চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ৩০ রবিবার ০৩ জুন ২০২৪ ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

Spread the love

বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার : জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে এবং সেই কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি।

জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনী তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা করেন। সূত্রঃ প্রতিদিনের সংবাদ।

আবারো বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ফের বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করেছে সরকার। ফলে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দাম ২ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়েছে, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৭ টাকা থেকে এক পয়সা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৭ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য ১ জুন থেকে কার্যকর হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে। সূত্রঃ খোলা কাগজ।

অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি আবারো
তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান ছবি ওয়ার্ড ফাইলে

মোশাররফ হোসেন মল্লিকীঃ তাড়াশ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ২য় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাড়াশ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ, তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি। গত ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৭টি উপজেলার সাথে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। দিনশেষে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী (সাবেক চেয়ারম্যান) আলহাজ¦ অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪০১৮৫ ভোট পেয়ে পূণরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অপরদিকে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কুমার কর্মকার আনারস প্রতীকে ৩৫৬৫৯ ভোট পেয়ে ৪৫২৬ ভোট ব্যবধানে ২য় বারের মতো আবারো একই প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সঞ্জিত কুমার কর্মকার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও সে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি’র কাছে বিপুল ভোট ব্যবধানে হেরে যান। এ নির্বাচনে মোট ভোটর সংখ্যা ১৫৮৬২৬ জন; প্রদত্ত ভোট সংখ্যা ৭৬২৩৪টি; বৈধ ভোটের সংখ্যা ৭৫৮৪৪টি; বাতিল ভোটের সংখ্যা ৩৯০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪৮.০৬%।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়েছে দুইজনের মধ্যে। এ নির্বাচনে উদীয়মান যুবনেতা তারুণ্যের অহংকার সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলনের কণিষ্ঠ পুত্র ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল চশমা প্রতীকে ৪৮৭৯৭ ভোট পেয়ে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খানকে বিপুল ভোট ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন তার বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৫২৭ ভোট। অপর প্রার্থী তাড়াশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ-এর সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫৬৬ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। চারজন প্রার্থী সমানতালে ভোট পেলেও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের প্রাপ্ত ভোট একেবারেই নগন্য। এ নির্বাচনে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ম বিজয়ী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি সদস্য মাহফুজা আকতার ফুটবল প্রতীকে ২১৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ছিলেন তাড়াশ উপজেলা মহিলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোছাঃ শায়লা পারভীন। মোছাঃ শায়লা পারভীন তার প্রজাপতি প্রতীকে ভোট পান ১৮৮২১টি। তৃতীয় স্থানে আছেন ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং তাড়াশ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোছাঃ মনোয়ারা বেগম মিনি। কলস প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৬১৩৩টি। চতুর্থ হয়েছেন মোছাঃ নাজমা খাতুন; হাঁস প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৩৭৯৫টি। তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ মর্জিনা খাতুন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৫২৭৯ ভোট। তথ্য: উপজেলা নির্বাচন অফিস।

তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের
শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা

সাব্বির আহম্মেদ ,তাড়াশঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলা এলাকার জিপিএ- ৫ পাওয়া মেধাবী নারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার সকালে কলেজ হলরুমে কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিরাজগঞ্জ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। এতে অনান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধাক্ষ্য মো. শাহাদত হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান মিঞা, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা আকতার, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জর্জিয়াস মিলন রুবেল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, শিক্ষার্থী সাদিয়াতুল কোবরা, হুরে জান্নাত প্রমুখ। সংবর্ধনায় অংশ নেওয়া জিপিএ- ৫ পাওয়া মেধাবী শতাধিক নারী শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং ক্রেষ্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।

বিনসাড়ার প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণকারী রবিন
র‌্যাবের হাতে আটক

র‌্যাব সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ৩০মে ২০২৪খ্রিঃরাত্রি২০.০০ ঘটিকার সময় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানাধীন ধোপাগাড়ী বাজার এলাকায়”একটি অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এৎাহার নামীয় পলাতক আসামি মোঃ রবিন(২০), পিতা-মোঃ মানিক, সাং-বিনশারা, থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ’কে গ্রেফতারকরতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার মামলা নং-১৪/১৩৪, তারিখ ২২মে ২০২৪ খ্রি. ধারা: ৯(১)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩;মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলারতাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

তাড়াশে জব্দ চায়না দুয়ারী জাল পোড়ানো হল

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার (২৯ মে ) গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে উপজেলার ৮ নং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব জাল জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয় । অবৈধভাবে মাছ শিকারের কারণে প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ৩১টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে উপজেলা মৎস্য কর্তৃপক্ষ।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মশগুল আজাদ বলেন, চায়না দুয়ারী জাল মৎস্য সম্পদের জন্য হুমকি স্বরুপ। ছোট, বড় থেকে শুরু করে যে কোন জলজ প্রাণী একবার চায়না দুয়ারী জালে প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না। ফলে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হতে বসেছে। তাই পরিবেশ ও মাছের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় চায়না দুয়ারী জাল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ছোট মাছ রক্ষার্থে ও উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে এবং মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ এ ধরনের জালের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান অব্যহত থাকবে।
তাড়াশে ৭১ কেন্দ্রেই প্রথম হয়ে
রেকর্ড গড়লেন জর্জিয়াস মিলন রুবেল

সাব্বির আহম্মেদঃ দেশের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই প্রথম সকল ভোট কেন্দ্রে প্রথম হয়ে তাড়াশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে ৭১ টি ভোট কেন্দ্রের ৭১ টিতেই প্রথম হয়ে মোট ৪৮ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ম. ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলনের ছেলে।
তার নিকটতম প্রতিন›দ্ব›দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫২৭। তিনি তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি। গত মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল বলেন, এতে অবাক হবার কিছু নেই, কারণ আমি তো কোনো প্রার্থী ছিলাম না- আমি ছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, ম, আমজাদ হোসেন মিলন এবং এই উপজেলার ধর্ম ও দল মত নির্বিশেষে সম্প্রীতির প্রতিনিধি। এজন্যই মানুষ আমায় ভালোবেসেছেন।

তাড়াশে হিটস্ট্রোকে মারা গেলো
দেড়শ মুরগী

সাব্বির আহম্মেদ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হিটস্টোকে হিরন উদ্দিন ফকির নামের এক মুরগী খামারীর প্রায় দেড় শতাধিক লেয়ার মুরগী মারা গেছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে পৌর এলাকার ভাদাশ মহল্লায় পুর্ব পাড়ার হিরন ফকিরের খামারে এ ঘটনা ঘটে। খামারী হিরন ফকির ওই মহল্লার আব্দুল জলিলের ছেলে।
বিষয়টি ওই এলাকার কলেজ শিক্ষক আশরাফ আলী নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, হিট স্টোকে মারা যাওয়া ওই দেড়শটি মুরগীর মুল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। আর এতে করে ওই খামারি সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন।
খামারি হিরন ফকির জানান, প্রায় দশ বছর যাবত তিনি নিজ বাড়ীতে একটি টিনশেড ঘরে মুরগীর খামার করে লেয়ার মুরগী লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় সাড়ে চারশ লেয়ার মুরগী ডিম দিচ্ছিল। আজ শনিবার দুপুরে প্রচন্ড গরমের কারণে খামারে থাকা মুরগী গুলো প্রথমে গরমে ছটফট করতে থাকে। পাশাপাশি তাদের জিহŸা বের হয়ে পাখা মেলে ধরে নেতিয়ে পড়ে অসুস্থ্য হতে থাকে। এভাবে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই এক এক করে খামারের প্রায় দেড় শতাধিক লেয়ার মুরগী মারা যায়। খামারী হিরন উদ্দিন ফকির আরও জানান, প্রায় ১৫দিন যাবত তার খামারের লেয়ার মুরগী গুলো ডিম দিচ্ছিল। আর ডিম দেওয়া অবস্থায় সাড়ে চার শত মুরগীর মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক মুরগী হিট স্টোকে মারা গেল। এতে করে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি মুরগী গুলো অসময়ে মরে যাওয়ায় আমি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। কি করে আগামী দিনে সংসার চালাবো এ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় আছি।

তাড়াশে মৎস্যচাষিদের অবহিতকরণ সভা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সুফলভোগী মৎস্যচাষিদের নিয়ে দিনব্যাপী অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিমগাছি মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় এর আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
এ সময় বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থ ও পরিকল্পনা শাখার উপরিচালক মো. সাহেদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ প্রমূখ।

তাড়াশে দুর্নীতি প্রতিরোধে মত বিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ২৬ মে তাড়াশে দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালী ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।তাড়াশ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম।
উপজেলা দুর্নীতি পরিষদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নব নির্বাচিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাহফুজা আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম, সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজু। এছাড়া আরও বক্তৃতা করেন তাড়াশ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল বারী ও ভিলেজ ভিশন এর পরিচালক শরীফ খন্দকার। বক্তাগণ দেশের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এর প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনামূলক কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। সভায় সরকারি -বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, নাগরিকসমাজের প্রতিনিধি ও স্কুলের শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন।

তাড়াশে বোরো ধান চাল সংগ্রহ শুরু

লুৎফর রহমান : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত (৩০ মে) বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে তাড়াশ খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গণে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ ৩ তাড়াশ -রায়গঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল হাসান, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল মামুন, নিমগাছী মৎস্য প্রকল্পের পিডি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ,তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা শাহিন আলম,তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীউল হক শামীম সহ আরো অনেক।

প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নির্ভর শিক্ষা ও সমসাময়িক ভাবনা
সাইফুল ইসলাম
খবরে প্রকাশ সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে যাদের চাকুরী হয়েছে তাদের সবাই স্নাতক পাশ। আর এটা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। যারা এদেশে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বসে আছেন তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে আতংক।
কিছু ব্যতিক্রম বাদে, বাংলাদেশে যে-মানের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়, তাতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি পাওয়া মোটেও দৃষ্টিকটু নয়। মার্ক্সিস্ট দৃষ্টিকোণ থেকে তো বটেই, পুঁজিবাদের মূল সূত্র অনুসারেও এ চাকরি স্নাতকদের জন্য সম্মানজনক।
এই স্নাতকোত্তরদের দক্ষতাটা কী ? এমন কোনো কাজ কী তারা জানে, যা দ্বারা বাগানো যেতে পারে জটিল কোনো চাকরি? এদের এক ব্যাগ সার্টিফিকেট আছে, যা মূলত কাগজের দলা, আর আছে এয়ার কন্ডিশন্ড কক্ষে অফিসারগিরির স্বপ্ন, এ ছাড়া আর কিছু আছে? নেই। এ অবস্থায় রেলওয়ে যে এদেরকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছে, সেটিই বরং তাদের জন্যে সৌভাগ্যের এবং রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের মহানুভবতা।
এদেরকে যদি বলা হয়, তিন হাজার শব্দের একটি ফান্ডিং প্রপোজাল প্রস্তুত করো, পারবে? পারবে না। ইংরেজি ও বাংলা, কোনো ভাষায়ই একটি সৃষ্টিশীল গরুর রচনা লেখা এদের পক্ষে সম্ভব নয়। এরা ফেসবুকে যে-জ্ঞান গরিমা দেখায়, মানুষের কমেন্ট বক্সে বা বাজারের চায়ের দোকানে যে পারঙ্গমতা দেখায় তাতে চাকরির বাজারের দক্ষতাগুলো নেই।
এরা একটি ভালো সিভি তৈরি করতে পারে না। নিজ হাতে বাংলা-ইংরেজীতে চাকুরির দরখাস্ত লিখতে পারে না। চাকুরিটা এদের দেবে কে? যারা বুক চাপড়ান তারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্মকর্তা হলে এদের চাকুরী দেবেন? বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতে বহু ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান ও পাকিস্তাানী কাজ করে। কেন করে? কারণ তারা কাজ জানে। তাদের উপযুক্ত রিপ্লেসমেন্ট বাংলাদেশের বাজারে নেই। তারা নিজেকে উপস্থাপন করতে জানে। নিজের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কি হবে, সেটা জানে। রাস্তায় কিভাবে হাটতে হয়, সেটা জানে। পক্ষান্তরে এদেশের অধিকাংশের প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে দক্ষতা কিংবা পারদর্শিতা নেই। ঠিক মত রাস্তায় হাঁটতেও জানে না। এমন কি বাংলাদেশী স্নাতকদের মধ্যে এসব নিয়ে কোনো উদ্বেগও নেই।
সবাইকে স্নাতকোত্তর হতে হবে কেন? কি প্রয়োজন একটি সময়নাশী মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের, যদি এতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো জ্ঞান বা দক্ষতা দখলে না আসে? কী দরকার এতো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের, যদি একটি ছাত্রকে তার জীবিকার বুনিয়াদটুকুও না দিতে পারা যায়?
মাস্টার্স পাশ বল্টু না হয়ে মেট্রিক ফেল দক্ষ শ্রমিক হতে শিখুন। যারা পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন। আশা করি, অফিসারগিরির স্বপ্ন না দেখে নিজের হাতকে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলবেন।
অনেক কষ্ট করে আপনাকে বাবা মা পড়ালেখা শেখায় টাকা দিয়ে চাকুরী নিয়ে দিতে নয়। বাবা মায়ের আত্মসম্মান রক্ষা করুন। নিজেদের চিন্তা এবং মননে পরিবর্তন আনুন এবং স্বাধীন ও সম্মানজনক ক্যারিয়ার গড়তে সচেষ্ট থাকুন।

লেখক : সাংস্কৃতিক কর্মী, কলাম লেখক ও প্রাবন্ধিক। কুসুম্বী, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।

তাড়াশে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোটি টাকার স্বপ্ন

গোলাম মোস্তফা : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দারিদ্রতা ও বেকারত্বের কাছে হার না মানা একজন মানিক হোসেনের ফ্রিল্যান্সিং সাফল্য প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষিত বেকার তরুণদের কাছে কর্মের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এ কাজে তারা নিজেরা উপার্জনের পাশাপাশি বহিঃবিশ^ থেকে রেমিটেন্স আয় করে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভ‚মিকা রেখে চলেছেন বলে জানিয়েছেন।
বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুতে যাদের নিজের কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য ছিলোনা, তারা এখন বিশ্বমানের জনপ্রিয় পেশা ফ্রিল্যান্সিং শিখে প্রত্যন্ত গ্রামে বসে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। যাদের স্বনির্ভরতা দেখে এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন বেকার তরুণেরা। মূলত একজন মানিক হোসেন যেন গ্রামীণ তরুণদের কাছে ফ্রিল্যান্সার আইকন হয়ে উঠেছেন। তিনি বেকারদের হাত ধরে ধরে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিয়ে এসেছেন। কঠোর পরিশ্রম ও নিজের অর্জিত ফ্রিল্যান্সিং জ্ঞান দিয়ে এক এক জনকে গড়েছেন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার। এখন তাদের ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম দেড় থেকে শুরু করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। মানিক হোসেন সগুনা ইউনিয়নের বিল কুশাবাড়ী গ্রামের একটি অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পড়ালেখায় সে রসায়নে স্নাতক। তার পিতার নাম কোমেদ আলী।
এদিকে সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সৈকত জামান শান্ত, মাকড়শোন গ্রামের আব্দুল ছামাদ উদ্দিনের ছেলে সৌরভ হোসাইন, মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সাগর হাসান, বিল কুশাবাড়ি গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মাফফিজুর রহমন শাকিল, লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের মোহসীন আলীর ছেলে বিপ্লব হাসান, আলাল উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে রাজু হাসান, তাড়াশ পৌর এলাকার মহারম আলীর ছেলে হাসিনুর রহমান ও তালম ইউনিয়নের হারিসোনা গ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে মোক্তার হোসেন বলেন, তাদের সফলতার পেছনে রয়েছে অদম্য ইচ্ছেশক্তি ও মেধা সম্পদের যথাযথ ব্যবহার। সময়ের সাথে বেকার তরুণদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে। এটি এমন এক ধরনের উপার্জনের মাধ্যম যা একজন ফ্রিল্যান্সারের জীবনমান উন্নয়নে সর্বাধিক ভ‚মিকা রাখতে পারে।
অপরদিকে মানিক হোসেন বলেন, শুরু করেছিলাম শূন্য হাতে। কিন্তু অগাদ বিশ্বাস ছিল একদিন সফল হব। ২০১০ সালে ফ্রিল্যান্সিং শেখার তেমন সুযোগ ছিল না। ঢাকায় মিরপুরের বাঙলা কলেজে পড়ার সুবাদে মেসে থাকতেন। সেই মেসের একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করেন। দিন রাত পরিশ্রম করে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেশ কিছু শিখে ফেলেন। পরে ধারদেনার ২০ হাজার টাকায় কেনা একটি পুরনো ডেল ল্যাপটপ দিয়ে শুরু হয় তার ফ্রিল্যান্সিং কর্ম।
এই সফল ফ্রিল্যান্সার আরো বলেন, মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন ফ্রিল্যান্সাররা। ইউটিউব মার্কেটিং, ইউটিউব ভিডিও এসইও, ইউটিউব ভিডিও এডিটিং, ভিডিও অ্যাড, ফেসবুক মার্কেটিং, ফেসবুক অ্যাড, ওয়েব এসইও ইত্যকার। এমনকি ক্রিপ্টো ও এনএফটি নিয়ে ব্যবসা করা যুক্তরাজ্যের একটি বড় কম্পানি ‘বেনজিংগা’র একটি টুল মার্কেটিং করে দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া অঙ্কসম্পর্কিত ইউটিউব চ্যানেল ‘ব্রিয়ান ম্যাকলগান এলটিডি’। এই চ্যানেলের এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জনের পেছনেও অসামান্য অবদান রয়েছে তার। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পাওয়ার ওয়াশ কম্পানির প্রডাক্ট প্রমোশনেও রয়েছে তার অবদান। এসব কাজে এখন পর্যন্ত তার আয়ের পরিমাণ দুই কোটি টাকারও বেশি। এক মাসে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকাও আয় করেছেন তিনি। মাসের গড় হিসাবে আয় পাঁচ লক্ষাধিক টাকারও বেশি থাকে। মূলত আপওয়ার্কে পাওয়া কাজ থেকেই তার বেশি আয় থাকে।
ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এখনো অধিকাংশ লোকজনের সঠিক ধারনার অভাব রয়ে গেছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিংকে অনলাইন জুয়া অথবা সন্দেহজনক কার্যকলাপের সাথে মিলিয়ে ফেলে। কিন্তু অনলাইনের কাজ আর ফ্রিল্যান্সিং একইরকম পেশা নয়। ফ্রিল্যান্সারদের প্রত্যেকটা ঘন্টা এমনকি প্রত্যেকটা সেকেন্ডের হিসাব থাকে। কোন মাধ্যমে টাকা আসছে, সবকিছুই একটা নিয়মের মধ্যে থাকে। বরং বাংলাদেশ সরকারকে রেমিটেন্স দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে হয়।
জানা গেছে, মানিক হোসেনের প্রথম কাজ পেতে দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১২ সালে ওডেস্কে (এখন নাম পরিবর্তন করে আপওর্য়াক হয়েছে) অ্যাকাউন্ট খোলেন। তার ১৩ ডলারের প্রথম কাজটি ছিল এক বাংলাদেশি ক্লায়েন্টের। কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ওই ক্লায়েন্ট তাকে ফাইভ স্টার রিভিউ দেন। কিন্তু মানিক হোসেনের যাদের ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন তাদের সাফল্যের জন্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। এক সময়ের বেকার তরুণেরা মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন ফ্রিল্যান্স করে। মানিক হোসেন ফ্রিতে ফ্রিল্যান্স শেখানো নয়, প্রয়োজন পড়লে কম্পিউটার কিনে দিয়ে এই পেশায় উদ্বুদ্ধ করছেন তরুণদের। যেন প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র ও বেকার তরুণেরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা। তরুণেরা এ কাজের মাধ্যমে নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলতে পারেন। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ফ্রিল্যান্সাররা স্মার্ট বাংলাদেশের গর্বে। তারা কর্মক্ষেত্রে প্রত্যন্ত গ্রামে আলো ছড়াচ্ছে।

তাড়াশে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

মোঃ মুন্না হুসাইন, তাড়াশ ঃ প্রচন্ড গরম পড়েছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। এই গরমেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিভিন্ন হাটবাজারে সুস্বাদু তালের শ্বাস বিক্রির ধুম পড়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই প্রিয় এই শ্বাস। কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জ্যেষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে এ ফলটি। রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণও।
বাংলাদেশের সর্বত্র তালগাছ দেখা যায়। তালগাছ শাখা-প্রশাখাবিহীন একবীজপত্রী উদ্ভিদ। তালগাছ বাড়ির আনাচে-কানাচে, পুকুর পাড়ে, নদীর ধারে, পরিত্যক্ত স্থানে বেশি দেখা যায়। তবে দিনে দিনে বিলুপ্তির পথে তালগাছ। তালগাছ কিন্তু দীর্ঘজীবী। পৃথিবীর বহু দেশে তালগাছ আছে। এই গাছ কমবেশি শতবছর বাঁচে। তালগাছের প্রতিটি অংশই আমাদের প্রয়োজনীয়। পাতায় ঘরের ছাউনি, জ্বালানি, গরমের বন্ধু হাত পাখা, পাতার ডগার আঁশ দিয়ে মাছ ধরার নানা যন্ত্র তৈরির উপকরণের জোগানদার এই তালগাছ। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানির বিখ্যাত টুপি এই তালের আঁশ দিয়েই তৈরি। তালের ডোঙা বর্ষাকালে গ্রাম-বাংলার অন্যতম বাহন। তালের রস, তালের গুড়, কচি তালের শাঁস, পাকা তাল, তালের পিঠা, পাকা তালের বিচির শাঁস এসবই অত্যন্ত মজার ও উপাদেয় খাবার। আর তাল গাছ দীর্ঘজীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই ফল দেয়।
কলেজছাত্র পার্থ ঘোষ বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে, তখনও খাওয়া যায়, তখন বাজারে এটি পানি-তাল হিসেবেই বিক্রি হয়। কেউ বলে তালশাঁস আবার কেউ বলে তালের চোখ, কেউ বলে তালকোরা।যে যেই নামে চিনুক বা জানুক এটি মৌসুমি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে বিভিন্ন ফলের সঙ্গে এই ফলেরও কদর বাড়ে। খেতে সুস্বাদু ফলটি রাস্তার মোড়, ফুটপাথ কিংবা হাট-বাজারে এ সময়টায় দেদার বিক্রি হয়। অনেকে বিক্রির জন্য এই কচি তাল বাজারে তুলেছেন। আর চোখে পড়ে বিক্রেতারা হাঁসুয়া বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করছে।উপজেলার সদরের কলেজগেটে তালশাঁস বিক্রেতা হোসেন আলী জানান, প্রতিটি তাল ১০ থেকে ১৫ টাকা বেচাকেনা হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি দাম ৪ থেকে ৬ টাকা। সে হিসাবে প্রতি গাছের তাল ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।
প্রবীন ব্যক্তি শাহ আলম জানান, বাজারে আসা অসংখ্য ফলের চেয়ে তাল শাঁসের বৈশিষ্ট্য আলাদা। একটি তালে ২-৩টি বীজ বা আঁটি থাকে। পরিপক্ব হওয়ার আগে সুস্বাদু তাল শাঁস তুলতুলে থাকে। মূলত তালের ভেতরে নরম তুলতুলে শাঁসই তালকোরা বা তাল শাঁস। এটি ঠান্ডা ও মিষ্টিজাতীয় সুস্বাদু খাবার। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। গরমের দিনে পিপাসা কাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় তালের শাঁস দিয়ে। তাল বিক্রেতা মহরম আলী বলেন, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শাঁস। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি খায়। দামেও বেশ সস্ত। তাই বাজারে এর কদরও বেশি। পাড়া মহল্লায় ভ্যানে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করেন তিনি।

তামাকের কর বৃদ্ধির দাবিতে
তাড়াশে অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তামাকের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য “ তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি,শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।” এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের মূল্য ও কর বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও পরিবর্তন যৌথভাবে এই অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে। জাতীয় বাজেটে তামাকের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করলে তামাকের ব্যবহার কমে আসবে – এই যুক্তি তুলে ধরে ও সমর্থন করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তাড়াশ পৌর সভার প্যানেল মেয়র রোখসানা খাতুন রুপা। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন: মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. হাসিনুর রহমান, কাউন্সিলর, তাড়াশ পৌরসভা এবং দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকার সাংবাদিক মহসীন আলী। অনুষ্ঠানটির সভাপতি ও সঞ্চালনায় ছিলেন পরিবর্তন পরিচালক আবদুর রাজ্জাক রাজু।
বক্তাগণ সুপারিশ করেন যে, আসন্ন জাতীয় বাজেটে তামাকজাত পণ্যের উপর কর ও এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তামাক বা বিড়ি-সিগারেট কিনতে মানুষ নিরুৎসাহিত হবে। এর ফলে তামাকের অবাধ ব্যবহার কমে আসবে। এছাড়া তামাক চাষ হ্রাসের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অপরদিকে নকল বা বিদেশী সিগারেট জব্দ করতে অভিযান চালানো প্রয়োজন। আর তামাক কোম্পানীগুলোর অপতৎপরতা রোধে জনসচেতনতা তৈরীও বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরী। প্যানেল মেয়র রোখসানা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোলষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে সকলকে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার পূরণে সহায়তা করতে অবদান রাখার আহবান জানান। সভাপতি পরিবর্তন পরিচালক উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে তামাকের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিকে সমর্থন জানানোর আহবান জানালে তারা হাত তুলে সম্মতি জানায়।
নন্দীগ্রামে ছেলে শিশুকে ধর্ষণ
গ্রেপ্তার এক

নন্দীগ্রাম প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাত বছরের ছেলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া শামীম হোসেন আকন্দ (২৩) নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এমদাদুল হক আকন্দের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের এক শিশু সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে যায়। তখন শামীম হোসেন আকন্দ তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে এসে তার বাবা-মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আজমগীর হোসাইন বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার থানায় মামলা করেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৭নং মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবিব’র সভাপতিত্বে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের ৩ কোটি ৯৯ লক্ষ ১৮ হাজার ১৮০ টাকা আয় এবং ব্যয় ৩ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৮০ টাকার আনুমানিক খসড়া বাজেট ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা জনসম্মুখে ঘোষণা করেন মাধাইনগর ইউপি সচিব (অতি: দা:) ফরিদুল ইসলাম।
উন্মুক্ত বাজেট সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট আলোকে এর সংযোজন ও বিয়োজন বিষয়ে আলোকপাত করেন চেয়ারম্যান মোঃ হাবিলুর হাবিব । জনগনের বিভিন্ন দাবির মধ্যে গুরুত্বপুর্ন ও জরুরী দাবিগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ইউনিয়নে এ বাজেটে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ
নির্বাচন বাতিলের দাবি

গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন পরাজিত ৪ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার কাছিকাটায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপি ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন। এসময় পরাজিত দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রোকসানা আক্তার লিপি এবং হুমায়ন কবির প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত দুই চেয়ারম্যান ও তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ এনে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট করেন পরাজিত প্রার্থীদের দুই কর্মী।এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার দুটি পৃথক অভিযানে ইকবাল তালুকদার ও নাদিম পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

গুরুদাসপুরে চলছে পুকুর খননের মহামারী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে এমপির হুঙ্কার আর ইউএনও’র জেল-জরিমানা দেওয়ার পরও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না রাক্ষুসে মাটি খাদকদের। কৌশল বদলে রাতের দ্বিতীয় প্রহরে চলছে তিন ফসলি জমিতে মাটি কেটে পুকুর খননের কাজ। শত শত বিঘা ধানি জমি চলে যাচ্ছে পুকুরের পেটে। মহামারী আকার ধারণ করায় পুকুর খনন রোধে মাইকিং দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার।
গত বুধবার সকাল থেকে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেওয়া ওই প্রচার মাইকিং চালু করা হয়েছে। নির্বাহী অফিসারের জারি করা ওই জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ১৩ ধারা মোতাবেক ‘মাটির উপরিস্তর কর্তন ও ভরাটের দÐের কথা তুলে ধরা হয়।মাইকিংয়ে বলা হয়- ‘যদি কোন ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে আবাদযোগ্য বা কর্ষণীয় জমির উপরিস্তর কর্তন, জমির রেকর্ডীয় মালিকের বিনা অনুমতিতে বালু, মাটি দ্বারা ভরাট এবং অনুরূপ কাজ অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এই অপরাধে অনধিক দুই বছর কারাদÐ ও অর্থদÐের বিধান রয়েছে’। উপজেলাবাসীকে এই আইনের প্রতি দায়িত্বশীল থাকার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন- গুরুদাসপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন একশ্রেণির মানুষের নেশা-পেশায় পরিণত হয়েছে। এসব মাটি খেকোদের হাত থেকে ফসলি জমি রক্ষায় তিনি ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য মাইকিং দিয়েছেন। একইসাথে জরুরী বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন।স্থানীয়রা জানায়- বিলের তলানি থেকে পাকা সড়কের ধার। কোনো জমিই বাদ যায়নি রাক্ষুসে মাটি খাদকদের হাত থেকে। বিলের এসব তিন ফসলি জমি নির্বিচারে কেটে পুকুর বানানো হয়েছে। হাঁড়িভাঙ্গা, কুমারখালী, চাকলের বিলের যতদূর চোখ যায় শুধু পুকুর আর পুকুর।
গুরুদাসপুর কৃষি স¤প্রসারণ অফিসের পরিসংখ্যানে দেখাযায়- এভাবে পুকুর খননের ফলে গত ১৩ বছরে গুরুদাসপুর উপজেলায় ফসলি জমি কমেছে ১ হাজার ৫১০ হেক্টর। ২০১১ সালে গুরুদাসপুরে ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৬০৯ হেক্টর। এই জমি চলতি বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার হেক্টরে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন- এভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করায় মারাত্মকভাবে ফসল হানি হচ্ছে। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নির্বিচারে পুকুর খনন করায় প্রতি বছরই আশঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমি।নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন- পুকুর খননকারীরা কোনো দলের হতে পারেনা। পুকুর খনন বন্ধে তিনি সবার সহযোগিতা চান।

সলঙ্গায় জমে ঊঠেছে শ্রমিক বিক্রির হাট

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সবে ভোরের আলো ফুটেছে,বেশিরভাগ মানুষ তখনও ঘুমিয়ে। কেউ আসছেন সাইকেলে আবার কেউ হেঁটে। তাদের কারও কাছে কোঁদাল, পাসুন বা নিড়ানি। কারও কাছে ডালি ও কাস্তে। এই মোড়ে আলাদা আলাদা দলবেধে বসে থাকা মানুষগুলো অপেক্ষা করছে ক্রেতা বা খরিদ্দারের। তবে এ হাটে নেই কোনো পণ্য।
পণ্য তারা নিজেরাই। খরিদ্দার এসে পছন্দ মতো লোক, সংখ্যা ও দাম বললে নির্দিষ্ট একটা কাজ বা পুরো দিনের জন্য নিজেদের বিক্রি করে দেন। এভাবেই বিক্রি হয়ে চলে তাদের পরিবারের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা। গত সোমবার সকালে এমনি এক চিত্র দেখা গেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচলিয়া বাজারে।
এখানে প্রতিদিন বসে শ্রম কেনা-বেচার হাট। এ হাটে ভোরবেলা থেকে মানুষ আসা শুরু করে। শ্রমজীবীরা অপেক্ষায় থাকে নিজেকে বিক্রির জন্য। ক্রেতা এসে পছন্দ ও দরদাম করে নিয়ে যায় তাদের।

চাটমোহরে লিচু ফলনে বিপর্যয় হলেও দাম চড়া

জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর ঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলায় লিচু চড়া দামে বিক্রি হলেও ফলনে বিপর্যয়ের কারণে বাগান মালিকদের মুখে হাসি নেই। চলতি মৌসুমে দীর্ঘ সময়ে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে প্রতিটি গাছে লিচু ঝড়ে পড়েছে। যার কারণে আগাম বাগান কিনে রাখা এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হয়েছে। বেশির ভাগ বাগানে লিচু ঝড়ে পড়েছে। কম দামে বাগান বিক্রি করতে দেখা গেছে।
উপজেলার লিচু গ্রাম হিসেবে খ্যাত রামচন্দ্রপুর, জালেশ্বর, নতুনপাড়া, মন্ডলপাড়া, গুনাইগাছা, মল্লিকচক, পৈলানপুর, জাবরকোলসহ আশে-পাশের ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম রয়েছে।এ কয়েকটি গ্রামের মাঠের পর মাঠ আবাদ হয়েছে লিচু। চলতি বছরে লিচুর মুকুল ব্যাপক আসাতে লিচু চাষীরা মনে করেছিলেন এবার বাম্পার ফলন হবে। এ জন্য শতশত বাগান মালিকরা লিচু উচ্চ দামে বিক্রির জন্য বাগানে প্রচুর যতœ নিয়েছিলেন। কিন্তু এর সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে প্রতিয়মান হয়েছে। তীব্র খরা ও দীর্ঘ সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লিচুর গুটি প্রথমে ঝড়ে পড়ে যায়। যার কারণে তারা ইচ্ছামত বাগান ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করতে পারেনি। এ অঞ্চলের লিচু বাগান যারা পূর্বে অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনেছেন তাদের পুরোটাই লোকসান গুনতে হয়েছে।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম জানায়, এবার চাটমোহরে প্রায় ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। প্রতি বছর বাগানের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২০টি মত লিচু চারা রোপন করা যায়। তাছাড়া বাড়ির আঙ্গিনায় অনেক কৃষক লিচু বাগান করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার লিচু উৎপাদন ধরা হয়েছিল সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিকটন। প্রাকৃতিক কারণে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।
উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা জানিয়েছেন, যে সকল বাগান ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ টাকায় বিক্রি হত, সে সমস্থ বাগান গুলো মাত্র ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত বারে যে বাগান ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল সে সকল বাগান গুলো মাত্র ৮/১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকেরা জানিয়েছেন।
গত বছরে এ অঞ্চল থেকে কোটি টাকা লিচু বিক্রি হলেও এবার কত টাকা বিক্রি হয়েছে তার সঠিক তথ্য কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর ও বাগান মালিকরা দিতে পারেনি। তবে বাগান মালিকদের দাবি খরা ও অনাবৃষ্টি না হলে প্রায় কোটি টাকার উপরে লিচু বিক্রির হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্থানীয় লিচু চাষীরা জানান, এ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমানে লিচুর চাষাবাদ হলেও সর্ব প্রথম কে লিচুর চাষাবাদ করেছিল তার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে পারেনি। তবে যতটুকু জানা যায়, উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামের প্রয়াত খোকা মন্ডল নামে এক ব্যক্তি প্রায় ৪৬ বছর পূর্বে প্রথমে লিচুর বাগান করেন। তার ঐ ধারাবাহিকতায় পর্যায় ক্রমে লিচু আবাদের চাষাবাদ বাড়তে থাকে।
বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বানিজ্যিক ভাবে লিচু চাষাবাদ হচ্ছে।এ অঞ্চলের দেশি লিচু চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। লিচু চাষীরা জানান, এখানকার লিচু বাগান ২০ হাজার থেকে ৪/৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে এবার সম্পূর্ণ বিপরীত হয়েছে। মাত্র অল্প টাকায় বড় বড় বাগান বিক্রি হয়েছে। লিচু চাষী ওয়াজেদ আলী মাষ্টার, লিয়াকত আলী পেন্টু, ওফাজ, মিঠু জানায়, এ মৌসুমে লিচু রক্ষা করতে রাতভর পাহাড়া দিতে হয়। অন্যস্থায় বাদুরের ঝাঁক এসে লিচু খেয়ে সাভার করে ফেলে।বাগান মালিক গোলাম মোস্তফা, খলিলুর রহমান, লিয়াকত আলী পেন্টু, মোহাম্মদ আলী, শফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মাসুদ, শামসুল আলম, আঃ কুদ্দুস, মর্তোজা লিচু বাগান বিক্রি করে কম-বেশি সফলতা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশিষ্ঠ ব্যাপারী আবুল হোসেন জানায়, গত বছরে এ অঞ্চল থেকে কোটি টাকার উপরে লিচু বিক্রি হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন ব্যাপারী এসে লিচু কেনার জন্য ভীড় জমাতো। প্রতিদিন ট্রাক ট্রাক ভর্তি লিচু ব্যাপারীরা কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেত। এবার নিম্ন শ্রেণীর লিচুর হাজার ১৩ হাজার থেকে ১৪’শ টাকা এবং ভালো লিচু ১৮’শ থেকে ১৯’শ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএ মাসুম বিল্লাহ জানায়, অনাবৃষ্টি ও খরা না হলে এ অঞ্চলে লিচু চাষাবাদে কৃষক বেশি লাভবান হতেন। তবে ফলন কম হলেও লিচু বেশি দামে কৃষক বিক্রি করতে পেরেছেন।

শাহজাদপুরে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন

শাহজাদপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার জালালপুরে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন হলো যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নঞ্চল ও ফসলী জমি।পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
বিশেষ করে জালালপুর গ্রামে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার জালালপুর গ্রামে যমুনার ভাঙনে ৭টি বসতবাড়ি, ফসলী জমি, পরিত্যাক্ত বসতবাড়ি, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে জালালপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর রাহেলা খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রসা, বাঐখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসত ভিটা ও ফসলী জমি।এলাকাবাসী চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সলঙ্গা ইউনিয়নের বাজেট ঘোষণা

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ইউনিয়নের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ২ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উন্মুক্ত বাজেট সভার আয়োজন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় ইউপি সচিব বাসুদেব ঘোষ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের ২ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি কর্মকর্তা সোহেল আরমানসহ ইউপি সদস্যগণ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত
জরিমানার সম্ভাবনা বেশী

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ সাবেক পর্নস্টার স্টর্মি ডেনিয়েলসকে ঘুস দেওয়ার মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তবে এ রায়ের পর কোনো উচ্ছাস প্রকাশ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার প্রতিনিধি হিসেবে বিবৃতি দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনি প্রচার টিমের পরিচালক মাইকেল টেইলার এবং হোয়াইট হাউস মুখপাত্র ইয়ান স্যামস।
বিবৃতিতে তারা বলেন, নিউইয়র্কের আদালতে আজ আরও একবার প্রমাণিত হলো, ‘কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়’।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আদালতের রায় নিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্সিত হতে বারণ করেছেন জো বাইডেন। এর পরিবর্তে তিনি সমর্থকদের নির্বাচনের দিকে মনযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন জনগণকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ওভাল অফিসে (আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়) না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, কেবল ব্যালট বাক্সের মাধ্যমেই ট্রাম্পকে ওভাল অফিসের বাইরে রাখা সম্ভব। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আগামী ১১ জুলাই এসব অভিযোগে তার সাজা ঘোষণা করা হবে। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছরের জেল হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, কারাদন্ড নয় তাকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।সূত্রঃ যুগান্তর।

উল্লাপাড়া পেল প্রথম
নারী উপজেলা চেয়ারম্যান

উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মঙ্গলবার ২১মে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৬ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন।
এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তি তার মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৮’হাজার ১’শত ৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নবী নেওয়াজ খান বীনু হেলিকপ্টার প্রতিকে ২১হাজার ৮ শত ৬১ ভোট পান। দু’ জনের ভোটের ব্যবধান ৬৬’হাজার ৩’শত ৩১। উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবু সাঈদ সরকার তার নির্বাচনী চশমা প্রতীকে ৫৮’হাজার ৩’শত ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থীরা ছিলেন, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ আলমগীর হোসাইন, এস.এম. জাহিদুজ্জামান কাকন,মোঃ সারোয়ার হোসেন, মোঃ শরিফুল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবিতা প্লাবনী সুইটি কলস প্রতীকে ৫৬’হাজার ৯’শত ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থীরা হলেন, মোছাঃ লাভলী পারভীন, মোছাঃ সুমাইয়া পারভীন, মোছাঃ একা খাতুন ও মোছাঃ ঝরনা খাতুন ।

নিমগাছি হাইস্কুলে মেধাবী নেত্রী নির্বাচন

আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার ঃ গত বুধবার বেলা ১১ টায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের মত মেধাবী নেত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দশম শ্রেনীর ছাত্র – ছাত্রীদের সরাসরি গোপন ভোটে তাদের ক্লাস রুমে। এতে সিইসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস রবিন। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হীরেন্দ্র নাথ, সুমন আহমেদ ও মানিকুজ্জামান। মোট ভোটার উপস্থিত ছিলেন ৮৩ জন। সবাই ভোট দেন। তবে ২ ভোট বাতিল হয়। এতে ৫৫ ভোট পেয়ে মেধাবী নেত্রী নির্বাচিত হন অন্বেষা কামাল অর্পি। তার রোল নং ৪। এছাড়া অংশগ্রহণকারী উম্মে হাবিবা টুম্পা পান ১৫ ভোট, তার রোল নং ২ এবং নুরে জান্নাত জেরী পান ১১ ভোট। তার রোল নং ২০। বিধি মোতাবেক বার্ষিক ১২০০০ টাকা বৃত্তি পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা হিসাবে বিজয়ী নেত্রী অর্পি, যা দেয়া হবে প্রস্তাবিত এ কিউ তালুকদার ট্রাস্টের সৌজন্যে। বর্তমান মাস অবধি হিসাবে ৫০০০ টাকা নগদ প্রদান করেন তাৎক্ষনিক, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য টিচারগন বিজয়ী নেত্রীর হাতে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে নির্বাচিত হন পুল্লা গ্রামের ভূট্টো সরকারের মেয়ে ভাবনা সরকার এবং ২০২৩ সালে নির্বাচিত হন নিমগাছি বাজারের নিরঞ্জন পোদ্দারের মেয়ে অনন্যা পোদ্দার।

চলনবিল প্রেসক্লাবের ভবন
নির্মাণের ফলক উন্মোচন

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ গুরুদাসপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠণ চলনবিল প্রেসক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণের ফলক উন্মোচন করেছেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেসক্লাবের নিজস্ব জায়গার ওপর ওই ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. সালমা আক্তার।
এ উপলক্ষে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে চলনবিল প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আক্কাছের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। সভায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী ও স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলম হোসেন বক্তব্য রাখেন। প্রেসক্লাবের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন শেষে মোনাজাত ও মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়।

বারুহাস ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট পেশ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের ২০২৪- ২০২৫ সালের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী সভাপতি ও স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মোঃ মইনুল হক।
চেয়ারম্যান ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮০৫ টাকা আয় এবং ৩ কোটি ১০ লক্ষ ৭৮ হাজার ২০৫ টাকা ব্যয় ধরে আনুমানিক খসড়া বাজেট ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা জন সম্মুখে পেশ করেন ।এ সময় তিনি বাজেটের আলোকে এর সংযোজন ও বিয়োজন বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সচিব নির্মল কুমার মাহাতো,ইউপি সদস্য মো. রাজিব সরকার রাজু, মো. আতাউর রহমান,মো. মজনু মিয়া, মো. ফিরোজ আহমেদ, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. সিমা পারভীন, যুবলীগ নেতা ফারুক আহমেদসহ আরো অনেকে।

তাড়াশে পানিতে ডুবে
সহোদর দুই বোনের মৃত্যু
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুকুরের পানিতে ডুবে ইয়াফি খাতুন (৮) এবং ইসা খাতুন (৫) নামের দুই সহোদর বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার বেলা তিনটার দিকে তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত তেতুলিয়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু ইয়াফি খাতুন এবং ইসা খাতুন ওই মহল্লার হযরত আলীর মেয়ে। বিষয়টি তাড়াশ পৌর মেয়র মো. আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে কোহিত তেতুলিয়া মহল্লায় হযরত আলীর মেয়ে ইয়াফি খাতুন ও ইসা খাতুন বাড়ির উঠানে খেলছিল। আর এ সময় বাড়ির লোকজন বাড়ির ভেতরে কাজ- কর্মে ব্যস্ত ছিলেন। এরই ফাঁকে তারা দু’ বোন সকলের অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে পড়ে ও পানিতে তলিয়ে যায়। পরে বেলা দুইটার দিকে শিশু দুটিকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে নেমে প্রায় দেড় ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে ডুবন্ত অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে দুই বোনকে উদ্ধার করেন।
পাশাপাশি দ্রæত শিশু দুটিকে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শর্য়্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। আর সেখানে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন।

উল্লাপাড়ায় ৪টি মাদরাসার সবাই ফেল

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃ চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গত রোববার (১২ মে) প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সারাদেশে জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রতিযোগিতা সেখানে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলতি বছরের অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ৪টি দাখিল মাদরাসায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি।
দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ অকৃতকার্য মাদরাসাগুলো হলো- উপজেলার বগুড়া দাখিল মাদরাসা, এলংজানী দাখিল মাদরাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদরাসা এবং বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদরাসা।জানা যায়, বগুড়া দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষা দেয় ১৫ জন, এলংজানী মাদরাসা থেকে ১২ জন, হাজী আহমেদ আলী মাদরাসা থেকে ১৪ জন এবং বড় কোয়ালীবের মাদরাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এছাড়া উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদরাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন, উধুনিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন এবং হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন।
এলংজানী দাখিল মাদরাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিরভাগ দিনই ক্লাসে অনুস্থিত ছিল। এদের অভিভাবকদের বার বার বিষয়টি জানালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন সবাই ফেল করে মাদরাসার দুর্নাম করল। শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত। বগুড়া দাখিল মাদরাসা সুপার আতিকুর রহমান বলেন, মাদরাসাটিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পড়ে। এরা একেবারেই লেখাপড়া করে না। অনেক চেষ্টা করেও এদেরকে ক্লাসে মনোযোগী করা যায়নি।
রায়গঞ্জে ব্রীজ ভেঙে চলাচলে ঝুঁকি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভারী যান-বাহন চলাচল করায় ভেঙে গেছে ব্রিজ, যে কোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ ডেবে যেতে পারে সেটি। তবুও ভাঙ্গা ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার পথচারী ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ এগিয়ে আসেননি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউয়িনের বিল গোদগাঁতী গ্রামে জরাজীর্ণ ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে। ওই পথ ধরে প্রতিদিন গোদগাঁতী, ভাতাহাড়িয়া, ধর্মদাসগাঁতী, হাসিল হোসেন গ্রামের কয়েকশ যানবাহনসহ হাজারো পথচারী যাতায়াত করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে ব্রিজটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তাড়াশে ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাথাইনগরে মেঘনা ইট ভাটা সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে চলছে ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ। মেঘনা ইট ভাটা পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা, সংরক্ষিত, আশপাশে ও ফসলি জমিতে স্থাপন করেছে অবৈধ মেঘনা ইট ভাটা। শুধু তাই নয়, মেঘনা ইট ভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে ছোট ব্যারেলের (টিনের) চিমনি। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র।
আইন অমান্য করে দিনের পর দিন মেঘনা ইট ভাটার সংখ্যা বাড়লেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রভাবশালী হাত বদল করে দীর্ঘ বছর যাবৎ চলছে এই মেঘনা ইট ভাটা। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মেঘনা ইট ভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি। ফলে একদিকে নির্বিচারে উজাড় হচ্ছে বন, অন্যদিকে উর্বরতা হারিয়ে চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ছে আবাদী জমি। অনিয়শ্চতা দেখা দিয়েছে আগামীর ভবিষ্যতে। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইটভাটায় ঝিকঝাক পদ্ধতি অনুসরণ না করার কারণে ভাটার আশপাশের ফসলি জমির উৎপাদন দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এসব জমির উৎপাদন শূন্যে নেমে আসবে।তাছাড়া এর ফলে নানা রোগ ব্যাধি দেখা দেওয়ায় এলাকার জনস্বাস্থ্যের উপর হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লাপাড়ায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পেলেন হুইল চেয়ার

উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রবিবার (২৬ মে) উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শারিরীক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিকেলে জাতীয় সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হয়ে তালিকাভুক্তদের মধ্যে ছয়জনের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম ফিলিপস, সাধারণ সস্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

শাহজাদপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ডা: রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ নিয়ে বড় অংকের টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বনগ্রাম ডা: রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শূন্য পদে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকুরীপ্রার্থীগণ আবেদন করে ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিগত ১০ মে তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রবেশপত্র প্রদান করে। কিন্তু উল্লেখিত তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আবেদনকারীদের মাঝে শংকা তৈরী হয়েছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আবেদনকারীরা জানান, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইয়ুব আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ঝনু। সহকারী প্রধান শিক্ষক, ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী, আয়া, অফিস সহায়ক ৫ টি পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রায় ৮০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ সকল অভিযোগ এর বিষয়ে জানতে বিদ্যালয় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।

বাড়তি করের চাপে পড়তে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরনের করই বাড়তে যাচ্ছে। ব্যক্তি খাতের আয়কর (প্রত্যক্ষ কর) বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির দুর্দিনে করমুক্ত আয়ের সীমাও বাড়ছে না। তবে সবচেয়ে বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবে পরোক্ষ কর, যাতে বেশি চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ। পরোক্ষ কর হিসাবে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর চিন্তা চলছে। অনেক পণ্যে ভ্যাটহার ১৫ শতাংশ করায় এর প্রভাব পড়বে বাজারে। এর মধ্যে চাল, গম, জ¦ালানি, সার, বীজ, ওষুধ ও শিল্পের কাঁচামালসহ তিন শতাধিক মৌলিক পণ্যে এতদিন ধরে চলে আসা শুল্কছাড় সুবিধাও তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি ভ্যাট ও শুল্কের দায় ভোক্তাকেই বহন করতে হবে। এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে বাড়তে যাচ্ছে ব্যাংকে রাখা অর্থের ওপর আবগারি শুল্কও। বাড়বে মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্কও। সব মিলিয়ে বাড়তি করের চাপে পড়তে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সূত্রঃ সমকাল।

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD