৮০’র দশকে বগুড়াতে পর্যটন আকর্ষণের যাদুকর; চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল

Spread the love

৮০’র দশকে বগুড়া জেলাকে দেশ/বিদেশের মানুষের কাছে নতুন করে ভ্রমনে আকৃষ্ট করেছিল যে মানুষটি তিনি চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল। তার সৃষ্টিকর্মের অনন্য নিদর্শন কারুপল্লীর মাধমে।

কারুপল্লী দেশী/বিদেশী পর্যটকদের নতুন করে বগুড়া জেলা ভ্রমনের জন্য আকৃষ্ট করেছিল। তাতে লাভবান হতেন, রিকশা চালক, হোটেল মালিক, রেস্তরাঁ মালিক, বাস মালিক ও সুভেনির দোকানি। তাতে প্রায় ১১ ধরনের কর্মজীবী মানুষ সুফল ভোগ করত।

আজ আমিনুল করিম দুলাল নেই, কারুপল্লীও নেই, সামান্য কিছু সৃষ্টিকর্ম স্থান পেয়েছে বগুড়া পৌরপার্কের কোন এক কোনায়। এখনও দেশ / বিদেশের কিছু মানুষ যখন বলে তোমাদের বগুড়াতে যাব কারুপল্লী দেখতে তখন তাদেরকে বলতে হয় কারুপল্লী নষ্ট হয়ে গেছে। আর চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তখন কিছু মানুষ প্রশ্ন করে? বলে তাহলে তোমরা নড়াইলের এস, এম, সুলতানের সৃতি যাদুঘরের মত করে কিমবা জয়নুল আবেদীন সৃতি যাদুঘরের মত করে, চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল সৃতি যাদুঘর তৈরী করনা কেন? প্রতি বছর চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল উৎসব অনেক ঘটা করে পালন করনা কেন? বগুড়া শহরে চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলালের মরাল নির্মাণ করনা কেন? এ ধরনের অসংখ্য প্রশ্ন করে বসে দেশী/ বিদেশী পর্যটকরা। তখন আমি সদা হাসজ্জল মুখে তাদেরকে বলি আমাদের বগুড়া জেলার সংস্কৃতজনরা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অত্তান্ত বিজ্ঞজন, বুদ্ধিমান উনারা সময় করে সরকার/ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত সব প্রশ্নের উত্তর মিল করে দিবেন। আসলে আমি বগুড়া জেলার ধুনট থানার পেঁচিবাড়ী গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। গ্রামের স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা চলে আসি। তাই বগুড়া জেলার বিজ্ঞজনদের সাথে আমার ততোটা পরিচয় নাই। বর্তমানে কিছু বিজ্ঞজনদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, কেউ কেউ শুনে, কেউ কেউ অচেনা বলে কথা বলতেও চান না। বগুড়া জেলার অনেক বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ আছেন, যারা চাইলে বগুড়া জেলার পর্যটন আকর্ষণের জন্য সৃষ্টিশীল স্থাপনা নির্মাণ করতে বা চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল উৎসবের দায়িত্ব নিতে পারেন। যতদূর জানি সংস্কৃতজন তৌফীক হাসান ময়না ভাই সহ সংস্কৃতজনরা চাইলে প্রতি বছর শিল্পীর জন্ম দিবসকে কেন্দ্র করে উৎসবের আয়োজন করতে পারেন। বগুড়া জেলার প্রবীণ রাজনিবীদ জনাব মমতাজ উদ্দিন ভাই সহ অত্তান্ত দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ মানুষরা চেষ্টা করলে হয়তোবা আমার প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে। বগুড়া জেলার ৭ জন শ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্য আছেন, উনারা অত্তান্ত বুদ্ধিমান সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করলে হয়তো আমার প্রশ্নের উত্তরের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। পাশা পাশী যতগুলো রাজনৈতিক দল বগুড়াতে আছে, সকল দলের নেতাদেরকে অনুরধ করব টেকসই উন্নয়নে পর্যটন শিল্প এমন শিল্প যেটা হাজার বছরেও প্রতিযোগিতায় পড়েনা। সুতরাং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করুন, বগুড়া জেলাকে বিশ্ব দরবারে মডেল হিসাবে তুলে ধরুন। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদেরকে নতুন কারুপল্লী নির্মাণ করেদিন। চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল সৃতি যাদুঘর নির্মাণ করেদিন। নারায়ণগঞ্জের ফোঁক মিউজিয়ামের মত করে, বগুড়াতে ফোঁক মিউজিয়াম নির্মাণ করেদিন। তিন মাথা অথবা চার মাথায় চিত্র শিল্পী খন্দকার আমিনুল করিম দুলালের মরাল নির্মাণ করে, আমাদের বগুড়ার প্রিয় সন্তানকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করুন। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

 

লেখকঃ শহিদুল ইসলাম সাগর

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  

বগুড়া ট্যুরিস্ট ক্লাব

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD