ঢাকা: এজবাস্টন-ট্রেন্টব্রিজে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা ইংল্যান্ডকে শেষ পর্যন্ত ওভালে থামতেই হচ্ছে। প্রথম ইনিংসে অ্যালিস্টার কুকের দল গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৯ রানে। ফলোঅনে পড়া ইংলিশরা দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বস্তিতে নেই। তৃতীয় দিনশেষে ইংল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ২০৬ রান।
এখনও তারা অস্ট্রেলিয়ার থেকে পিছিয়ে আছে ১২৯ রানে। এখন দেখার বাকি ৪ উইকেট নিয়ে কুকরা আবার মাইকেল ক্লার্কদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করাতে পারে কি না। সেটা না হলে ইংলিশদের ইনিংস পরাজয়ের লজ্জাবরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ওপেনার অ্যাডাম লিথ (১০) তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে ফেলে দিলেন। এদিন তাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন পিটার সিডল। এরপর ইয়ান বেলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন কুক। কিন্তু বেলও ধৈর্য্য হারিয়ে মিচেল মার্শের বলে ক্লার্কের তালুবন্দি হয়ে ফিরে যান ১৩ রানে। অসাধারণ অ্যাশেজ সিরিজ কাটানো জো রুট ওভালে পরপর দু’ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ। এদিন মিচেল জনসনের বলে স্টার্কের হাতে ধরার পড়ার আগে করতে পেরেছেন মাত্র ১১।
৯৯ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে কক্ষপথে রাখার চেষ্টা করেন কুক আর জনি বেয়ারস্টো। এই দু’জন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৪১ রান। দলীয় ১৪০ রানে নাথান লিয়নের বলে বেয়ারস্টোও (২৬) ফিরে যান অ্যাডাম ভোজেসকে ক্যাচ দিয়ে। ওই ওভারের শেষ বলে লিয়ন রানের খাতাই খুলতে দেননি বেন স্টোকসকে।
নিঃসঙ্গ শেরপার মতো একাই লড়াই চালিয়েছেন কুক। কিন্তু তৃতীয় দিনশেষ হওয়ার ঠিক আগ মূহুর্র্তে তিনি অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের বলে ক্যাচ দেন ভোজেসের হাতে। কুক ২৩৪ বলে ধৈর্য্যশীল ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। বাউন্ডারি মেরেছেন ১১টি। মুলতঃ কুকের কল্যাণেই ইংল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ২০৬ রান। লিয়ন ৫২ রানে দুটি এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন জনসন, সিডল, মার্শ ও স্মিথ।
এরআগে ৮ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মঈন আলী এবং মার্ক উড নবম উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন। যেখানে মঈন ৩০ আর উডের ব্যাট থেকে এসেছে২৪ রান। ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৪৯ রানে। শেষ দুটি উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে ২১ রানে ৩ উইকেট নিলেন মিচেল জনসন।