জিটিবি নিউজ ডেস্ক : আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার জন্য চুক্তি সই করতে ঢাকায় আসছে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল। এ চুক্তি সই হলে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরাসরি মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারবে।
গত ২৪ জুন কুয়ালালামপুরে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে মালয়েশীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি আগামি ৩ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, আগামী ৯ তারিখ তারা আসছে। আমাদের শ্রমিকরা মালয়েশিয়াতে কাজ করতে গিয়ে যে সব সমস্যায় পড়ছে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।
নতুন যে সব শ্রমিক নেওয়া হবে তাদের বেতন, ইনস্যুরেন্সসহ কীভাবে স্বল্প অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।বর্তমানে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে জি টু জি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া। সে অনুযায়ী শুধু সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছিল।
কিন্তু ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে কাজ করতে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায় ওই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। সে সময় প্রতি ছয় মাসে ৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক হলেও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে গত দুই বছরে পাঠানো হয়েছে মাত্র সাত হাজার শ্রমিক।
এরপর জি টু জি পদ্ধতি সংস্কার করে এতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) কর্মী পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যে আগ্রহীদের যে তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে, সেখান থেকেই বাছাই করে বি টু বি-এর মাধ্যমে শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া।
প্রত্যেক শ্রমিককে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে, এরপর তিনি আরও একবছর কাজ করার সুযোগ পাবেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের জঙ্গলে পাচারকারীদের পরিত্যক্ত আস্তানায় গণকবর পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাগরপথে মানবপাচারের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসে।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারিভাবে সুযোগ কমে যাওয়ার কারণেই অবৈধপথে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।