লুৎফর রহমান : বহুল আলোচিত রুপা হত্যার আজ তিন বছর। মঙ্গলবার সকালে শহীদ মিনারের সামনে বুকে কালো ব্যাচ ধারন করে আসামিদের বিরুদ্ধে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে এক মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন রুপার দুই ভাই হাফিজুর রহমান ও রুমান হোসেন উজ্জল।
মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, রুপা হত্যাকান্ডের রায় যুগান্তকারী। তবে রায়ের ৭ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করে আসামি পক্ষ। যতই দিন যাচ্ছে রায় কার্যকর নিয়ে সংশয় আর হতশা ততই বাড়ছে। এ পর্যন্ত একবারও আপিল শুনানির তারিখ পড়েনি। আইনি জটিলতায় ছোঁয়া পরিবহনের বাসিটিও মধুপুর থানা চত্বরেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
এদিকে মুঠোফোনে রুপার মা হাচনাহেনা বেগম বলেন, আর কেউ তার খোঁজ রাখেনা! অসুস্থ শরীর নিয়ে সারাক্ষণ শুয়ে থাকেন তিনি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাদেও মেয়ের জন্য প্রার্থনা করে কাটে অনেকটা সময়। প্রার্থনা করেন, কবরে চির নিদ্রায় শায়িত মেয়ের আত্মার শান্তির জন্য। এখন একটাই দাবি দ্রুত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হোক।
প্রসঙ্গত: ২৫ আগষ্ট রাতে মধুপুর বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরিচয় না মেলায় ২৬ আগষ্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারীশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর ২৭ আগষ্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি শনাক্ত করেন যে, অজ্ঞাত যুবতীই তার ছোট বোন জাকিয়া সুলতানা রুপা। ৩১ আগস্ট রুপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঐদিন রাতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় রুপার লাশ তার গ্রাম আসানবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়।