তাড়াশ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণে নানা অনিয়মের অভিযোগ

Spread the love

তাড়াশ প্রতিনিধি : তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের আয়বর্ধক প্রকল্পের সেলাই ও বাটিক প্রশিক্ষণে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে । নিজস্ব পছন্দের ও প্রভাবশালীদের একই লোকজনকে একাধিকবার প্রশিক্ষণ করানোরসহ সেচ্ছারিতার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের আয়বর্ধক প্রকল্পের সেলাই ও বাটিক প্রশিক্ষণের জন্য আবেদনকারীদের গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে । নানা অনিয়মের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে গত রবিবার একই দিনে প্রার্থীদের ফলাফল তালিকা প্রকাশ ও একই দিনে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে । লকডাউনের জন্য পর দিনই সোমবার থেকে প্রশিক্ষণ স্থগিত রয়েছে । আয়বর্ধক প্রকল্পের সেলাই প্রশিক্ষণের বুটিক প্রশিক্ষণের জন্য ২৫ জন করে মোট ৫০ জন প্রার্থীর নির্বাচিত তালিকায় দেখা যায়, শাপলা খাতুন স্বামী আব্দুল মজিদকে ৩য় বার প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে । এছাড়া লায়লা ও লিমা নামের ২ প্রার্থী একাধিকবার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে স্থানীয় সুত্র নিশ্চিত করেছে। প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিজেদের পছন্দের ও প্রভাবশালীদের সুপারিশে একই প্রাথীকে একাধিকবার মনোনয়ন দিয়ে প্রশিক্ষণ করানোরসহ স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ রয়েছে। বুটিক তালিকায় টানানো প্রার্থীদের তালিকা ফ্লুট কালি মেরে পরিবর্তনের ও প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত রবিবার টানানো তালিকার ৫ নম্বরের নামের সিলেকশান প্রার্থীকে ফ্লুট কালি মেরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তন পরে করার জন্য। ফ্লুট দেওয়া তালিকার টানানো ছবি এ প্রতিনিধির কাছে রয়েছে । একজন প্রার্থীর একই প্রশিক্ষণ ১বার করে ২টি প্রশিক্ষণে ২বার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলেও কিভাবে ৩বার অংশগ্রহণ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । তাড়াশ সদরের আনোয়ারা খাতুন নামে একজন আবেদনকারী জানান, তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে বুটিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করে সুযোগ পাননি । তিনি অভিযোগ করেন, আমার স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না । সরকারী নিদের্শনায় প্রকৃত আয়বর্ধক কাজ করতে ইচ্ছুকদের মহিলাদের সুযোগ দেওয়া কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ব্যাংক হিসাবে নাম যাচাই করলেই সহজেই একাধিকবার প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তথ্য বের হবে এবং এর সংখ্যা বেশি হবে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাসিম অনিয়মের বিষয়ে জানান, আমি কয়েক মাস যাবত এসেছি তাই একাধিকবার প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীদের চেনা সম্ভব হয়নি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেশির ভাগ প্রার্থীর নাম দেন ।উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলীয় লোকজনের সুপারিশ রাখতে গিয়ে নিয়মের মধ্যে কিছু প্রার্থী বাদ দিতে হয় এবং আমি একাই বেশি নাম দেই না ।মহিলা বিষয়ক কর্মকতাও তালিকার অর্ধেক নাম দিয়ে থাকেন । তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিসবাউল করিম জানান, কমিটির সভাপতি হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেশির ভাগ নাম দেন আর আমাদের অফিসিয়িালি যাচাই করা সম্ভব হয় না একাধিক বার অংশগ্রহণকারীদের এবং কে দরিদ্র আর কে ধনী।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD