সুন্দর ঘুমের জন্য চাই, সুন্দর কিছু নিয়ম

Spread the love

বর্তমান জীবনযাত্রায় রাতে ভালো ঘুম বেশ দুর্লভ বস্তু। কাজের চাপ, রাতে ঘুমানোর সময় নিয়ে অনিয়ম ইত্যাদি কারণে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মানসিক চাপ বেশি হয় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট ভালো ঘুমের জন্য বিছানায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় লক্ষ রাখার পরামর্শ দেয়। ওই বিষয়গুলোই এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।
ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা
প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিলে এবং সেই সময় অনুসারে ঘুমানোর অভ্যাস করা গেলে, ঘুম ভালো হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমালে ইনসমনিয়া দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সারাদিন কর্মক্ষম থাকা
ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজের সঙ্গে জরিত থাকলে রাতে ঘুম ভালো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তারা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তাই সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটালে রাতে ঘুম ভালো হবে।
ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
চা, কফির মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় ভালো ঘুমের অন্তরায়। রাতের খাবারের পরে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। কারণ এতে মস্তিষ্ক স্বক্রিয় থাকে। ফলে ঘুম ভালো হয় না। তাই ভালো ঘুমের জন্য ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান পরিহার করুন
সিগারেটে থাকা নিকোটিন ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ঘুমানোর পরও ক্লান্তিভাব রয়েই যায়, সেটি অধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে হয় না।
ঘুমানোর আগে দুধ পান
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ পান করলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
গান শোনা
ঘুমানোর আগে মনে প্রশান্তি জাগাবে এমন গান বা সংগীত শোনা যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ঘুমানোর আগে গান শুনলে মস্তিষ্ক এবং পেশি শিথীল হয়, ফলে ঘুমও ভালো হয়।
ঘরে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা
ঘর বেশি ঠাণ্ডা বা বেশি গরম হলে ঘুমে সমস্যা হয়। তাই ফ্যান বা এসি, যাই চলুক না কেনো ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল হওয়া দরকার।
আলো নিভিয়ে রাখা
আলো মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। তাই ঘুমানোর সময় সব আলো নিভিয়ে দেওয়া উচিত। ল্যাপটপ, ফোন, প্যাড ইত্যাদির আলোও ঘুমে ব্যঘাত ঘটায়। তাই ঘুমানোর সময় ইলেকট্রনিক বস্তু দূরে রাখা উচিত। ঘর যত অন্ধকার হবে ঘুমও তত ভালো হবে।
শরীরের উষ্ণতা ঘুমে সহায়ক
ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের উষ্ণতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। আর এতে ঘুমও ভালো হয়।
নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার আগেই নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে নেওয়া উচিত। প্রথমে পরের দিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এরপর দাঁত মাজা বা গোসল করে নিজেকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করা উচিত। সব শেষে বিছানায় শুয়ে গল্প বই পড়া বা গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে কিছু হালকা ব্যয়াম করা যেতে পারে। এতে ঘুম ভালো হয়।
আরামদায়ক বিছানা
ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক বিছানা এবং বালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিছানা নিজের জন্য আরামদায়ক কিনা সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD