ফারুক আহমেদঃ সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলা অধিন সলঙ্গা থানার অন্তর্ভুক্ত ৩নং ধুবিল ইউপি ২নং ওয়ার্ডে পাকিস্তানি আমলে আমশড়া দক্ষিণ মধ্যে পাড়া জামে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটি ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পাঞ্জেগানা সালাতসহ সাপ্তাহে পবিত্র জুমার দিন অর্থ্যাৎ শুক্রবারের দিন অনেক মুসুল্লি বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে পবিত্র জুমার দিন এই মসজিদে এসে সালাত আদায় করে থেকেন। নম্র, ভদ্র ও আল্লাভীরু হিসেবে আলহাজ্ব মাওলানা মজিবুর রহমান উন্নতম। নামাজে তাঁর সুললিত কণ্ঠের তিলাওয়াত শুনতে মুখিয়ে থাকেন শত শত ভক্ত ও মুসল্লি।
সুন্দর তিলাওয়াতের জন্য তিনি সবার কাছে ‘রাইহানুতল মসজিদ’ মসজিদের সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত। আলহাজ্ব মাওলানা মজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে সাতকুর্শি গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আমশড়া কাওমিয়া মাদ্রাসায় হেদায়াতুন্নাহু পরে বগুড়া জামিল মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১৯৭২ সালে সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দিখিল, পরে ১৯৭৪ সালে একই মাদ্রাসা থেকে আলিম, ১৯৭৬ সালে ফিজিল পাশ করেন। ১৯৭৮ সালে বগুড়া মুস্তাফাবিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কামিল শেষ করেন। শৈশব থেকেই তিনি ইসলামের মৌলিক বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জনে মনোযোগী ছিলেন। পবিত্র কোরআনুল কারিম ছিল তাঁর আবেগ ও আগ্রহের বিষয়। পরবর্তী সময়ে কোরআনসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
১৯৭৭ সালে আমশড়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসাতে শিক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। সেখানে তিনি ৪০ বছর সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করলেও ১৯৭৭ সালে আমশড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আগে ছাত্র জীবন থাকতেই তার কোরআন তেলায়তে মগ্ধ হয়ে আমশড়া গ্রামের প্রেয়াতো তাবলিগজামাতের সাবেক আমির মোবারক হোসেন আকন্দ ও ততকালীন স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি সমেজ আলী আকন্দ ১৯৭২ সালে তাদের
বিশেষ নির্দেশনা আলহাজ্ব মাওলানা মজিবুর রহমানকে আমশড়া দক্ষিণ মধ্যে পাড়া জামে’মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন থেকে তিনি আমশড়া দক্ষিণ মধ্যে পাড়া পবিত্র জামে’মসজিদের ইমাম হিসেবে ৫২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি জনাব আব্দুর রাজ্জাক, সলঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ও অত্র মসজিদ কমিটির সদস্য সাংবাদিক ফারুক আহমেদসহ স্থানীয় মুসল্লিরা সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন যে, যেহেতু আমাদের মুরুব্বীরা হুজুরকে সম্মানের সাথে এনেছিলেন। তেমনি ভাবে আমারাও হুজুরকে সম্মানের সাথে রাখবো তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। হুজুর তার অনুভুতিতে এই প্রতিনিধিকে জানান, আমাকে ৫২ বছর ধরে যেভাবে আমার মুসল্লীরা তাদের ভাল বাসায় সিক্ত করে রেখেছেন তাতেই আমি খুব খুশি। ছাত্র জীবনে আমার বয়স যখন ১৬ বছর ততকালিন ৩০০ টাকা ভাতা দিয়ে যখন আমার মুরুবি প্রেয়তো তাবলীগজামাতে সাবেক আমির মোবারক হোসেন আকন্দ ও মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি সমেজ আলী আকন্দ আমাকে যেভাবে তাদের হাত ধরে নিয়ে এসেছিলেন তাদের সম্মানের জন্য আমি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে এই মসজিদে ইমামতি করে যাবো ইনশাল্লাহ।