‘২৫ বছরের হিসাব নেওয়ার পালা’— সম্প্রচারকারী টিভি চ্যানেলে এই স্লোগানে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজ নিয়ে। নিজেদের ৮৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ভারত কখনো টেস্ট সিরিজ জেতেনি অস্ট্রেলিয়ায়।
তেমনি নির্বাসন কাটিয়ে ১৯৯২ সালে ক্রিকেটে ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও জেতা হয়নি সিরিজ। ২৫ বছরের সেই আক্ষেপ মেটানোর চ্যালেঞ্জ এবার বিরাট কোহলির দলের। দুর্দান্ত একটা বছর কাটিয়ে গতকাল তারা চেপেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে। মুখে হাসি নিয়ে ফেরার প্রতিজ্ঞা নিয়েই বিমানে উঠেছেন সবাই।
গত ২৫ বছরে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে ছয়বার টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছে ভারত। হেরেছে এর পাঁচ সিরিজে। একমাত্র সাফল্য ২০১০-১১ মৌসুমে তিন টেস্টের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করা। ছয়বারের সফরে খেলা ১৭ টেস্টে জয় মাত্র দুটিতে, হার ৮টি আর ড্র বাকি ৭ টেস্ট। ভারত এবার খেলবে তিন টেস্ট, ছয় ওয়ানডে আর তিনটি টি-টোয়েন্টি।
২০১৫ সালে পাকাপাকি টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়া বিরাট কোহলি কি পারবেন ইতিহাস বদলাতে? তাঁর দল কিন্তু দারুণ ছন্দে। এ বছরটা তারা শেষ করেছে টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে। বিরাট কোহলি রান করেছেন ৭০-এর বেশি গড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটে কোহলিসহ দলের অন্যরা সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই ভালো দল। নিজেদের বাউন্সি পিচে ওদের পেসাররা আরো ভয়ংকর। তবে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। সিরিজ জিততে শতভাগ সেরাটা খেলতে হবে। সেখানে যাচ্ছি সেই লক্ষ্য নিয়ে। ’ দলের সহ-অধিনায়কের ভার বইতে মোটেও চাপে নেই তিনি, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে ভালোবাসি। ভালো করতে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করছি। টেস্ট হোক, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি দেশের হয়ে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় হতে চাই। ’
বিরাট কোহলি-আনুশকা শর্মার ইতালিতে বিয়ের পর গত পরশু মুম্বাইয়ে হয়েছে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। চাঁদের হাটই বসেছিল সেখানে। শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে বলিউডের অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের মতো তারকারা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। তবে সবার চোখ আটকে ছিল ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক ও কোচ অনিল কুম্বলের ওপর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলার সময় কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। এরপর ছেড়ে দেন চাকরিটা। সেই কুম্বলে এমন একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় প্রশংসিত হচ্ছেন ভারতজুড়ে। পিটিআই