সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা

Spread the love

সংখ্যা ০৩ সোমবার ৩১ জুলাই ১৬ শ্রাবণ ১৩ মহররম

হজ করার চেয়ে বড় বিষয় হল জীবনব্যাপী হজ ধারণ করা। এটাই হজের আসল সার্থকতা।

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সংলাপের বিকল্প নেই 

ডেস্ক রিপোর্টঃ ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই। সংঘাত, বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের সমর্থন অর্জন করা সম্ভব নয়। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন ও ভোট বিপ্লব। নির্বাচন ও ভোট বিপ্লব ব্যতীত অন্য সব উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র পরিপন্থি।’
গত শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সর্ববৃহৎ মোর্চা ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ এর আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় টিমের অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বপরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন আলোচকরা। ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।নাগরিক সংলাপে আলোচকরা বলেন, কূটনীতিকদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যের সুযোগ করে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিনিধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিস্টার টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতি বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মিস্টার নিক পউল, দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার কর্মী মিস্টার পার্ক চুং চাং, জাপানের সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু, যুক্তরাজ্যের লেখক ও গবেষক মাইকেল জন শেরিফ এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এন্ডি লিন। সূত্রঃ জাগো

এবার নেক টাই না পড়তে পরামর্শ তালেবানের 

ডেস্ক রিপোর্টঃ আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর নানা বিষয় নিষিদ্ধ করে আসছে তালেবান প্রশাসন। এবার তাদের নজর পড়েছে নেকটাইয়ের উপর। গলায় টাই পরা ইসলাম বিরোধী, কারণ এটি যিশুখ্রিস্টের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক, এমনটাই মনে করছে তালিবান প্রশাসন।
তালেবান প্রশাসনের ইনভিটেশন অ্যান্ড গাইডেন্স ডিরেক্টরটের প্রধান হাশিম সাইদ রোড় মুসলমান হয়ে গলায় টাই পরার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়ই কাজের সূত্রে হাসপাতাল এবং অন্যান্য আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ অফিসে যাই। প্রায়ই দেখি আফগান ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার এবং সমমর্যাদার মানুষ গলায় টাই পরেছেন। টাই আসলে ক্রুশ। শরিয়ত বলছে ক্রুশ দেখলেই ভেঙে ফেলতে হবে। এ ব্যাপারটা একেবারেই ইসলাম বিরুদ্ধ। তাই একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমের টাই কখনওই পরা উচিত নয়।সূত্র: রয়টার্স/ইনকিলাব।

আমেরিকায় মদপানে নারীর মৃত্যু বেশি
ডেস্ক রিপোর্টঃ করোনাকালে আমেরিকায় মদপানে পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যুর হার বেড়েছে। গত শুক্রবার ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’ নামে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মাসিক প্রকাশনায় এ তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৯৯৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মদপানের বিষক্রিয়া, মদপানের ফলে লিভারের রোগ, তীব্র নেশা এবং লাগাতার নেশার কারণে মানসিক এবং আচরণগত ব্যাধিতে মারা যাওয়া ৬ লাখ ৫ হাজার ৯৪৮ জন আমেরিকানের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য উদঘাটিত হয়।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২১ বছরে প্রতি বছরই নেশায় বুদ হয়ে নারীদের মৃতের হার পুরুষের তুলনায় বেশি ছিল এবং ক্রমান্বয়ে তা বেড়েছে। বৃদ্ধির এ হার ২০০৭ পর্যন্ত প্রতি বছরই ১ শতাংশ ছিল। ২০০৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রতি বছর বেড়েছে ৪.৩ শতাংশ করে এবং ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.৭ শতাংশ করে। এ সময়ে পুরুষের মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রতি বছর ১২.৫ শতাংশ করে।
আরও জানা গেছে, করোনা মহামারিতে অ্যালকোহলজনিত কারণে নারী-পুরষের মৃত্যুর হার বেড়েছে। এ সময় গৃহবন্দী (লকডাউন) অবস্থায় নারীরা নেশায় বুদ হয়ে থাকতেন। তার ফলেই মৃত্যুর হার বেড়েছে বলে চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

তাড়াশে অব্যাহত লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ
সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে দিনে-রাতে লোডশেডিং এ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলাবাসী। আর বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, উপজেলায় বিদ্যুতের দাহিদা ১৬ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যায় মাত্র ৫ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা। রবিবার কথা হয় ভাদাশ গ্রামের মকুল সরকারের সাথে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দিনে প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরম আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। আবার প্রতি রাতে ৪ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। গত ৪ দিন ধরে এই সমস্যা আর ও বেশী হয়েছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । এ ব্যাপারে তাড়াশ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম নিরাপদ দাস বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ার কারণে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি আরও জানান, তাড়াশ জোনাল অফিসের আওতায় ৮ টি ফিডারে ৬৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এ সব গ্রাহকের জন্য প্রয়োজন ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এখানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এ জন্য প্রতি ফিডারে দিন রাত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। প্রতিটি ফিডারে প্রতিবার ১ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ দিকে তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই । তাড়াশে এখন ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ মাত্রা বিরাজ করছে।

তাড়াশের শহীদ সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান 

মোঃ মুন্না হুসাইন : সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রথম বারের মতো সাংবাদিকদের নিয়ে সাংবাদিক পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দঘন পরিবেশে গত শুক্রবার ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিলো পৌর কনভেনশন হল প্রাঙ্গন থেকে সকালে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, পৌর কনভেনশন হলে আলোচনা সভা, পুঁথি পাঠ, বীর শহীদ সাংবাদিকদের মরনোত্তর ক্রেষ্ট ও সন্মননা প্রদান, সাংবাদিকতায় সিরাজগঞ্জ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সাংবদিকতা ও গণমাধ্যম বিষয়ে সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এতে তাড়াশের মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ সাংবাদিক ইয়ার মোহাম্মদকে প্রদত্ত মরণোত্তর ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তাড়াশের দুই সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক রাজু ও সনাতন দাশ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ সদর কামারখন্দ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, সাবেক আর টিভির বার্তা সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল,কথা সাহিত্যিক ইসহাক খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পূনর্মিলনীর আহবায়ক প্রনব নিয়োগীী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব দৈনিক সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। জেলার প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের প্রথম পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগন অংশগ্রহণ করেন

তাড়াশে ধানের বাজারে অব্যাহত  দরপতন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ন্যায্যমূল্য না পেয়ে এবছর বোরো ধান বেচে উৎপাদন খরচ উঠছেনা। গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার প্রসিদ্ধ বিনসাড়া হাটে ধান বেচতে এসে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে সপ্তাদুয়েকের ব্যবধানে আবারো ধানের দরপতন শুরু হয়েছে। চিকন চালের ধানের দাম জাত ভেদে ১ হাজার ২০০ থেকে কমে ১ হাজার ৩০ ও ১ হাজার ১২০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে ব্রি ধান-৯০ বেচাকেনা হয়েছে। ১৫ দিনের মতো অনুরূপ দাম পাওয়া গেছে। তারপর থেকে দাম কমতে শুরু হয়েছে। প্রতিমণ ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা। বেচতে হচ্ছে তারও কম দামে। ভুক্তভোগী কৃষকরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।কৃষকদের অভিযোগ ধানের ব্যবসায়ীরা ধান কেনার পর একটি রশিদ তাদের হাতে ধরিয়ে দেন। ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কৃষকদের দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু টাকা চাইতে গেলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। তাদের ইচ্ছে মতো টাকা না নিলে ধান কেনেনা।বিনসাড়া হাটের ধানের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও ফজলুর রহমান কৃষকদের ধান বাকিতে কেনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মিলাররা নিয়মিত ধান নেয়না। আমাদের গুদামেও ধান পড়ে থাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়ের লোকশান গুণতে হচ্ছে। সরেজমিনে তাড়াশের সব চেয়ে বড় ধানের হাট বিনসাড়াতে দেখা গেছে, অসংখ্য কৃষক ধান বেচতে হাটে এসেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের ধান কেনার আগ্রহ কম। ধানের দাম কম হওয়ায় বেশীরভাগ কৃষক ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন বলেন, চাহিদার তুলনায় চিকন চালের জাতের ধান বেশী উৎপাদন হয়েছে। বিশেষ করে ব্রি ধান-৯০ জাতের ধানের আবাদ বেশী হয়েছে। সর্বোপরি বাজার মনিটরিং সেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি ।
তাড়াশে নৌকা ভ্রমণের আড়ালে নগ্নতা 
তাড়াশ প্রতিনিধি: তাড়াশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিস্তীর্ণ চলনবিলে বর্তমানে নৌকা ভ্রমণ ও বনভোজনের নামে চলছে অশ্লীলতা, নগ্নতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ। এতে ক্ষুব্ধ বিলপাড়ের মানুষসহ তাড়াশের বিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষেরা। সোমবার বিকালে তাড়াশের বিলের ৯ নং ও ১০ নং ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ভ্রমণ ও বনভোজনের নৌকার সামনে অশ্লীল পোশাকে নাচছেন নর্তকী সহ কয়েকজন হিজরা। আর এদের সাথে নৌকায় নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে ড্যান্স দিচ্ছে তরুণ যুবকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সব নর্তকী ও হিজরাদের অন্য জায়গা থেকে টাকা দিয়ে এনে অবৈধ এ কর্মকান্ড চালায় ভ্রমণে ও পিকনিকে আসা যুবকেরা। আর দিনে নাচের মাধ্যমে আনন্দ দিলেও রাতে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এদিকে নর্তকী ও হিজরা থাকা নৌকাগুলোর বেশিরভাগ অংশই ছাউনি দেওয়া।
বিলের উল্লেখিত ব্রিজ এলাকায় পরিবার সহ ঘুরতে আসা মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন,ঐতিহ্যবাহী এই তাড়াশের বিলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে উক্ত ব্রীজ এলাকায় এই সময়ে প্রায় প্রতিদিন রাজশাহী,নাটর,কুষ্টিয়া,পাবনা ও সিরাজগঞ্জ শহর সহ অন্য জেলা থেকেও শত শত মানুষ আসে। কিন্তু নৌকায় আনন্দ ভ্রমণ ও পিকনিকের নামে চলে অশ্লীল কর্মকান্ড। ফলে সাধারণত পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।তাড়াশের বিলে বেড়াতে আসা ভ্রমনকারি মাসুদ রানা,ইসমাইল হোসেন,আয়নাল হক প্রমুখ বলেন, তাড়াশ চলনবিলে নৌকা ভ্রমণ ও বনভোজনের নামে অশ্লীলতায় ডুবছে যুব সমাজ। একারণে অভিভাবকেরা উঠতি বয়সের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও ক্রমবর্ধমান নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় রয়েছেন। তারা যুব সমাজকে রক্ষায় বিলে চলাচলকারী বাশের ছই তোলা ও সামিয়ানা টাঙানো শ্যালোইঞ্জিন চালিত ভাসমান বনভোজনের এসব নৌকাতে গান বাজনা নাচা নাচি ও বিনোদনের অন্তরালে চলমান অশ্লীল কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে এ ধরণের অশ্লীল কর্মকান্ড চলে থাকলে তা বন্ধে পুলিশ অতি দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করবে।

তাড়াশে একদিকে চলছে মৎস্য সপ্তাহ
অপরদিকে অবাধে পোনা নিধন 

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ তাড়াশের চলনবিলে, নদী ও খালবিলে চলছে অবাধে পোনা নিধন। বর্ষার পানিতে এখন খালবিল, নদী-নালায় চড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের পোনা। কিছুদিনের মধ্যেই মাছগুলো বড় হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি বেড় ও সুতি জাল দিয়ে অবাধে পোনামাছ নিধন করছেন। বেশির ভাগ মৎস্যজীবী দরিদ্র হওয়ায় রুটিরুজির বিকল্প উপায় না থাকায় এসব পোনামাছ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
চলনবিল বিস্তীর্ণ তাড়াশ, চরহামকুড়িয়া, নওগাঁ ও তাড়াশ উপজেলার চলনবিল এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাল-বিলে বর্ষার পানি প্রবেশের পর থেকেই মাছ শিকারের ধুম পড়ে গেছে। নদী থেকে খাল-বিলে পানি প্রবেশের পথেই বেড় ও সুতি জাল দিয়ে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হয়েছে। এখন চলছে পোনা মাছ নিধন। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ মাছ শিকার। খুব সস্তায় গ্রামের হাট-বাজারে এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিলের পানি দ্রæতগতিতে নদীতে নামছে। পানি বের হওয়ার পথগুলোতে বসানো হয়েছে সুতি জাল, ভেসাল ও খড়া জাল। অন্যদিকে দুই নৌকা একসঙ্গে করে বেড় জাল দিয়ে পানি ছেঁকে তুলে আনা হচ্ছে ছোট-বড় সব মাছ। তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, বিলে মাছ নিধনের কোনো বিধিনিষেধ নেই। যত দিন পানি আছে, তত দিন মাছ নিধন চলবে। মৎস্য শিকারিদের কাছে বড় বা ছোট মাছ বলে কিছু নেই।

তাড়াশে গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার 
তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাজাঁসহ ৩ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
তাড়াশ থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত সোমবার বিকেলে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি খামার পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাজাঁসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি খামাড় পাড়া গ্রামের আকবর ফকিরের ছেলে বাবুল হোসেন (৪৮), মৃত রমেজ উদ্দীন প্রাং এর ছেলে আঃ খালেক (৬৫) ও নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বিলকাঠুর গ্রামের মৃত. রিফাত প্রাং এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫)।তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাজাঁসহ ওই ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চলনবিলে পাট নিয়ে বিপাকে চাষীরা 
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : আষাঢ় গেল, শ্রাবন (শাওন) চলছে। বর্ষাকালে তবুও কাংখিত বৃষ্টিপাতের দেখা নাই। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের অভাবে খলে-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি নাই। ফলে পাট কাটার ভারা মওসুম হলেও চলনবিল অধ্যুসিত নাটোরের গুরুদাসপুরসহ চলনবিলের সর্বত্র পাটকাটা ব্যাহত হচ্ছে। পিছিয়ে যাচ্ছে আমন ধান রোপনের সময়। অনেক চাষীর বীজতলার ধানের চারা তুলে লাগানোর সময় শেষের দিকে। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, আমন ধানের বীজতলা তৈরী চলমান আছে।এমন অবস্থায় পাটকাটা ও ধান লাগানো নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। কৃষি অফিস বলছে, বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আশানুরূপ হয়নি। তাই পাটকাটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে যেসব এলাকার খাল বিলে সামান্য হলেও পানি জমেছে। সেগুলোতে পাট জাগ দিচ্ছেন চাষীরা। শিকারপুরের পাটচাষি আব্দুল মালেক বলেন, পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। পাট কাটারও সময় হয়েছে। অনেকেই পাট কেটেছে। কিন্তু খালবিলে পানি নেই। তাই অনেকেই পাট কাটতে পারছে না। আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট বুনেছি । এর মধ্যে ১ বিঘার পাট কেটেছি। অপেক্ষায় আছি পাশের খালবিলে পানি জমলে বাকি পাট কাটা শুরু করবো। রাব্বি হোসেন নামের পাটচাষি জানান, তিনি পানির অভাবে পাট কাটতে পারছেন না। একই কারণে ধানও লাগাতে পারছেন না। ফলে উভয় সংকটে পড়েছেন তিনি। হাকিম বলেন,দেড় বিঘা জমির পাট কেটেছি। খালে একটু পানি জমার কারণে। পাট কাটার দুইদিন পরে ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে ধান লাগাবো। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে পাট কাটতে পারছিলাম না। এখনও বৃষ্টিপাত কম। তবে ধান লাগানোর জন্য পাট কেটেছি। পাট ব্যবসায়ী খালেক জানান, এবছর এলাকায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে পুকুর, খালে পানি নেই। তাই পাট কাটতে পারছেন না কৃষকরা। তবে নীচু এলাকাগুলোর পাটের জমিতে পানি জমেছে। সেগুলো কেটে সেখানেই জাগ দিচ্ছেন চাষীরা।

উল্লাপাড়ায় স্বল্প মেয়াদী ধানের আবাদ 

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অতি আগাম জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করা হচ্ছে। উপজেলার কোনো কোনো এলাকার উচু মাঠে কৃষকেরা এ ধানের আবাদে চারা লাগাচ্ছেন। অনেক এলাকার কৃষকেরা এখন স্বল্প মেয়াদী (কম দিন) জাতের রোপা আমন ধান ফসলের আবাদ করছেন।
এদিকে এবারের মৌসুমে রোপা আমন ধানের আবাদ বেশী পরিমাণ জমিতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কৃষকদেরকে নতুন ব্রি ধান -১০৩ এর আবাদে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।উপজেলা কৃষি অফিসের তরফে এবারের মৌসুমে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার মাঠে মোট ১১ হাজার ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর আবাদে রোপা আমনের বিভিন্ন জাতের ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। এখন বর্ষাকালের শ্রাবণ মাস চলছে। এবারে এখনো স্বাভাবিক বন্যা হয়নি।স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী বন্যা হলে পানিতে তলিয়ে যায় এমন কোনো কোনো মাঠে কৃষকেরা অতি আগাম করে রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন। সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের দক্ষিণচড়া মাঠে কৃষকেরা রোপা আমন ধানের আবাদে চারা লাগাচ্ছেন। কৃষকেরা নিজেদের তৈরী বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে লাগাচ্ছেন বলে জানানো হয় । কৃষকেরা জানান, কম দিনে ফসল ঘরে তোলা যায় ও বেশী হারে ফলন মেলে এমন জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করছেন।

সম্পাদকীয়
প্রথমেই তাড়াশ পৌরসভার মাস্টার প্লান প্রয়োজন 
সদ্যই অনুষ্ঠিত হলো সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন গত ১৭ জুলাই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। পৌর নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন নৌকার প্রার্থী । এছাড়াও যারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। নির্বাচনে জয়ী কোন কোন কাউন্সিলর প্রার্থীকে আনন্দ উল্লাস ও র‌্যালি করতে দেখা গেছে। সেটাও অবাঞ্ছিত নয়। কেননা তাড়াশের স্থানীয় ইতিহাসে পৌরবাসীর জন্য এটা একটা স্মরণীয় দিন। তাড়াশ পৌরসভার নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে তাই পৌর অধিবাসীদের অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকবে- তেমনটাই স্বাভাবিক।
এখন বিষয়টা হল নতুন এ পৌরসভার প্রথম কাজ হবে উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণ করা এবং একই সাথে উন্নয়ন অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা। পৌরবাসী তথা পৌর এলাকার শ্রীবৃদ্ধি তথা উন্নয়ন করাই যে কোনো পৌরসভার মুখ্য লক্ষ্য মানে মূল কাজ। এজন্য তাড়াশ পৌর মেয়রের নেতৃত্বে তার পরিষদের সদস্যগণকে নিয়ে বসে শুরুতে একটা মাস্টার প্লান করতে পারলে ভালো হয়। তার পূর্বে পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পাড়া মহল্লার সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জনমত গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ তৃণমূলে মতবিনিময় করে স্ব স্ব এলাকার জনতার প্রত্যাশা ও প্রস্তাব কিংবা সুপারিশ গ্রহণ করতে পারে। সেখান থেকে গৃহীত সুপারিশগুলো নিয়ে পরবর্তীতে কেন্দ্রে একটি নাগরিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শীর্ষ মাষ্টার পরিকল্পনা প্রণয়ন পূর্ব্বক তার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন রুপরেখা তথা রোড ম্যাপ তৈরি করে নিতে পারে। এমনি করে আরম্ভ হতে পারে তাড়াশ পৌরসভার উন্নয়ন পথযাত্রা।তবে পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হতে হবে অবশ্যই- তানাহলে পরিকল্পনাবিহিন কাজের শুরু-শেষ কেনোটাই ভাল হরে না।
এছাড়াও অত্র পৌরসভার জন্য কৌশলগত পাঁচ বছর বা দশ বছর মেয়াদী স্ট্রাটেজিক প্লানও তারা হাতে নিতে পারে। এতে অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি হলে পৌরসভার উন্নয়ন বাস্তবায়ন জনসাধারণের চাহিদা মাফিক ও সুন্দর টেকসই হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের পৌরসভাগুলোর উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রতিযোগিতামূলকভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে। কার চেয়ে কে ভালো করবে সেই অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। সে কারণেই দেশের পৌরসভাসমূহের মানদন্ডের গ্রেড রয়েছে। এর ওপরই নির্ভর করবে সরকারী তরফ থেকে পৌরসভার জন্য সুযোগ-সুবিধা ও বরাদ্দ প্রাপ্তি। দেশের অনেক এলাকায় দুর্বল পৌরসভার কারণে তাদের বেতনভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ থাকে বলে খবরে জানা যায়। তাড়াশ একটি কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানে শিল্প-বাণিজ্য-ব্যবসা-কলকারখানা নেই। সেজন্যই এই পৌরসভার চ্যালেঞ্জ বেশি, ঝুঁকি থাকবে। ফলে মেয়র সহ তার সমগ্র টিমকে অধিক ত্যাগ ও উৎসর্গ নিয়ে জনসেবা দিতে হবে, এলাকার উন্নয়ন করতে হবে। নিজেদের কোন স্বার্থ বা লাভ-লোকসান সংকীর্ণ চিন্তা মাথায় আনা যাবে না।সর্বপ্রকার লোভ-লালসা ও আত্মস্বার্থপরতা বর্জনীয় বটে। মানুষের জন্য এলাকার স্বার্থে সব রকম স্বজনতোষনের উর্দ্ধে উঠে কাজ করতে হবে। স্মরণযোগ্য, এ যাবৎ তাড়াশের অধিকাংশ উন্নয়ন প্রয়াস প্রশ্নবিদ্ধ থেকে গেছে।বিভিন্ন সময়ে এখানকার নেতৃবর্গ সমালোচিত হয়েছেন, ইতিহাস তাই বলে। তাড়াশ পেছনে পড়ে থাকার সেটাই বড় কারণ বলে এলাকারাসীর ধারণা। তাই তাড়াশ পৌরসভার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সর্বপ্রকার নেতিবাচক এবং বিতর্কিত সমালোচনা মুক্ত থেকে একটা ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপনে নিবেদিত থাকতে হবে। এই পৌরসভা হল তাড়াশের মুখচ্ছবি। এখানকার সমৃিদ্ধ অগ্রগতি গোটা তাড়াশের আর্থ সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি হিসেবে গন্য তথা বিবেচিত হবে। এ পৌরসভার উন্নয়ন অভিযাত্রায় এটা সূচনা লগ্ন মাত্র ।সেই হেতু প্রথম নির্বাচিত পৌর টিমের উন্নয়ন কার্যক্রম কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে এর সাফল্য ও সুখ্যাতি নির্ভর করবে। পৌর প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ ও স্বল্প-উচ্চ শিক্ষিত সবার সংমিশ্রণে একটা যোগ্য দক্ষ পৌর পরিষদ গড়ে তোলার দিকে নজর দেয়া আবশ্যক যাতে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে তারা পৌরবাসীর কাঙ্খিত প্রত্যাশা মতো অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।এক্ষেত্রে দলমত দূরে রেখে তাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্প্রীতি ও ঐক্যমত অটুট থাকা অপরিহার্য। তাদের উন্নয়ন চিন্তা হতে হবে বৃহত্তর পৌরবাসীর স্বার্থে। সবশেষে বলার এই, স্থানীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে পৌরসভার ভূমিকা ও গুরুত্ব বিশাল। এটাকে ইউনিয়ন আদলের কর্মকান্ড থেকে আলাদা করে দেখতে হবে। তাড়াশের নব নির্বাচিত পৌর প্রতিনিধিদের উন্নয়ন অভিযাত্রা শুভ হোক, গণমুখী হোক এই কামনা। প্রচলিত যুগীয় দুর্নীতি ও অবক্ষয় তাদের যেন স্পর্শ না করে সবশেষে এই আশাবাদ থাকলো। জয়তু ! তাড়াশ পৌরসভা।

তাড়াশের সাংবাদিকতা : একাল সেকাল
সনাতন দাশ 
(শেষাংশ)
এছাড়া তাড়াশে যারা সাংবাদিকতা করে অবসর নিয়েছেন অথবা প্রয়াত হয়েছেন তাঁরা হলেন- আবদুল লতিফ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা জামশেদ আলী, মরহুম মাওলানা আব্দুর রহমান, শামসুল আলম সেলিম, মো: সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
২০০০ সালের পর থেকে তাড়াশের সাংবাদিকতা আর তাড়াশের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি। ঢাকায় তারা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এর মধ্যে ড.মিঠুন মোস্তাফিজ (বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের চেয়ারম্যান) একুশে টেলিভিশনে (ইটিভি) স্টাফ রিপোর্টর হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি বৈশাখী টেলিভিশনের এ্যাসাইমেন্ট এডিটর হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একজন ভালো ইংরেজী সংবাদ পাঠকও। মো: রফিকুল ইসলাম রনি যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনের’ সিনিয়র রিপোর্টার, মো: হাসিবুল হাসান স্টাফ রিপোর্টর দৈনিক যুগান্তর, মুন্নি আহমেদ স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগদেন ‘মাইটিভি’তে। বর্তমানে তিনি সংবাদ সংস্থা ‘আইবিএন’এ কর্মরত। মো: মাহমুদুল হাসান খোকন স্টাফ রিপোর্টার ‘ এসএ টিভি’ ও মো: রফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন ‘ দৈনিক আমার সংবাদ’এ। বর্তমানে তিনি ‘দৈনিক মানবকণ্ঠ’ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
তাড়াশ উপজেলায় সাংবাদিক হিসেবে যারা বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন-( জেষ্ঠ্যতার ক্রমানুসারে নয়) তারা হলেন: মো: মেহেরুল ইসলাম বাদল (করতোয়া), এম, শফিউল হক বাবলু (মানবজমিন), এম,আতিকুল ইসলাম বুলবুল (সমকাল/৭১ টেলিভিশন), মো: মামুন হুসাইন(ভোরের কাগজ/ যুগের কথা), মির্জা ফারুক (যায়যায়দিন), মো: আব্দুল বারিক (ভোরের দর্পণ), মো: গোলাম মোস্তফা (ইত্তেফাক/মুসলিম টাইমস/গণকণ্ঠ), মো: শামিউল হক শামীম (এশিয়ান টিভি), মো: সাব্বির আহমেদ (আমাদের সময়), সাহেদ খাঁন জয় (আজকালের খবর), মো: লুৎফর রহমান (নয়াদিগন্ত), মো: আশরাফুল ইসলাম রনি (খোলা কাগজ/পরিবর্তন), মো: আলহাজ রনি (বিজয় টিভি), মো: আব্দুল মাজিদ (মানবজমিন), হাদিউল হৃদয় ( কালবেলা), মো: রফিকুল ইসলাম ( আজকের পত্রিকা), মো: লিটন আহমেদ (আমার সংবাদ), মো: রেজাউল করিম ঝণ্টু ( নয়াশতাব্দী) , মৃণাল সরকার মিলু( প্রতিদিনের সংবাদ), মো: সানোয়ার হোসেন সাজু (বাংলাদেশের আলো) , মোছা: হোসনেয়ারা নাসরীন দৌলা (সংবাদ), মো: সোহেল রানা সোহাগ( আনন্দটিভি/ মানবকণ্ঠ), শায়লা পারভীন( সময়ের আলো/ঢাকা টাইমস), আবু হাশিম খোকন (উত্তরবঙ্গবার্তা), মো: জাকির আকন (আমাদের নতুন সময়), মো: শাহজাহান আলী (সংগ্রাম), মো: সাইদুর রহমান (ঢাকার ডাক), মো: আরিফুল ইসলাম(জাবাবদিহী), মো: আসিফ (দেশবাংলা), সনজু কাদের (বিজিনেস বাংলাদেশ), নূর ইসলাম রোমান (সংবাদ প্রতিদিন), মো: মোহসীন আলী (সকালের সময়/ নিউ নেশন), মো: শামীম হোসেন (ইনকিলাব),সনাতন দাশ( কালের কণ্ঠ/মাইটিভি/এশিয়ান টিভি) ।
শেষ কথা:
তাড়াশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন- তাড়াশ প্রেসক্লাব অমর হোক, অক্ষয় হোক। বাস্তবে তা আর হয়নি। নেতৃত্বের দ্ব›দ্ব, সংকীর্ণতা ও অনৈক্যের কারণে আরোও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যা অনাকাঙ্খিত। ভবিষ্যতে এর একটি ঐক্যবদ্ধ ¯্রক্রিয়ার জন্য কেউ না কেউ উদ্যোগ নিয়ে মহতী দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। ঐক্য ছাড়া সাময়িক ব্যক্তিগত লাভ পাওয়া গেলেও সামগ্রিক পেশাগত মর্যাদা পাওয়া সম্ভব নয়। পরিশেষে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের ভাষায় বলতে হয়-‘ বাংলাদেশের গণমাধ্যম শেষ বিচারে বাজার-অভিমুখীন,ধনিক- অভিমুখীন,এলিট-অভিমুখীন,মালিক শ্রেণি- অভিমুখীন, ও পুরুষ অভিমুখীন।’এ সীমাবদ্ধতার পরও তাড়াশের কতিপয় সাংবাদিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন- এটিই এখন একমাত্র আশার কথা।

লেখক : বিশিষ্ট, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক। সভাপতি, তাড়াশ প্রেসক্লাব, সিরাজগঞ্জ।

গুরুদাসপুরে মৎস্য উৎপাদনে রেকর্ড বিপ্লব 

মোঃ আবুল কালাম আজাদ

“ নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্য বিষয়ে ২৪ জুলাই সোমবার থেকে গত ৩০ জুলাই রবিবার পর্যন্ত দেশব্যপী জাতীয় মতস্য সপ্তাহ পালিত হ”েয়ছে । মতস্য সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসুচি।প্রতি বছরেই বিভিন্ন প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখেই মতস্য সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে যেমনঃ- ২০১৮ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “ স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছের দেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”,২০১৯ সালে “মাছ চাষে গড়বো দেষ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”” সুনীল অর্থনীতি মতস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি” , এবং ২০২২ সালে-নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”।
আশির দশক পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় চলনবিল ছিল মাছ ও পাখির জন্য বিখ্যাত । এই চলনবিলের নানা প্রজাতির মাছের স্বাদ দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে ছিল অতিব প্রিয় । এখনও তার এতটুকু ব্যতয় ঘটে নাই । জমিদার আমলে চলনবিলে সেই সুস্বাদু কই, মাগুর , শিং, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল , বাউস আইড় , বাঘাড়, বাচা ,পাবদা , ভেদা, ফাঁসা সরপুঁটি ইত্যাদি মাছ রাজা , জমিদার, গোমস্তাদের উপঢৌকন দিয় খুশি করে শত শত একর জমি লাখেরাজ,বা পরগনা বন্দোবস্ত নিয়ে জমিদার হয়েছে । আবার কেউ বিচারক, প্রশাসন , পুলিশ অফিসারকে এই মাছ দিয়ে জটিল মামলা থেকে খালাস পেয়েছে। এমনকি ফাঁসির আসামিও মুক্তি পেয়েছে। এমন নজিরের কথা পুরাতন মানুষদের কাছ থেকে প্রায়শই শোনা যেত ।
ঐতিহাসিক চলনবিল আর সেই চলনবিল নাই।রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা থেকে বড়াল নদির উতসমুখ আর শাখা নদি নন্দকুঁজার উতস মুখে পানি উন্নয়ন র্বোড তিনটি ¯øুইস গেটে এবং আত্রাই নদির সাবগাড়ি বেশানী নদির মুখে রাবারড্যাম স্থাপন করে এবং ভুমি দস্যুদের অবধৈ দখল-দুষণে চলনবিলের প্রাণদায়ী নদীগুলির পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। চলনবিলের প্রাণ সঞ্চালনকারী স্রোতস্বিনী বড়াল, নন্দকুঁজা, গুমানি, আত্রাই, বেশানী নদির নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে ।চলনবিলও পানিশুন্য হয়ে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে । ফলে মুক্ত পানির প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন একেবারেই হ্রাস পেয়েছে। শুকনা মওসুমে চলনবিলের সকল নদ-নদি পানি শুন্য থাকায় প্রাকৃতিক মাছের চারন ভুমি, আশ্রয় কেন্দ্র এবং প্রজনন স্থল বিলুপ্ত হয়ে যায় । এতে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক সেই সুস্বাদু মাছগুলিও চলনবিল থেকে হরিয়ে গেছে।ক্রমইে প্রাকৃতিক সুস্বাদু মাছের আকাল দেখা দিয়েছে । চলনবিলের মৎস্যজীবি, জেলে, জিয়নি,হালদার সহ মাছের ওপর জীবিকা র্নিভরশীল জাতিপেশার মানুষ মাছের অভাবে পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ।
বৃহত্তর চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র চলনবিলের বুক চিরে প্রবাহিত বড়াল,নন্দকুঁজা,আত্রাই,ছোট আত্রাই, গুমানি,বেশানি,তুলসিগংগা ইত্যাকার প্রধান এই নদিগুলির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলনবিলে প্রাকৃতিক মাছের চরম ঘাটতি দেখা দেয়। এই নদিই ছিল প্রাকৃতিক মাছের প্রধান অভয়াশ্রম, চারনভূমি এবং প্রজনন কেন্দ্র । আশির দশকের আগ পর্যন্ত গুরুদাসপুর উপজেলাসহ চলনবিলের জনসংখ্যার মাছের চাহিদা অনুপাতে অনেক বেশী উদ্বৃত্ত মাছ আহরন হতো যা দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটাতে সক্ষম হতো। অথচ আশির দশকের পর চারঘাটে পদ্মা থেকে চলনবিলের প্রান সঞ্চালনকারী বড়ালের উৎসমূখে অপরিকল্পিতভাবে অপ্রশস্ত ¯øুইস গেট স্থাপন করে বড়াল সংশ্লিষ্ট নন্দকুঁজা,গুমানি, আত্রাই,ছোট আত্রাই, মুসাখাঁ ,নারদ, তুলসি, বোয়ালিয়া ,বেশানি নদিসহ শাখা- প্রশাখা জোলা, খাল,জলাধার এবং চলনবিলকে র্নিমমভাবে হত্যা করা হয়ছে।ফলে গুরদাসপুর উপজেলাসহ চলনবিলের ১০ টি উপজেলায় দেখা দেয় প্রাকৃতিক মাছের চরম অভাব ।
গুরুদাসপুর উপজেলার সফল মাছ চাষী উদ্যেক্তাদের নিজ উদ্যেগে প্রশাসনিক ও আদালতের সকল বাধা উপেক্ষা করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে অধিক লাভের আশায় বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন উন্নত প্রজাতির মাছ আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে মাছের উৎপাদনে নিরব বিপ্লব ঘটিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে।আজ বিপ্লবী মাছ চাষী উদ্যেক্তাদের সফলতায় মাছ উতপাদনে নাটোর জেলায় শীর্ষে গুরুদাসপুর উপজেলা।
নাটোরের চলনবিলের গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় ৯ টি নদী যথাক্রমে নন্দকুঁজা, আত্রাই,ছোট আত্রাই, গুমানি বেশানি মির্জামামুদ, তুলসি গুড়, বিলকাঠোর , ৩টি খাল এবং ৬ টি বিল থেকে প্রায় একশ মে.টন , ৩০ টি প্লাবন ভূমি থেকে ১০১৬ মে. টন ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২‘শ মে.টন সহ ১০ হাজার মে.টনেরও বেশী মাছ উৎপাদন হয়েছে । যার আর্থিক মূল্য গড়ে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা করে হলে তিন শত কোটি টাকারও বেশী মাছ উতপাদন হচ্ছে। শুধু গুরুদাসপুর উপজেলা থেকেই প্রতি বছরে একমাত্র মাছ উৎপাদনের আয় থেকেই তিন শত কোটি টাকা জাতীয় আয়ের সাথে যুক্ত হচ্ছে। আগামিতে আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।এব্যাপারে গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে গৃহীত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০১৭-১৮ সাল থেকে ২০২১-২২ নাগাদ মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০৬৭২.৩০ মে. টন ।পঞ্চবার্ষিকীর শুরুতে ২০১৭-১৮ সালে মাছের উতপাদন ছিল ৮হাজার ৭৮০ দশমিক ৬৬ টন। কিন্তু বেসরকারী হিসেবে ২০২১-২২ সাল নাগাদ প্রকৃত উৎপাদন ২০ হাজার মে. টনেরও বেশী হয়েছে বলে মাঠ র্পযায়ের জরিপে পাওয়া যায়।
গুরুদাসপুর উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৮ জনের মাছের চাহিদা ৪ হাজার ৫ শত মে. টন । উপজেলা মতস্য দপ্তরের হিসাবে উৎপাদন হচ্ছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলার চাহিদা মেটানোর পরও সাড়ে ১০ হাজার মে.টন উদ্বৃত্ত মাছ ব্যাবসায়ীদের নিজস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ট্রাকে করে চলন্ত চৌবাচ্চার পানিতে জীবন্ত মাছ দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছে । এতে মাছ চাষী এবং ব্যাবসায়ীরা অনেক লাভবান হচ্ছে এবং ব্যাপক র্কমসংস্থান বেড়েছে, কমেছে বেকারত্বের অভিশাপ ।
গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের বিগত দশ বছরের মাছ উৎপাদনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ২০০৮-০৯ সালে ১৪৫০ হেক্টর জলায়তনের ৪১১০টি পুকুরে মাছ উতপাদন ছিল ৬১১০ টন। ২০১০-১১ সালে পুকুর ছিল ৪২৮০ টি, আয়তন ১৪১০ হেক্টর , মাছ উৎপাদন ছিল ৬২৯০ মে.টন । ১১-১২সালে পুকুর ছিল ৪৩২০ টি, আয়তন ১৪৩০ হে , উৎপাদন ৬৫৪২ মে. টন । ১২- ১৩ সালে পুকুর ছিল ৪৫০০ টি, আয়তন ১৪৫০ হে, উৎপাদন ৬৭১৫ মে.টন। ১৩-১৪ সালে পুকুর ছিল ৪৬২০ টি, আয়তন ১৪৮৮ হে, উৎপাদন ৭১৩৪ মে.টন । ১৪-১৫ সালে পুকুর ছিল ৪৬৮৫ টি,আয়তন ১৫২০ হে. উৎপাদন ৭১৭২ মে.টন। ১৫-১৬ সারে পুকুর ছিল ৪৭৩২ টি, আয়তন ১৫৫৮ হে, উৎপাদন ৭২০০ মে. টন। ১৬-১৭ সালে পুকুর ছিল ৪৭৬২ টি, আয়তন ১৫৬১ হে. উৎপাদন ৭২২৫ মে. টন এবং ১৭-১৮ সালে পুকুর সংখ্যা দাঁড়য়িছে ৫৪৩৫ টি যার আয়তন ৮ হাজার হেক্টর , মাছ উৎপাদন হযেছে ৯ হাজার মে.টনেএবং ২০২০-২১ সালে পুকুরের সংখ্যা ১০ হাজারে দাঁড়িয়েছে । জলায়তন ১ হাজার ৪ ‘শ হেক্টর থেকে ৫ গুন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর । মাছের উৎপাদনও বেড়েছে ৩ গুন অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজার মে. টন। উপজেলায় মাছের চাহিদা মেটানোর পরও সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মাছ দেশের অভ্যন্তরীন বাজারে বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে।মৎস্য ও প্রালিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা যায়, গত ১০ বছরে দেশে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ প্রায় শতভাগ বেড়েছে।২০১০ সালের সর্বশেষ খানা জরিপে উঠে এসেছে ,বছরে বাংলাদেশে একজন মানুষ মাত্র ১২ কেজি মাছ খেত। এখন সেটা পৌছেছে ৩০ কেজিতে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা যায়,বাংলাদেশ এখন মাছ চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা পুর্বাভাষ দিয়েছে,২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বে যে ৪ টি দেশ মাছ চাষে বিপুল সাফল্য অর্জন করবে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।ইতোমধ্যে হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রজাতির মাছ এখন গবেষণার মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারিভাবে উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে।

লেখক ঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক। গুরুদাসপুর, নাটোর।

তাড়াশের একমাত্র শহীদ সাংবাদিক ইয়ার মোহাম্মদ 
মা: সন্ধ্যা খাতুন
বাবা: কেয়ামত আলী
জন্ম: সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামে, ৫ মে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ।
মৃত্য: ১৩ নভেম্বর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ।
কর্মজীবন: দোবিলা হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি চলনবিল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা করতেন অধুনালুপ্ত দৈনিক আজাদে। এ ছাড়াও পাবনা থেকে প্রকাশিত ও অধ্যক্ষ এম.এ. হামিদ সম্পাদিত মাসিক ‘ আমাদের দেশ’ পত্রিকায় কাজ করতেন। উল্লেখ্য ‘ আমাদের দেশ’ পত্রিকাটি পাকিস্তানের করাচি থেকে ইংরেজি ভার্সন বের হতো ‘আওয়ার হোম’ নামে।
তিনি বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি করতেন।
১৯৭১ সালে ১১ নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাটে অবস্থানরত অব্দুল লতিফ মির্জা পরিচালিত পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের উপর আক্রমণ করে পাক হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা জবাব দেন। যুদ্ধ চলে ভোর থেকে বিকেল ২.৩০ পর্যন্ত। এ যুদ্ধে পাকহানাদার ও রাজাকার সহ ১৫০ জন নিহত হয়। জীবিত ধরা পরেন ক্যাপ্টেন সেলিম সহ ৫ পাকসেনা। নওগাঁর এ যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় গেরিলা যুদ্ধ।
এ যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর খোঁজে অভিযান চালায় আমবাড়িয়া গ্রামে। বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ১৪ জন মানুষ কে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে। এদের মধ্যে শিক্ষক ও সাংবাদিক ইয়ার মোহাম্মদ অন্যতম। সেই থেকে ১৪ নভেম্বর তাড়াশে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়ে থাকেন।মৃত্যকালে তিনি দুই স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। শহীদ সাংবাদিক ইয়ার মোহাম্মদের স্মৃতির প্রতি রইল অতল শ্রদ্ধা। আমাদের মুক্তির মন্দির সোপানতলে যত প্রাণ বলিদান হয়েছে, সেখানে শহীদ সাংবাদিক ইয়ার মোহাম্মদের রক্ত মিশে আছে। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য যা গর্বের ও অনুপ্রেরণার ।

-সনাতন দাশ
সভাপতি, তাড়াশ প্রেসক্লাব, সিরাজগঞ্জ।

কবিতা
এটাই সবচেয়ে বড় জিহাদ

আবদুর রাজ্জাক রাজু

আমার মাঝেও অহমিকা-অহংকার আছে                                                                                                                            আমার মাঝেও দম্ভ-দাম্ভিকতা আছে ।
আমার মাঝেও ধুর্তামি-ধান্দাবাজি আছে
আমার মাঝেও কালিমা ও মলিনতা আছে।
আমার মাঝেও অবাধ্যতা-অকৃতজ্ঞতা আছে
আমার মাঝেও চালাকি-চাতুর্য আছে ।
আমার মাঝেও নকল আর ভেজাল আছে
আমার মাঝেও ভূয়া-ভন্ডামী আছে।
আমার মাঝেও বিদঘুটে-বিভৎস আছে
আমার মাঝেও নির্দয়-নিষ্ঠুরতা আছে।
আমার মাঝেও নোংরামী- নষ্টামি আছে                                                                                                                              আমার মাঝেও হিংসা-বিদ্বেষ আছে ।                                                                                                                                 আমার মাঝেও কুদৃষ্টি-কুরুচি আছে                                                                                                                                 আমার মাঝেও লোভ-লালসা আছে।
আমার মাঝেও মিথ্যে-অসততা আছে
আমার মাঝেও অশালীন -অসভ্যতা আছে।
আমার মাঝেও বিশ্রী- বেলেহাজ আছে
আমার মাঝেও দুর্নীতি-দুর্বৃত্তপনা আছে।
আমার মাঝেও দুধর্ষ-দুশ্চরিত্র আছে
আমার মাঝেও নিচুতা ও অস্পৃশ্যতা আছে।
আমার মাঝেও নাশোকরী-বিদায়েতী আছে
আমার মধ্যেও ক্ষুদ্রতা-সংকীর্ণতা আছে ।
আমার মধ্যেও বেঈমানী-নাফরমানী আছে                                                                                                                          আমার মধ্যেও নিন্দা-গীবত আছে।
আমার মধ্যেও কদর্য-কদাচার আছে
আমার মধ্যেও বদভ্যাস-বদমেজাজ আছে।
আমার মধ্যেও সুদ-ঘুষ-মজুতদারি আছে
আমার মধ্যেও প্রতারণা- জালিয়াতি আছে।
আমার মধ্যেও চৌর্যবৃত্তি – দুর্বৃত্তি আছে                                                                                                                         আমার মধ্যেও ফাঁকিবাজি – ফন্দিবাজি আছে।
আমার মধ্যেও কূটবুদ্ধি- কুবুদ্ধি আছে                                                                                                                                আমার মধ্যেও কুমতি- দুর্মতি আছে।                                                                                                                         আমার মধ্যেও ইতরামি- ভন্ডামি আছে                                                                                                                     আমার মধ্যেও শত্রুতা – বৈরিতা আছে ।                                                                                                                  আমার মধ্যেও পশুত্ব- অমনুষ্যত্ব আছে                                                                                                                                আমার মধ্যেও বিবেকহীনতা- অন্ধত্ব আছে ।                                                                                                                      আমার মধ্যেও অশিক্ষা – গোঁড়ামী আছে                                                                                                                      আমার মধ্যেও নির্লজ্জতা-অশ্লীলতা আছে।                                                                                                                          আমার মধ্যেও কুফরী- শেরেকী আছে                                                                                                                        আমার মধ্যেও হারামি- মিরজাফরী আছে।                                                                                                                আমার মধ্যেও দূষণ ও কলুষতা আছে
আমার মধ্যেও দীনতা ও হীনতা আছে।
আমার মধ্যেও অন্যায়-অবিচার আছে
আমার মধ্যেও গর্হিত-গøানিকর আছে।                                                                                                                  আমার ভেতরেও গর্ব – দর্প আছে।                                                                                                                            আমার ভেতরেও দমন-পীড়ন আছে                                                                                                                          আমার ভেতরেও অবিশ্বাস-নাস্তিকতা আছে ।                                                                                                            আমার ভেতরেও অধর্ম-বিধর্ম আছে                                                                                                                              আমার ভেতরেও শয়তানি- ইবলিশ আছে।                                                                                                                  আমার ভেতরেও অপরাধ – অনৈতিকতা আছে                                                                                                            আমার ভেতরেও অনুদারতা- কৃপণতা আছে।                                                                                                            আমার ভেতরেও শঠতা – অসাধুতা আছে                                                                                                                  আমার ভেতরেও কুপ্রবৃত্তি -অপবিত্রতা আছে ।                                                                                                              আমার ভেতরেও পাপ-পংকিলতা আছে                                                                                                                        আমার ভেতরেও মাদক ও নেশা আছে ।                                                                                                                        আমার ভেতরেও মূর্খতা -কুপমন্ডুকতা আছে                                                                                                              আমার ভেতরেও নগ্নতা -অশ্লীলতা আছে ।                                                                                                                আমার ভেতরেও ধুর্ততা – বক্রতা আছে                                                                                                                      আমার ভেতরেও কুৎসিত – কদর্য আছে ।                                                                                                                  আমার ভেতরেও ঘৃনা ও অবজ্ঞা আছে                                                                                                                      আমার ভেতরেও ক্রোধ এবং ক্ষোভ আছে ।                                                                                                               আমার ভেতরেও অস্থীরতা- অসহিঞ্চুতা আছে                                                                                                                    আমার ভেতরেও দুর্নাম- কলংক আছে ।
আমার ভেতরেও দুর্বলতা – দুষ্টুমি আছে                                                                                                                     আমার ভেতরেও দালালী ও হারামী আছে ।                                                                                                              আমার ভেতরেও কুমতলব আর বদমেজাজী আছে
আমার ভেতরেও স্বার্থান্ধ -আমিত্ব আছে।                                                                                                                    এমনি করে আমার ও আমাদের মাঝে সব খারাপই আছে                                                                                                সবই পাবে এগুলো যখন জাগ্রত হয়, ক্রিয়াশীল থাকে                                                                                                            তখন মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পায়,নিকৃষ্ট পর্যায়ে যায়
এমনকি কখনো পশুত্বের নীচে চলে যায় ।
আর যখন লুকায়িত, ঘুমন্ত অকার্যকর থাকে
তখন মানবতার উন্মেষ ঘটে, মানবিক পরিচয় মেলে।                                                                                                  অর্থাৎ এ সবের উদ্ভব এবং প্রায়োগিক হলেই অশুভ অমঙ্গল                                                                                       পক্ষান্তরে অবদমিত ও পরাভূত হলে মঙ্গল, কল্যাণ ও শান্তি                                                                                                     তাই এই জয় পরাজয়ের মধ্যেই মানব জীবনের
প্রকৃত চূড়ান্ত সফলতা এবং ব্যর্থতা নিহিত
এটাই সবচেয়ে বড় জিহাদ।

তাড়াশে লোডশেডিং এর
মধ্যেই বিদ্যুতের ভূয়া বিল

স্টাফ রিপোর্টার : অব্যাহত লোড শেডিং এর মধ্যেই তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ভুয়া বিদ্যুত বিল দেয়াও অব্যাহত রয়েছে। এ প্রতিবেদকের নিজ আবাসিক মিটারে এ তেলেসমাতি কর্মকান্ড চলছে গত তিন মাস যাবত। বিগত মে/২৩ মাসে উক্ত মিটারে ৯শ টাকার অধিক বিল করে পবিস। পরে জুন/২৩ মাসে তা ১২শ’র উপরে ওঠে। এরপর জুলাই/ মাসে একই মিটারে প্রায় ১৮ শ টাকার বিল দেয়া হয়। ব্যাপারটি এখানকার ডিজিএমকে জানালে তিনি মিটার মালিকের মোবাইলে এসএমএস করে বিগত তিন মাসের রিডিং বর্ণনা অবগত করেন যা একটি ফন্দিবাজির নামান্তর এবং সেজন্য সেটি আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ উল্লেখ, এর আগে মে/২৩ মাসেও পূর্বের ৫শ টাকা থেকে উর্দ্ধমুখি বিলের বিষয়ে ওই কর্মকর্তাকে অভিযোগ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট লোক পাঠিয়ে “ঘোড়া বুঝ” দেবার চেষ্টা করেন যা তৎক্ষনাৎ নাকোচ করে দেয়া হয়। জানা যায় , প্রতিমাসে এই মিটার মালিকের মতোই বহু পল্লী বিদ্যুত গ্রাহককে বানোয়াট বিল দিয়ে জনতার পকেট মারা হচ্ছে। এটা দেখার কেউ নেই!
মা ছেলের একসাথে এসএসসি পাশ 
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন ইউপি সদস্যা মা লিপি বেগম ও তার ছেলে লিয়াকত হোসেন। মা চক কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং ছেলে নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের এ কৃতিত্বে বিদ্যালয়সহ এলাকার লোকজন উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। লিপি বেগম পার্শ্ববর্তী সিংড়ার সোনাপুর গ্রামের মৃত লোকমান আলীর স্ত্রী। তিনি চামারী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ড সদস্য।
লিপি বেগম জানান, অদম্য ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক আর্থিক দৈন্যতার কারণে লেখাপড়া বেশি দুর হয়নি। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে বিয়ে হয়ে যায়। পরে স্বামীও তাকে লেখাপড়া শেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাংসারিক ব্যস্ততায় তা হয়ে উঠেনি। চার বছর আগে স্বামী মারা গেলে সে স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায়। এ সময় সংসার চালাতে বাড়িতেই দর্জির কাজের পাশাপাশি ছেলের পড়াশুনার তদারকি করতে গিয়ে পুনরায় লেখাপড়ার সাধ জাগে তার। ভেবেচিন্তে শেষমেষ ছেলে নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়লেও তিনি বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে চক কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরীক্ষার ফলাফলে তিনি জিপিএ ৪.৫৪ এবং ছেলে লিয়াকত আলী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এমন ফলাফলে খুশি হয়ে লিপি বেগম বলেন, এবার কলেজে ভর্তি হবো।

ভাঙ্গুড়ায় ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ 
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ মাঠে ‘সওদাগর পাড়া সমাজকল্যাণ সংস্থা’র আয়োজনে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে সমতা থাকায় ট্রাইব্রেকারে সালমান ফুটবল একাদশকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়লাভ করে নজর ফুটবল একাদশ।
এদিন ফাইনাল খেলা দেখার জন্য ভিড় জমায় শত শত দর্শক। খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ রাজশাহী’র বিপিএড শিক্ষার্থী ও ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লার বাসিন্দা শেখ সাখাওয়াত হোসেন (বিএ)। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রফি তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।এসময় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহীম হোসেন ইমরান, কলেজ পাড়া কর্মসংস্থান উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি রাজ রায়হান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কলেজ পাড়া কর্মসংস্থান উন্নয়ন সংস্থার সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক ফুটবলার মনিরুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সলঙ্গায় মহরমের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা 
শাহজাহান আালী, তাড়াশ : সলঙ্গায় ১০ মহরম এর শিক্ষা, ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে আঃ ওয়াহেদ মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল গাফফারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কে এম হেলালের পরিচালনায় দিনব্যাপী মহরমের শিক্ষা,তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা করা হয়। প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছেন মোঃ আঃ আজিজ, দ্বিতীয় হয়েছেন মোঃ মাহদী হাদী তৃতীয় হয়েছেন কে এম ইজাজ মহারমের তাৎপর্য শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছেন সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ শেখ সায়েম, ২য় হয়েছেন মোঃ রুহুল আমিন, ৩য় হয়েছেন মোঃ আদিক আহনাদ। ইমামদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মাওলানা মোঃ আঃ আজিজ, ২য় হয়েছেন মাওলানা মোঃ আবুল কাশেম, ৩য় হয়েছেন মাওলানা মোঃ নুর মোহাম্মাদ।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবকম মাওলানা আঃ গফুর, অধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল হোসেন,মোঃ ফজলুল হক, অধ্যাপক আঃ হাকিম প্রমুখ

সিংড়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি 
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:নাটোরের সিংড়ায় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আলীরাজকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সিংড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভূক্তভোগী সাংবাদিক আনোয়ার হেসেন। তিনি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি। জিডি সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আলীরাজ এর সৎ মা মোছা. নকিরন নেছার মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পর ভূয়া দলিল করে নেয় উপজেলার আগপাড়া সেরকোল গ্রামের মৃত ইয়াতুল্লাহ মোল্লার ছেলে মো. আফছার আলী। তার আগে একই গ্রামের প্রভাবশালী আবজাল সরকার এর মা মোছা.হাবিয়া খাতুন ওই সাংবাদিকের নিজ নামীয় জমিও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল করে নিয়ে পরবর্তীতে মোছা.হাবিয়া খাতুন তার আপন ভাতিজা নুরুল আমিনের নিকট হস্তান্তর করে।
সাংবাদিক আনোয়ার নাটোর দেওয়ানী আদালতে আফছার আলীর দলিল বাতিলের মামলা করেন। ওই মামলা দায়েরের পর বিবাদীগণ তাকে নানাভাবে হয়রানিসহ খুন-জখমের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করা হয়।
গুরুদাসপুরে ভয়াবহ লোডশেডিং
অতিষ্ঠ জনজীবন 
গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রচন্ড গরমে আবারো বেড়ে গেছে লোডশেডিং। দিনরাত মিলিয়ে প্রায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘনঘন লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, অত্যধিক গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় ঘাটতি হচ্ছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুর রশীদ বলেছেন, উপজেলায় বিকেল পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে ১৩ মেগাওয়াট এবং সকালের দিকে সাড়ে ১৫ মেগাওয়াটের কাছে সাড়ে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাপ্লাই পাচ্ছি। যার ফলে দিনে রাতে গড়ে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলেছেন, গড়ে ৮ ঘন্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় লোডশেডিংয়ে ভয়াবহতা আরো বেশি।

উল্লাপাড়ায় বিনোদনের কেন্দ্র কফি হাউজ 
ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এই বর্ষায় বিনোদন আনন্দে পাথার প্রান্তরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত উধুনিয়ায় প্রতিদিন বিকেল শত শত জনতার ভিড় জমছে। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন। কফি হাউজগুলোয় খদ্দেরদের ভিড়ে জমিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। কম পুজিতে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের ভ্রাম্যমাণ দোকানীরা ভালো ব্যবসা করছেন। উল্লাপাড়া উপজেলার পাথার প্রান্ত রের উধুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ( বাংলাপাড়া-উধুনিয়া ) সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সড়ক নির্মাণ করার পর থেকেই বর্ষা মৌসুমে আনন্দ বিনোদনে নানা পেশার জনগণের আড্ডা ভিড় জমছে। এখন সড়কের ধারে তিনটি কফি হাউজ এন্ড রেষ্টুরেন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে জলডাঙ্গা কফি হাউজটি ভাসমান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে আসছেন। অনেকেই গোটা পরিবার নিয়ে আসছেন। এদিকে আনন্দ বিনোদনে আসা জনগণের দিকে খেয়াল রেখে সড়কের ধারে ফুসকা, চটপটিসহ প্রায় গোটা ত্রিশেক দোকান বসেছে। একাধিক দোকানী বলেন রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা অবধি জনগণের ভিড় জমে থাকে। তাদের দোকানগুলোয় বেশ ভলোই কেনাবেচা হয়।
সলঙ্গা বাজার থেকে বেড়াতে আসা হাফিজুর রহমান বলেন, তিনি স্ত্রীসহ পরিবারের ছয় জনকে সাথে নিয়ে এসেছেন। এই বর্ষায় এখানে এসে সময় কাটিয়ে তাদের ভালোই লাগছে বলে জানান। জলডাঙ্গা কফি হাউজ এন্ড রেষ্টুরেন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বকুল হোসেন বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলা তো আছেই বাইরের বিভিন্ন উপজেলা এলাকার জনগণ আসছেন। এরা কফি হাউজগুলোয় পরিবার পরিজন নিয়ে খাওয়া দাওয়ায় সময় কাটিয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। এলাকার জনগন যেকোনো বিষয়ে এখানকার কফি হাউজ ও অন্য দোকানীদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন।

ভাঙ্গুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণে অনিয়ম 
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব বিতরণে অনিয়ম করায় দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফছার আলী রানা ও মাগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কে এম জাকির হোসেনকে এ নোটিশ দেয়া হয়। কারণ দর্শানো নোটিশ সূত্রে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আদম শুমারীতে ব্যবহৃত ট্যাবগুলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই উপজেলায় ২য় পর্য়ায়ে মাদ্রাসা ক্ষেত্রে ১ম হতে ৩য় এবং বিদ্যালয় ক্ষেত্রে ১ম হতে ৫ম মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য তালিকা করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা প্রদত্ত মেধাবীদের তালিকা বিধি মোতাবেক জমা দেন। কিন্তু দিলপাশার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা ও মাগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কে এম জাকির হোসেন মেধাবীদের নামের তালিকা না করে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে ট্যাব বিতরণ করেন। পরে বঞ্চিত মেধাবীদের অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত শেষে মেধাবিদের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পান এবং ওই প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দকৃত বিতরণকৃত ট্যাবগুলি ফিরিয়ে নিয়ে প্রকৃত মেধাবিদের যাচাই বাছাই শেষে মেধাবিদের মাঝে ট্যাব গুলি বিতরণ করা হয়।

গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট
উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলার শীর্ষে 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বাধিক ৪৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলার শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থান দখল করেছে। এছাড়া খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৭ জন এবং চাঁচকৈড় নাজিমউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মশিন্দা শিকারপাড়া সিনিয়র মাদরাসা থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া মহারাজপুর দাখিল মাদরাসা ও চাঁচকৈড় বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ১৯ জন, ধারাবারিষা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন, নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪ জন, এবং রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখা থেকে ১০ জন করে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD