তখন সূর্যগ্রহণের মতো মহাজাগতিক দৃশ্য আর ঘটবে না। জোয়ার-ভাটা নিঃশেষ হয়ে যাবে। চাঁদের আলোহীন পৃথিবী হয়ে উঠবে এক নিঃসঙ্গ গ্রহ— আলোহীন, আকর্ষণহীন, নিস্তব্ধ এক জগৎ।
>
> তখন সূর্যের বিকিরণ ক্রমে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেবে, সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিণত হবে, ধ্বংস হবে পরিবেশের ভারসাম্য। ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত ও তাপমাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তনে হয়তো শেষ হবে মানবসভ্যতার অধ্যায়ও।
>
> তবুও এই সত্যটি আমাদের ভাবায়—
> যে চাঁদকে আমরা প্রেমে, কবিতায়, প্রার্থনায় ও নিঃসঙ্গতার ভাষায় স্মরণ করি, সেই চাঁদ একদিন আর থাকবে না আমাদের পাশে।
> তবু যতদিন সে আছে, চলুন না— চাঁদের দিকে তাকাই ভালোবাসা ও বিস্ময়ের চোখে; কারণ সে শুধু জ্যোতির্ময় নয়, আমাদের আবেগ ও অস্তিত্বেরও অংশ।
>
> —
>
> তথ্যসূত্র:
>
> NASA Lunar Laser Ranging Experiment
>
> Science Advances Journal (2022)
>
> National Geographic: “The Moon Is Moving Away From Earth”
>
> NASA Apollo Mission Archives

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD