বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দশের পথে অস্ট্রেলিয়া

Spread the love

কাউসার খান, সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) থেকে: ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এক দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ সেন্টারের পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া ২০২৬ সালের মধ্যে তার বর্তমান ১৩তম স্থান থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক লীগ টেবিলে আরও দুই স্তর ওপরে উঠবে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটেসটিকসের জুন মাসের সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ হাজার নতুন চাকরি যোগ হওয়াকে শুভ লক্ষণ হিসেবে দেখছে রিসার্চ সেন্টার।

তাদের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনীতিতে মস্তিষ্কশক্তি নির্ভর দেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে।
অভিবাসনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। আর এ কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে তরতর করে। বিশেষ করে অভিবাসীদের দক্ষতার কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ভবিষ্যৎও ওপরের দিকেই থাকবে বলে রিসার্চ সেন্টার পরিষ্কার পূর্বাভাস দিয়েছে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়া ১ লাখ ৯০ হাজার স্থায়ী অভিবাসী নেয় যাদের বেশির ভাগই দক্ষ। তবে, অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ান জনসংখ্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত একটি জরিপে অস্ট্রেলিয়ার তিন-চতুর্থাংশের মতো মানুষ মনে করেন যে, দেশে আর মানুষদের প্রয়োজন নেই এবং প্রায় অর্ধেক মনে করেন, মুসলিম অভিবাসীদের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা দরকার।
কিন্তু সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের রিপোর্টে বলা হয়, ২০৩২ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটবে তখন সৃজনশীল শ্রমিকদের প্রয়োজন হবে এবং অস্ট্রেলিয়ার জন্য এ ঘাটতি পূরণে অভিবাসনই হচ্ছে সর্বোত্তম উপায়।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু নিকটবর্তী প্রতিবেশী উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ।
তারা আশা করছে, ইন্দোনেশিয়া ও কোরিয়া ২০৩২ সালের মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির শীর্ষ দশে প্রবেশ করবে এবং তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন শীর্ষ পঁচিশে আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ চারটি অর্থনীতির দেশের মধ্যে তিনটিই হবে এশিয়ার দেশ চীন, ভারত ও জাপান।

সূত্র: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

.

প্রবাসীদের নিয়ে দৈনিক ইন্দো-বাংলা অনলাইনের নিয়মিত আয়োজন প্রবাস।
এ বিভাগে প্রতিদিন আপনাদের লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। আপনার সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা নিয়ে লেখা পাঠান। প্রবন্ধ-নিবন্ধ, গল্প-কবিতা-ছড়া ও ভ্রমণ কাহিনিসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের খবরও পাঠাতে পারেন। লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেন না।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা: <news.indobangla24@gmail.com >
 
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD