সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা সংখ্যা ১৭, ২০২৪

Spread the love

বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি- আবার বলল যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ যুক্তরাষ্ট্র আবার বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করে, বিরোধী দলের হাজারো নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ করে ভুয়া নির্বাচনের খবরের জেরে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্র তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
জবাবে মিলার বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক হাজারো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে তাঁরা এখনো উদ্বিগ্ন। তাঁরা অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এই মত পোষণ করেন যে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় তাঁরা দুঃখিত। নির্বাচনের সময় ও পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানান তাঁরা। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁরা সব পক্ষকে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছেন।ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, ‘আপনি যখন বলেন যে বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি, তার মানে কি যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদকে স্বীকৃতি দেবে না?’ জবাবে মিলার কেবল ‘না, না’ বলেন। সূত্রঃ প্রথম আলো।

সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা – তাড়াশে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর
ডেস্ক রিপোর্ট : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তমা সরকার (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছেন। আর সদ্য রূপান্তরিত এ তরুণকে এক নজর দেখতে উৎসুক এলাকাবাসী ভিড় জমিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে।
তমা সরকার ওই গ্রামের সুধান্ন সরকারের মেয়ে। তিনি রাজশাহী মহানগরের আলহাজ সুজা-উজ দৌলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সদ্য তরুণে রূপান্তরত হওয়া তমা সরকারের বাবা সুধান্ন সরকার জানান, গত বছরের শারদীয় দুর্গা পূজার পূর্ব থেকে আমার মেয়ে তমার শারীরিক পরিবর্তন হতে শুরু করে। কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পারেনি। পরে বিষয়টি তার নিকটতম এক সহপাঠীকে জানায়। পরে সে আমাদের জানালে আমরা মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হরমন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসেকর কাছে যাই। তখন ওই চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তমার পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ দিকে গত দুই দিন আগে তমার পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার খবর এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমান। এতে অস্বস্তিবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তমা সরকার। তিনি বলেন, আমি এখন পুরোপুরি পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছি।তমা সরকারের বাবা সুধান্ন সরকার বলেন, আমার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ছিল। ভগবান এখন মেয়েটাকেও ছেলে করে দিয়েছেন। সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তমাদের বাড়িতে অবস্থান করা বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর অনেকেই আমার কাছে নিশ্চিত হতে ফোন করছেন। তাই নিজেই তমা সরকারকে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে এসেছি। আর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, তমা সরকার পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছেন।এ প্রসঙ্গে তমার চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হরমন বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামান জানান, হরমন পরিবর্তনের কারণে এ রকম শারীরিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সূত্র: সমকাল।

ফের দেওয়া হবে করোনা টিকা
ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে ফের রাড়ছে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। নতুন ভ্যারিয়েন্টের না হলেও দ্রæত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বুধবার অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদুর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবর্তী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৮টি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ ৩য় এবং ৪র্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি (ঠঈঠ) ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সিরাজগঞ্জবাসীর দু:খ
মন্ত্রীত্ব থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত সিরাজগঞ্জ জেলা
মেহেরুল ইসলাম বাদল ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনকরে সরকার গঠন করলেও মন্ত্রী সভায় উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলার কোন এমপিকে স্থান করে দেওয়া হয়নি । যার ফলে জেলার ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আওয়ামীলীগ সরকারের একটানা ১৫ বছরের শাসনামলে সিরাজগঞ্জ জেলায় কোন পুর্ণমন্ত্রী করা হয়নি।এখানে ১জন একটার্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এ বছর সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনেই আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।ধারনা করা হয়েছিল ওই ৬জনের মধ্যে থেকে যে কোন ১জন কে মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া হবে। সিরাজগঞ্জ বাসীর ধারনা ছিল হয় সাবেক মন্ত্রী নাসিম পুত্র বার বার নির্বাচিত মোঃ তানভির সাকিল জয় অথবা প্রখ্যাত চিকিৎসক ২বার নির্বাচিত অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ মন্ত্রী সভায় সুযোগ পাবেন।কিন্তু দেখা গেল সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে কাউকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেয়া হয়নি।
সিরাজগঞ্জের কৃতিসন্তান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ক্যাপটেন এম,মুনসুর আলী ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথমে যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।পরবর্তীতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন। এর পর তিনি প্রধান মন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় বেলকুচি আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল মমিন তালুকদার ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মন্ত্রীত্ব পান অধ্যাপক ডাঃ এম,এ মতিন । তিনি জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র ,স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় , যুব উন্নয়ন, বেসরকারী বিমান ও পর্যটন, বানিজ্য,যোগাযোগ, পূত এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মতো ৯টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি উপ-প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপির আমলে চৌহালী আসনের সাংসদ আনছার আলী সিদ্দিকী পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে মোহাম্মাদ নাসিম স্বরাষ্ট্র , ডাক তার ও টেলিযোগাযোগের মত গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় শাহজাদপুর আসনের সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপন শিল্প উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মোঃ আব্দুল লতিফ বিশ^াস মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগ (মহাজোট) সরকার ক্ষমতায় এলে মোহাম্মাদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি আসনেই বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীগন জয় লাভ করেন। এ সময় জেলার জনসাধারন আশায় বুকবেধে ছিলেন যে এ বছর আপাতত ১টি মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী আমরা পাব। কিন্তু মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশের পর আসাহত হয়েছে সিরাজগঞ্জ বাসী

নিত্যপণ্যের দাম জানতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ পণ্যমূল্য সহনশীল রাখার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, পণ্যমূল্য জানতে ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করে তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য যেমন রয়েছে ‘৯৯৯’ হটলাইন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। তারা একটি সেল গঠন করবে।
অগত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তবে পণ্যমূল্য জানাতে ‘৩৩৩’ সেবা কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে বিশদ কিছু বলেননি তিনি।ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।আহসানুল ইসলাম বলেন, তিনি মনে করেন, বড় ধরনের কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। তবে নিত্যপণ্য মজুত করে কেউ বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, মজুতদার যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি পিছপা হবেন না। কারণ, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম দিক হচ্ছে পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা। প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করবেন তিনি। সূত্রঃ প্রথম আলো।

বিশ্বে সামরিক শক্তির বাহাদুরী

ডেস্ক রিপোর্ট : সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা আমেরিকা। ঘাড়ের কাছে চীন নিশ্বাস ফেললেও ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া এখনো রয়েছে দু’নম্বরে! আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত গেøাবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স’ বা জিএফপি সূচিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ওই তালিকা জানাচ্ছে, সামরিক শক্তির সংখ্যাতত্তে¡র হিসেবে চীন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। সেনাসদস্যের সংখ্যা, সমরাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের মান ও পরিমাণ উৎকর্ষ, সেনাবাহিনী সন্নিবেশের কৌশলগত অবস্থান এমনকি, সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থিক হাল বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত হয়েছে ওই তালিকা। বিশ্বের মোট ১৪৫টি দেশের ওই তালিকায় ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
‘গেøাবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স’-এ প্রথম দশে থাকা পরের দেশগুলো হলো দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেন, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং ইতালি।তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রথম দশের মধ্যে নেই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তথা রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্স!উল্লেখ্য, বছর দু’য়েক আগে সামরিক বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘মিলিটারি ডিরেক্ট’ প্রকাশিত ‘আল্টিমেট মিলিটারি স্ট্রেংথ ইনডেক্স’ বা ‘প্রকৃত সামরিক শক্তি সূচক’ জানিয়েছিল, আমেরিকাকে টপকে বিশ্বে পয়লা নম্বর শক্তি হয়ে উঠেছে চীন। সেই সূচকেও ভারত চতুর্থ স্থানে ছিল। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা/য়ায়যায় দিন।বিএনপির দালাল টিআইবি : ওবায়দুল কাদের
ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) বিএনপির দালাল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির ওকালতি করে টিআইবি। তাদের প্রত্যেকটা কথা একপেশে।ওবায়দুল কাদের বলেন, যে ভাষায় বিএনপি কথা বলে সেই ভাষায় টিআইবিও কথা বলে। টিআইবি সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল।গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পর্যালোচনা করে দেখেছি টিআইবি সব সময় আওয়ামী লীগবিরোধী ছিল। গবেষণা নিয়ে কাজ করে তারা। কিন্তু তাদের গবেষণায় আমরা নিরপেক্ষতা খুঁজে পাচ্ছি না। টিআইবি বলেছিল, পদ্মা সেতু অসম্ভব। সিপিডিও একই মন্তব্য করেছিল। কিন্তু বাস্ততা কী দেশবাসী দেখেছে। সূত্র: কালবেলা।

সিইসি’র স্বীকারোক্তি- ‘খুব একটা অংশগ্রহণমূলক’ হয়নি সংসদ নির্বাচন
ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘খুব একটা অংশগ্রহণমূলক’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটা বড় রাজনৈতিক অংশ শুধু নির্বাচন বর্জনই নয়, তারা এটিকে প্রতিরোধ করারও ঘোষণা দিয়েছিল। নির্বাচন আয়োজনে আমাদের পথটি কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। সেখানে কণ্টক ছিল, শঙ্কা ছিল। তারপরও সবার সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে নির্বাচন উঠিয়ে আনা হয়েছে। সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরাও স্বস্তিবোধ করছি।
গত বৃহস্পতিবার ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এতে চার নির্বাচন কমিশনার বিশেষ অতিথি ছিলেন।
জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে রেহাই পেয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, অনেকেই সুনাম করেছেন, প্রশংসা করেছেন আবার অনেকে অপবাদ বা বদনাম করেছেন। দুটোকেই আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেটি মনে করি, নির্বাচনটা সুসম্পন্ন হয়েছে। মহাসুসম্পন্ন বলব না, সুসম্পন্ন হয়েছে। একটা চলমান সংকট যেটাতে শঙ্কা, উদ্বেগ ছিল, সেটা থেকে জাতি উঠে এসেছে। কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের যদি আমাদের প্রতি আস্থা না থাকে, আস্থা যদি চরমমাত্রায় চলে যায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনেরও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। কিন্তু রাজনৈতিক সংকট নিরসন আমাদের কাজ নয়। টিআইবির প্রতিবেদনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে সিইসি বলেন, আজও (বৃহস্পতিবার) যখন পত্রিকায় পড়ছিলাম একটি সংস্থা থেকে বলছে যে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাত নিয়ে নির্বাচন কমিশন সরকারের একটা গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। আমি এখনো জানি না সরকারের সঙ্গে আসলে কোনো গোপন এজেন্ডা আছে কিনা? আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি আমার সঙ্গে হয়নি। কারও সঙ্গে হয়েছে কিনা আমি জানি না। কোথায় গোপন এজেন্ডাটা হলো? কোন গোপন এজেন্ডাটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি? সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাত কিভাবে নিলাম? তাহলে কি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল না? প্রশ্ন রাখেন তিনি।সূত্র: যুগান্তর।

লেখা পাঠান

আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে তাড়াশ থেকে প্রকাশিতব্য একটি বিশেষ স্মরণিকার জন্য লেখা আহবান করা যাচ্ছে। যে কোন ধরণের মননশীল ও সৃজনশীল গল্প, প্রবন্ধ. নিবন্ধ,ছড়া ও কবিতা চলনবিল বার্তার ই-মেইলে ৭ ফেব্রæয়ারী ২০২৪ তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে। – সম্পাদক

কবিতা

ফাটল ধরলো যে দেশটায়
আবদুর রাজ্জাক রাজু
এই দেশ কতই নয়নাভিরাম সবুজ গালিচার মতো
অপূর্ব নৈসর্গিক লীলাভূমির সুন্দর অপার সম্ভাবনার দেশ
তবে আগেও ঝড়-ঝন্ঝাবিহীন সংগ্রাম-আন্দোলনহীন
দু:খ-দুর্যোগহীন শান্ত নিরাপদ জনপদ ছিল না কখনই।

ব্রীটিশ, পাকিস্তান বা তারও পূর্বের উপনিবেশ ইতিহাস ঘাঁটলে
তাই ধরা পড়ে শকুনের টানাটানি,লোভীদের হীন ছোবল
সামন্ত আগ্রাসন এবং স্বজাতির মারামারি হানাহানি রক্তারক্তি
বরাবরই ছিল যেমনটি আজো আছে বহালতবিয়তে এ দেশে।

আমরা ভেবেছিলাম সর্বশেষ পাস্তিানীদের তাড়িয়ে
আমরা দেশটির পূর্বের সব ফাটল মেরামত করে ফেললাম
বাঙ্গালী জাতির অতীতের যত ক্ষত আবর্জনা মুছে নিশ্চিহ্ন হল
এখন গণতন্ত্র, সাম্য, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও সুশাসন
সবকিছু পাওয়া যাবে ধীরে ধীরে- এ জাতির কোনো
ফাটল থাকবে না, র্চি ধরবে না দেশ হবে উন্নত
সমৃদ্ধ, সভ্য কখনো হারবে না বাংলাদেশ।

কিন্তু এখন দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি,প্রশ্নবিদ্ধ ভোট, নির্বাচন
জাতির মধ্যে বিভক্তি, বিভেদ, বিভাজন ও মতদ্ব›দ্ব চরম
রূপ নিয়ে তা সমাজের সর্বত্র ফাটল ধরিয়ে সেটাকে বিস্ফোরিত করে দিল
জাতীয় কোনো ক্ষেত্রেই ঐকমত্য ও সম্প্রীতি থাকল না
রাজনৈতিক অঙ্গনে অসুস্থ বিরূপ বিষময় পরিস্থিতি বিদ্যমান
সংঘাত-সহিংসতা জেল-জুলুম নিত্য দিনের চিত্র অর্থনীতিও বেসামাল
এভাবে কর্তৃত্বপরায়ণ ভঙ্গুর গণতন্ত্রের মোড়কে দেশের
ভবিষ্যত আজ নানা বিতর্ক আর ঝুঁকি-সংকটের মুখে।

পরবর্তী প্রজন্মের সামনেও কোন আশার আলো নেই
যে গভীর ফাটল ধরল দেশটায় তা মেরামত আর কবে হবে
তা কেউ বলতে পারে না – একটি জাতীর ভবিষ্যতই যেন
আজ অনেকটা অন্ধকার অনিশ্চয়তার দিকে চলে গেল …।

০৮.০১.২০২৪

গুনাহ মাফের গল্প
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ

☞ তাহাজ্জুদ নামায পড়ার নিয়ম ঃ
☞তাহাজ্জুদ নামাযের সময়ঃ
তাহাজ্জুদ নামায ঃ
তাহাজ্জুদের নামায অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ ইবাদত। তাহাজ্জুদ নামায সুন্নাত। নবী করীম (সাঃ) হরহামেশা এ নামায নিয়মিত পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম রা. কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে। যেহেতু উম্মতকে নবীর অনুসরণ করার হুকুম করা হয়েছে সে জন্যে তাহাজ্জুদের এ তাকীদ পরোক্ষভাবে গোটা উম্মতের জন্য করা হয়েছে। আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- “এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামায পড়তে থাক। এ নামায তোমার জন্যে আল্লাহর অতিরিক্ত ফযল ও করম। শীঘ্রই আল্লাহ তোমাকে উভয় জগতে বাঞ্ছিত মর্যাদায় ভূষিত করবেন।[বণী ইসরাইল :৭৯] যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায আদায় করে কুরআনে তাদেরকে মুহসেন ও মুত্তাকি নামে অভিহিত করে তাদেরকে আল্লাহর রহমত এবং আখেরাতে চিরন্তন সুখ সম্পদের অধিকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি ইরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই মুত্তাকি লোক বাগ-বাগিচায় এবং ঝর্ণার আনন্দ উপভোগ করতে থাকবে এবং যে যে নিয়ামত তাদের প্রভূ তাদেরকে দিতে থাকবেন সেগুলো তারা গ্রহণ করবে। কারণ, নিসন্দেহে তারা এর পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) মুহসেনীন (বড় নেক্কার) ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশেই ঘুমাতো এবং শেষ রাতে ইস্তেগগফার করতো। (কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে মাগফেরাত চাইতো)”।[সূরা যারিয়াত:১৫-১৮] প্রকৃতপক্ষে তাহাজ্জুদ নামায মন ও চরিত্রকে নির্মল ও পবিত্র করার এবং সত্য পথে অবিচল থাকার জন্যে অপরিহার্য ও কার্যকর পন্থা। আল্লাহপাক বলেন- “বস্তুতঃ রাতে ঘুম থেকে উঠা মনকে দমিত করার জন্যে খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা যিকির একেবারে যথার্থ”। [সূরা মুয্যাম্মিল-৬] এসব বান্দাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা তাঁর প্রিয় বান্দা বলেছেন এবং নেকি ও ঈমানদারির সাক্ষ্য দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।[সূরা ফুরকান:৬৩-৬৪] ☞ তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফযীলতঃ
ফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী।।[আহমাদ, মেশকাত ১১০ পৃঃ] রাসুল(সাঃ) বলেন,আমাদের প্রভু পরওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব [মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ] রাসুল(সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামায পড়বে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামায পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন । অনুরুপ কোন মহিলা যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়তে সে তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে। আবু দাউদ, নাসায়ী, মেশকাত ১০৯ পৃঃ] রাসুল(সাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় নামায দাউদ(আঃ) এর নামায । তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতেন তৃতীয় ভাগে নামাযে দাঁড়াতেন আর ৬ষ্ঠ ভাগে আবার ঘুমাতেন।[বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ] ☞ তাহাজ্জুদ নামাযের ওয়াাক্তঃ
তাহাজ্জুদের অর্থ হল ঘুম থেকে উঠা। কুরআনে রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের যে তাকীদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামায পড়া। তাহাজ্জুদের মসনূন সময় এই যে, এশার নামাযের পর লোকেরা ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামায পড়বে। নবী (সাঃ) কখনো মধ্য রাতে, কখনো তার কিছু আগে অথবা পরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে-ইমরানের শেষ রুকুর কয়েক আয়াত পড়তেন। তারপর মেসওয়াক ও অযু করে নামায পড়তেন।
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের সমযঃ
অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মুল সময় মুলত রাত ৩টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের পর দু রাকআত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েয আছে। তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুতের মর্যাদা পেতে হলে, এশার নামাযের পর ঘুমিয়ে রাত ২টা বা ৩টার দিকে উঠে নামায আদায় করতে হবে।
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের রাকআত সংখ্যাঃ
সর্ব নিম্ন দু রাকআত। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকআত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের ৮ রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩ রাকাত নামায পড়বে। রাসুল (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামায বেশিরভাগ সময় ৮ রাকাত পরতেন এবং এরপর বিতরের নামায পরে মোট ১১ রাকাত পূর্ণ করতেন।
১। তাহাজ্জুদ নামায বিতরসহ ১৩, ১১, ৯ কিংবা ৭ রাকাত পড়া যায়।। [বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ] ২। প্রথমে দু’রাকাত ছোট ছোট সুরা মিলিয়ে হালকাভাবে পডত আরম্ভ করবে।। [মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ] ৩। অতঃপর দু’রাকাত করে, তাহাজ্জুদের নামায সাত রাকাত পড়তে চাইলে দু’সালামে চার রাকাত পড়ে তিন রাকাত বিতর পড়বে ।[বুখারী, মেশকাত ১০৬ পৃঃ] বিঃদ্রঃ- যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়তে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত নামায পড়ার পরে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে।
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের আগে করণীয়ঃ
হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতেন তখন মিসওয়াক করতেন এবং আমাদেরকেও মিসওয়াক করার হুকুম দেয়া হত, আমরা যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতাম, অতঃপর নবী (সাঃ) অযু করতেন (মুসলিম) । তারপর নীচের দু’আ ও তাসবীহগুলি দশবার করে পড়তেন । তারপর নামায শুরু করতেন।। [আবু দাউদ, মেশকাত ১০৮ পৃঃ] (১) দশবার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)
(২) দশবার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই)
(৩) দশবার সুব্হানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী
(আমি আল্লাহ প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি)
(৪) দশবার সুব্হানাল মালিকিল কদ্দুস
(আমি মহা পবিত্র মালিকের গুণগান করছি)
(৫) দশবার আসতাগফিরুল্লাহ
(আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি)
(৬) দশবার লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু
(আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই)
(৭) দশবার আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন দীক্বিদ্দুনিয়া ওয়া দীক্বি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ
(হে আল্লাহ! আমি এই জগতের এবং পরকালের সঙ্কট থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
☞ তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়মঃ
তাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখস্ত থাকে তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারণ রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় বড় সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। তাই আমাদেরও বড় সুরা মুখস্ত করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ।
যাইহোক, বড় সুরা মুখস্ত না থাকলে যে কোন সুরা দিয়েই নামায আদায় করা যাবে। নিয়ম হল ২ রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো। এভাবেই নামায আদায় করতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদের পরিপূর্ণ মর্যাদা লাভ করার তৌফিক দান করুন।
আমিন…..ছুম্মা আমিন♥️

লেখক ঃ তরুণ আলোচক ও ইসলামী গবেষক ।

 

তাড়াশে নেমোটোড রোগে সরিষা আক্রান্ত – উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা

লুৎফর রহমানঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাঠজুড়ে এখন সর্ষে ফুলের হলুদের সমারোহ। শস্যভান্ডার খ্যাত এ উপজেলা কয়েক দশক ধরে ধান ও মাছের পাশাপাশি ভোজ্য তেলেরও বড় জোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু নেমাটোড নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে সরিষার আবাদে এ বছর দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। যারফলে উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষি অফিস ও কৃষকের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
তাড়াশ উপজেলায় চলতি বছরে সরিষার আবাদ হয়েছে ১০ হাজার তিন শ ১২ হেক্টর। এরমধ্যে অনেক সরিষা চাষি উচ্চমূল্যে অন্যের জমি লীজ নিয়ে করেছেন সরিষার চাষ। তাদের প্রত্যাশা বোরো ধানের আগে বোনাস ফসল হিসেবে ছয় থেকে সাত মন হারে যে সরিষা পাওয়া যায়, তাতে তাদের খরচ অনেকটাই পুষিয়ে যায়। কিন্তু এ বছর সরিষায় নেমাটোড রোগে আক্রান্ত হয়ে শিকড় পচে গাছ মরে যাওযায় তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
উপজেলার বৃপাচান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম ও মাগুড়া মুকন্দ গ্রামের কৃষক মুনসুর রহমান বাচ্চু কালেরকণ্ঠ কে বলেন, প্রথমে সরিষা গাছের গোড়ায় মুলার মতো হয়ে শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ না করায় ক্রমান¦য়ে গাছ মরে যাচ্ছে। যারফলে আক্রান্ত জমিতে ফলন অর্ধেকও হবে না।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, নেমাটোড মূলত: আণুবীক্ষণিক গোল কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়। এটা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। তাদের সংখ্যা এবং বাহক উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে নেমাটোডের আক্রমণ। কিছু নেমাটোড তাদের বাহক উদ্ভিদের মূলের বৃদ্ধিসাধনে ভূমিকা রাখে এবং মূলে নট বা গল গঠন করে। অন্যরা ব্যাপকহারে মূলে জখমের মতো দাগ সৃষ্টি করে এবং মূলের আভ্যান্তরীণ কোষ কলা ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক ক্ষেত্রে, এ ক্ষতগুলিতে ছত্রাক বা মাটির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দ্বিতীয়বারের মতো আক্রমণ হয়। জল এবং পুষ্টি উদ্ভিদের বায়বীয় অংশে পৌঁছাতে পারে না। গাছের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাতা হলুদাভ হয়ে যায়। অঙ্গ বিকৃতির মাধ্যমে গাছ নেতিয়ে পড়ে পাতা ঝরে যায়। মাঝে মাঝে কান্ডও আক্রান্ত হয়।
নেমাটোডের বিভিন্ন খাদ্য কৌশল আছে এবং এরা কয়েক বছর ধরে মাটিতে বেঁচে থাকেতে পারে। তারা মধ্যবর্তী বাহকের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের দ্বারা রোগগুলো ছড়ায়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছেন। তারা কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের বালাইনাশক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শও দিচ্ছেন। কিন্তু বৃপাচান গ্রামের কৃষক মুন্নি আহমেদ জানান, এসব বালাই নাশক ব্যবহার করে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এ রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই তারা উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তিন প্রকার বালাই নাশকও ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না মর্মে অভিযোগ করেন। মাঝখানে কোম্পাণী গুলো ব্যবসা করে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কালেরকণ্ঠের কাছে স্বীকার করেছেন, নেমাটোডের ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদ্ধতির চেয়ে জৈব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি উত্তম। কেননা এখন বালাইনাশক ব্যবহার করলে তা মূলে পৌঁচ্ছাবেনা।তবে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন দাবি করেন, বালাই নাশক ব্যবহার করে ফল পাচ্ছেন চাষিরা। কিন্তু পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির সম্ভবনা তো থেকেই যায়।

 

সিরাজগঞ্জে শীতের কাপড় কেনার ধুম
মো: আনোয়ার হোসেন সাগর, চলনবিল প্রতিনিধি:

কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জে ঘন কুয়াশায় কনকনে তীব্র শীত ঝেঁকে বসেছে পুরো জেলাজুড়ে। পৌষ মাসের শেষে এসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি পড়ছে ঘন কুয়াশা। আর শীতের তীব্রতার শুরুতেই ফুটপাতে চলছে গরম কাপড় কেনাকাটার ধুম মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাতের বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে। চরাঞ্চল ও গ্রামের পাশাপাশি শহরেও এখন শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এরপরও সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন এসব মানুষ। কিনছেন হালকা, মাঝারি ও ভারী ধরনের শীতের গরম পোশাক।
সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোড, পৌর হকার্স মার্কেট, পৌর নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন হাট বাজারের ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র কেনাবেচার জমজমাট দৃশ্য । মানুষ ঈদের মার্কেটের মতো আগ্রহ নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে দেখা যায়। ভিড়ের কারণে দামাদামি ও যাচাই বাছাই করে কেনার সুযোগ অনেকটাই কম পাচ্ছেন ক্রেতারা। শুধু শীতের কাপড় পছন্দ হলেই একদামে কিনতে হচ্ছে এসব শীতার্ত মানুষকে। এসএস রোডের ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ী মোকতেল হোসেন বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে সারা বছর আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।

আলম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর শীতের তীব্রতা তেমন না থাকায় শীতবস্ত্রের মার্কেটে তেমন কেনাবেচা ছিল না তবে এবার কয়েকদিন হলো শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে কিছুটা ব্যবসা হচ্ছে। তবে অনেকে আবার শীতের শুরুতেই আগেভাগেই শীতের কাপড় কিনে নিচ্ছেন। শীতের কাপড় কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, শীতের প্রভাব আরো বেশি পড়ায় এবার শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে এসেছি। তিনি বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। বর্তমানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের একমাত্র ভরসা।
একশত টাকা দিয়ে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড এই গরম কাপড় দিয়ে এ বছরের পুরো শীত মোকাবেলা করতে হবে। সামর্থ না থাকায় আমরা প্রতি বছরই ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকি। তাই এ বছরও কিনলাম। ফুটপাতের সেকেন্ড হ্যান্ড দোকানগুলো হলো গরিবের শপিংমল। তাই আমার মতো গরিবরা এ দোকানগুলো থেকে প্রতি বছর শীতের গরম কাপড় কিনে থাকেন। তবে যাদের শীতের গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই সেই সব ছিন্নমূল মানুষগুলো এই তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টে রয়েছে।

নিমগাছিতে মাদ্রাসা ভবনের ভিত্তি স্থাপন
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার : গত শনিবার বেলা ১১ টায় নিমগাছি – পুল্লা – ক্ষীরপোতা কবরস্থান সংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৪ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে, রায়গঞ্জ – তাড়াশ এলাকার মাননীয় এমপি অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ। এতে দোয়া পরিচালনা করেন পুল্লা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও নিমগাছি বাজার কমিটির সভাপতি হাফেজ আমিনুল ইসলাম সরকার। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সোনাখাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন ছানা। পবিত্র কোরান পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তাড়াশের মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান ম্যাগনেট, মাধাইনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাধন কুমার কর, সোনাখাড়া ইউপি মেম্বর হাজী রফিকুল ইসলাম সরকার, সোনাখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম সরকার , নিমগাছি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মানিক তালুকদার, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগ লীডার মুসলিম উদ্দীন, শামসুল ইসলাম, মাদ্রাসা কমিটির হাজী শাহ আলম সরকার প্রমূখ। সভা সঞ্চালনায় দায়িত্বে ছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেরদৌস আলম সরকার তালেব। প্রধান অতিথি মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষনা দেন। এছাড়া সামাজিক উন্নয়ন খাত হতে আরও বিশেষ বরাদ্দ দেবার ওয়াদা করেন।

তাড়াশে দু:স্থ মহিলাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ইসহাক আলী ঃ গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলাধীন তালম ইউনিয়ন পরিষদের গোন্তা কার্যালয়ে দু:স্থ মহিলাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহায়তায় ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ভিডবিøবি প্রকল্প ২০২৩-২০২৪ চক্রের আওতায় তাড়াশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিবর্তন এর বাস্তবায়নে উক্ত প্রশিক্ষণে মোট ৩০ জন উপকারভোগী মহিলা অংশগ্রহণ নেন। প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন প্রশিক্ষক শাহ আলম প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন।

শাহজাদপুরে বখাটেদের হামলায় লাইফ সাপোর্টে

শাহজাদপুর প্রতিনিধি: একদল বখাটে যুবকদের ইয়ার্কি-ফাজলামি করতে বারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ৬০ বছর বয়সী মানোদা কান্ত লাহিড়ী নামের এক প্রবীণ সংখ্যালঘুকে অমানবিকভাবে মারপিট ও নির্যাতন করেছে। হামলার শিকার মানোদা এ সময় বমি করেন ও তার নাক-মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে জ্ঞান হারিয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে তার স্বজনেরা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার শারীরীক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। পরে তাকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান না ফেরায় সেখানে তাকে আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অমানবিক ও বর্বরোচিত এ ঘটনাটি গত ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের গুধিবাড়ি মহল্লায় ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের গুধিবাড়ি মহল্লার মশিউর রহমানের ছেলে আবির (২২) ও সনি (১৮) ও তাদের বন্ধু নিবিড়সহ বেশ কয়েকজন বখাটে যুবক মানোদা কান্ত লাহিড়ীর বাড়ির সামনে সড়কে ইয়ার্কি-ফাজলামি করতে থাকে। এ সময় বয়োজ্ব্যেষ্ঠ মানোদা তাদের বারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মানোদাকে ফোন করে মশিউর রহমানের বাড়ির সামনে ডেকে নেয়। মানোদা সেখানে পৌঁছানো মাত্রই বখাটে আবির (২২),সনি (১৮) ও তাদের বন্ধু নিবিড়সহ বেশ কয়েকজন বখাটে যুবক লাঠিসোটা, ক্রিকেট খেলার স্ট্যামসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংখ্যালঘু মানোদা কান্ত লাহিড়ীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মানোদার নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতেপড়ে যান। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ’ শাহজাদপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা খবর বিডি’র প্রকাশক মানিক সরকারসহ স্থানীয় সনাতনী নেতৃবৃন্দ।

সলঙ্গায় সড়ক মেরামতে এলাকাবাসির আনন্দ
ফারুক আহমেদঃ সিরাজগঞ্জ জেলা রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আমশড়া গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামটিতে ৩১৯৯ জন ভোটার । ১৫ শত পরিবারে প্রায় ২৫ শতাধিক লোকের বসবাস। তবে গ্রামটিতে মৃত ব্যক্তিদের কবরের স্থানে আসার একমাত্র সড়ক। সড়কটি ভূমিগ্রাসিরা সরকারি রেকর্ডভুক্ত সড়কটা কেটে নেওয়াতে প্রায় মানচিত্র থেকে হেরে যেতে বসেছিল। গত ৭ নম্বর ২০২০ সালে সড়কটি প্রভাবশালী ভূমি গ্রাসিদের কবল থেকে মুক্ত করে পূণ; সংস্কারের বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নিউজটি প্রকাশের পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদার ও ২নংওয়ার্ড মেম্বর আতাউর রহমান আলহাজের নজরে এলে গত ২৫শে ডিসেম্বর শনিবার সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর আগে ১৯৮৭ সালে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আমজাদ হোসেন সড়কটি নতুন নির্মঠু করেন। এরপর বিগত বছরগুলোতে কোনো জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি মেরামত করার ব্যাপারে বার বার এলাকায় এসে প্রতিশ্রæতি দিলেও তা বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর।অবশেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানূর রহমান রাসেল ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আলহাজের উদ্যোগে গ্রামবাসী পেয়েছে তাদের স্বপ্নের সড়ক। পুরাতন সড়কটি দীর্ঘ কয়েক যুগ পর সংস্কার কারণে আবারও স্বরূপে ফিরে পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সড়ক না থাকায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হতো তাদের। এমনকি কেউ মারা গেলেও লাশ বের করার মত কোন সড়ক ছিল না। সাড়া রাস্তায় জঙ্গল হিংস্র সাপ, বিচ্ছ কুকুর ও শিয়ালের ভয়ে ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে যেতে পড়তো না। বর্ষা মৌসূমে চলাচলের দুর্ভোগ বেড়ে যেত দ্বিগুন। মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে অন্য বিকল্প রাস্তায় অনেক ঘুরে যেতে হতো।সামান্য বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো। কিন্তু মেরামতের উন্নয়নে বদলে গেছে গ্রামের বর্তমান চিত্র। দীর্ঘদিন পরে প্রত্যাশিত সড়ক হওয়ায় তারা সহজইে চলাচল করতে পারছেন। নতুন সড়ক পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানূর রহমান রাসেল তালুকদার ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আলহাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ।তার সাথে সাথে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি বান্তবায়িত হয়েছে বলে তারা আনন্দিত।

উল্লাপাড়ায় বোরো ধানের শুকনো বীজতলা
ডাঃ আমজাদ হোসেন,উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে আরো বেশি জমিতে বোরো ধানের শুকনা বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। শুকনো বীজতলা করতে কৃষক আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো তথ্যে এবারের মৌসুমে উপজেলায় মোট ১ হাজার ৫২০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে নানা জাতের বোরো ধানের বীজতলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হেক্টর পরিমাণ জমিতে শুকনো বীজতলা করা হয়েছে। আর ১ হাজার ১৮ হেক্টরে সাধারণ ও ৪ শ ৯৫ হেক্টরে বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা করেছেন কৃষকেরা।উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভাটবেড়া মাঠে কৃষক খবির উদ্দিন হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের শুকনো বীজতলা করেছেন। তিনি বিশ শতক জমিতে দু’সপ্তাহ আগে এ বীজতলা করেছেন। তিনি জানান বেশ কজন কৃষকের কাছে জেনেছেন শুকনো বীজতলা কুয়াশায় কোনো ক্ষতি হয়না আর চারার টেক ভালো হারে বের (গজায় ) হয় বলে নিজ আগ্রহে করেছেন। বীজতলার চারার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে হলে তা তুলে জমিতে লাগাবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন শুকনো বীজতলায় বীজ ধান মাটিতে ফেলার ( বোনার ) পর থেকে জমিতে লাগানোর আগে চারা তোলা কাল অবধি পুরো বীজতলা পলিথিনে ঢেকে রাখতে হয়। শুকনো বীজতলায় বীজ ধান থেকে খুবই ভালো হারে চারা বের হয়ে থাকে। এছাড়া ঘন কুয়াশা ও শীত জনিত রোগ থেকে বীজতলার চারা পুরোপুরি রক্ষা পায়। বোরো ধানের শুকনো বীজতলা করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে শুকনো বীজতলা করছেন।

পাবনা জেলার শ্রেষ্ঠ ভাঙ্গুড়ার রিহাদ আল-নিহাল

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:পাবনা জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষায় জেলার (ট্যালেন্টপুল) শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে রিহাদ আল-নিহাল।সে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার বড়াল কিন্ডারগার্টেন হতে ২০২৩ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় চতুর্থ শ্রেণি থেকে অংশগ্রহণ করে।
নিহাল ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণি থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে (ট্যালেন্টপুল)জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে। সে পৌরসভার চৌবাড়ীয়া হারোপাড়া মহল্লার আব্দুল আজিজ ও নাসিমা সুলতানা দম্পতির একমাত্র ছেলে। রিহাদ আল-নিহাল জানায়,এই ফলাফলে সে ভীষণ খুশি।সে ভবিষ্যতে সে একজন সেনা কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে চায়। নিহাল সবার নিকট দোয়া কামনা করেছে।

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD