চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ২৬ সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ বৈশাখ ১৪৩১ ১২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

Spread the love

‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ’ – ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আগামীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে সরকারের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কারণেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিএনপি নিজের কর্মকান্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

তীব্র তাপদাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকবে। তবে এরপর যেহেতু শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধ থাকবে টানা সাত দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাশ শুরু হবে। গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দফতরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে ভারতের নির্বাচনে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এ দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। খবর- এনডিটিভি।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।
এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আর ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

তাড়াশে বিভিন্ন সরকারী অফিস চলে “ভারপ্রাপ্ত” দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরের পর বছর ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর চলছে পার্শ্ববর্তী বা অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা “ভারপ্রাপ্ত” কর্মকর্তা বা অ.দ. দিয়ে।
প্রথমেই উল্লেখ্য তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি বিগত তিন বছরের অধিক কাল যাবত তাড়াশে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন । এরপর তাড়াশ উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জনৈক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসে মাসে একবার এসে তাড়াশে অফিস করে প্রক্সি দিয়ে চলেছেন গত এক বছর যাবত। ফলে শত শত কর্মচারীর হাজার হাজার বিল নিয়মিত পেতে অসুবিধা হচ্ছে। একারণে বেড়েছে জটিলতা ও দুর্ভোগ। এরপর তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রসঙ্গ বলা যায়। গত তিন বছর যাবত এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক এবং বর্তমানে কোন স্টাফও নেই। সে কারণে বর্তমানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সম্পূর্ণ জনবলশূন্য। একই কারণে উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ অফিস চলছে রায়গঞ্জের প্রাণী সম্পদ অফিসার দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসেবে।
সবশেষে লক্ষণীয় তাড়াশ পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য প্রায় এক বছর যাবত। এগুলো হচ্ছে পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী। বেলকুচি উপজেলার পৌর প্রকৌশলী তাড়াশে মাঝে মাঝে উক্ত দুই পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।অথচ নতুন ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এই পৌরসভায় সার্বক্ষণিক সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।তাই বলা চলে, অবহেলিত তাড়াশ উপজেলার উল্লেখিত অফিসগুলো ভারপ্রাপ্তদের ওজনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মানে হলো, উক্ত অফিসগুলোতে নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় এগুলোর সেবা সুবিধা হতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া মূখ্য কমকর্তা না থাকায় অফিসগুলো কেমন চলে তা দেখার কেউ নেই। এই সব অফিসে কবে নাগাদ পূর্ণ কর্মকর্তার পদায়ন হবে তা-ও কেউ জানে না। তাড়াশ যে আজো বেশী পিছিয়ে এসবই তার নমূনা।

কোটেশন : “তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ” । — সূরা আলে-ইমরান

তাড়াশ সদরে ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য – প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ সদর সংলগ্ন এবং আশেপাশে পুকুর খননের মাটি বহনের ড্রাম ট্রাক চলছে তাড়াশ সদরের বিভিন্ন সড়কে সারা রাত ধরে। রাতে অফিস-আদালত বন্ধ ও মানুষের চলাচল না থাকায় চৌর্য বৃত্তির আদলে সদরের প্রায় সব সড়কে চুপি চুপি এসব ড্রাম ট্রাকে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ভোররাতে হাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম ট্রাক চালকেরা খুব দ্রæততার সাথে ক্ষীপ্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ পুকুরের মাটি বহন করে চলেছে। একটি দুটি নয় অনেকগুলো ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেটের আকারে সংগোপনে মাটি বহন এর কাজ করে যাচ্ছে। সূর্য ওঠার পূর্বেই সদরের মাটি ভরার কাজ তারা সেরে ফেলে দিয়ে দিনের বেলা বিরত আর লুকিয়ে থাকে। আবার মধ্যরাত থেকে মাটি বাহনের ড্রাম ট্রাকগুলো ছুটে চলে দৈত্যের মতো।
তাদের কেউ ছুঁতেও পারে না। তাদের দৌরাত্ম্য কেউ রুখতেও পারে না। তাদের দাপট ও দম্ভের কাছে সব মহলই ব্যর্থ। কেননা এদের পিছনে রয়েছে সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহল। সবাইকে ম্যানেজ ও নিয়ন্ত্রণ করেই তারা এখন ওপেন সিক্রেটে এই কাজটি করে চলেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকনো মৌসুমের সুবাদে তাড়াশ সদরে ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এটা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। অবৈধ পুকুর খনন এবং ট্রাকে মাটি বহন করে রাস্তাঘাট বিনষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে গরু চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ তাড়াশে বেড়েছে গরু চুরি, চলছে গরু চুরির হিড়িক। মাঝে মাঝেই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামে চারটি ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিক সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, রাতে অন্যান্য দিনের মতো গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা। আর গোয়াল ঘরের ৪টি গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করেন হায়দার। চুরি যাওয়া চারটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। অপরদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার থানা পাড়া মহল্লায় কে এম মোনায়েম হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ২টি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী দুইজন কৃষকই তাড়াশ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গরুর মালিক গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের মূল গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের “তাড়াশ প্রেস ক্লাবের“ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। তাড়াশ পৌর সভার অর্থায়নে ওই গেট নির্মিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক,পৌর কাউন্সিলর শামিম সরকার,বাবু তালুকদার,বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামীম, সাবেক সভাপতি সনাতন দাস, সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল ইসলাম বাদল, শফিউল হক বাবলু, সাব্বির আহম্মেদ, আলহাজ আলী রনি, মৃণাল সরকার মিলু, লুৎফর রহমান, এম এ মাজিদ, মুন্নি আহমেদ, শায়লা পারভীন, হাদিউল ইসলাম হৃদয় ও রেজাউল করিম ঝন্টু।
তাড়াশে অপরাধ প্রতিরোধে
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের অপরাধ প্রতিরোধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাড়াশ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়র ও চেয়ারম্যান বরাবর এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অপরাধ বিবেচনায় বছরের ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবনতার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে গরু চুরি। এ কারণে পাড়া-মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করুন। পুলিশের একার পক্ষে তাড়াশের ১৫৬ টি গ্রামের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও সড়কগুলো পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে তাড়াশের আপামর জনসাধারনের সচেনতা বাড়বে। ফলে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল যাবত তাড়াশে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর অনশনে প্রেমিক পলাতক

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে মহিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে মহিবুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
কলেজ ছাত্রী বলেন, জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহর সঙ্গে তার চার বছরের প্রেমর সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আজ তার বাড়িতে এসেছি। কিন্তু মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনশণ করা কলেজছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা এবং থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশে শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামী কারাগারে

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মারুফ হাসান (১২) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী কাওসার হোসেন (১৯) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মো. কাওসার হোসেন উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বেসরকারি আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মারুফ হাসান অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় কাওসার হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই আসামী কাওসারকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন

আরিফুল ইসলাম ঃ আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ইং শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ’র সভাপতিত্বে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ প্রমূখ৷

সম্পাদকীয়
তাড়াশে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন
প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে সেবা চালু হবে কবে?

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাড়াশ উপজেলা সদরেও গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বা প্রাণী সম্পদ মেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে যখন প্রাণী সম্পদ মেলা চলছিল তার অদূরে পশু হাসপাতাল নামে বহু পরিচিত প্রাণী সম্পদ অফিস ছিল নীরব মৃতপুরী। যদিও আগের দিন সন্ধ্যায় সেখানে আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে। কেননা তাড়াশে পশু-প্রাণী সেবা দেবার বা দেখভালের কেউ নেই। জনবল তথা চিকিৎসক সংকটে বছর জুড়েই ধুঁকছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে বহু লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে। ফল তেমন হচ্ছে না। কারণ এই অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। বড় কথা চিকিৎসক না থাকায় নানা ধরনের প্রাণী ও পশুর চিকিৎসা শুধু ব্যাহতই নয় – বেমালুম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুশকিলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খামারীরা। মানুষ ইদানিং গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার ইত্যাকার স্থানীয় উদ্যোগ-উদ্যোক্তা বেড়ে গেছে সবখানেই। তাড়াশেও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার পশুপালনের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। কারণ এটা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এখন যেকোন গরুর মূল্যই প্রায় লাখ টাকা। আগের দিনে এমনটি ছিল না। এখন একটি গরু অসুস্থ হলে তার পালনকারীও অসুস্থ হয়ে যায়। কারো গরু মারা গেলে সে সাময়িক হলেও ভেঙে পড়ে। কেননা গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি যাই বলুন না কেন সবকিছুর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাই খামারিরা পশু-পাখি পালনের মধ্যে তাদের জীবনের উন্নতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে। এটা তাদেও ভবিষ্যতের আশা জাগানিয়া।
এমনই জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী প্রাণী সম্পদ ক্ষেত্রে যদি কোনো উপজেলায় প্রাণীদের চিকিৎসা ও সেবা তৎপরতা সংকুচিত কিংবা বন্ধ থাকে তা কিভাবে সহনীয় বলে গণ্য হবে। এখনকার দিনে মানুষের যতœ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসাও অনেক গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু এর সাথে অর্থনীতি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য,পুষ্টি নিরাপত্তা ইত্যাদিরও সংযোগ রয়েছে। তাই অতীব জরুরী হল, যেকোন মূল্যে তাড়াশের প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরেনারি হাসপাতাল সদা-সর্বদা চালু তথা সচল-সক্রিয় রাখা। মনে রাখতে হবে, মানুষের মতোই পশু-প্রাণীও কখন অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিছুদিন দেশের অন্য স্থানে ন্যায় তাড়াশেও গবাদি পশুর সংক্রমাক রোগ লাম্পি স্কিন এ অসংখ্য গরু মারা গেল বলা চলে বিনা চিকিৎসায়। এর কারণ একটাই, তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চিকিৎসক শূন্য। এখানে কেরানি, পিয়ন বা সহায়ক স্টাফ গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর পশু হাসপাতালে সংলগ্ন পশু ওষুধের ফার্মেসিগুলোই একমাত্র ভরসা। এসব দোকানীরা ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কতিপয় স্বেচ্ছাসেবী এই সুযোগে ডাক্তার সেজে পাবলিককে তাদের গবাদি পশুর ঔষধ বা ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যা নিরাপদ নয় – বিধিসম্মতও নয় এবং পাবলিক অপাত্রে টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছে উপায় না পেয়ে। অতএব জাতীয় প্রাণী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দ্রæত চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োগ করা হবে – এটাই উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

মন্তব্য কলাম
ধারাবাহিক হত্যা-খুনের ঘটনায় তাড়াশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে
আবদুর রাজ্জাক রাজু

গত ২০২৩ সালে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দিবালোকে চরমপন্থীদের হাতে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন। সর্বহারার পরিচয়ে ¯েøাগান দিয়ে ভোগলমান চারমাথা বাজারে জনসমাগম স্থলে তাকে হত্যা করা হয় সন্ধ্যা বেলা। সে হত্যার প্রকৃত রহস্য আজো অজ্ঞাত। যদিও প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের একজন আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তবুও আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তাকে জীবন দিতে হলো ভালো কাজ করে জনগণের প্রশংসা পাওয়া সত্তে¡ও। এতে তাড়াশ উপজেলায় যে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল বলে মানুষ ভেবে নিয়ে ছিল তা হোঁচট খেল।

এর এক বছর পরেই তাড়াশ উপজেলা সদর প্রামে বিকাশ চন্দ্র সরকার নামে এক বিত্তবান ব্যক্তি ২০২৪ সালে সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাটে। তার সাথে তার স্ত্রী ও একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েকেও যুগপৎ জীবন দিতে হয়। ঘটনার সূত্রে নিহত বিকাশের আপন ভাগ্নেকে পরে আটক কওে পুলিশ। বর্তমান সে কারাগারে অন্তরীণ। মামলা চলমান।
আবার তৃতীয় মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রাণনাশের ঘটনাটি ঘটেছে অতিসম্প্রতি তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামে। এই গ্রামের মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেনের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র শিশু ছেলে মারুফ আহমেদকে (১৪) একই গ্রামের দুর্বৃত্তরা প্রথমে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে স্থানীয় ঝুরঝুরি বাজারের এক মার্কেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। প্রায় সপ্তাহখানেক পর পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে ও আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তাড়াশ উপজেলায় অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর তিনটি নৃশংস খুন এই জনপদের খ্যাতি ও সুনামকে ¤øান করে দিয়েছে। এর বাইরে উপজেলায় প্রায়শ: আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যার শিকার একমাত্র নারীরা । পূর্বে তাড়াশ দস্যু-তস্কর অতঃপর চরমপন্থী বিচরণের লোকালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময় এই থানাকে বলা হত “পানিশমেন্ট জোন” । তাই তখনকার দিনে কেউ সরকারি চাকরিতে বদলি হয়ে এখানে আসতে চাইতো না। স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়ে স্থানীয় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

বলা যায়, অনেক দিন এ উপজেলায় খুন-খারাবী ও রক্তারক্তি ছিল না বললেই চলে। সকলেই যখন নির্ভয়ে ও নিরাপদের ভেতর দিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে এমনই মুহূর্তে উপরোক্ত বড় ধরনের পর পর তিনটি অপরাধজনক প্রাণনাশের ঘটনা আবার এলাকাবাসীর মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা কোথাও হঠাৎ করে জীবন তথা প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটলে গোটা পরিবেশ আতঙ্কিত হয়। সুস্থ সমাজে অসুস্থতা দেখা দেয়। মানুষের মানসিক চেতনা তথা মনজগতে রীতিমতো ছাপ ফেলে, দাগ কাটে। কেননা এই আধুনিক ও আলোকিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখতে চায় না। তাছাড়া যে এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়- সেই লোকালয়কে স্বাভাবিক রূপেই দুর্নাম বহন করতে হয়। এতে ঐ অঞ্চলের মানব ও সমাজ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা জন্মে।আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নরবড়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উপজেলার সর্বত্র। এগুলো এলাকাবাসীর জন্য এক ধরনের লজ্জা ও কলঙ্ক বটে। এই অমানবিক ও পৈশাচিক ঘটনার সংখ্যা বা মাত্রা দিয়ে নয়, এটা ঘটা মানে এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের দিনে প্রযুক্তির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই এমন দুঃসংবাদ দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে ওই এলাকা কেন্দ্র করে সবার খারাপ চিন্তার উদ্রেক করে। এটা বিশেষত আজকের দিনে আদৌ কাম্য নয়। আমরা উন্নয়নে-প্রগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। অমনুষ্যত্বের ও পশুত্বের প্রবণতাকে অবশ্যই দমন করতে হবে। বাইরের মানুষ এসব দেখে ভাবে, এটা ক্রাইম জোন। ভয়াবহ জনপদ। বসবাস কিংবা ব্যবসা বালিজ্যের জন্য এই উপজেলা নিরাপদ নয়। এ রকম কালচার সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। অতীতে আমরা শুনেছি“ যার কপাল মন্দ-সে যায় কামারখন্দ”। অথচ সেই কামারখন্দ এখন তাড়াশের চেয়ে অনেক উন্নত। তাড়াশ একসময় “ত্রাস” নামে গণ্য হতো, মনে হতো এটা অপরাধের অভয়ারণ্য। কিন্তু ইতিহাসের সে কালো যুগ চলে গেছে। এখন অতীতের অপবাদ বা অপমান ঝেড়ে ফেলে আমরা গর্বিত আধুনিক ও মানবিক জীবনচারের অংশীদার।

তাই তাড়াশের নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হবে, এলাকায় সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণে ভূমিকা নেওয়া এবং সর্বোপরি স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাতে সমাজে হিংসা-হানাহানি, শত্রুতা-বৈরিতা এবং উগ্র স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সুনাগরিকের গুনাবলী বিশিষ্ট সভ্য-সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা। তাড়াশে যেন আর কোন একটি হত্যা ও জিঘাংসার দৃষ্টান্ত না দেখা যায়- সে লক্ষ্যে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী শুভবুদ্ধি মনষ্ক মানুষের সক্রিয় সচেষ্ট তৎপড়তা চালাতে হবে। শান্তিপ্রিয় নিরীহ তাড়াশবাসী কোন দুর্নামের ভাগীদার হতে চায় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সহজ-সরল খুব সুন্দর প্রিয় তাড়াশ বার বার কালিমালিপ্ত হোক তা কারো কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “ কেউ যদি একজন মানুষকে হক্যা করল, সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।” তাড়াশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু এলাকায় না ঘটুক সেই দিকে নজর রাখা সবার দরকার।

শিশুর ভবিষ্যৎ রচনায় পিতা-মাতা-শিক্ষকের ভূমিকা
মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন)
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাঃ ০১৭১৯-৩৬২৪৪৪

মানব জীবন স্বাপ্নিক। স্বপ্ন নিয়ে মানব জীবন শুরু হয়। স্বপ্নের স্তর অনুযায়ী একটি শিশুর জন্মের মধ্যে দিয়ে পিতা-মাতা পরিবারের স্বপ্নের ধারা শুরুহয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারিবারিক শিক্ষা একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষক, তার পরিবার ও মাতা-পিতা। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর জীবনে প্রাথমিক বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে থাকে। পারিবারিক শৃংখলা, স্বপ্ন দেখানো, পথ বাতলিয়ে দেয়া, পথ দেখানো তার জীবনে একটি স্বাপ্নিক বাস্তবতার জন্ম দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিশু যখন স্কুলে যাবার উপযুক্ত হয় তখন পারিপার্শ্বিকতা, স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে, সমাজ থেকে জ্ঞান আহরন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকে তার চরিত্রের বুনিয়াদ রচনা করে, পারিবারিক শিক্ষার পরপরই। এর পর শিশুটি যখন শিশু থেকে কৈশরে পদার্পন করে তখন সে পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে দেখাদেখি জ্ঞান আহরন অনুকরন-অনুসরন করতে থাকে।
বিশেষ করে শিশুরা শিশুকালে অধিকতর অনুকরণ প্রিয়। অনুকরণের মধ্যে দিয়ে তার শিক্ষার বুনিয়াদ রচিত হয়। কৈশরের পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর শিক্ষা জীবনকে সমৃদ্ধির পক্ষে স্বার্থকতার পথে এগিয়ে নেয়। বর্তমান সমাজেমাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। শিশুরা মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত, কাটুন দেখায় আসক্ত, টিকটকে আসক্ত। এর মধ্যে দিয়ে শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে অনৈতিকতার প্রভাব পিতা-মাতার ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে ভুলন্ঠিত করছে। সমাজ থেকে মাদকের বিস্তার, মোবাইল আসক্তি ও অনৈতিকতার বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। আগত শিশু যাদের নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের। আজ আমরা শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি শিক্ষক সমাজ।
একজন শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। শিক্ষক মনা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দানের জাতীয় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এখন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে সচেতন হয়ে সমাজ গঠনে আগত শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশ, জাতি, সমাজ গঠনে শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা সমুন্নত থাক। এ প্রত্যাশা..

বোশেখ আসে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

বোশেখ আসে কাল বৈশাখীর – রুদ্র রূপের ঝড়কে নিয়ে
বোশেখ আসে পূরান দিনের – জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে।
বোশেখ আসে ঈশান কোনে – কাল মেঘে দিনের শেষে
বোশেখ আসে শীলাপাতে – নুইয়ে পড়া ধানের শীষে।
বোশেখ আসে বৃষ্টি শেষে – আউশ চাষের দিতে সুযোগ
বোশেখ আসে পাট চাষীদেও – বীজ বোনার তুলতে হুজুগ।
বোশেখ আসে ঝড়ের পরে – আম কুড়ানোর সুখ ছড়িয়ে
বোশেখ আসে তীব্র দাহে – কৃষক কূলের ঘাম ঝরিয়ে।
বোশেখ আসে স্বল্প জলের – ব্যাঙের গলার জোর বাড়াতে
বোশেখ আসে তুফান তুলে – মশার গোষ্ঠী দেশ তাড়াতে।
বোশেখ আসে নববর্ষে – রমনা পার্কে বটের মূলে
বোশেখ আসে ছায়ানটের – সূর সাগরে তরঙ্গ তুলে।
বোশেখ আসে চারুকলার – লিচুতলায় মূখোস পরে
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আসে – ভূত-প্রেতের আকার ধরে।
বোশেখ আসে পান্তাসহ – সংগে থাকে ইলিশ মাছ
বোশেখ আসে গ্রামীণ মেলায় – এক কোণে যার পুতুল নাচ।
বোশেখ আসে ললনার – বৈশাখী শাড়ীর ভাঁজে
বোশেখ আসে গামছা মাথায় – ঘুরে বেড়ানো যুবার মাঝে।
বোশেখ আসে কাঁচা আমের – গন্ধ ভরা স্বাদ চেনাতে
বোশেখ আসে সুন্দরীদেও -মেহেদী রাঙা কোমল হাতে।
বোশেখ আসে পেটুক জনকে – তরমুজ খাওয়ার লোভ দেখাতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে -ভালবাসার ছল শেখাতে।
বোশেখ আসে গঞ্জের হাটে – মহাজনের হালখাতায়
বোশেখ আসে গরম হাওয়ায় – গাছের নীচের ঝরা পাতায়।
বোশেখ আসে বিশ্ব কবির -ছোট্ট নদীর শুকনো কূলে
বোশেখ আসে বাউল গানের – কবিয়ালের বাবরী চূলে।
বোশেখ আসে দূপুর বেলার – বিরহী কোন্ ঘুঘুর ডাকে
বোশেখ আসে বিলের ধাওে – চিল চেঁচানো শিমুল শাখে।
বোশেখ আসে মেলা ফেরত – শিশুর খেলনা বাঁশীর সূরে
বোশেখ আসে আনন্দে ভেসে – তারই ক্ষুদ্র হৃদয় জুড়ে।
বোশেখ আসে নতুন প্রাণে -উদ্দীপনার শিক্ষা নিতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে – উৎসবে মাতিয়ে দিতে।।

তাড়াশে বাবা-ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ
আরিফুল ইসলাম ঃ তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২ নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩ নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো। তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে। আসামিগণ ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫ এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

শাহজাদপুরে শালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বড় চানতারা গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইইপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন চান মোল্লা(৭৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হামলা ও মারপিটে চান মোল্লা গ্রুপের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বড় চানতারার বাড়িতে শালিস বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০), মেয়ে সালমা খাতুন(৪৫),আয়শা খাতুন(২০), সুলতানা খাতুন(৩০) ও শ্যালক ইউসুফ মোল্লা অভিযোগে জানান, বড় চানতারা গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে সোলায়মান ফকিরের(৩৫) সাথে ৯ বছর আগে সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসের আব্দুল্লাহ(৬) ও আব্দুল কাদের(৩) নামের দুইটি ছেলে রেখে আরও দুইটি বিয়ে করে ছোট বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। বড় বউ সুলতানাকে কোনো ভরনপোষণ ও কাপড়চুপড় দেয় না। এবিষয়ে কথা বললে সুলতানাকে মারধর ও নির্যাতন করে। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে মারপিট করে। দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেরে যাওয়ায় সুলতানা ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়। ঈদের ১০/১২ দিন আগে সোলায়মান শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুলতানা আপষ মিমাংসা ছাড়া এভাবে যেতে রাজি না হওয়ায় সোলায়মান তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঈদের আগে ছেলেকে ফেরত পেতে অনেক দৌড় ঝাপ করেও ছেলেকে ফেরত পায় না।
এর মধ্যে সুলতানার ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক আব্দুল মজিদ, ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসায় সন্তান ফেরত ও বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষের সম্মতিতে সুলতানার স্বামী সোলায়মানের চাচা সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বাড়িতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শালিস বৈঠক বসে। এ শালিসের শেষের দিকে সুলতানার ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন মোল্লা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের রায়ের লিখিত চাইলে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এর জের ধরে জিন্নাহর ছেলে, ভাই, ভাতিজা ও লোকজন দুই সেনাবাহিনীর সৈনিক সহ তাদের পক্ষের ১০/১৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধ চাম মোল্লা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বৃদ্ধ চান মোল্লা ঘটনাস্থল ইউপি সদস্য জিন্নাহর বাড়ির উঠনে ঢলে পড়ে মারা যায়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ৫ লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নিহতের স্বজনেরা রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ এদিন রাত ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা ঘাতক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির সহ সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির মোবাইল ফোনে জানায়, শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসিত হওয়ার পরেও সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটিছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল ফোনে এতো কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুুপুরে নিহতের বড় ছেলে লালন মোল্লা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে এদিন সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামীরা সব বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আশাকরি অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

রায়গঞ্জে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: ‘বন্ধু, কী খবর বল?’ দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয়জীবনের মজার স্মৃতির কথায়।নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ ¯েøাগান সামনে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক গোলজার হোসেন ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. পিয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন প্রাক্তন ছাত্র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার। প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান খ ম রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, একটি বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদী আলমাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ‘শেষ জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সোহেলী আক্তার বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। ফুচকা, আইসক্রিম, চা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

নন্দীগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডাঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গরমে ঝরছে আমের গুটি – শঙ্কায় চাষীরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ দেশের আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সব উপজেলার মধ্যে তাড়াশ চলনবিল একটি সব ধরনের অধ্যায় সম্প্রতি প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে পানি শূন্যতায় ব্যাপক হারে মাটিতে ঝরে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের আমের গুটি। তীব্র খরা আর টানা বৃষ্টিহীনতায় শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল ও ডোবাগুলো।
সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপদাহে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন্নআয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পূরনো পুকুর খাল ও ডোবাগুলো দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কারের অভাবে পানির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রচন্ড রোদ ও গরমের কারণে আগে থেকেই সেচের কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাগানে গাছের গোড়ায় পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়েছে গাছের আম। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে এবার আম গাছে কম এসেছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতায় মুকুল দেরিতে আসা এবং কিছু এলাকায় অসময়ে বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুল ও গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে আম চাষিরা বিশেষভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে সূর্যের তাপের আধিক্য বেশি হওয়ায় আম ঝরে পড়া রোধ করতে না পারায় হতাশা ও শঙ্কায় দিন পার করছেন আম বাগান মালিকরা।

শাহজাদপুরে সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার
৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেতু ভেঙে আশপাশের আট গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত দেড় বছর ধরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামের ফুলছড়ি খালের ওপর নির্মিত ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের কাছে ফুলছড়ি খালের ওপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করা হয়। গত ২০২২ সালের বর্ষার শুরুতেই পানির চাপে সেতুটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে । এ কাশীনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পাঁচটি বিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা ও একটি এতিমখানা।চকহরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুতে ওঠানামা করার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এ সাঁকো থাকায় ওই ভাঙা সেতুটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সেতুটি পারাপার হতে কষ্ট হয়। বর্ষার আগেই সেতুটি সংস্কার না করা হলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সড়াতৈল গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে এলাকার ধান-চাল, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, অন্তঃসত্ত¡া, শিশু ও বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যা হয়।স্থানীয় সায়েস্তাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে ভাঙা সেতুতে উঠে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পারপার হতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অসংখ্যবার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও কোনো কাজ হয়নি।এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই ওই ভাঙা সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে একটি নতুন দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ চলনবিলের জনজীবন

জি,এম স্বপ্না ঃ প্রখর রোদ,প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চলনবিলের জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তয় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। বয়:বৃদ্ধ-শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস। নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি চলনবিলের সর্বত্র।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচন্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। সলঙ্গার রিকশাচালক কফিল উদ্দিন (৫৭) বলেন, একে তো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। চলনবিলের সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়, প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না।এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ মেলা বসলেও
প্রাণীসম্পদ অফিসে প্রাণী সেবা-চিকিতসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তাড়াশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আজিজ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. অলি উল্লাহ্, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল প্রমূখ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। বিশেষ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় রায়গঞ্জের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কোনরকমে নামেমাত্র অফিস চালানো হচ্ছে। ফলে তাড়াশের জনগনের এক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে।

তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

লুৎফর রহমান ঃ সারা দেশের যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৭ এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌরসভা মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল আল মামুন,উপ পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কুমার, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপাসহ বিভিন্ন দফতরে দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আজ ১৭ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

তাড়াশে দুই সেতু ভাঙা
দুর্ঘটনার আশংকা সার্বক্ষণিক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি সেতুর ছাদের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান দিয়ে রেখেছেন লোকজন সেখানে। ভাঙা সেতুটি হাড়িসোনা গ্রামীণ সড়কের টাগড়া সেতু নামে পরিচিত। এ সড়কের ঝলপিগাড়ী সেতু নামে আরো একটি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড বেড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
টাগড়া গ্রামের ওসমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, চাকরির সুবাদে নিয়মিত হারিসোনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। এক সড়কের দুই সেতুর অবস্থা বেহাল। সাবধানতার সাথে যাতায়াত না করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাগড়া গ্রামের ইছমাইল, মান্নান, রশিদ, ছালাম ও রাজ্জাক ভাঙা সেতু দুইটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে নিবিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভাঙা সেতুটিতে লাল নিশান উড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাগড়া সেতুর ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে তাকালে পানি দেখা যায়। ছাদের ঢালাই খুলে পড়ে লোহার রড়গুলো বেড়িয়ে আছে। দুইটি বাঁশ রডের সাথে বেঁধে বাঁশের আগায় লাল কাপড় দিয়ে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজন নিরুপায় হয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ঝলপিগাড়ি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড় দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, হারিসোনা সড়কটি গ্রামীণ সড়ক বটে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। শালিয়া গাড়ি নিমগাছি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যান। রানীহাট হয়ে বগুড়া শহরে যান। ভবানীপুর হয়েও বগুড়া শহরে যাওয়া-আসা করেন লোকজন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ভাঙা সেতুটির বিষয়ে জানা ছিলনা। শিগগিরই মেরামত করে দেওয়া হবে।

কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ
ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম। এর আগে সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গত বুধবার পাবনা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পাবনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেমসহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।তামান্না তাবাসসুম উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তিতুমীর জিহাদীর মেয়ে। তামান্না তাবাসসুম তার এই কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সে জানায়,আগামী ২২ এপ্রিল বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়েও বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন।

রায়গঞ্জে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জি,এম স্বপ্না ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে মাইটিভির ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা প্রতিনিধি এইচ এম মোনায়েম খান ও চলনবিল প্রতিনিধি সনাতন দাসের আয়োজনে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও কেক কেটে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
রায়গঞ্জ প্রেসক্লবের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গার মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ। এ সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ড. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার,রায়গঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজেদুল আলম,যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি টি এম কামরুজ্জান লাবু,সহ সভাপতি আবু হাসেম মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসী,সাংবাদিক দীপক কুমার কর,স.ম আব্দুস সাত্তার, আতিক মাহমুদ আকাশ,আবুল কালাম আজাদ,খোরশেদ আলম,প্রতিদিনের দৃশ্যপটের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক নয়নসহ রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।

সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ : কর্তৃপক্ষ নিরব

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন নিরব,এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছেন না এমনটাই মন্তব্য ভুক্তভোগী পথচারীদের। এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর নয়াপাড়া আঞ্চলিক কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীঘদিন ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এই রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের অন্ততঃ শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন আগে নয়াপাড়ার আব্দুস সালাম রাস্তাটির অন্তত সিংহভাগ দখল করে একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তির পরও সে ভবনের কাজ অব্যাহত রাখেন।এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুফল পাচ্ছে না। উল্লাপাড়ার তৎকালিন ইউএনও উজ্জল হোসেনের সরেজমিন তদন্তে সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে ভবনটি ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুস সালামের ভবনটি। উল্টো ভুমিগ্রাসী আব্দুস সালাম হয়রানীমুলক,মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উপর ২টি মামলা দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই এলাকায় উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও উল্লাপাড়াসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি রাস্তা থেকে ভবন সরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দাম বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্যের

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। শনিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু, অসুস্থতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ।

তাড়াশে নতুন সামাজিক প্রথা
গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগি

বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সদ্যগত ঈদুল ফিতরে ব্যাপক সারা ফেলেছে গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করা। গ্রাম, গঞ্জ ও শহরের বেশীরভাগ লোকজন এ গোস্ত দিয়ে খাওয়ার চাহিদা মেটায় ঈদে। এতে যেমন ভালো মানের গোস্ত পাওয়া যায়, বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দামেও কম পড়ে বলে জানিয়েছেন গোস্ত সমিতির অনেকে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করে নেওয়া একটি কার্যকর পন্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের কাসেম আলী নামে এক জন গোস্ত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রামে একাধিক গোস্ত সমিতি রয়েছে। আমাদের সমিতিতে মাসে প্রত্যেকে ২০০ করে টাকা জমিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে ঈদের আগের দিন গোস্ত ভাগাভাগি করে নিয়েছি।ভাদাস গোস্ত সমিতির রাহেলা খাতুন নামে একজন সদস্য বলেন, আমি মাসে মাসে টাকা জমিয়ে এক দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকার গোস্ত পেয়েছি। সমিতি না থাকলে এত টাকার গোস্ত কেনার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। জানা গেছে, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া, হামকুড়িয়া, ঘরগ্রাম, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর, পওতা, পেঙ্গুয়ারি, কাজিপুর, বারুহাস গ্রাম, মাধাইনগড় ইউনিয়নের ধানকুন্টি, গুয়ারাখি, বিলাশপুর গ্রাম, নওগাঁ ইউনিয়েনের খালকুলা, মহিষলুটি, ললুয়াকন্দি গ্রাম, তালম ইউনিয়নের পাড়িল, বরইচড়া, গোন্তা গ্রাম, তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল, সোলাপাড়াসহ আরো অনেক গ্রামে গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগির গরু জবাই করেন লোকজন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, গোস্তের বাজারে ব্যবসায়িদের কারসাজি ভাঙতে প্রতিটি গ্রামে গোস্ত সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় গোস্তের দোকানে চাপ কমবে। তখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশী দামে গোস্ত বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবেনা ব্যবসায়িদের।

মে মাস জুড়েও থাকবে তীব্র গরম

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। সারাদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের ত্বক পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক।

গুরুদাসপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: “প্রানি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে দিনব্যাপী প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে। দুপুরে ফিতা কেটে প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে দেশব্যপি ওই মেলার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রানিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে ওই প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন খামারি ও প্রাণি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকাল বেলা তাড়াশ পৌর শিশু পার্কে হাজারো লোকজনের ঘোরাঘুরি উৎসব প্রিয়দের ঈদের এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়।এদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি চলনবিল অধ্যূষিত তাড়শের কুন্দইল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ১০ নং সেতুতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শাহালম বলেন, ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেল পৌর শিশু পার্কে ঘুরে। ছোট মেয়ে আসফিয়া চরকিতে বসে খুব মজা পেয়েছে। রাকিবুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলেন, আমি বিনসাড়া গ্রাম থেকে এসেছি। দোলনায় চড়েছি, নাগড়দোলায় উঠেছি ও ট্রেনে চড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।অপরদিকে রাজিব আহমেদ, ইশতিয়াক হোসেন, কামরুল ইসলাম, আয়শা খাতুন ও রাবেয়া পারভিন বলেন, ঈদের বিকেলটা নৈস্বর্গিক। চলনবিলের বুক জুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে সবুজ বোরো ধান ও মুক্ত বাতাশ। বিশেষ দিনগুলোয় এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকা ঘুরে-ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শিশু পার্কের সবুজ বনায়ন চত্বরের মাঠ লোকজনের ভীরে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরসহ সব বয়সি লোকজন এক সাথে। শিশু-কিশোররা দোলনা, নাগড়দোলা, ট্রেন ও চরকিতে চড়ে আনন্দ করছে। তবে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের উপস্থিতি ছিলো কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করতে যথা সাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই তাড়াশ পৌর শিশু পার্ক পরিপূর্ণ বিনোদন উপযোগী করে তোলা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংখ্যা ২৬ সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ বৈশাখ ১৪৩১ ১২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ
বিজ্ঞাপন টপের তিনটা ও পিউ মেডিকেল
সব নিউজের ছবি আছে

নিউজ বাদ দিলে কম গুরুত্বপূর্ণ খেয়াল করতে হবে
পাতা-১
‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ’ – ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আগামীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে সরকারের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কারণেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিএনপি নিজের কর্মকান্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

তীব্র তাপদাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকবে। তবে এরপর যেহেতু শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধ থাকবে টানা সাত দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাশ শুরু হবে। গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দফতরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে ভারতের নির্বাচনে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এ দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। খবর- এনডিটিভি।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।
এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আর ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

তাড়াশে বিভিন্ন সরকারী অফিস চলে “ভারপ্রাপ্ত” দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরের পর বছর ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর চলছে পার্শ্ববর্তী বা অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা “ভারপ্রাপ্ত” কর্মকর্তা বা অ.দ. দিয়ে।
প্রথমেই উল্লেখ্য তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি বিগত তিন বছরের অধিক কাল যাবত তাড়াশে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন । এরপর তাড়াশ উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জনৈক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসে মাসে একবার এসে তাড়াশে অফিস করে প্রক্সি দিয়ে চলেছেন গত এক বছর যাবত। ফলে শত শত কর্মচারীর হাজার হাজার বিল নিয়মিত পেতে অসুবিধা হচ্ছে। একারণে বেড়েছে জটিলতা ও দুর্ভোগ। এরপর তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রসঙ্গ বলা যায়। গত তিন বছর যাবত এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক এবং বর্তমানে কোন স্টাফও নেই। সে কারণে বর্তমানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সম্পূর্ণ জনবলশূন্য। একই কারণে উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ অফিস চলছে রায়গঞ্জের প্রাণী সম্পদ অফিসার দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসেবে।
সবশেষে লক্ষণীয় তাড়াশ পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য প্রায় এক বছর যাবত। এগুলো হচ্ছে পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী। বেলকুচি উপজেলার পৌর প্রকৌশলী তাড়াশে মাঝে মাঝে উক্ত দুই পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।অথচ নতুন ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এই পৌরসভায় সার্বক্ষণিক সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তাই বলা চলে, অবহেলিত তাড়াশ উপজেলার উল্লেখিত অফিসগুলো ভারপ্রাপ্তদের ওজনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মানে হলো, উক্ত অফিসগুলোতে নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় এগুলোর সেবা সুবিধা হতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া মূখ্য কমকর্তা না থাকায় অফিসগুলো কেমন চলে তা দেখার কেউ নেই। এই সব অফিসে কবে নাগাদ পূর্ণ কর্মকর্তার পদায়ন হবে তা-ও কেউ জানে না। তাড়াশ যে আজো বেশী পিছিয়ে এসবই তার নমূনা।

 

কোটেশন : “তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ” । — সূরা আলে-ইমরান

তাড়াশ সদরে ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য – প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ সদর সংলগ্ন এবং আশেপাশে পুকুর খননের মাটি বহনের ড্রাম ট্রাক চলছে তাড়াশ সদরের বিভিন্ন সড়কে সারা রাত ধরে। রাতে অফিস-আদালত বন্ধ ও মানুষের চলাচল না থাকায় চৌর্য বৃত্তির আদলে সদরের প্রায় সব সড়কে চুপি চুপি এসব ড্রাম ট্রাকে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ভোররাতে হাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম ট্রাক চালকেরা খুব দ্রæততার সাথে ক্ষীপ্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ পুকুরের মাটি বহন করে চলেছে। একটি দুটি নয় অনেকগুলো ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেটের আকারে সংগোপনে মাটি বহন এর কাজ করে যাচ্ছে। সূর্য ওঠার পূর্বেই সদরের মাটি ভরার কাজ তারা সেরে ফেলে দিয়ে দিনের বেলা বিরত আর লুকিয়ে থাকে। আবার মধ্যরাত থেকে মাটি বাহনের ড্রাম ট্রাকগুলো ছুটে চলে দৈত্যের মতো।
তাদের কেউ ছুঁতেও পারে না। তাদের দৌরাত্ম্য কেউ রুখতেও পারে না। তাদের দাপট ও দম্ভের কাছে সব মহলই ব্যর্থ। কেননা এদের পিছনে রয়েছে সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহল। সবাইকে ম্যানেজ ও নিয়ন্ত্রণ করেই তারা এখন ওপেন সিক্রেটে এই কাজটি করে চলেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকনো মৌসুমের সুবাদে তাড়াশ সদরে ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এটা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। অবৈধ পুকুর খনন এবং ট্রাকে মাটি বহন করে রাস্তাঘাট বিনষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে গরু চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ তাড়াশে বেড়েছে গরু চুরি, চলছে গরু চুরির হিড়িক। মাঝে মাঝেই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামে চারটি ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিক সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, রাতে অন্যান্য দিনের মতো গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা। আর গোয়াল ঘরের ৪টি গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করেন হায়দার। চুরি যাওয়া চারটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। অপরদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার থানা পাড়া মহল্লায় কে এম মোনায়েম হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ২টি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী দুইজন কৃষকই তাড়াশ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গরুর মালিক গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের মূল গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের “তাড়াশ প্রেস ক্লাবের“ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। তাড়াশ পৌর সভার অর্থায়নে ওই গেট নির্মিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক,পৌর কাউন্সিলর শামিম সরকার,বাবু তালুকদার,বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামীম, সাবেক সভাপতি সনাতন দাস, সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল ইসলাম বাদল, শফিউল হক বাবলু, সাব্বির আহম্মেদ, আলহাজ আলী রনি, মৃণাল সরকার মিলু, লুৎফর রহমান, এম এ মাজিদ, মুন্নি আহমেদ, শায়লা পারভীন, হাদিউল ইসলাম হৃদয় ও রেজাউল করিম ঝন্টু।
তাড়াশে অপরাধ প্রতিরোধে
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের অপরাধ প্রতিরোধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাড়াশ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়র ও চেয়ারম্যান বরাবর এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অপরাধ বিবেচনায় বছরের ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবনতার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে গরু চুরি। এ কারণে পাড়া-মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করুন। পুলিশের একার পক্ষে তাড়াশের ১৫৬ টি গ্রামের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও সড়কগুলো পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে তাড়াশের আপামর জনসাধারনের সচেনতা বাড়বে। ফলে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল যাবত তাড়াশে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর অনশনে প্রেমিক পলাতক

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে মহিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে মহিবুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
কলেজ ছাত্রী বলেন, জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহর সঙ্গে তার চার বছরের প্রেমর সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আজ তার বাড়িতে এসেছি। কিন্তু মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনশণ করা কলেজছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা এবং থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশে শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামী কারাগারে

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মারুফ হাসান (১২) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী কাওসার হোসেন (১৯) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মো. কাওসার হোসেন উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বেসরকারি আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মারুফ হাসান অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় কাওসার হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই আসামী কাওসারকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন

আরিফুল ইসলাম ঃ আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ইং শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ’র সভাপতিত্বে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ প্রমূখ৷

পাতা-২

সম্পাদকীয়
তাড়াশে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন
প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে সেবা চালু হবে কবে?

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাড়াশ উপজেলা সদরেও গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বা প্রাণী সম্পদ মেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে যখন প্রাণী সম্পদ মেলা চলছিল তার অদূরে পশু হাসপাতাল নামে বহু পরিচিত প্রাণী সম্পদ অফিস ছিল নীরব মৃতপুরী। যদিও আগের দিন সন্ধ্যায় সেখানে আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে। কেননা তাড়াশে পশু-প্রাণী সেবা দেবার বা দেখভালের কেউ নেই। জনবল তথা চিকিৎসক সংকটে বছর জুড়েই ধুঁকছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে বহু লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে। ফল তেমন হচ্ছে না। কারণ এই অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। বড় কথা চিকিৎসক না থাকায় নানা ধরনের প্রাণী ও পশুর চিকিৎসা শুধু ব্যাহতই নয় – বেমালুম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুশকিলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খামারীরা। মানুষ ইদানিং গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার ইত্যাকার স্থানীয় উদ্যোগ-উদ্যোক্তা বেড়ে গেছে সবখানেই। তাড়াশেও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার পশুপালনের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। কারণ এটা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এখন যেকোন গরুর মূল্যই প্রায় লাখ টাকা। আগের দিনে এমনটি ছিল না। এখন একটি গরু অসুস্থ হলে তার পালনকারীও অসুস্থ হয়ে যায়। কারো গরু মারা গেলে সে সাময়িক হলেও ভেঙে পড়ে। কেননা গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি যাই বলুন না কেন সবকিছুর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাই খামারিরা পশু-পাখি পালনের মধ্যে তাদের জীবনের উন্নতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে। এটা তাদেও ভবিষ্যতের আশা জাগানিয়া।
এমনই জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী প্রাণী সম্পদ ক্ষেত্রে যদি কোনো উপজেলায় প্রাণীদের চিকিৎসা ও সেবা তৎপরতা সংকুচিত কিংবা বন্ধ থাকে তা কিভাবে সহনীয় বলে গণ্য হবে। এখনকার দিনে মানুষের যতœ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসাও অনেক গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু এর সাথে অর্থনীতি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য,পুষ্টি নিরাপত্তা ইত্যাদিরও সংযোগ রয়েছে। তাই অতীব জরুরী হল, যেকোন মূল্যে তাড়াশের প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরেনারি হাসপাতাল সদা-সর্বদা চালু তথা সচল-সক্রিয় রাখা। মনে রাখতে হবে, মানুষের মতোই পশু-প্রাণীও কখন অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিছুদিন দেশের অন্য স্থানে ন্যায় তাড়াশেও গবাদি পশুর সংক্রমাক রোগ লাম্পি স্কিন এ অসংখ্য গরু মারা গেল বলা চলে বিনা চিকিৎসায়। এর কারণ একটাই, তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চিকিৎসক শূন্য। এখানে কেরানি, পিয়ন বা সহায়ক স্টাফ গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর পশু হাসপাতালে সংলগ্ন পশু ওষুধের ফার্মেসিগুলোই একমাত্র ভরসা। এসব দোকানীরা ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কতিপয় স্বেচ্ছাসেবী এই সুযোগে ডাক্তার সেজে পাবলিককে তাদের গবাদি পশুর ঔষধ বা ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যা নিরাপদ নয় – বিধিসম্মতও নয় এবং পাবলিক অপাত্রে টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছে উপায় না পেয়ে। অতএব জাতীয় প্রাণী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দ্রæত চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োগ করা হবে – এটাই উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

মন্তব্য কলাম
ধারাবাহিক হত্যা-খুনের ঘটনায় তাড়াশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে
আবদুর রাজ্জাক রাজু

গত ২০২৩ সালে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দিবালোকে চরমপন্থীদের হাতে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন। সর্বহারার পরিচয়ে ¯েøাগান দিয়ে ভোগলমান চারমাথা বাজারে জনসমাগম স্থলে তাকে হত্যা করা হয় সন্ধ্যা বেলা। সে হত্যার প্রকৃত রহস্য আজো অজ্ঞাত। যদিও প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের একজন আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তবুও আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তাকে জীবন দিতে হলো ভালো কাজ করে জনগণের প্রশংসা পাওয়া সত্তে¡ও। এতে তাড়াশ উপজেলায় যে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল বলে মানুষ ভেবে নিয়ে ছিল তা হোঁচট খেল।

এর এক বছর পরেই তাড়াশ উপজেলা সদর প্রামে বিকাশ চন্দ্র সরকার নামে এক বিত্তবান ব্যক্তি ২০২৪ সালে সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাটে। তার সাথে তার স্ত্রী ও একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েকেও যুগপৎ জীবন দিতে হয়। ঘটনার সূত্রে নিহত বিকাশের আপন ভাগ্নেকে পরে আটক কওে পুলিশ। বর্তমান সে কারাগারে অন্তরীণ। মামলা চলমান।
আবার তৃতীয় মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রাণনাশের ঘটনাটি ঘটেছে অতিসম্প্রতি তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামে। এই গ্রামের মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেনের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র শিশু ছেলে মারুফ আহমেদকে (১৪) একই গ্রামের দুর্বৃত্তরা প্রথমে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে স্থানীয় ঝুরঝুরি বাজারের এক মার্কেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। প্রায় সপ্তাহখানেক পর পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে ও আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তাড়াশ উপজেলায় অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর তিনটি নৃশংস খুন এই জনপদের খ্যাতি ও সুনামকে ¤øান করে দিয়েছে। এর বাইরে উপজেলায় প্রায়শ: আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যার শিকার একমাত্র নারীরা । পূর্বে তাড়াশ দস্যু-তস্কর অতঃপর চরমপন্থী বিচরণের লোকালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময় এই থানাকে বলা হত “পানিশমেন্ট জোন” । তাই তখনকার দিনে কেউ সরকারি চাকরিতে বদলি হয়ে এখানে আসতে চাইতো না। স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়ে স্থানীয় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

বলা যায়, অনেক দিন এ উপজেলায় খুন-খারাবী ও রক্তারক্তি ছিল না বললেই চলে। সকলেই যখন নির্ভয়ে ও নিরাপদের ভেতর দিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে এমনই মুহূর্তে উপরোক্ত বড় ধরনের পর পর তিনটি অপরাধজনক প্রাণনাশের ঘটনা আবার এলাকাবাসীর মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা কোথাও হঠাৎ করে জীবন তথা প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটলে গোটা পরিবেশ আতঙ্কিত হয়। সুস্থ সমাজে অসুস্থতা দেখা দেয়। মানুষের মানসিক চেতনা তথা মনজগতে রীতিমতো ছাপ ফেলে, দাগ কাটে। কেননা এই আধুনিক ও আলোকিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখতে চায় না। তাছাড়া যে এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়- সেই লোকালয়কে স্বাভাবিক রূপেই দুর্নাম বহন করতে হয়। এতে ঐ অঞ্চলের মানব ও সমাজ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা জন্মে।আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নরবড়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উপজেলার সর্বত্র। এগুলো এলাকাবাসীর জন্য এক ধরনের লজ্জা ও কলঙ্ক বটে। এই অমানবিক ও পৈশাচিক ঘটনার সংখ্যা বা মাত্রা দিয়ে নয়, এটা ঘটা মানে এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের দিনে প্রযুক্তির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই এমন দুঃসংবাদ দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে ওই এলাকা কেন্দ্র করে সবার খারাপ চিন্তার উদ্রেক করে। এটা বিশেষত আজকের দিনে আদৌ কাম্য নয়। আমরা উন্নয়নে-প্রগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। অমনুষ্যত্বের ও পশুত্বের প্রবণতাকে অবশ্যই দমন করতে হবে। বাইরের মানুষ এসব দেখে ভাবে, এটা ক্রাইম জোন। ভয়াবহ জনপদ। বসবাস কিংবা ব্যবসা বালিজ্যের জন্য এই উপজেলা নিরাপদ নয়। এ রকম কালচার সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। অতীতে আমরা শুনেছি“ যার কপাল মন্দ-সে যায় কামারখন্দ”। অথচ সেই কামারখন্দ এখন তাড়াশের চেয়ে অনেক উন্নত। তাড়াশ একসময় “ত্রাস” নামে গণ্য হতো, মনে হতো এটা অপরাধের অভয়ারণ্য। কিন্তু ইতিহাসের সে কালো যুগ চলে গেছে। এখন অতীতের অপবাদ বা অপমান ঝেড়ে ফেলে আমরা গর্বিত আধুনিক ও মানবিক জীবনচারের অংশীদার।

তাই তাড়াশের নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হবে, এলাকায় সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণে ভূমিকা নেওয়া এবং সর্বোপরি স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাতে সমাজে হিংসা-হানাহানি, শত্রুতা-বৈরিতা এবং উগ্র স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সুনাগরিকের গুনাবলী বিশিষ্ট সভ্য-সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা। তাড়াশে যেন আর কোন একটি হত্যা ও জিঘাংসার দৃষ্টান্ত না দেখা যায়- সে লক্ষ্যে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী শুভবুদ্ধি মনষ্ক মানুষের সক্রিয় সচেষ্ট তৎপড়তা চালাতে হবে। শান্তিপ্রিয় নিরীহ তাড়াশবাসী কোন দুর্নামের ভাগীদার হতে চায় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সহজ-সরল খুব সুন্দর প্রিয় তাড়াশ বার বার কালিমালিপ্ত হোক তা কারো কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “ কেউ যদি একজন মানুষকে হক্যা করল, সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।” তাড়াশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু এলাকায় না ঘটুক সেই দিকে নজর রাখা সবার দরকার।

শিশুর ভবিষ্যৎ রচনায় পিতা-মাতা-শিক্ষকের ভূমিকা
মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন)
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাঃ ০১৭১৯-৩৬২৪৪৪

মানব জীবন স্বাপ্নিক। স্বপ্ন নিয়ে মানব জীবন শুরু হয়। স্বপ্নের স্তর অনুযায়ী একটি শিশুর জন্মের মধ্যে দিয়ে পিতা-মাতা পরিবারের স্বপ্নের ধারা শুরুহয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারিবারিক শিক্ষা একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষক, তার পরিবার ও মাতা-পিতা। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর জীবনে প্রাথমিক বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে থাকে। পারিবারিক শৃংখলা, স্বপ্ন দেখানো, পথ বাতলিয়ে দেয়া, পথ দেখানো তার জীবনে একটি স্বাপ্নিক বাস্তবতার জন্ম দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিশু যখন স্কুলে যাবার উপযুক্ত হয় তখন পারিপার্শ্বিকতা, স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে, সমাজ থেকে জ্ঞান আহরন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকে তার চরিত্রের বুনিয়াদ রচনা করে, পারিবারিক শিক্ষার পরপরই। এর পর শিশুটি যখন শিশু থেকে কৈশরে পদার্পন করে তখন সে পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে দেখাদেখি জ্ঞান আহরন অনুকরন-অনুসরন করতে থাকে।
বিশেষ করে শিশুরা শিশুকালে অধিকতর অনুকরণ প্রিয়। অনুকরণের মধ্যে দিয়ে তার শিক্ষার বুনিয়াদ রচিত হয়। কৈশরের পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর শিক্ষা জীবনকে সমৃদ্ধির পক্ষে স্বার্থকতার পথে এগিয়ে নেয়। বর্তমান সমাজেমাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। শিশুরা মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত, কাটুন দেখায় আসক্ত, টিকটকে আসক্ত। এর মধ্যে দিয়ে শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে অনৈতিকতার প্রভাব পিতা-মাতার ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে ভুলন্ঠিত করছে। সমাজ থেকে মাদকের বিস্তার, মোবাইল আসক্তি ও অনৈতিকতার বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। আগত শিশু যাদের নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের। আজ আমরা শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি শিক্ষক সমাজ।
একজন শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। শিক্ষক মনা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দানের জাতীয় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এখন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে সচেতন হয়ে সমাজ গঠনে আগত শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশ, জাতি, সমাজ গঠনে শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা সমুন্নত থাক। এ প্রত্যাশা..

বোশেখ আসে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

বোশেখ আসে কাল বৈশাখীর – রুদ্র রূপের ঝড়কে নিয়ে
বোশেখ আসে পূরান দিনের – জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে।
বোশেখ আসে ঈশান কোনে – কাল মেঘে দিনের শেষে
বোশেখ আসে শীলাপাতে – নুইয়ে পড়া ধানের শীষে।
বোশেখ আসে বৃষ্টি শেষে – আউশ চাষের দিতে সুযোগ
বোশেখ আসে পাট চাষীদেও – বীজ বোনার তুলতে হুজুগ।
বোশেখ আসে ঝড়ের পরে – আম কুড়ানোর সুখ ছড়িয়ে
বোশেখ আসে তীব্র দাহে – কৃষক কূলের ঘাম ঝরিয়ে।
বোশেখ আসে স্বল্প জলের – ব্যাঙের গলার জোর বাড়াতে
বোশেখ আসে তুফান তুলে – মশার গোষ্ঠী দেশ তাড়াতে।
বোশেখ আসে নববর্ষে – রমনা পার্কে বটের মূলে
বোশেখ আসে ছায়ানটের – সূর সাগরে তরঙ্গ তুলে।
বোশেখ আসে চারুকলার – লিচুতলায় মূখোস পরে
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আসে – ভূত-প্রেতের আকার ধরে।
বোশেখ আসে পান্তাসহ – সংগে থাকে ইলিশ মাছ
বোশেখ আসে গ্রামীণ মেলায় – এক কোণে যার পুতুল নাচ।
বোশেখ আসে ললনার – বৈশাখী শাড়ীর ভাঁজে
বোশেখ আসে গামছা মাথায় – ঘুরে বেড়ানো যুবার মাঝে।
বোশেখ আসে কাঁচা আমের – গন্ধ ভরা স্বাদ চেনাতে
বোশেখ আসে সুন্দরীদেও -মেহেদী রাঙা কোমল হাতে।
বোশেখ আসে পেটুক জনকে – তরমুজ খাওয়ার লোভ দেখাতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে -ভালবাসার ছল শেখাতে।
বোশেখ আসে গঞ্জের হাটে – মহাজনের হালখাতায়
বোশেখ আসে গরম হাওয়ায় – গাছের নীচের ঝরা পাতায়।
বোশেখ আসে বিশ্ব কবির -ছোট্ট নদীর শুকনো কূলে
বোশেখ আসে বাউল গানের – কবিয়ালের বাবরী চূলে।
বোশেখ আসে দূপুর বেলার – বিরহী কোন্ ঘুঘুর ডাকে
বোশেখ আসে বিলের ধাওে – চিল চেঁচানো শিমুল শাখে।
বোশেখ আসে মেলা ফেরত – শিশুর খেলনা বাঁশীর সূরে
বোশেখ আসে আনন্দে ভেসে – তারই ক্ষুদ্র হৃদয় জুড়ে।
বোশেখ আসে নতুন প্রাণে -উদ্দীপনার শিক্ষা নিতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে – উৎসবে মাতিয়ে দিতে।।

তাড়াশে বাবা-ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ
আরিফুল ইসলাম ঃ তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২ নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩ নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো। তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে। আসামিগণ ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫ এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

শাহজাদপুরে শালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বড় চানতারা গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইইপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন চান মোল্লা(৭৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হামলা ও মারপিটে চান মোল্লা গ্রুপের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বড় চানতারার বাড়িতে শালিস বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০), মেয়ে সালমা খাতুন(৪৫),আয়শা খাতুন(২০), সুলতানা খাতুন(৩০) ও শ্যালক ইউসুফ মোল্লা অভিযোগে জানান, বড় চানতারা গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে সোলায়মান ফকিরের(৩৫) সাথে ৯ বছর আগে সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসের আব্দুল্লাহ(৬) ও আব্দুল কাদের(৩) নামের দুইটি ছেলে রেখে আরও দুইটি বিয়ে করে ছোট বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। বড় বউ সুলতানাকে কোনো ভরনপোষণ ও কাপড়চুপড় দেয় না। এবিষয়ে কথা বললে সুলতানাকে মারধর ও নির্যাতন করে। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে মারপিট করে। দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেরে যাওয়ায় সুলতানা ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়। ঈদের ১০/১২ দিন আগে সোলায়মান শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুলতানা আপষ মিমাংসা ছাড়া এভাবে যেতে রাজি না হওয়ায় সোলায়মান তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঈদের আগে ছেলেকে ফেরত পেতে অনেক দৌড় ঝাপ করেও ছেলেকে ফেরত পায় না।
এর মধ্যে সুলতানার ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক আব্দুল মজিদ, ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসায় সন্তান ফেরত ও বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষের সম্মতিতে সুলতানার স্বামী সোলায়মানের চাচা সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বাড়িতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শালিস বৈঠক বসে। এ শালিসের শেষের দিকে সুলতানার ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন মোল্লা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের রায়ের লিখিত চাইলে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এর জের ধরে জিন্নাহর ছেলে, ভাই, ভাতিজা ও লোকজন দুই সেনাবাহিনীর সৈনিক সহ তাদের পক্ষের ১০/১৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধ চাম মোল্লা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বৃদ্ধ চান মোল্লা ঘটনাস্থল ইউপি সদস্য জিন্নাহর বাড়ির উঠনে ঢলে পড়ে মারা যায়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ৫ লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নিহতের স্বজনেরা রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ এদিন রাত ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা ঘাতক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির সহ সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির মোবাইল ফোনে জানায়, শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসিত হওয়ার পরেও সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটিছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল ফোনে এতো কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুুপুরে নিহতের বড় ছেলে লালন মোল্লা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে এদিন সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামীরা সব বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আশাকরি অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

রায়গঞ্জে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: ‘বন্ধু, কী খবর বল?’ দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয়জীবনের মজার স্মৃতির কথায়।নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ ¯েøাগান সামনে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক গোলজার হোসেন ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. পিয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন প্রাক্তন ছাত্র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার। প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান খ ম রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, একটি বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদী আলমাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ‘শেষ জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সোহেলী আক্তার বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। ফুচকা, আইসক্রিম, চা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

নন্দীগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডাঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গরমে ঝরছে আমের গুটি – শঙ্কায় চাষীরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ দেশের আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সব উপজেলার মধ্যে তাড়াশ চলনবিল একটি সব ধরনের অধ্যায় সম্প্রতি প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে পানি শূন্যতায় ব্যাপক হারে মাটিতে ঝরে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের আমের গুটি। তীব্র খরা আর টানা বৃষ্টিহীনতায় শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল ও ডোবাগুলো।
সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপদাহে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন্নআয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পূরনো পুকুর খাল ও ডোবাগুলো দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কারের অভাবে পানির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রচন্ড রোদ ও গরমের কারণে আগে থেকেই সেচের কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাগানে গাছের গোড়ায় পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়েছে গাছের আম। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে এবার আম গাছে কম এসেছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতায় মুকুল দেরিতে আসা এবং কিছু এলাকায় অসময়ে বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুল ও গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে আম চাষিরা বিশেষভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে সূর্যের তাপের আধিক্য বেশি হওয়ায় আম ঝরে পড়া রোধ করতে না পারায় হতাশা ও শঙ্কায় দিন পার করছেন আম বাগান মালিকরা।

শাহজাদপুরে সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার
৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেতু ভেঙে আশপাশের আট গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত দেড় বছর ধরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামের ফুলছড়ি খালের ওপর নির্মিত ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের কাছে ফুলছড়ি খালের ওপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করা হয়। গত ২০২২ সালের বর্ষার শুরুতেই পানির চাপে সেতুটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে । এ কাশীনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পাঁচটি বিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা ও একটি এতিমখানা।চকহরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুতে ওঠানামা করার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এ সাঁকো থাকায় ওই ভাঙা সেতুটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সেতুটি পারাপার হতে কষ্ট হয়। বর্ষার আগেই সেতুটি সংস্কার না করা হলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সড়াতৈল গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে এলাকার ধান-চাল, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, অন্তঃসত্ত¡া, শিশু ও বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যা হয়।স্থানীয় সায়েস্তাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে ভাঙা সেতুতে উঠে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পারপার হতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অসংখ্যবার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও কোনো কাজ হয়নি।এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই ওই ভাঙা সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে একটি নতুন দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।

 

 

 

 

 

পাতা-৪
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ চলনবিলের জনজীবন

জি,এম স্বপ্না ঃ প্রখর রোদ,প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চলনবিলের জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তয় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। বয়:বৃদ্ধ-শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস। নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি চলনবিলের সর্বত্র।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচন্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। সলঙ্গার রিকশাচালক কফিল উদ্দিন (৫৭) বলেন, একে তো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। চলনবিলের সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়, প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না।এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ মেলা বসলেও
প্রাণীসম্পদ অফিসে প্রাণী সেবা-চিকিতসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তাড়াশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আজিজ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. অলি উল্লাহ্, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল প্রমূখ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। বিশেষ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় রায়গঞ্জের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কোনরকমে নামেমাত্র অফিস চালানো হচ্ছে। ফলে তাড়াশের জনগনের এক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে।

 

তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

লুৎফর রহমান ঃ সারা দেশের যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৭ এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌরসভা মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল আল মামুন,উপ পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কুমার, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপাসহ বিভিন্ন দফতরে দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আজ ১৭ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

তাড়াশে দুই সেতু ভাঙা
দুর্ঘটনার আশংকা সার্বক্ষণিক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি সেতুর ছাদের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান দিয়ে রেখেছেন লোকজন সেখানে। ভাঙা সেতুটি হাড়িসোনা গ্রামীণ সড়কের টাগড়া সেতু নামে পরিচিত। এ সড়কের ঝলপিগাড়ী সেতু নামে আরো একটি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড বেড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
টাগড়া গ্রামের ওসমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, চাকরির সুবাদে নিয়মিত হারিসোনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। এক সড়কের দুই সেতুর অবস্থা বেহাল। সাবধানতার সাথে যাতায়াত না করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাগড়া গ্রামের ইছমাইল, মান্নান, রশিদ, ছালাম ও রাজ্জাক ভাঙা সেতু দুইটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে নিবিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভাঙা সেতুটিতে লাল নিশান উড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাগড়া সেতুর ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে তাকালে পানি দেখা যায়। ছাদের ঢালাই খুলে পড়ে লোহার রড়গুলো বেড়িয়ে আছে। দুইটি বাঁশ রডের সাথে বেঁধে বাঁশের আগায় লাল কাপড় দিয়ে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজন নিরুপায় হয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ঝলপিগাড়ি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড় দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, হারিসোনা সড়কটি গ্রামীণ সড়ক বটে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। শালিয়া গাড়ি নিমগাছি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যান। রানীহাট হয়ে বগুড়া শহরে যান। ভবানীপুর হয়েও বগুড়া শহরে যাওয়া-আসা করেন লোকজন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ভাঙা সেতুটির বিষয়ে জানা ছিলনা। শিগগিরই মেরামত করে দেওয়া হবে।

 

কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ
ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম। এর আগে সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গত বুধবার পাবনা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পাবনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেমসহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।তামান্না তাবাসসুম উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তিতুমীর জিহাদীর মেয়ে। তামান্না তাবাসসুম তার এই কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সে জানায়,আগামী ২২ এপ্রিল বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়েও বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন।

রায়গঞ্জে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জি,এম স্বপ্না ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে মাইটিভির ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা প্রতিনিধি এইচ এম মোনায়েম খান ও চলনবিল প্রতিনিধি সনাতন দাসের আয়োজনে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও কেক কেটে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
রায়গঞ্জ প্রেসক্লবের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গার মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ। এ সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ড. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার,রায়গঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজেদুল আলম,যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি টি এম কামরুজ্জান লাবু,সহ সভাপতি আবু হাসেম মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসী,সাংবাদিক দীপক কুমার কর,স.ম আব্দুস সাত্তার, আতিক মাহমুদ আকাশ,আবুল কালাম আজাদ,খোরশেদ আলম,প্রতিদিনের দৃশ্যপটের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক নয়নসহ রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।

 

সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ : কর্তৃপক্ষ নিরব

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন নিরব,এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছেন না এমনটাই মন্তব্য ভুক্তভোগী পথচারীদের। এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর নয়াপাড়া আঞ্চলিক কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীঘদিন ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এই রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের অন্ততঃ শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন আগে নয়াপাড়ার আব্দুস সালাম রাস্তাটির অন্তত সিংহভাগ দখল করে একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তির পরও সে ভবনের কাজ অব্যাহত রাখেন।এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুফল পাচ্ছে না। উল্লাপাড়ার তৎকালিন ইউএনও উজ্জল হোসেনের সরেজমিন তদন্তে সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে ভবনটি ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুস সালামের ভবনটি। উল্টো ভুমিগ্রাসী আব্দুস সালাম হয়রানীমুলক,মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উপর ২টি মামলা দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই এলাকায় উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও উল্লাপাড়াসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি রাস্তা থেকে ভবন সরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দাম বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্যের

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। শনিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু, অসুস্থতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ।

তাড়াশে নতুন সামাজিক প্রথা
গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগি

বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সদ্যগত ঈদুল ফিতরে ব্যাপক সারা ফেলেছে গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করা। গ্রাম, গঞ্জ ও শহরের বেশীরভাগ লোকজন এ গোস্ত দিয়ে খাওয়ার চাহিদা মেটায় ঈদে। এতে যেমন ভালো মানের গোস্ত পাওয়া যায়, বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দামেও কম পড়ে বলে জানিয়েছেন গোস্ত সমিতির অনেকে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করে নেওয়া একটি কার্যকর পন্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের কাসেম আলী নামে এক জন গোস্ত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রামে একাধিক গোস্ত সমিতি রয়েছে। আমাদের সমিতিতে মাসে প্রত্যেকে ২০০ করে টাকা জমিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে ঈদের আগের দিন গোস্ত ভাগাভাগি করে নিয়েছি।ভাদাস গোস্ত সমিতির রাহেলা খাতুন নামে একজন সদস্য বলেন, আমি মাসে মাসে টাকা জমিয়ে এক দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকার গোস্ত পেয়েছি। সমিতি না থাকলে এত টাকার গোস্ত কেনার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। জানা গেছে, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া, হামকুড়িয়া, ঘরগ্রাম, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর, পওতা, পেঙ্গুয়ারি, কাজিপুর, বারুহাস গ্রাম, মাধাইনগড় ইউনিয়নের ধানকুন্টি, গুয়ারাখি, বিলাশপুর গ্রাম, নওগাঁ ইউনিয়েনের খালকুলা, মহিষলুটি, ললুয়াকন্দি গ্রাম, তালম ইউনিয়নের পাড়িল, বরইচড়া, গোন্তা গ্রাম, তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল, সোলাপাড়াসহ আরো অনেক গ্রামে গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগির গরু জবাই করেন লোকজন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, গোস্তের বাজারে ব্যবসায়িদের কারসাজি ভাঙতে প্রতিটি গ্রামে গোস্ত সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় গোস্তের দোকানে চাপ কমবে। তখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশী দামে গোস্ত বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবেনা ব্যবসায়িদের।

 

মে মাস জুড়েও থাকবে তীব্র গরম

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। সারাদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের ত্বক পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক।

গুরুদাসপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: “প্রানি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে দিনব্যাপী প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে। দুপুরে ফিতা কেটে প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে দেশব্যপি ওই মেলার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রানিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে ওই প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন খামারি ও প্রাণি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকাল বেলা তাড়াশ পৌর শিশু পার্কে হাজারো লোকজনের ঘোরাঘুরি উৎসব প্রিয়দের ঈদের এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়।এদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি চলনবিল অধ্যূষিত তাড়শের কুন্দইল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ১০ নং সেতুতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শাহালম বলেন, ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেল পৌর শিশু পার্কে ঘুরে। ছোট মেয়ে আসফিয়া চরকিতে বসে খুব মজা পেয়েছে। রাকিবুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলেন, আমি বিনসাড়া গ্রাম থেকে এসেছি। দোলনায় চড়েছি, নাগড়দোলায় উঠেছি ও ট্রেনে চড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।অপরদিকে রাজিব আহমেদ, ইশতিয়াক হোসেন, কামরুল ইসলাম, আয়শা খাতুন ও রাবেয়া পারভিন বলেন, ঈদের বিকেলটা নৈস্বর্গিক। চলনবিলের বুক জুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে সবুজ বোরো ধান ও মুক্ত বাতাশ। বিশেষ দিনগুলোয় এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকা ঘুরে-ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শিশু পার্কের সবুজ বনায়ন চত্বরের মাঠ লোকজনের ভীরে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরসহ সব বয়সি লোকজন এক সাথে। শিশু-কিশোররা দোলনা, নাগড়দোলা, ট্রেন ও চরকিতে চড়ে আনন্দ করছে। তবে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের উপস্থিতি ছিলো কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করতে যথা সাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই তাড়াশ পৌর শিশু পার্ক পরিপূর্ণ বিনোদন উপযোগী করে তোলা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংখ্যা ২৬ সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ বৈশাখ ১৪৩১ ১২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ
বিজ্ঞাপন টপের তিনটা ও পিউ মেডিকেল
সব নিউজের ছবি আছে

নিউজ বাদ দিলে কম গুরুত্বপূর্ণ খেয়াল করতে হবে
পাতা-১
‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ’ – ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আগামীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে সরকারের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কারণেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিএনপি নিজের কর্মকান্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

তীব্র তাপদাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকবে। তবে এরপর যেহেতু শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধ থাকবে টানা সাত দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাশ শুরু হবে। গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দফতরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে ভারতের নির্বাচনে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এ দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। খবর- এনডিটিভি।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।
এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আর ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

তাড়াশে বিভিন্ন সরকারী অফিস চলে “ভারপ্রাপ্ত” দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরের পর বছর ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর চলছে পার্শ্ববর্তী বা অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা “ভারপ্রাপ্ত” কর্মকর্তা বা অ.দ. দিয়ে।
প্রথমেই উল্লেখ্য তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি বিগত তিন বছরের অধিক কাল যাবত তাড়াশে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন । এরপর তাড়াশ উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জনৈক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসে মাসে একবার এসে তাড়াশে অফিস করে প্রক্সি দিয়ে চলেছেন গত এক বছর যাবত। ফলে শত শত কর্মচারীর হাজার হাজার বিল নিয়মিত পেতে অসুবিধা হচ্ছে। একারণে বেড়েছে জটিলতা ও দুর্ভোগ। এরপর তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রসঙ্গ বলা যায়। গত তিন বছর যাবত এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক এবং বর্তমানে কোন স্টাফও নেই। সে কারণে বর্তমানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সম্পূর্ণ জনবলশূন্য। একই কারণে উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ অফিস চলছে রায়গঞ্জের প্রাণী সম্পদ অফিসার দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসেবে।
সবশেষে লক্ষণীয় তাড়াশ পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য প্রায় এক বছর যাবত। এগুলো হচ্ছে পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী। বেলকুচি উপজেলার পৌর প্রকৌশলী তাড়াশে মাঝে মাঝে উক্ত দুই পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।অথচ নতুন ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এই পৌরসভায় সার্বক্ষণিক সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তাই বলা চলে, অবহেলিত তাড়াশ উপজেলার উল্লেখিত অফিসগুলো ভারপ্রাপ্তদের ওজনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মানে হলো, উক্ত অফিসগুলোতে নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় এগুলোর সেবা সুবিধা হতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া মূখ্য কমকর্তা না থাকায় অফিসগুলো কেমন চলে তা দেখার কেউ নেই। এই সব অফিসে কবে নাগাদ পূর্ণ কর্মকর্তার পদায়ন হবে তা-ও কেউ জানে না। তাড়াশ যে আজো বেশী পিছিয়ে এসবই তার নমূনা।

 

কোটেশন : “তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ” । — সূরা আলে-ইমরান

তাড়াশ সদরে ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য – প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ সদর সংলগ্ন এবং আশেপাশে পুকুর খননের মাটি বহনের ড্রাম ট্রাক চলছে তাড়াশ সদরের বিভিন্ন সড়কে সারা রাত ধরে। রাতে অফিস-আদালত বন্ধ ও মানুষের চলাচল না থাকায় চৌর্য বৃত্তির আদলে সদরের প্রায় সব সড়কে চুপি চুপি এসব ড্রাম ট্রাকে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ভোররাতে হাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম ট্রাক চালকেরা খুব দ্রæততার সাথে ক্ষীপ্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ পুকুরের মাটি বহন করে চলেছে। একটি দুটি নয় অনেকগুলো ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেটের আকারে সংগোপনে মাটি বহন এর কাজ করে যাচ্ছে। সূর্য ওঠার পূর্বেই সদরের মাটি ভরার কাজ তারা সেরে ফেলে দিয়ে দিনের বেলা বিরত আর লুকিয়ে থাকে। আবার মধ্যরাত থেকে মাটি বাহনের ড্রাম ট্রাকগুলো ছুটে চলে দৈত্যের মতো।
তাদের কেউ ছুঁতেও পারে না। তাদের দৌরাত্ম্য কেউ রুখতেও পারে না। তাদের দাপট ও দম্ভের কাছে সব মহলই ব্যর্থ। কেননা এদের পিছনে রয়েছে সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহল। সবাইকে ম্যানেজ ও নিয়ন্ত্রণ করেই তারা এখন ওপেন সিক্রেটে এই কাজটি করে চলেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকনো মৌসুমের সুবাদে তাড়াশ সদরে ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এটা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। অবৈধ পুকুর খনন এবং ট্রাকে মাটি বহন করে রাস্তাঘাট বিনষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে গরু চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ তাড়াশে বেড়েছে গরু চুরি, চলছে গরু চুরির হিড়িক। মাঝে মাঝেই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামে চারটি ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিক সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, রাতে অন্যান্য দিনের মতো গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা। আর গোয়াল ঘরের ৪টি গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করেন হায়দার। চুরি যাওয়া চারটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। অপরদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার থানা পাড়া মহল্লায় কে এম মোনায়েম হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ২টি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী দুইজন কৃষকই তাড়াশ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গরুর মালিক গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের মূল গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের “তাড়াশ প্রেস ক্লাবের“ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। তাড়াশ পৌর সভার অর্থায়নে ওই গেট নির্মিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক,পৌর কাউন্সিলর শামিম সরকার,বাবু তালুকদার,বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামীম, সাবেক সভাপতি সনাতন দাস, সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল ইসলাম বাদল, শফিউল হক বাবলু, সাব্বির আহম্মেদ, আলহাজ আলী রনি, মৃণাল সরকার মিলু, লুৎফর রহমান, এম এ মাজিদ, মুন্নি আহমেদ, শায়লা পারভীন, হাদিউল ইসলাম হৃদয় ও রেজাউল করিম ঝন্টু।
তাড়াশে অপরাধ প্রতিরোধে
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের অপরাধ প্রতিরোধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাড়াশ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়র ও চেয়ারম্যান বরাবর এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অপরাধ বিবেচনায় বছরের ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবনতার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে গরু চুরি। এ কারণে পাড়া-মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করুন। পুলিশের একার পক্ষে তাড়াশের ১৫৬ টি গ্রামের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও সড়কগুলো পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে তাড়াশের আপামর জনসাধারনের সচেনতা বাড়বে। ফলে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল যাবত তাড়াশে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর অনশনে প্রেমিক পলাতক

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে মহিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে মহিবুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
কলেজ ছাত্রী বলেন, জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহর সঙ্গে তার চার বছরের প্রেমর সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আজ তার বাড়িতে এসেছি। কিন্তু মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনশণ করা কলেজছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা এবং থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশে শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামী কারাগারে

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মারুফ হাসান (১২) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী কাওসার হোসেন (১৯) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মো. কাওসার হোসেন উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বেসরকারি আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মারুফ হাসান অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় কাওসার হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই আসামী কাওসারকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন

আরিফুল ইসলাম ঃ আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ইং শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ’র সভাপতিত্বে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ প্রমূখ৷

পাতা-২

সম্পাদকীয়
তাড়াশে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন
প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে সেবা চালু হবে কবে?

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাড়াশ উপজেলা সদরেও গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বা প্রাণী সম্পদ মেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে যখন প্রাণী সম্পদ মেলা চলছিল তার অদূরে পশু হাসপাতাল নামে বহু পরিচিত প্রাণী সম্পদ অফিস ছিল নীরব মৃতপুরী। যদিও আগের দিন সন্ধ্যায় সেখানে আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে। কেননা তাড়াশে পশু-প্রাণী সেবা দেবার বা দেখভালের কেউ নেই। জনবল তথা চিকিৎসক সংকটে বছর জুড়েই ধুঁকছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে বহু লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে। ফল তেমন হচ্ছে না। কারণ এই অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। বড় কথা চিকিৎসক না থাকায় নানা ধরনের প্রাণী ও পশুর চিকিৎসা শুধু ব্যাহতই নয় – বেমালুম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুশকিলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খামারীরা। মানুষ ইদানিং গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার ইত্যাকার স্থানীয় উদ্যোগ-উদ্যোক্তা বেড়ে গেছে সবখানেই। তাড়াশেও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার পশুপালনের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। কারণ এটা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এখন যেকোন গরুর মূল্যই প্রায় লাখ টাকা। আগের দিনে এমনটি ছিল না। এখন একটি গরু অসুস্থ হলে তার পালনকারীও অসুস্থ হয়ে যায়। কারো গরু মারা গেলে সে সাময়িক হলেও ভেঙে পড়ে। কেননা গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি যাই বলুন না কেন সবকিছুর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাই খামারিরা পশু-পাখি পালনের মধ্যে তাদের জীবনের উন্নতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে। এটা তাদেও ভবিষ্যতের আশা জাগানিয়া।
এমনই জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী প্রাণী সম্পদ ক্ষেত্রে যদি কোনো উপজেলায় প্রাণীদের চিকিৎসা ও সেবা তৎপরতা সংকুচিত কিংবা বন্ধ থাকে তা কিভাবে সহনীয় বলে গণ্য হবে। এখনকার দিনে মানুষের যতœ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসাও অনেক গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু এর সাথে অর্থনীতি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য,পুষ্টি নিরাপত্তা ইত্যাদিরও সংযোগ রয়েছে। তাই অতীব জরুরী হল, যেকোন মূল্যে তাড়াশের প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরেনারি হাসপাতাল সদা-সর্বদা চালু তথা সচল-সক্রিয় রাখা। মনে রাখতে হবে, মানুষের মতোই পশু-প্রাণীও কখন অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিছুদিন দেশের অন্য স্থানে ন্যায় তাড়াশেও গবাদি পশুর সংক্রমাক রোগ লাম্পি স্কিন এ অসংখ্য গরু মারা গেল বলা চলে বিনা চিকিৎসায়। এর কারণ একটাই, তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চিকিৎসক শূন্য। এখানে কেরানি, পিয়ন বা সহায়ক স্টাফ গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর পশু হাসপাতালে সংলগ্ন পশু ওষুধের ফার্মেসিগুলোই একমাত্র ভরসা। এসব দোকানীরা ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কতিপয় স্বেচ্ছাসেবী এই সুযোগে ডাক্তার সেজে পাবলিককে তাদের গবাদি পশুর ঔষধ বা ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যা নিরাপদ নয় – বিধিসম্মতও নয় এবং পাবলিক অপাত্রে টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছে উপায় না পেয়ে। অতএব জাতীয় প্রাণী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দ্রæত চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োগ করা হবে – এটাই উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

মন্তব্য কলাম
ধারাবাহিক হত্যা-খুনের ঘটনায় তাড়াশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে
আবদুর রাজ্জাক রাজু

গত ২০২৩ সালে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দিবালোকে চরমপন্থীদের হাতে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন। সর্বহারার পরিচয়ে ¯েøাগান দিয়ে ভোগলমান চারমাথা বাজারে জনসমাগম স্থলে তাকে হত্যা করা হয় সন্ধ্যা বেলা। সে হত্যার প্রকৃত রহস্য আজো অজ্ঞাত। যদিও প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের একজন আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তবুও আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তাকে জীবন দিতে হলো ভালো কাজ করে জনগণের প্রশংসা পাওয়া সত্তে¡ও। এতে তাড়াশ উপজেলায় যে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল বলে মানুষ ভেবে নিয়ে ছিল তা হোঁচট খেল।

এর এক বছর পরেই তাড়াশ উপজেলা সদর প্রামে বিকাশ চন্দ্র সরকার নামে এক বিত্তবান ব্যক্তি ২০২৪ সালে সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাটে। তার সাথে তার স্ত্রী ও একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েকেও যুগপৎ জীবন দিতে হয়। ঘটনার সূত্রে নিহত বিকাশের আপন ভাগ্নেকে পরে আটক কওে পুলিশ। বর্তমান সে কারাগারে অন্তরীণ। মামলা চলমান।
আবার তৃতীয় মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রাণনাশের ঘটনাটি ঘটেছে অতিসম্প্রতি তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামে। এই গ্রামের মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেনের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র শিশু ছেলে মারুফ আহমেদকে (১৪) একই গ্রামের দুর্বৃত্তরা প্রথমে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে স্থানীয় ঝুরঝুরি বাজারের এক মার্কেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। প্রায় সপ্তাহখানেক পর পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে ও আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তাড়াশ উপজেলায় অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর তিনটি নৃশংস খুন এই জনপদের খ্যাতি ও সুনামকে ¤øান করে দিয়েছে। এর বাইরে উপজেলায় প্রায়শ: আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যার শিকার একমাত্র নারীরা । পূর্বে তাড়াশ দস্যু-তস্কর অতঃপর চরমপন্থী বিচরণের লোকালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময় এই থানাকে বলা হত “পানিশমেন্ট জোন” । তাই তখনকার দিনে কেউ সরকারি চাকরিতে বদলি হয়ে এখানে আসতে চাইতো না। স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়ে স্থানীয় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

বলা যায়, অনেক দিন এ উপজেলায় খুন-খারাবী ও রক্তারক্তি ছিল না বললেই চলে। সকলেই যখন নির্ভয়ে ও নিরাপদের ভেতর দিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে এমনই মুহূর্তে উপরোক্ত বড় ধরনের পর পর তিনটি অপরাধজনক প্রাণনাশের ঘটনা আবার এলাকাবাসীর মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা কোথাও হঠাৎ করে জীবন তথা প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটলে গোটা পরিবেশ আতঙ্কিত হয়। সুস্থ সমাজে অসুস্থতা দেখা দেয়। মানুষের মানসিক চেতনা তথা মনজগতে রীতিমতো ছাপ ফেলে, দাগ কাটে। কেননা এই আধুনিক ও আলোকিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখতে চায় না। তাছাড়া যে এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়- সেই লোকালয়কে স্বাভাবিক রূপেই দুর্নাম বহন করতে হয়। এতে ঐ অঞ্চলের মানব ও সমাজ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা জন্মে।আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নরবড়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উপজেলার সর্বত্র। এগুলো এলাকাবাসীর জন্য এক ধরনের লজ্জা ও কলঙ্ক বটে। এই অমানবিক ও পৈশাচিক ঘটনার সংখ্যা বা মাত্রা দিয়ে নয়, এটা ঘটা মানে এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের দিনে প্রযুক্তির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই এমন দুঃসংবাদ দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে ওই এলাকা কেন্দ্র করে সবার খারাপ চিন্তার উদ্রেক করে। এটা বিশেষত আজকের দিনে আদৌ কাম্য নয়। আমরা উন্নয়নে-প্রগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। অমনুষ্যত্বের ও পশুত্বের প্রবণতাকে অবশ্যই দমন করতে হবে। বাইরের মানুষ এসব দেখে ভাবে, এটা ক্রাইম জোন। ভয়াবহ জনপদ। বসবাস কিংবা ব্যবসা বালিজ্যের জন্য এই উপজেলা নিরাপদ নয়। এ রকম কালচার সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। অতীতে আমরা শুনেছি“ যার কপাল মন্দ-সে যায় কামারখন্দ”। অথচ সেই কামারখন্দ এখন তাড়াশের চেয়ে অনেক উন্নত। তাড়াশ একসময় “ত্রাস” নামে গণ্য হতো, মনে হতো এটা অপরাধের অভয়ারণ্য। কিন্তু ইতিহাসের সে কালো যুগ চলে গেছে। এখন অতীতের অপবাদ বা অপমান ঝেড়ে ফেলে আমরা গর্বিত আধুনিক ও মানবিক জীবনচারের অংশীদার।

তাই তাড়াশের নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হবে, এলাকায় সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণে ভূমিকা নেওয়া এবং সর্বোপরি স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাতে সমাজে হিংসা-হানাহানি, শত্রুতা-বৈরিতা এবং উগ্র স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সুনাগরিকের গুনাবলী বিশিষ্ট সভ্য-সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা। তাড়াশে যেন আর কোন একটি হত্যা ও জিঘাংসার দৃষ্টান্ত না দেখা যায়- সে লক্ষ্যে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী শুভবুদ্ধি মনষ্ক মানুষের সক্রিয় সচেষ্ট তৎপড়তা চালাতে হবে। শান্তিপ্রিয় নিরীহ তাড়াশবাসী কোন দুর্নামের ভাগীদার হতে চায় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সহজ-সরল খুব সুন্দর প্রিয় তাড়াশ বার বার কালিমালিপ্ত হোক তা কারো কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “ কেউ যদি একজন মানুষকে হক্যা করল, সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।” তাড়াশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু এলাকায় না ঘটুক সেই দিকে নজর রাখা সবার দরকার।

শিশুর ভবিষ্যৎ রচনায় পিতা-মাতা-শিক্ষকের ভূমিকা
মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন)
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাঃ ০১৭১৯-৩৬২৪৪৪

মানব জীবন স্বাপ্নিক। স্বপ্ন নিয়ে মানব জীবন শুরু হয়। স্বপ্নের স্তর অনুযায়ী একটি শিশুর জন্মের মধ্যে দিয়ে পিতা-মাতা পরিবারের স্বপ্নের ধারা শুরুহয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারিবারিক শিক্ষা একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষক, তার পরিবার ও মাতা-পিতা। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর জীবনে প্রাথমিক বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে থাকে। পারিবারিক শৃংখলা, স্বপ্ন দেখানো, পথ বাতলিয়ে দেয়া, পথ দেখানো তার জীবনে একটি স্বাপ্নিক বাস্তবতার জন্ম দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিশু যখন স্কুলে যাবার উপযুক্ত হয় তখন পারিপার্শ্বিকতা, স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে, সমাজ থেকে জ্ঞান আহরন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকে তার চরিত্রের বুনিয়াদ রচনা করে, পারিবারিক শিক্ষার পরপরই। এর পর শিশুটি যখন শিশু থেকে কৈশরে পদার্পন করে তখন সে পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে দেখাদেখি জ্ঞান আহরন অনুকরন-অনুসরন করতে থাকে।
বিশেষ করে শিশুরা শিশুকালে অধিকতর অনুকরণ প্রিয়। অনুকরণের মধ্যে দিয়ে তার শিক্ষার বুনিয়াদ রচিত হয়। কৈশরের পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর শিক্ষা জীবনকে সমৃদ্ধির পক্ষে স্বার্থকতার পথে এগিয়ে নেয়। বর্তমান সমাজেমাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। শিশুরা মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত, কাটুন দেখায় আসক্ত, টিকটকে আসক্ত। এর মধ্যে দিয়ে শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে অনৈতিকতার প্রভাব পিতা-মাতার ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে ভুলন্ঠিত করছে। সমাজ থেকে মাদকের বিস্তার, মোবাইল আসক্তি ও অনৈতিকতার বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। আগত শিশু যাদের নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের। আজ আমরা শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি শিক্ষক সমাজ।
একজন শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। শিক্ষক মনা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দানের জাতীয় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এখন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে সচেতন হয়ে সমাজ গঠনে আগত শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশ, জাতি, সমাজ গঠনে শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা সমুন্নত থাক। এ প্রত্যাশা..

বোশেখ আসে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

বোশেখ আসে কাল বৈশাখীর – রুদ্র রূপের ঝড়কে নিয়ে
বোশেখ আসে পূরান দিনের – জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে।
বোশেখ আসে ঈশান কোনে – কাল মেঘে দিনের শেষে
বোশেখ আসে শীলাপাতে – নুইয়ে পড়া ধানের শীষে।
বোশেখ আসে বৃষ্টি শেষে – আউশ চাষের দিতে সুযোগ
বোশেখ আসে পাট চাষীদেও – বীজ বোনার তুলতে হুজুগ।
বোশেখ আসে ঝড়ের পরে – আম কুড়ানোর সুখ ছড়িয়ে
বোশেখ আসে তীব্র দাহে – কৃষক কূলের ঘাম ঝরিয়ে।
বোশেখ আসে স্বল্প জলের – ব্যাঙের গলার জোর বাড়াতে
বোশেখ আসে তুফান তুলে – মশার গোষ্ঠী দেশ তাড়াতে।
বোশেখ আসে নববর্ষে – রমনা পার্কে বটের মূলে
বোশেখ আসে ছায়ানটের – সূর সাগরে তরঙ্গ তুলে।
বোশেখ আসে চারুকলার – লিচুতলায় মূখোস পরে
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আসে – ভূত-প্রেতের আকার ধরে।
বোশেখ আসে পান্তাসহ – সংগে থাকে ইলিশ মাছ
বোশেখ আসে গ্রামীণ মেলায় – এক কোণে যার পুতুল নাচ।
বোশেখ আসে ললনার – বৈশাখী শাড়ীর ভাঁজে
বোশেখ আসে গামছা মাথায় – ঘুরে বেড়ানো যুবার মাঝে।
বোশেখ আসে কাঁচা আমের – গন্ধ ভরা স্বাদ চেনাতে
বোশেখ আসে সুন্দরীদেও -মেহেদী রাঙা কোমল হাতে।
বোশেখ আসে পেটুক জনকে – তরমুজ খাওয়ার লোভ দেখাতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে -ভালবাসার ছল শেখাতে।
বোশেখ আসে গঞ্জের হাটে – মহাজনের হালখাতায়
বোশেখ আসে গরম হাওয়ায় – গাছের নীচের ঝরা পাতায়।
বোশেখ আসে বিশ্ব কবির -ছোট্ট নদীর শুকনো কূলে
বোশেখ আসে বাউল গানের – কবিয়ালের বাবরী চূলে।
বোশেখ আসে দূপুর বেলার – বিরহী কোন্ ঘুঘুর ডাকে
বোশেখ আসে বিলের ধাওে – চিল চেঁচানো শিমুল শাখে।
বোশেখ আসে মেলা ফেরত – শিশুর খেলনা বাঁশীর সূরে
বোশেখ আসে আনন্দে ভেসে – তারই ক্ষুদ্র হৃদয় জুড়ে।
বোশেখ আসে নতুন প্রাণে -উদ্দীপনার শিক্ষা নিতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে – উৎসবে মাতিয়ে দিতে।।

তাড়াশে বাবা-ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ
আরিফুল ইসলাম ঃ তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২ নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩ নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো। তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে। আসামিগণ ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫ এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

শাহজাদপুরে শালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বড় চানতারা গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইইপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন চান মোল্লা(৭৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হামলা ও মারপিটে চান মোল্লা গ্রুপের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বড় চানতারার বাড়িতে শালিস বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০), মেয়ে সালমা খাতুন(৪৫),আয়শা খাতুন(২০), সুলতানা খাতুন(৩০) ও শ্যালক ইউসুফ মোল্লা অভিযোগে জানান, বড় চানতারা গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে সোলায়মান ফকিরের(৩৫) সাথে ৯ বছর আগে সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসের আব্দুল্লাহ(৬) ও আব্দুল কাদের(৩) নামের দুইটি ছেলে রেখে আরও দুইটি বিয়ে করে ছোট বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। বড় বউ সুলতানাকে কোনো ভরনপোষণ ও কাপড়চুপড় দেয় না। এবিষয়ে কথা বললে সুলতানাকে মারধর ও নির্যাতন করে। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে মারপিট করে। দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেরে যাওয়ায় সুলতানা ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়। ঈদের ১০/১২ দিন আগে সোলায়মান শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুলতানা আপষ মিমাংসা ছাড়া এভাবে যেতে রাজি না হওয়ায় সোলায়মান তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঈদের আগে ছেলেকে ফেরত পেতে অনেক দৌড় ঝাপ করেও ছেলেকে ফেরত পায় না।
এর মধ্যে সুলতানার ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক আব্দুল মজিদ, ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসায় সন্তান ফেরত ও বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষের সম্মতিতে সুলতানার স্বামী সোলায়মানের চাচা সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বাড়িতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শালিস বৈঠক বসে। এ শালিসের শেষের দিকে সুলতানার ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন মোল্লা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের রায়ের লিখিত চাইলে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এর জের ধরে জিন্নাহর ছেলে, ভাই, ভাতিজা ও লোকজন দুই সেনাবাহিনীর সৈনিক সহ তাদের পক্ষের ১০/১৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধ চাম মোল্লা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বৃদ্ধ চান মোল্লা ঘটনাস্থল ইউপি সদস্য জিন্নাহর বাড়ির উঠনে ঢলে পড়ে মারা যায়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ৫ লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নিহতের স্বজনেরা রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ এদিন রাত ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা ঘাতক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির সহ সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির মোবাইল ফোনে জানায়, শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসিত হওয়ার পরেও সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটিছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল ফোনে এতো কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুুপুরে নিহতের বড় ছেলে লালন মোল্লা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে এদিন সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামীরা সব বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আশাকরি অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

রায়গঞ্জে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: ‘বন্ধু, কী খবর বল?’ দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয়জীবনের মজার স্মৃতির কথায়।নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ ¯েøাগান সামনে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক গোলজার হোসেন ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. পিয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন প্রাক্তন ছাত্র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার। প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান খ ম রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, একটি বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদী আলমাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ‘শেষ জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সোহেলী আক্তার বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। ফুচকা, আইসক্রিম, চা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

নন্দীগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডাঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গরমে ঝরছে আমের গুটি – শঙ্কায় চাষীরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ দেশের আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সব উপজেলার মধ্যে তাড়াশ চলনবিল একটি সব ধরনের অধ্যায় সম্প্রতি প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে পানি শূন্যতায় ব্যাপক হারে মাটিতে ঝরে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের আমের গুটি। তীব্র খরা আর টানা বৃষ্টিহীনতায় শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল ও ডোবাগুলো।
সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপদাহে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন্নআয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পূরনো পুকুর খাল ও ডোবাগুলো দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কারের অভাবে পানির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রচন্ড রোদ ও গরমের কারণে আগে থেকেই সেচের কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাগানে গাছের গোড়ায় পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়েছে গাছের আম। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে এবার আম গাছে কম এসেছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতায় মুকুল দেরিতে আসা এবং কিছু এলাকায় অসময়ে বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুল ও গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে আম চাষিরা বিশেষভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে সূর্যের তাপের আধিক্য বেশি হওয়ায় আম ঝরে পড়া রোধ করতে না পারায় হতাশা ও শঙ্কায় দিন পার করছেন আম বাগান মালিকরা।

শাহজাদপুরে সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার
৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেতু ভেঙে আশপাশের আট গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত দেড় বছর ধরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামের ফুলছড়ি খালের ওপর নির্মিত ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের কাছে ফুলছড়ি খালের ওপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করা হয়। গত ২০২২ সালের বর্ষার শুরুতেই পানির চাপে সেতুটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে । এ কাশীনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পাঁচটি বিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা ও একটি এতিমখানা।চকহরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুতে ওঠানামা করার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এ সাঁকো থাকায় ওই ভাঙা সেতুটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সেতুটি পারাপার হতে কষ্ট হয়। বর্ষার আগেই সেতুটি সংস্কার না করা হলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সড়াতৈল গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে এলাকার ধান-চাল, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, অন্তঃসত্ত¡া, শিশু ও বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যা হয়।স্থানীয় সায়েস্তাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে ভাঙা সেতুতে উঠে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পারপার হতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অসংখ্যবার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও কোনো কাজ হয়নি।এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই ওই ভাঙা সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে একটি নতুন দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।

 

 

 

 

 

পাতা-৪
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ চলনবিলের জনজীবন

জি,এম স্বপ্না ঃ প্রখর রোদ,প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চলনবিলের জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তয় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। বয়:বৃদ্ধ-শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস। নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি চলনবিলের সর্বত্র।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচন্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। সলঙ্গার রিকশাচালক কফিল উদ্দিন (৫৭) বলেন, একে তো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। চলনবিলের সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়, প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না।এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ মেলা বসলেও
প্রাণীসম্পদ অফিসে প্রাণী সেবা-চিকিতসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তাড়াশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আজিজ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. অলি উল্লাহ্, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল প্রমূখ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। বিশেষ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় রায়গঞ্জের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কোনরকমে নামেমাত্র অফিস চালানো হচ্ছে। ফলে তাড়াশের জনগনের এক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে।

 

তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

লুৎফর রহমান ঃ সারা দেশের যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৭ এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌরসভা মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল আল মামুন,উপ পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কুমার, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপাসহ বিভিন্ন দফতরে দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আজ ১৭ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

তাড়াশে দুই সেতু ভাঙা
দুর্ঘটনার আশংকা সার্বক্ষণিক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি সেতুর ছাদের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান দিয়ে রেখেছেন লোকজন সেখানে। ভাঙা সেতুটি হাড়িসোনা গ্রামীণ সড়কের টাগড়া সেতু নামে পরিচিত। এ সড়কের ঝলপিগাড়ী সেতু নামে আরো একটি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড বেড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
টাগড়া গ্রামের ওসমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, চাকরির সুবাদে নিয়মিত হারিসোনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। এক সড়কের দুই সেতুর অবস্থা বেহাল। সাবধানতার সাথে যাতায়াত না করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাগড়া গ্রামের ইছমাইল, মান্নান, রশিদ, ছালাম ও রাজ্জাক ভাঙা সেতু দুইটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে নিবিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভাঙা সেতুটিতে লাল নিশান উড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাগড়া সেতুর ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে তাকালে পানি দেখা যায়। ছাদের ঢালাই খুলে পড়ে লোহার রড়গুলো বেড়িয়ে আছে। দুইটি বাঁশ রডের সাথে বেঁধে বাঁশের আগায় লাল কাপড় দিয়ে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজন নিরুপায় হয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ঝলপিগাড়ি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড় দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, হারিসোনা সড়কটি গ্রামীণ সড়ক বটে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। শালিয়া গাড়ি নিমগাছি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যান। রানীহাট হয়ে বগুড়া শহরে যান। ভবানীপুর হয়েও বগুড়া শহরে যাওয়া-আসা করেন লোকজন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ভাঙা সেতুটির বিষয়ে জানা ছিলনা। শিগগিরই মেরামত করে দেওয়া হবে।

 

কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ
ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম। এর আগে সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গত বুধবার পাবনা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পাবনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেমসহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।তামান্না তাবাসসুম উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তিতুমীর জিহাদীর মেয়ে। তামান্না তাবাসসুম তার এই কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সে জানায়,আগামী ২২ এপ্রিল বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়েও বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন।

রায়গঞ্জে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জি,এম স্বপ্না ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে মাইটিভির ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা প্রতিনিধি এইচ এম মোনায়েম খান ও চলনবিল প্রতিনিধি সনাতন দাসের আয়োজনে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও কেক কেটে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
রায়গঞ্জ প্রেসক্লবের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গার মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ। এ সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ড. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার,রায়গঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজেদুল আলম,যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি টি এম কামরুজ্জান লাবু,সহ সভাপতি আবু হাসেম মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসী,সাংবাদিক দীপক কুমার কর,স.ম আব্দুস সাত্তার, আতিক মাহমুদ আকাশ,আবুল কালাম আজাদ,খোরশেদ আলম,প্রতিদিনের দৃশ্যপটের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক নয়নসহ রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।

 

সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ : কর্তৃপক্ষ নিরব

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন নিরব,এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছেন না এমনটাই মন্তব্য ভুক্তভোগী পথচারীদের। এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর নয়াপাড়া আঞ্চলিক কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীঘদিন ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এই রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের অন্ততঃ শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন আগে নয়াপাড়ার আব্দুস সালাম রাস্তাটির অন্তত সিংহভাগ দখল করে একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তির পরও সে ভবনের কাজ অব্যাহত রাখেন।এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুফল পাচ্ছে না। উল্লাপাড়ার তৎকালিন ইউএনও উজ্জল হোসেনের সরেজমিন তদন্তে সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে ভবনটি ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুস সালামের ভবনটি। উল্টো ভুমিগ্রাসী আব্দুস সালাম হয়রানীমুলক,মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উপর ২টি মামলা দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই এলাকায় উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও উল্লাপাড়াসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি রাস্তা থেকে ভবন সরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দাম বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্যের

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। শনিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু, অসুস্থতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ।

তাড়াশে নতুন সামাজিক প্রথা
গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগি

বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সদ্যগত ঈদুল ফিতরে ব্যাপক সারা ফেলেছে গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করা। গ্রাম, গঞ্জ ও শহরের বেশীরভাগ লোকজন এ গোস্ত দিয়ে খাওয়ার চাহিদা মেটায় ঈদে। এতে যেমন ভালো মানের গোস্ত পাওয়া যায়, বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দামেও কম পড়ে বলে জানিয়েছেন গোস্ত সমিতির অনেকে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করে নেওয়া একটি কার্যকর পন্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের কাসেম আলী নামে এক জন গোস্ত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রামে একাধিক গোস্ত সমিতি রয়েছে। আমাদের সমিতিতে মাসে প্রত্যেকে ২০০ করে টাকা জমিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে ঈদের আগের দিন গোস্ত ভাগাভাগি করে নিয়েছি।ভাদাস গোস্ত সমিতির রাহেলা খাতুন নামে একজন সদস্য বলেন, আমি মাসে মাসে টাকা জমিয়ে এক দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকার গোস্ত পেয়েছি। সমিতি না থাকলে এত টাকার গোস্ত কেনার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। জানা গেছে, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া, হামকুড়িয়া, ঘরগ্রাম, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর, পওতা, পেঙ্গুয়ারি, কাজিপুর, বারুহাস গ্রাম, মাধাইনগড় ইউনিয়নের ধানকুন্টি, গুয়ারাখি, বিলাশপুর গ্রাম, নওগাঁ ইউনিয়েনের খালকুলা, মহিষলুটি, ললুয়াকন্দি গ্রাম, তালম ইউনিয়নের পাড়িল, বরইচড়া, গোন্তা গ্রাম, তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল, সোলাপাড়াসহ আরো অনেক গ্রামে গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগির গরু জবাই করেন লোকজন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, গোস্তের বাজারে ব্যবসায়িদের কারসাজি ভাঙতে প্রতিটি গ্রামে গোস্ত সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় গোস্তের দোকানে চাপ কমবে। তখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশী দামে গোস্ত বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবেনা ব্যবসায়িদের।

 

মে মাস জুড়েও থাকবে তীব্র গরম

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। সারাদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের ত্বক পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক।

গুরুদাসপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: “প্রানি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে দিনব্যাপী প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে। দুপুরে ফিতা কেটে প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে দেশব্যপি ওই মেলার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রানিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে ওই প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন খামারি ও প্রাণি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকাল বেলা তাড়াশ পৌর শিশু পার্কে হাজারো লোকজনের ঘোরাঘুরি উৎসব প্রিয়দের ঈদের এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়।এদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি চলনবিল অধ্যূষিত তাড়শের কুন্দইল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ১০ নং সেতুতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শাহালম বলেন, ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেল পৌর শিশু পার্কে ঘুরে। ছোট মেয়ে আসফিয়া চরকিতে বসে খুব মজা পেয়েছে। রাকিবুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলেন, আমি বিনসাড়া গ্রাম থেকে এসেছি। দোলনায় চড়েছি, নাগড়দোলায় উঠেছি ও ট্রেনে চড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।অপরদিকে রাজিব আহমেদ, ইশতিয়াক হোসেন, কামরুল ইসলাম, আয়শা খাতুন ও রাবেয়া পারভিন বলেন, ঈদের বিকেলটা নৈস্বর্গিক। চলনবিলের বুক জুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে সবুজ বোরো ধান ও মুক্ত বাতাশ। বিশেষ দিনগুলোয় এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকা ঘুরে-ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শিশু পার্কের সবুজ বনায়ন চত্বরের মাঠ লোকজনের ভীরে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরসহ সব বয়সি লোকজন এক সাথে। শিশু-কিশোররা দোলনা, নাগড়দোলা, ট্রেন ও চরকিতে চড়ে আনন্দ করছে। তবে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের উপস্থিতি ছিলো কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করতে যথা সাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই তাড়াশ পৌর শিশু পার্ক পরিপূর্ণ বিনোদন উপযোগী করে তোলা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংখ্যা ২৬ সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ বৈশাখ ১৪৩১ ১২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ
বিজ্ঞাপন টপের তিনটা ও পিউ মেডিকেল
সব নিউজের ছবি আছে

নিউজ বাদ দিলে কম গুরুত্বপূর্ণ খেয়াল করতে হবে
পাতা-১
‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ’ – ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আগামীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে সরকারের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কারণেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিএনপি নিজের কর্মকান্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

তীব্র তাপদাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকবে। তবে এরপর যেহেতু শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধ থাকবে টানা সাত দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাশ শুরু হবে। গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দফতরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে ভারতের নির্বাচনে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এ দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। খবর- এনডিটিভি।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।
এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আর ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

তাড়াশে বিভিন্ন সরকারী অফিস চলে “ভারপ্রাপ্ত” দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরের পর বছর ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর চলছে পার্শ্ববর্তী বা অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা “ভারপ্রাপ্ত” কর্মকর্তা বা অ.দ. দিয়ে।
প্রথমেই উল্লেখ্য তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি বিগত তিন বছরের অধিক কাল যাবত তাড়াশে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন । এরপর তাড়াশ উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জনৈক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসে মাসে একবার এসে তাড়াশে অফিস করে প্রক্সি দিয়ে চলেছেন গত এক বছর যাবত। ফলে শত শত কর্মচারীর হাজার হাজার বিল নিয়মিত পেতে অসুবিধা হচ্ছে। একারণে বেড়েছে জটিলতা ও দুর্ভোগ। এরপর তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রসঙ্গ বলা যায়। গত তিন বছর যাবত এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক এবং বর্তমানে কোন স্টাফও নেই। সে কারণে বর্তমানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সম্পূর্ণ জনবলশূন্য। একই কারণে উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ অফিস চলছে রায়গঞ্জের প্রাণী সম্পদ অফিসার দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসেবে।
সবশেষে লক্ষণীয় তাড়াশ পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য প্রায় এক বছর যাবত। এগুলো হচ্ছে পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী। বেলকুচি উপজেলার পৌর প্রকৌশলী তাড়াশে মাঝে মাঝে উক্ত দুই পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।অথচ নতুন ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এই পৌরসভায় সার্বক্ষণিক সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তাই বলা চলে, অবহেলিত তাড়াশ উপজেলার উল্লেখিত অফিসগুলো ভারপ্রাপ্তদের ওজনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মানে হলো, উক্ত অফিসগুলোতে নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় এগুলোর সেবা সুবিধা হতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া মূখ্য কমকর্তা না থাকায় অফিসগুলো কেমন চলে তা দেখার কেউ নেই। এই সব অফিসে কবে নাগাদ পূর্ণ কর্মকর্তার পদায়ন হবে তা-ও কেউ জানে না। তাড়াশ যে আজো বেশী পিছিয়ে এসবই তার নমূনা।

 

কোটেশন : “তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ” । — সূরা আলে-ইমরান

তাড়াশ সদরে ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য – প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ সদর সংলগ্ন এবং আশেপাশে পুকুর খননের মাটি বহনের ড্রাম ট্রাক চলছে তাড়াশ সদরের বিভিন্ন সড়কে সারা রাত ধরে। রাতে অফিস-আদালত বন্ধ ও মানুষের চলাচল না থাকায় চৌর্য বৃত্তির আদলে সদরের প্রায় সব সড়কে চুপি চুপি এসব ড্রাম ট্রাকে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ভোররাতে হাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম ট্রাক চালকেরা খুব দ্রæততার সাথে ক্ষীপ্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ পুকুরের মাটি বহন করে চলেছে। একটি দুটি নয় অনেকগুলো ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেটের আকারে সংগোপনে মাটি বহন এর কাজ করে যাচ্ছে। সূর্য ওঠার পূর্বেই সদরের মাটি ভরার কাজ তারা সেরে ফেলে দিয়ে দিনের বেলা বিরত আর লুকিয়ে থাকে। আবার মধ্যরাত থেকে মাটি বাহনের ড্রাম ট্রাকগুলো ছুটে চলে দৈত্যের মতো।
তাদের কেউ ছুঁতেও পারে না। তাদের দৌরাত্ম্য কেউ রুখতেও পারে না। তাদের দাপট ও দম্ভের কাছে সব মহলই ব্যর্থ। কেননা এদের পিছনে রয়েছে সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহল। সবাইকে ম্যানেজ ও নিয়ন্ত্রণ করেই তারা এখন ওপেন সিক্রেটে এই কাজটি করে চলেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকনো মৌসুমের সুবাদে তাড়াশ সদরে ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এটা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। অবৈধ পুকুর খনন এবং ট্রাকে মাটি বহন করে রাস্তাঘাট বিনষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে গরু চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ তাড়াশে বেড়েছে গরু চুরি, চলছে গরু চুরির হিড়িক। মাঝে মাঝেই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামে চারটি ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিক সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, রাতে অন্যান্য দিনের মতো গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা। আর গোয়াল ঘরের ৪টি গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করেন হায়দার। চুরি যাওয়া চারটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। অপরদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার থানা পাড়া মহল্লায় কে এম মোনায়েম হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ২টি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী দুইজন কৃষকই তাড়াশ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গরুর মালিক গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের মূল গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের “তাড়াশ প্রেস ক্লাবের“ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। তাড়াশ পৌর সভার অর্থায়নে ওই গেট নির্মিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক,পৌর কাউন্সিলর শামিম সরকার,বাবু তালুকদার,বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামীম, সাবেক সভাপতি সনাতন দাস, সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল ইসলাম বাদল, শফিউল হক বাবলু, সাব্বির আহম্মেদ, আলহাজ আলী রনি, মৃণাল সরকার মিলু, লুৎফর রহমান, এম এ মাজিদ, মুন্নি আহমেদ, শায়লা পারভীন, হাদিউল ইসলাম হৃদয় ও রেজাউল করিম ঝন্টু।
তাড়াশে অপরাধ প্রতিরোধে
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের অপরাধ প্রতিরোধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাড়াশ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়র ও চেয়ারম্যান বরাবর এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অপরাধ বিবেচনায় বছরের ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবনতার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে গরু চুরি। এ কারণে পাড়া-মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করুন। পুলিশের একার পক্ষে তাড়াশের ১৫৬ টি গ্রামের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও সড়কগুলো পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে তাড়াশের আপামর জনসাধারনের সচেনতা বাড়বে। ফলে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল যাবত তাড়াশে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর অনশনে প্রেমিক পলাতক

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে মহিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে মহিবুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
কলেজ ছাত্রী বলেন, জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহর সঙ্গে তার চার বছরের প্রেমর সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আজ তার বাড়িতে এসেছি। কিন্তু মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনশণ করা কলেজছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা এবং থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশে শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামী কারাগারে

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মারুফ হাসান (১২) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী কাওসার হোসেন (১৯) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মো. কাওসার হোসেন উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বেসরকারি আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মারুফ হাসান অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় কাওসার হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই আসামী কাওসারকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন

আরিফুল ইসলাম ঃ আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ইং শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ’র সভাপতিত্বে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ প্রমূখ৷

পাতা-২

সম্পাদকীয়
তাড়াশে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন
প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে সেবা চালু হবে কবে?

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাড়াশ উপজেলা সদরেও গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বা প্রাণী সম্পদ মেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে যখন প্রাণী সম্পদ মেলা চলছিল তার অদূরে পশু হাসপাতাল নামে বহু পরিচিত প্রাণী সম্পদ অফিস ছিল নীরব মৃতপুরী। যদিও আগের দিন সন্ধ্যায় সেখানে আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে। কেননা তাড়াশে পশু-প্রাণী সেবা দেবার বা দেখভালের কেউ নেই। জনবল তথা চিকিৎসক সংকটে বছর জুড়েই ধুঁকছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে বহু লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে। ফল তেমন হচ্ছে না। কারণ এই অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। বড় কথা চিকিৎসক না থাকায় নানা ধরনের প্রাণী ও পশুর চিকিৎসা শুধু ব্যাহতই নয় – বেমালুম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুশকিলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খামারীরা। মানুষ ইদানিং গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার ইত্যাকার স্থানীয় উদ্যোগ-উদ্যোক্তা বেড়ে গেছে সবখানেই। তাড়াশেও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার পশুপালনের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। কারণ এটা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এখন যেকোন গরুর মূল্যই প্রায় লাখ টাকা। আগের দিনে এমনটি ছিল না। এখন একটি গরু অসুস্থ হলে তার পালনকারীও অসুস্থ হয়ে যায়। কারো গরু মারা গেলে সে সাময়িক হলেও ভেঙে পড়ে। কেননা গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি যাই বলুন না কেন সবকিছুর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাই খামারিরা পশু-পাখি পালনের মধ্যে তাদের জীবনের উন্নতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে। এটা তাদেও ভবিষ্যতের আশা জাগানিয়া।
এমনই জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী প্রাণী সম্পদ ক্ষেত্রে যদি কোনো উপজেলায় প্রাণীদের চিকিৎসা ও সেবা তৎপরতা সংকুচিত কিংবা বন্ধ থাকে তা কিভাবে সহনীয় বলে গণ্য হবে। এখনকার দিনে মানুষের যতœ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসাও অনেক গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু এর সাথে অর্থনীতি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য,পুষ্টি নিরাপত্তা ইত্যাদিরও সংযোগ রয়েছে। তাই অতীব জরুরী হল, যেকোন মূল্যে তাড়াশের প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরেনারি হাসপাতাল সদা-সর্বদা চালু তথা সচল-সক্রিয় রাখা। মনে রাখতে হবে, মানুষের মতোই পশু-প্রাণীও কখন অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিছুদিন দেশের অন্য স্থানে ন্যায় তাড়াশেও গবাদি পশুর সংক্রমাক রোগ লাম্পি স্কিন এ অসংখ্য গরু মারা গেল বলা চলে বিনা চিকিৎসায়। এর কারণ একটাই, তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চিকিৎসক শূন্য। এখানে কেরানি, পিয়ন বা সহায়ক স্টাফ গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর পশু হাসপাতালে সংলগ্ন পশু ওষুধের ফার্মেসিগুলোই একমাত্র ভরসা। এসব দোকানীরা ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কতিপয় স্বেচ্ছাসেবী এই সুযোগে ডাক্তার সেজে পাবলিককে তাদের গবাদি পশুর ঔষধ বা ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যা নিরাপদ নয় – বিধিসম্মতও নয় এবং পাবলিক অপাত্রে টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছে উপায় না পেয়ে। অতএব জাতীয় প্রাণী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দ্রæত চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োগ করা হবে – এটাই উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

মন্তব্য কলাম
ধারাবাহিক হত্যা-খুনের ঘটনায় তাড়াশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে
আবদুর রাজ্জাক রাজু

গত ২০২৩ সালে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দিবালোকে চরমপন্থীদের হাতে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন। সর্বহারার পরিচয়ে ¯েøাগান দিয়ে ভোগলমান চারমাথা বাজারে জনসমাগম স্থলে তাকে হত্যা করা হয় সন্ধ্যা বেলা। সে হত্যার প্রকৃত রহস্য আজো অজ্ঞাত। যদিও প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের একজন আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তবুও আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তাকে জীবন দিতে হলো ভালো কাজ করে জনগণের প্রশংসা পাওয়া সত্তে¡ও। এতে তাড়াশ উপজেলায় যে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল বলে মানুষ ভেবে নিয়ে ছিল তা হোঁচট খেল।

এর এক বছর পরেই তাড়াশ উপজেলা সদর প্রামে বিকাশ চন্দ্র সরকার নামে এক বিত্তবান ব্যক্তি ২০২৪ সালে সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাটে। তার সাথে তার স্ত্রী ও একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েকেও যুগপৎ জীবন দিতে হয়। ঘটনার সূত্রে নিহত বিকাশের আপন ভাগ্নেকে পরে আটক কওে পুলিশ। বর্তমান সে কারাগারে অন্তরীণ। মামলা চলমান।
আবার তৃতীয় মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রাণনাশের ঘটনাটি ঘটেছে অতিসম্প্রতি তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামে। এই গ্রামের মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেনের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র শিশু ছেলে মারুফ আহমেদকে (১৪) একই গ্রামের দুর্বৃত্তরা প্রথমে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে স্থানীয় ঝুরঝুরি বাজারের এক মার্কেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। প্রায় সপ্তাহখানেক পর পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে ও আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তাড়াশ উপজেলায় অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর তিনটি নৃশংস খুন এই জনপদের খ্যাতি ও সুনামকে ¤øান করে দিয়েছে। এর বাইরে উপজেলায় প্রায়শ: আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যার শিকার একমাত্র নারীরা । পূর্বে তাড়াশ দস্যু-তস্কর অতঃপর চরমপন্থী বিচরণের লোকালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময় এই থানাকে বলা হত “পানিশমেন্ট জোন” । তাই তখনকার দিনে কেউ সরকারি চাকরিতে বদলি হয়ে এখানে আসতে চাইতো না। স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়ে স্থানীয় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

বলা যায়, অনেক দিন এ উপজেলায় খুন-খারাবী ও রক্তারক্তি ছিল না বললেই চলে। সকলেই যখন নির্ভয়ে ও নিরাপদের ভেতর দিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে এমনই মুহূর্তে উপরোক্ত বড় ধরনের পর পর তিনটি অপরাধজনক প্রাণনাশের ঘটনা আবার এলাকাবাসীর মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা কোথাও হঠাৎ করে জীবন তথা প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটলে গোটা পরিবেশ আতঙ্কিত হয়। সুস্থ সমাজে অসুস্থতা দেখা দেয়। মানুষের মানসিক চেতনা তথা মনজগতে রীতিমতো ছাপ ফেলে, দাগ কাটে। কেননা এই আধুনিক ও আলোকিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখতে চায় না। তাছাড়া যে এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়- সেই লোকালয়কে স্বাভাবিক রূপেই দুর্নাম বহন করতে হয়। এতে ঐ অঞ্চলের মানব ও সমাজ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা জন্মে।আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নরবড়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উপজেলার সর্বত্র। এগুলো এলাকাবাসীর জন্য এক ধরনের লজ্জা ও কলঙ্ক বটে। এই অমানবিক ও পৈশাচিক ঘটনার সংখ্যা বা মাত্রা দিয়ে নয়, এটা ঘটা মানে এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের দিনে প্রযুক্তির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই এমন দুঃসংবাদ দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে ওই এলাকা কেন্দ্র করে সবার খারাপ চিন্তার উদ্রেক করে। এটা বিশেষত আজকের দিনে আদৌ কাম্য নয়। আমরা উন্নয়নে-প্রগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। অমনুষ্যত্বের ও পশুত্বের প্রবণতাকে অবশ্যই দমন করতে হবে। বাইরের মানুষ এসব দেখে ভাবে, এটা ক্রাইম জোন। ভয়াবহ জনপদ। বসবাস কিংবা ব্যবসা বালিজ্যের জন্য এই উপজেলা নিরাপদ নয়। এ রকম কালচার সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। অতীতে আমরা শুনেছি“ যার কপাল মন্দ-সে যায় কামারখন্দ”। অথচ সেই কামারখন্দ এখন তাড়াশের চেয়ে অনেক উন্নত। তাড়াশ একসময় “ত্রাস” নামে গণ্য হতো, মনে হতো এটা অপরাধের অভয়ারণ্য। কিন্তু ইতিহাসের সে কালো যুগ চলে গেছে। এখন অতীতের অপবাদ বা অপমান ঝেড়ে ফেলে আমরা গর্বিত আধুনিক ও মানবিক জীবনচারের অংশীদার।

তাই তাড়াশের নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হবে, এলাকায় সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণে ভূমিকা নেওয়া এবং সর্বোপরি স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাতে সমাজে হিংসা-হানাহানি, শত্রুতা-বৈরিতা এবং উগ্র স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সুনাগরিকের গুনাবলী বিশিষ্ট সভ্য-সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা। তাড়াশে যেন আর কোন একটি হত্যা ও জিঘাংসার দৃষ্টান্ত না দেখা যায়- সে লক্ষ্যে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী শুভবুদ্ধি মনষ্ক মানুষের সক্রিয় সচেষ্ট তৎপড়তা চালাতে হবে। শান্তিপ্রিয় নিরীহ তাড়াশবাসী কোন দুর্নামের ভাগীদার হতে চায় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সহজ-সরল খুব সুন্দর প্রিয় তাড়াশ বার বার কালিমালিপ্ত হোক তা কারো কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “ কেউ যদি একজন মানুষকে হক্যা করল, সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।” তাড়াশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু এলাকায় না ঘটুক সেই দিকে নজর রাখা সবার দরকার।

শিশুর ভবিষ্যৎ রচনায় পিতা-মাতা-শিক্ষকের ভূমিকা
মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন)
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাঃ ০১৭১৯-৩৬২৪৪৪

মানব জীবন স্বাপ্নিক। স্বপ্ন নিয়ে মানব জীবন শুরু হয়। স্বপ্নের স্তর অনুযায়ী একটি শিশুর জন্মের মধ্যে দিয়ে পিতা-মাতা পরিবারের স্বপ্নের ধারা শুরুহয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারিবারিক শিক্ষা একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষক, তার পরিবার ও মাতা-পিতা। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর জীবনে প্রাথমিক বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে থাকে। পারিবারিক শৃংখলা, স্বপ্ন দেখানো, পথ বাতলিয়ে দেয়া, পথ দেখানো তার জীবনে একটি স্বাপ্নিক বাস্তবতার জন্ম দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিশু যখন স্কুলে যাবার উপযুক্ত হয় তখন পারিপার্শ্বিকতা, স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে, সমাজ থেকে জ্ঞান আহরন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকে তার চরিত্রের বুনিয়াদ রচনা করে, পারিবারিক শিক্ষার পরপরই। এর পর শিশুটি যখন শিশু থেকে কৈশরে পদার্পন করে তখন সে পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে দেখাদেখি জ্ঞান আহরন অনুকরন-অনুসরন করতে থাকে।
বিশেষ করে শিশুরা শিশুকালে অধিকতর অনুকরণ প্রিয়। অনুকরণের মধ্যে দিয়ে তার শিক্ষার বুনিয়াদ রচিত হয়। কৈশরের পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর শিক্ষা জীবনকে সমৃদ্ধির পক্ষে স্বার্থকতার পথে এগিয়ে নেয়। বর্তমান সমাজেমাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। শিশুরা মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত, কাটুন দেখায় আসক্ত, টিকটকে আসক্ত। এর মধ্যে দিয়ে শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে অনৈতিকতার প্রভাব পিতা-মাতার ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে ভুলন্ঠিত করছে। সমাজ থেকে মাদকের বিস্তার, মোবাইল আসক্তি ও অনৈতিকতার বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। আগত শিশু যাদের নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের। আজ আমরা শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি শিক্ষক সমাজ।
একজন শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। শিক্ষক মনা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দানের জাতীয় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এখন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে সচেতন হয়ে সমাজ গঠনে আগত শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশ, জাতি, সমাজ গঠনে শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা সমুন্নত থাক। এ প্রত্যাশা..

বোশেখ আসে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

বোশেখ আসে কাল বৈশাখীর – রুদ্র রূপের ঝড়কে নিয়ে
বোশেখ আসে পূরান দিনের – জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে।
বোশেখ আসে ঈশান কোনে – কাল মেঘে দিনের শেষে
বোশেখ আসে শীলাপাতে – নুইয়ে পড়া ধানের শীষে।
বোশেখ আসে বৃষ্টি শেষে – আউশ চাষের দিতে সুযোগ
বোশেখ আসে পাট চাষীদেও – বীজ বোনার তুলতে হুজুগ।
বোশেখ আসে ঝড়ের পরে – আম কুড়ানোর সুখ ছড়িয়ে
বোশেখ আসে তীব্র দাহে – কৃষক কূলের ঘাম ঝরিয়ে।
বোশেখ আসে স্বল্প জলের – ব্যাঙের গলার জোর বাড়াতে
বোশেখ আসে তুফান তুলে – মশার গোষ্ঠী দেশ তাড়াতে।
বোশেখ আসে নববর্ষে – রমনা পার্কে বটের মূলে
বোশেখ আসে ছায়ানটের – সূর সাগরে তরঙ্গ তুলে।
বোশেখ আসে চারুকলার – লিচুতলায় মূখোস পরে
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আসে – ভূত-প্রেতের আকার ধরে।
বোশেখ আসে পান্তাসহ – সংগে থাকে ইলিশ মাছ
বোশেখ আসে গ্রামীণ মেলায় – এক কোণে যার পুতুল নাচ।
বোশেখ আসে ললনার – বৈশাখী শাড়ীর ভাঁজে
বোশেখ আসে গামছা মাথায় – ঘুরে বেড়ানো যুবার মাঝে।
বোশেখ আসে কাঁচা আমের – গন্ধ ভরা স্বাদ চেনাতে
বোশেখ আসে সুন্দরীদেও -মেহেদী রাঙা কোমল হাতে।
বোশেখ আসে পেটুক জনকে – তরমুজ খাওয়ার লোভ দেখাতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে -ভালবাসার ছল শেখাতে।
বোশেখ আসে গঞ্জের হাটে – মহাজনের হালখাতায়
বোশেখ আসে গরম হাওয়ায় – গাছের নীচের ঝরা পাতায়।
বোশেখ আসে বিশ্ব কবির -ছোট্ট নদীর শুকনো কূলে
বোশেখ আসে বাউল গানের – কবিয়ালের বাবরী চূলে।
বোশেখ আসে দূপুর বেলার – বিরহী কোন্ ঘুঘুর ডাকে
বোশেখ আসে বিলের ধাওে – চিল চেঁচানো শিমুল শাখে।
বোশেখ আসে মেলা ফেরত – শিশুর খেলনা বাঁশীর সূরে
বোশেখ আসে আনন্দে ভেসে – তারই ক্ষুদ্র হৃদয় জুড়ে।
বোশেখ আসে নতুন প্রাণে -উদ্দীপনার শিক্ষা নিতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে – উৎসবে মাতিয়ে দিতে।।

তাড়াশে বাবা-ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ
আরিফুল ইসলাম ঃ তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২ নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩ নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো। তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে। আসামিগণ ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫ এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

শাহজাদপুরে শালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বড় চানতারা গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইইপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন চান মোল্লা(৭৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হামলা ও মারপিটে চান মোল্লা গ্রুপের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বড় চানতারার বাড়িতে শালিস বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০), মেয়ে সালমা খাতুন(৪৫),আয়শা খাতুন(২০), সুলতানা খাতুন(৩০) ও শ্যালক ইউসুফ মোল্লা অভিযোগে জানান, বড় চানতারা গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে সোলায়মান ফকিরের(৩৫) সাথে ৯ বছর আগে সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসের আব্দুল্লাহ(৬) ও আব্দুল কাদের(৩) নামের দুইটি ছেলে রেখে আরও দুইটি বিয়ে করে ছোট বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। বড় বউ সুলতানাকে কোনো ভরনপোষণ ও কাপড়চুপড় দেয় না। এবিষয়ে কথা বললে সুলতানাকে মারধর ও নির্যাতন করে। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে মারপিট করে। দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেরে যাওয়ায় সুলতানা ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়। ঈদের ১০/১২ দিন আগে সোলায়মান শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুলতানা আপষ মিমাংসা ছাড়া এভাবে যেতে রাজি না হওয়ায় সোলায়মান তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঈদের আগে ছেলেকে ফেরত পেতে অনেক দৌড় ঝাপ করেও ছেলেকে ফেরত পায় না।
এর মধ্যে সুলতানার ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক আব্দুল মজিদ, ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসায় সন্তান ফেরত ও বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষের সম্মতিতে সুলতানার স্বামী সোলায়মানের চাচা সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বাড়িতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শালিস বৈঠক বসে। এ শালিসের শেষের দিকে সুলতানার ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন মোল্লা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের রায়ের লিখিত চাইলে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এর জের ধরে জিন্নাহর ছেলে, ভাই, ভাতিজা ও লোকজন দুই সেনাবাহিনীর সৈনিক সহ তাদের পক্ষের ১০/১৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধ চাম মোল্লা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বৃদ্ধ চান মোল্লা ঘটনাস্থল ইউপি সদস্য জিন্নাহর বাড়ির উঠনে ঢলে পড়ে মারা যায়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ৫ লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নিহতের স্বজনেরা রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ এদিন রাত ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা ঘাতক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির সহ সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির মোবাইল ফোনে জানায়, শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসিত হওয়ার পরেও সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটিছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল ফোনে এতো কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুুপুরে নিহতের বড় ছেলে লালন মোল্লা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে এদিন সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামীরা সব বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আশাকরি অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

রায়গঞ্জে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: ‘বন্ধু, কী খবর বল?’ দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয়জীবনের মজার স্মৃতির কথায়।নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ ¯েøাগান সামনে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক গোলজার হোসেন ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. পিয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন প্রাক্তন ছাত্র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার। প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান খ ম রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, একটি বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদী আলমাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ‘শেষ জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সোহেলী আক্তার বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। ফুচকা, আইসক্রিম, চা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

নন্দীগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডাঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গরমে ঝরছে আমের গুটি – শঙ্কায় চাষীরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ দেশের আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সব উপজেলার মধ্যে তাড়াশ চলনবিল একটি সব ধরনের অধ্যায় সম্প্রতি প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে পানি শূন্যতায় ব্যাপক হারে মাটিতে ঝরে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের আমের গুটি। তীব্র খরা আর টানা বৃষ্টিহীনতায় শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল ও ডোবাগুলো।
সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপদাহে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন্নআয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পূরনো পুকুর খাল ও ডোবাগুলো দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কারের অভাবে পানির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রচন্ড রোদ ও গরমের কারণে আগে থেকেই সেচের কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাগানে গাছের গোড়ায় পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়েছে গাছের আম। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে এবার আম গাছে কম এসেছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতায় মুকুল দেরিতে আসা এবং কিছু এলাকায় অসময়ে বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুল ও গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে আম চাষিরা বিশেষভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে সূর্যের তাপের আধিক্য বেশি হওয়ায় আম ঝরে পড়া রোধ করতে না পারায় হতাশা ও শঙ্কায় দিন পার করছেন আম বাগান মালিকরা।

শাহজাদপুরে সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার
৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেতু ভেঙে আশপাশের আট গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত দেড় বছর ধরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামের ফুলছড়ি খালের ওপর নির্মিত ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের কাছে ফুলছড়ি খালের ওপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করা হয়। গত ২০২২ সালের বর্ষার শুরুতেই পানির চাপে সেতুটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে । এ কাশীনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পাঁচটি বিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা ও একটি এতিমখানা।চকহরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুতে ওঠানামা করার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এ সাঁকো থাকায় ওই ভাঙা সেতুটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সেতুটি পারাপার হতে কষ্ট হয়। বর্ষার আগেই সেতুটি সংস্কার না করা হলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সড়াতৈল গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে এলাকার ধান-চাল, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, অন্তঃসত্ত¡া, শিশু ও বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যা হয়।স্থানীয় সায়েস্তাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে ভাঙা সেতুতে উঠে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পারপার হতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অসংখ্যবার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও কোনো কাজ হয়নি।এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই ওই ভাঙা সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে একটি নতুন দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।

 

 

 

 

 

পাতা-৪
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ চলনবিলের জনজীবন

জি,এম স্বপ্না ঃ প্রখর রোদ,প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চলনবিলের জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তয় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। বয়:বৃদ্ধ-শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস। নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি চলনবিলের সর্বত্র।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচন্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। সলঙ্গার রিকশাচালক কফিল উদ্দিন (৫৭) বলেন, একে তো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। চলনবিলের সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়, প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না।এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ মেলা বসলেও
প্রাণীসম্পদ অফিসে প্রাণী সেবা-চিকিতসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তাড়াশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আজিজ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. অলি উল্লাহ্, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল প্রমূখ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। বিশেষ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় রায়গঞ্জের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কোনরকমে নামেমাত্র অফিস চালানো হচ্ছে। ফলে তাড়াশের জনগনের এক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে।

 

তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

লুৎফর রহমান ঃ সারা দেশের যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৭ এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌরসভা মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল আল মামুন,উপ পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কুমার, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপাসহ বিভিন্ন দফতরে দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আজ ১৭ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

তাড়াশে দুই সেতু ভাঙা
দুর্ঘটনার আশংকা সার্বক্ষণিক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি সেতুর ছাদের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান দিয়ে রেখেছেন লোকজন সেখানে। ভাঙা সেতুটি হাড়িসোনা গ্রামীণ সড়কের টাগড়া সেতু নামে পরিচিত। এ সড়কের ঝলপিগাড়ী সেতু নামে আরো একটি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড বেড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
টাগড়া গ্রামের ওসমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, চাকরির সুবাদে নিয়মিত হারিসোনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। এক সড়কের দুই সেতুর অবস্থা বেহাল। সাবধানতার সাথে যাতায়াত না করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাগড়া গ্রামের ইছমাইল, মান্নান, রশিদ, ছালাম ও রাজ্জাক ভাঙা সেতু দুইটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে নিবিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভাঙা সেতুটিতে লাল নিশান উড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাগড়া সেতুর ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে তাকালে পানি দেখা যায়। ছাদের ঢালাই খুলে পড়ে লোহার রড়গুলো বেড়িয়ে আছে। দুইটি বাঁশ রডের সাথে বেঁধে বাঁশের আগায় লাল কাপড় দিয়ে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজন নিরুপায় হয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ঝলপিগাড়ি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড় দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, হারিসোনা সড়কটি গ্রামীণ সড়ক বটে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। শালিয়া গাড়ি নিমগাছি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যান। রানীহাট হয়ে বগুড়া শহরে যান। ভবানীপুর হয়েও বগুড়া শহরে যাওয়া-আসা করেন লোকজন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ভাঙা সেতুটির বিষয়ে জানা ছিলনা। শিগগিরই মেরামত করে দেওয়া হবে।

 

কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ
ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম। এর আগে সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গত বুধবার পাবনা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পাবনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেমসহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।তামান্না তাবাসসুম উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তিতুমীর জিহাদীর মেয়ে। তামান্না তাবাসসুম তার এই কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সে জানায়,আগামী ২২ এপ্রিল বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়েও বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন।

রায়গঞ্জে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জি,এম স্বপ্না ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে মাইটিভির ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা প্রতিনিধি এইচ এম মোনায়েম খান ও চলনবিল প্রতিনিধি সনাতন দাসের আয়োজনে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও কেক কেটে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
রায়গঞ্জ প্রেসক্লবের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গার মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ। এ সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ড. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার,রায়গঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজেদুল আলম,যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি টি এম কামরুজ্জান লাবু,সহ সভাপতি আবু হাসেম মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসী,সাংবাদিক দীপক কুমার কর,স.ম আব্দুস সাত্তার, আতিক মাহমুদ আকাশ,আবুল কালাম আজাদ,খোরশেদ আলম,প্রতিদিনের দৃশ্যপটের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক নয়নসহ রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।

 

সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ : কর্তৃপক্ষ নিরব

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন নিরব,এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছেন না এমনটাই মন্তব্য ভুক্তভোগী পথচারীদের। এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর নয়াপাড়া আঞ্চলিক কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীঘদিন ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এই রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের অন্ততঃ শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন আগে নয়াপাড়ার আব্দুস সালাম রাস্তাটির অন্তত সিংহভাগ দখল করে একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তির পরও সে ভবনের কাজ অব্যাহত রাখেন।এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুফল পাচ্ছে না। উল্লাপাড়ার তৎকালিন ইউএনও উজ্জল হোসেনের সরেজমিন তদন্তে সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে ভবনটি ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুস সালামের ভবনটি। উল্টো ভুমিগ্রাসী আব্দুস সালাম হয়রানীমুলক,মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উপর ২টি মামলা দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই এলাকায় উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও উল্লাপাড়াসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি রাস্তা থেকে ভবন সরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দাম বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্যের

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। শনিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু, অসুস্থতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ।

তাড়াশে নতুন সামাজিক প্রথা
গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগি

বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সদ্যগত ঈদুল ফিতরে ব্যাপক সারা ফেলেছে গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করা। গ্রাম, গঞ্জ ও শহরের বেশীরভাগ লোকজন এ গোস্ত দিয়ে খাওয়ার চাহিদা মেটায় ঈদে। এতে যেমন ভালো মানের গোস্ত পাওয়া যায়, বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দামেও কম পড়ে বলে জানিয়েছেন গোস্ত সমিতির অনেকে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করে নেওয়া একটি কার্যকর পন্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের কাসেম আলী নামে এক জন গোস্ত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রামে একাধিক গোস্ত সমিতি রয়েছে। আমাদের সমিতিতে মাসে প্রত্যেকে ২০০ করে টাকা জমিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে ঈদের আগের দিন গোস্ত ভাগাভাগি করে নিয়েছি।ভাদাস গোস্ত সমিতির রাহেলা খাতুন নামে একজন সদস্য বলেন, আমি মাসে মাসে টাকা জমিয়ে এক দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকার গোস্ত পেয়েছি। সমিতি না থাকলে এত টাকার গোস্ত কেনার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। জানা গেছে, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া, হামকুড়িয়া, ঘরগ্রাম, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর, পওতা, পেঙ্গুয়ারি, কাজিপুর, বারুহাস গ্রাম, মাধাইনগড় ইউনিয়নের ধানকুন্টি, গুয়ারাখি, বিলাশপুর গ্রাম, নওগাঁ ইউনিয়েনের খালকুলা, মহিষলুটি, ললুয়াকন্দি গ্রাম, তালম ইউনিয়নের পাড়িল, বরইচড়া, গোন্তা গ্রাম, তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল, সোলাপাড়াসহ আরো অনেক গ্রামে গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগির গরু জবাই করেন লোকজন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, গোস্তের বাজারে ব্যবসায়িদের কারসাজি ভাঙতে প্রতিটি গ্রামে গোস্ত সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় গোস্তের দোকানে চাপ কমবে। তখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশী দামে গোস্ত বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবেনা ব্যবসায়িদের।

 

মে মাস জুড়েও থাকবে তীব্র গরম

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। সারাদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের ত্বক পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক।

গুরুদাসপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: “প্রানি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে দিনব্যাপী প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে। দুপুরে ফিতা কেটে প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে দেশব্যপি ওই মেলার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রানিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে ওই প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন খামারি ও প্রাণি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকাল বেলা তাড়াশ পৌর শিশু পার্কে হাজারো লোকজনের ঘোরাঘুরি উৎসব প্রিয়দের ঈদের এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়।এদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি চলনবিল অধ্যূষিত তাড়শের কুন্দইল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ১০ নং সেতুতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শাহালম বলেন, ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেল পৌর শিশু পার্কে ঘুরে। ছোট মেয়ে আসফিয়া চরকিতে বসে খুব মজা পেয়েছে। রাকিবুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলেন, আমি বিনসাড়া গ্রাম থেকে এসেছি। দোলনায় চড়েছি, নাগড়দোলায় উঠেছি ও ট্রেনে চড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।অপরদিকে রাজিব আহমেদ, ইশতিয়াক হোসেন, কামরুল ইসলাম, আয়শা খাতুন ও রাবেয়া পারভিন বলেন, ঈদের বিকেলটা নৈস্বর্গিক। চলনবিলের বুক জুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে সবুজ বোরো ধান ও মুক্ত বাতাশ। বিশেষ দিনগুলোয় এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকা ঘুরে-ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শিশু পার্কের সবুজ বনায়ন চত্বরের মাঠ লোকজনের ভীরে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরসহ সব বয়সি লোকজন এক সাথে। শিশু-কিশোররা দোলনা, নাগড়দোলা, ট্রেন ও চরকিতে চড়ে আনন্দ করছে। তবে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের উপস্থিতি ছিলো কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করতে যথা সাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই তাড়াশ পৌর শিশু পার্ক পরিপূর্ণ বিনোদন উপযোগী করে তোলা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংখ্যা ২৬ সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ বৈশাখ ১৪৩১ ১২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ
বিজ্ঞাপন টপের তিনটা ও পিউ মেডিকেল
সব নিউজের ছবি আছে

নিউজ বাদ দিলে কম গুরুত্বপূর্ণ খেয়াল করতে হবে
পাতা-১
‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ’ – ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আগামীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে সরকারের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কারণেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিএনপি নিজের কর্মকান্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

তীব্র তাপদাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকবে। তবে এরপর যেহেতু শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধ থাকবে টানা সাত দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাশ শুরু হবে। গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দফতরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে ভারতের নির্বাচনে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এ দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। খবর- এনডিটিভি।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।
এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আর ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

তাড়াশে বিভিন্ন সরকারী অফিস চলে “ভারপ্রাপ্ত” দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরের পর বছর ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর চলছে পার্শ্ববর্তী বা অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা “ভারপ্রাপ্ত” কর্মকর্তা বা অ.দ. দিয়ে।
প্রথমেই উল্লেখ্য তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি বিগত তিন বছরের অধিক কাল যাবত তাড়াশে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন । এরপর তাড়াশ উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জনৈক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসে মাসে একবার এসে তাড়াশে অফিস করে প্রক্সি দিয়ে চলেছেন গত এক বছর যাবত। ফলে শত শত কর্মচারীর হাজার হাজার বিল নিয়মিত পেতে অসুবিধা হচ্ছে। একারণে বেড়েছে জটিলতা ও দুর্ভোগ। এরপর তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রসঙ্গ বলা যায়। গত তিন বছর যাবত এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক এবং বর্তমানে কোন স্টাফও নেই। সে কারণে বর্তমানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সম্পূর্ণ জনবলশূন্য। একই কারণে উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ অফিস চলছে রায়গঞ্জের প্রাণী সম্পদ অফিসার দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসেবে।
সবশেষে লক্ষণীয় তাড়াশ পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য প্রায় এক বছর যাবত। এগুলো হচ্ছে পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী। বেলকুচি উপজেলার পৌর প্রকৌশলী তাড়াশে মাঝে মাঝে উক্ত দুই পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।অথচ নতুন ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এই পৌরসভায় সার্বক্ষণিক সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তাই বলা চলে, অবহেলিত তাড়াশ উপজেলার উল্লেখিত অফিসগুলো ভারপ্রাপ্তদের ওজনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মানে হলো, উক্ত অফিসগুলোতে নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় এগুলোর সেবা সুবিধা হতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া মূখ্য কমকর্তা না থাকায় অফিসগুলো কেমন চলে তা দেখার কেউ নেই। এই সব অফিসে কবে নাগাদ পূর্ণ কর্মকর্তার পদায়ন হবে তা-ও কেউ জানে না। তাড়াশ যে আজো বেশী পিছিয়ে এসবই তার নমূনা।

 

কোটেশন : “তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ” । — সূরা আলে-ইমরান

তাড়াশ সদরে ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য – প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ সদর সংলগ্ন এবং আশেপাশে পুকুর খননের মাটি বহনের ড্রাম ট্রাক চলছে তাড়াশ সদরের বিভিন্ন সড়কে সারা রাত ধরে। রাতে অফিস-আদালত বন্ধ ও মানুষের চলাচল না থাকায় চৌর্য বৃত্তির আদলে সদরের প্রায় সব সড়কে চুপি চুপি এসব ড্রাম ট্রাকে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ভোররাতে হাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম ট্রাক চালকেরা খুব দ্রæততার সাথে ক্ষীপ্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ পুকুরের মাটি বহন করে চলেছে। একটি দুটি নয় অনেকগুলো ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেটের আকারে সংগোপনে মাটি বহন এর কাজ করে যাচ্ছে। সূর্য ওঠার পূর্বেই সদরের মাটি ভরার কাজ তারা সেরে ফেলে দিয়ে দিনের বেলা বিরত আর লুকিয়ে থাকে। আবার মধ্যরাত থেকে মাটি বাহনের ড্রাম ট্রাকগুলো ছুটে চলে দৈত্যের মতো।
তাদের কেউ ছুঁতেও পারে না। তাদের দৌরাত্ম্য কেউ রুখতেও পারে না। তাদের দাপট ও দম্ভের কাছে সব মহলই ব্যর্থ। কেননা এদের পিছনে রয়েছে সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহল। সবাইকে ম্যানেজ ও নিয়ন্ত্রণ করেই তারা এখন ওপেন সিক্রেটে এই কাজটি করে চলেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকনো মৌসুমের সুবাদে তাড়াশ সদরে ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এটা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। অবৈধ পুকুর খনন এবং ট্রাকে মাটি বহন করে রাস্তাঘাট বিনষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে গরু চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ তাড়াশে বেড়েছে গরু চুরি, চলছে গরু চুরির হিড়িক। মাঝে মাঝেই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামে চারটি ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিক সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, রাতে অন্যান্য দিনের মতো গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা। আর গোয়াল ঘরের ৪টি গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করেন হায়দার। চুরি যাওয়া চারটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। অপরদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার থানা পাড়া মহল্লায় কে এম মোনায়েম হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ২টি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী দুইজন কৃষকই তাড়াশ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গরুর মালিক গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের মূল গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের “তাড়াশ প্রেস ক্লাবের“ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। তাড়াশ পৌর সভার অর্থায়নে ওই গেট নির্মিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক,পৌর কাউন্সিলর শামিম সরকার,বাবু তালুকদার,বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামীম, সাবেক সভাপতি সনাতন দাস, সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল ইসলাম বাদল, শফিউল হক বাবলু, সাব্বির আহম্মেদ, আলহাজ আলী রনি, মৃণাল সরকার মিলু, লুৎফর রহমান, এম এ মাজিদ, মুন্নি আহমেদ, শায়লা পারভীন, হাদিউল ইসলাম হৃদয় ও রেজাউল করিম ঝন্টু।
তাড়াশে অপরাধ প্রতিরোধে
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের অপরাধ প্রতিরোধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাড়াশ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়র ও চেয়ারম্যান বরাবর এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অপরাধ বিবেচনায় বছরের ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবনতার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে গরু চুরি। এ কারণে পাড়া-মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করুন। পুলিশের একার পক্ষে তাড়াশের ১৫৬ টি গ্রামের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও সড়কগুলো পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে তাড়াশের আপামর জনসাধারনের সচেনতা বাড়বে। ফলে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল যাবত তাড়াশে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর অনশনে প্রেমিক পলাতক

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে মহিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে মহিবুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
কলেজ ছাত্রী বলেন, জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহর সঙ্গে তার চার বছরের প্রেমর সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আজ তার বাড়িতে এসেছি। কিন্তু মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনশণ করা কলেজছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা এবং থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশে শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামী কারাগারে

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মারুফ হাসান (১২) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী কাওসার হোসেন (১৯) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মো. কাওসার হোসেন উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বেসরকারি আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মারুফ হাসান অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় কাওসার হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই আসামী কাওসারকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন

আরিফুল ইসলাম ঃ আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ইং শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ’র সভাপতিত্বে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ প্রমূখ৷

পাতা-২

সম্পাদকীয়
তাড়াশে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন
প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে সেবা চালু হবে কবে?

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাড়াশ উপজেলা সদরেও গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বা প্রাণী সম্পদ মেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে যখন প্রাণী সম্পদ মেলা চলছিল তার অদূরে পশু হাসপাতাল নামে বহু পরিচিত প্রাণী সম্পদ অফিস ছিল নীরব মৃতপুরী। যদিও আগের দিন সন্ধ্যায় সেখানে আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে। কেননা তাড়াশে পশু-প্রাণী সেবা দেবার বা দেখভালের কেউ নেই। জনবল তথা চিকিৎসক সংকটে বছর জুড়েই ধুঁকছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে বহু লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে। ফল তেমন হচ্ছে না। কারণ এই অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। বড় কথা চিকিৎসক না থাকায় নানা ধরনের প্রাণী ও পশুর চিকিৎসা শুধু ব্যাহতই নয় – বেমালুম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুশকিলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খামারীরা। মানুষ ইদানিং গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার ইত্যাকার স্থানীয় উদ্যোগ-উদ্যোক্তা বেড়ে গেছে সবখানেই। তাড়াশেও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার পশুপালনের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। কারণ এটা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এখন যেকোন গরুর মূল্যই প্রায় লাখ টাকা। আগের দিনে এমনটি ছিল না। এখন একটি গরু অসুস্থ হলে তার পালনকারীও অসুস্থ হয়ে যায়। কারো গরু মারা গেলে সে সাময়িক হলেও ভেঙে পড়ে। কেননা গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি যাই বলুন না কেন সবকিছুর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাই খামারিরা পশু-পাখি পালনের মধ্যে তাদের জীবনের উন্নতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে। এটা তাদেও ভবিষ্যতের আশা জাগানিয়া।
এমনই জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী প্রাণী সম্পদ ক্ষেত্রে যদি কোনো উপজেলায় প্রাণীদের চিকিৎসা ও সেবা তৎপরতা সংকুচিত কিংবা বন্ধ থাকে তা কিভাবে সহনীয় বলে গণ্য হবে। এখনকার দিনে মানুষের যতœ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসাও অনেক গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু এর সাথে অর্থনীতি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য,পুষ্টি নিরাপত্তা ইত্যাদিরও সংযোগ রয়েছে। তাই অতীব জরুরী হল, যেকোন মূল্যে তাড়াশের প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরেনারি হাসপাতাল সদা-সর্বদা চালু তথা সচল-সক্রিয় রাখা। মনে রাখতে হবে, মানুষের মতোই পশু-প্রাণীও কখন অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিছুদিন দেশের অন্য স্থানে ন্যায় তাড়াশেও গবাদি পশুর সংক্রমাক রোগ লাম্পি স্কিন এ অসংখ্য গরু মারা গেল বলা চলে বিনা চিকিৎসায়। এর কারণ একটাই, তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চিকিৎসক শূন্য। এখানে কেরানি, পিয়ন বা সহায়ক স্টাফ গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর পশু হাসপাতালে সংলগ্ন পশু ওষুধের ফার্মেসিগুলোই একমাত্র ভরসা। এসব দোকানীরা ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কতিপয় স্বেচ্ছাসেবী এই সুযোগে ডাক্তার সেজে পাবলিককে তাদের গবাদি পশুর ঔষধ বা ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যা নিরাপদ নয় – বিধিসম্মতও নয় এবং পাবলিক অপাত্রে টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছে উপায় না পেয়ে। অতএব জাতীয় প্রাণী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দ্রæত চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োগ করা হবে – এটাই উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

মন্তব্য কলাম
ধারাবাহিক হত্যা-খুনের ঘটনায় তাড়াশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে
আবদুর রাজ্জাক রাজু

গত ২০২৩ সালে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দিবালোকে চরমপন্থীদের হাতে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন। সর্বহারার পরিচয়ে ¯েøাগান দিয়ে ভোগলমান চারমাথা বাজারে জনসমাগম স্থলে তাকে হত্যা করা হয় সন্ধ্যা বেলা। সে হত্যার প্রকৃত রহস্য আজো অজ্ঞাত। যদিও প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের একজন আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তবুও আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তাকে জীবন দিতে হলো ভালো কাজ করে জনগণের প্রশংসা পাওয়া সত্তে¡ও। এতে তাড়াশ উপজেলায় যে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল বলে মানুষ ভেবে নিয়ে ছিল তা হোঁচট খেল।

এর এক বছর পরেই তাড়াশ উপজেলা সদর প্রামে বিকাশ চন্দ্র সরকার নামে এক বিত্তবান ব্যক্তি ২০২৪ সালে সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাটে। তার সাথে তার স্ত্রী ও একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েকেও যুগপৎ জীবন দিতে হয়। ঘটনার সূত্রে নিহত বিকাশের আপন ভাগ্নেকে পরে আটক কওে পুলিশ। বর্তমান সে কারাগারে অন্তরীণ। মামলা চলমান।
আবার তৃতীয় মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রাণনাশের ঘটনাটি ঘটেছে অতিসম্প্রতি তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামে। এই গ্রামের মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেনের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র শিশু ছেলে মারুফ আহমেদকে (১৪) একই গ্রামের দুর্বৃত্তরা প্রথমে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে স্থানীয় ঝুরঝুরি বাজারের এক মার্কেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। প্রায় সপ্তাহখানেক পর পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে ও আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তাড়াশ উপজেলায় অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর তিনটি নৃশংস খুন এই জনপদের খ্যাতি ও সুনামকে ¤øান করে দিয়েছে। এর বাইরে উপজেলায় প্রায়শ: আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যার শিকার একমাত্র নারীরা । পূর্বে তাড়াশ দস্যু-তস্কর অতঃপর চরমপন্থী বিচরণের লোকালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময় এই থানাকে বলা হত “পানিশমেন্ট জোন” । তাই তখনকার দিনে কেউ সরকারি চাকরিতে বদলি হয়ে এখানে আসতে চাইতো না। স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়ে স্থানীয় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

বলা যায়, অনেক দিন এ উপজেলায় খুন-খারাবী ও রক্তারক্তি ছিল না বললেই চলে। সকলেই যখন নির্ভয়ে ও নিরাপদের ভেতর দিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে এমনই মুহূর্তে উপরোক্ত বড় ধরনের পর পর তিনটি অপরাধজনক প্রাণনাশের ঘটনা আবার এলাকাবাসীর মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা কোথাও হঠাৎ করে জীবন তথা প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটলে গোটা পরিবেশ আতঙ্কিত হয়। সুস্থ সমাজে অসুস্থতা দেখা দেয়। মানুষের মানসিক চেতনা তথা মনজগতে রীতিমতো ছাপ ফেলে, দাগ কাটে। কেননা এই আধুনিক ও আলোকিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখতে চায় না। তাছাড়া যে এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়- সেই লোকালয়কে স্বাভাবিক রূপেই দুর্নাম বহন করতে হয়। এতে ঐ অঞ্চলের মানব ও সমাজ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা জন্মে।আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নরবড়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উপজেলার সর্বত্র। এগুলো এলাকাবাসীর জন্য এক ধরনের লজ্জা ও কলঙ্ক বটে। এই অমানবিক ও পৈশাচিক ঘটনার সংখ্যা বা মাত্রা দিয়ে নয়, এটা ঘটা মানে এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের দিনে প্রযুক্তির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই এমন দুঃসংবাদ দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে ওই এলাকা কেন্দ্র করে সবার খারাপ চিন্তার উদ্রেক করে। এটা বিশেষত আজকের দিনে আদৌ কাম্য নয়। আমরা উন্নয়নে-প্রগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। অমনুষ্যত্বের ও পশুত্বের প্রবণতাকে অবশ্যই দমন করতে হবে। বাইরের মানুষ এসব দেখে ভাবে, এটা ক্রাইম জোন। ভয়াবহ জনপদ। বসবাস কিংবা ব্যবসা বালিজ্যের জন্য এই উপজেলা নিরাপদ নয়। এ রকম কালচার সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। অতীতে আমরা শুনেছি“ যার কপাল মন্দ-সে যায় কামারখন্দ”। অথচ সেই কামারখন্দ এখন তাড়াশের চেয়ে অনেক উন্নত। তাড়াশ একসময় “ত্রাস” নামে গণ্য হতো, মনে হতো এটা অপরাধের অভয়ারণ্য। কিন্তু ইতিহাসের সে কালো যুগ চলে গেছে। এখন অতীতের অপবাদ বা অপমান ঝেড়ে ফেলে আমরা গর্বিত আধুনিক ও মানবিক জীবনচারের অংশীদার।

তাই তাড়াশের নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হবে, এলাকায় সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণে ভূমিকা নেওয়া এবং সর্বোপরি স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাতে সমাজে হিংসা-হানাহানি, শত্রুতা-বৈরিতা এবং উগ্র স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সুনাগরিকের গুনাবলী বিশিষ্ট সভ্য-সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা। তাড়াশে যেন আর কোন একটি হত্যা ও জিঘাংসার দৃষ্টান্ত না দেখা যায়- সে লক্ষ্যে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী শুভবুদ্ধি মনষ্ক মানুষের সক্রিয় সচেষ্ট তৎপড়তা চালাতে হবে। শান্তিপ্রিয় নিরীহ তাড়াশবাসী কোন দুর্নামের ভাগীদার হতে চায় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সহজ-সরল খুব সুন্দর প্রিয় তাড়াশ বার বার কালিমালিপ্ত হোক তা কারো কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “ কেউ যদি একজন মানুষকে হক্যা করল, সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।” তাড়াশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু এলাকায় না ঘটুক সেই দিকে নজর রাখা সবার দরকার।

শিশুর ভবিষ্যৎ রচনায় পিতা-মাতা-শিক্ষকের ভূমিকা
মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন)
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাঃ ০১৭১৯-৩৬২৪৪৪

মানব জীবন স্বাপ্নিক। স্বপ্ন নিয়ে মানব জীবন শুরু হয়। স্বপ্নের স্তর অনুযায়ী একটি শিশুর জন্মের মধ্যে দিয়ে পিতা-মাতা পরিবারের স্বপ্নের ধারা শুরুহয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারিবারিক শিক্ষা একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষক, তার পরিবার ও মাতা-পিতা। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর জীবনে প্রাথমিক বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে থাকে। পারিবারিক শৃংখলা, স্বপ্ন দেখানো, পথ বাতলিয়ে দেয়া, পথ দেখানো তার জীবনে একটি স্বাপ্নিক বাস্তবতার জন্ম দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিশু যখন স্কুলে যাবার উপযুক্ত হয় তখন পারিপার্শ্বিকতা, স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে, সমাজ থেকে জ্ঞান আহরন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকে তার চরিত্রের বুনিয়াদ রচনা করে, পারিবারিক শিক্ষার পরপরই। এর পর শিশুটি যখন শিশু থেকে কৈশরে পদার্পন করে তখন সে পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে দেখাদেখি জ্ঞান আহরন অনুকরন-অনুসরন করতে থাকে।
বিশেষ করে শিশুরা শিশুকালে অধিকতর অনুকরণ প্রিয়। অনুকরণের মধ্যে দিয়ে তার শিক্ষার বুনিয়াদ রচিত হয়। কৈশরের পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর শিক্ষা জীবনকে সমৃদ্ধির পক্ষে স্বার্থকতার পথে এগিয়ে নেয়। বর্তমান সমাজেমাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। শিশুরা মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত, কাটুন দেখায় আসক্ত, টিকটকে আসক্ত। এর মধ্যে দিয়ে শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে অনৈতিকতার প্রভাব পিতা-মাতার ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে ভুলন্ঠিত করছে। সমাজ থেকে মাদকের বিস্তার, মোবাইল আসক্তি ও অনৈতিকতার বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। আগত শিশু যাদের নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের। আজ আমরা শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি শিক্ষক সমাজ।
একজন শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। শিক্ষক মনা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দানের জাতীয় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এখন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে সচেতন হয়ে সমাজ গঠনে আগত শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশ, জাতি, সমাজ গঠনে শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা সমুন্নত থাক। এ প্রত্যাশা..

বোশেখ আসে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

বোশেখ আসে কাল বৈশাখীর – রুদ্র রূপের ঝড়কে নিয়ে
বোশেখ আসে পূরান দিনের – জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে।
বোশেখ আসে ঈশান কোনে – কাল মেঘে দিনের শেষে
বোশেখ আসে শীলাপাতে – নুইয়ে পড়া ধানের শীষে।
বোশেখ আসে বৃষ্টি শেষে – আউশ চাষের দিতে সুযোগ
বোশেখ আসে পাট চাষীদেও – বীজ বোনার তুলতে হুজুগ।
বোশেখ আসে ঝড়ের পরে – আম কুড়ানোর সুখ ছড়িয়ে
বোশেখ আসে তীব্র দাহে – কৃষক কূলের ঘাম ঝরিয়ে।
বোশেখ আসে স্বল্প জলের – ব্যাঙের গলার জোর বাড়াতে
বোশেখ আসে তুফান তুলে – মশার গোষ্ঠী দেশ তাড়াতে।
বোশেখ আসে নববর্ষে – রমনা পার্কে বটের মূলে
বোশেখ আসে ছায়ানটের – সূর সাগরে তরঙ্গ তুলে।
বোশেখ আসে চারুকলার – লিচুতলায় মূখোস পরে
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আসে – ভূত-প্রেতের আকার ধরে।
বোশেখ আসে পান্তাসহ – সংগে থাকে ইলিশ মাছ
বোশেখ আসে গ্রামীণ মেলায় – এক কোণে যার পুতুল নাচ।
বোশেখ আসে ললনার – বৈশাখী শাড়ীর ভাঁজে
বোশেখ আসে গামছা মাথায় – ঘুরে বেড়ানো যুবার মাঝে।
বোশেখ আসে কাঁচা আমের – গন্ধ ভরা স্বাদ চেনাতে
বোশেখ আসে সুন্দরীদেও -মেহেদী রাঙা কোমল হাতে।
বোশেখ আসে পেটুক জনকে – তরমুজ খাওয়ার লোভ দেখাতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে -ভালবাসার ছল শেখাতে।
বোশেখ আসে গঞ্জের হাটে – মহাজনের হালখাতায়
বোশেখ আসে গরম হাওয়ায় – গাছের নীচের ঝরা পাতায়।
বোশেখ আসে বিশ্ব কবির -ছোট্ট নদীর শুকনো কূলে
বোশেখ আসে বাউল গানের – কবিয়ালের বাবরী চূলে।
বোশেখ আসে দূপুর বেলার – বিরহী কোন্ ঘুঘুর ডাকে
বোশেখ আসে বিলের ধাওে – চিল চেঁচানো শিমুল শাখে।
বোশেখ আসে মেলা ফেরত – শিশুর খেলনা বাঁশীর সূরে
বোশেখ আসে আনন্দে ভেসে – তারই ক্ষুদ্র হৃদয় জুড়ে।
বোশেখ আসে নতুন প্রাণে -উদ্দীপনার শিক্ষা নিতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে – উৎসবে মাতিয়ে দিতে।।

তাড়াশে বাবা-ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ
আরিফুল ইসলাম ঃ তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২ নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩ নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো। তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে। আসামিগণ ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫ এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

শাহজাদপুরে শালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বড় চানতারা গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইইপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন চান মোল্লা(৭৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হামলা ও মারপিটে চান মোল্লা গ্রুপের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বড় চানতারার বাড়িতে শালিস বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০), মেয়ে সালমা খাতুন(৪৫),আয়শা খাতুন(২০), সুলতানা খাতুন(৩০) ও শ্যালক ইউসুফ মোল্লা অভিযোগে জানান, বড় চানতারা গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে সোলায়মান ফকিরের(৩৫) সাথে ৯ বছর আগে সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসের আব্দুল্লাহ(৬) ও আব্দুল কাদের(৩) নামের দুইটি ছেলে রেখে আরও দুইটি বিয়ে করে ছোট বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। বড় বউ সুলতানাকে কোনো ভরনপোষণ ও কাপড়চুপড় দেয় না। এবিষয়ে কথা বললে সুলতানাকে মারধর ও নির্যাতন করে। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে মারপিট করে। দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেরে যাওয়ায় সুলতানা ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়। ঈদের ১০/১২ দিন আগে সোলায়মান শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুলতানা আপষ মিমাংসা ছাড়া এভাবে যেতে রাজি না হওয়ায় সোলায়মান তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঈদের আগে ছেলেকে ফেরত পেতে অনেক দৌড় ঝাপ করেও ছেলেকে ফেরত পায় না।
এর মধ্যে সুলতানার ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক আব্দুল মজিদ, ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসায় সন্তান ফেরত ও বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষের সম্মতিতে সুলতানার স্বামী সোলায়মানের চাচা সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বাড়িতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শালিস বৈঠক বসে। এ শালিসের শেষের দিকে সুলতানার ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন মোল্লা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের রায়ের লিখিত চাইলে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এর জের ধরে জিন্নাহর ছেলে, ভাই, ভাতিজা ও লোকজন দুই সেনাবাহিনীর সৈনিক সহ তাদের পক্ষের ১০/১৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধ চাম মোল্লা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বৃদ্ধ চান মোল্লা ঘটনাস্থল ইউপি সদস্য জিন্নাহর বাড়ির উঠনে ঢলে পড়ে মারা যায়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ৫ লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নিহতের স্বজনেরা রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ এদিন রাত ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা ঘাতক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির সহ সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির মোবাইল ফোনে জানায়, শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসিত হওয়ার পরেও সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটিছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল ফোনে এতো কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুুপুরে নিহতের বড় ছেলে লালন মোল্লা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে এদিন সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামীরা সব বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আশাকরি অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

রায়গঞ্জে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: ‘বন্ধু, কী খবর বল?’ দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয়জীবনের মজার স্মৃতির কথায়।নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ ¯েøাগান সামনে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক গোলজার হোসেন ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. পিয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন প্রাক্তন ছাত্র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার। প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান খ ম রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, একটি বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদী আলমাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ‘শেষ জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সোহেলী আক্তার বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। ফুচকা, আইসক্রিম, চা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

নন্দীগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডাঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গরমে ঝরছে আমের গুটি – শঙ্কায় চাষীরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ দেশের আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সব উপজেলার মধ্যে তাড়াশ চলনবিল একটি সব ধরনের অধ্যায় সম্প্রতি প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে পানি শূন্যতায় ব্যাপক হারে মাটিতে ঝরে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের আমের গুটি। তীব্র খরা আর টানা বৃষ্টিহীনতায় শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল ও ডোবাগুলো।
সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপদাহে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন্নআয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পূরনো পুকুর খাল ও ডোবাগুলো দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কারের অভাবে পানির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রচন্ড রোদ ও গরমের কারণে আগে থেকেই সেচের কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাগানে গাছের গোড়ায় পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়েছে গাছের আম। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে এবার আম গাছে কম এসেছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতায় মুকুল দেরিতে আসা এবং কিছু এলাকায় অসময়ে বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুল ও গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে আম চাষিরা বিশেষভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে সূর্যের তাপের আধিক্য বেশি হওয়ায় আম ঝরে পড়া রোধ করতে না পারায় হতাশা ও শঙ্কায় দিন পার করছেন আম বাগান মালিকরা।

শাহজাদপুরে সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার
৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেতু ভেঙে আশপাশের আট গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত দেড় বছর ধরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামের ফুলছড়ি খালের ওপর নির্মিত ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের কাছে ফুলছড়ি খালের ওপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করা হয়। গত ২০২২ সালের বর্ষার শুরুতেই পানির চাপে সেতুটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে । এ কাশীনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পাঁচটি বিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা ও একটি এতিমখানা।চকহরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুতে ওঠানামা করার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এ সাঁকো থাকায় ওই ভাঙা সেতুটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সেতুটি পারাপার হতে কষ্ট হয়। বর্ষার আগেই সেতুটি সংস্কার না করা হলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সড়াতৈল গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে এলাকার ধান-চাল, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, অন্তঃসত্ত¡া, শিশু ও বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যা হয়।স্থানীয় সায়েস্তাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে ভাঙা সেতুতে উঠে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পারপার হতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অসংখ্যবার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও কোনো কাজ হয়নি।এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই ওই ভাঙা সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে একটি নতুন দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।

 

 

 

 

 

পাতা-৪
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ চলনবিলের জনজীবন

জি,এম স্বপ্না ঃ প্রখর রোদ,প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চলনবিলের জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তয় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। বয়:বৃদ্ধ-শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস। নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি চলনবিলের সর্বত্র।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচন্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। সলঙ্গার রিকশাচালক কফিল উদ্দিন (৫৭) বলেন, একে তো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। চলনবিলের সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়, প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না।এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ মেলা বসলেও
প্রাণীসম্পদ অফিসে প্রাণী সেবা-চিকিতসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তাড়াশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আজিজ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. অলি উল্লাহ্, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল প্রমূখ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। বিশেষ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় রায়গঞ্জের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কোনরকমে নামেমাত্র অফিস চালানো হচ্ছে। ফলে তাড়াশের জনগনের এক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে।

 

তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

লুৎফর রহমান ঃ সারা দেশের যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৭ এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌরসভা মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল আল মামুন,উপ পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কুমার, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপাসহ বিভিন্ন দফতরে দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আজ ১৭ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

তাড়াশে দুই সেতু ভাঙা
দুর্ঘটনার আশংকা সার্বক্ষণিক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি সেতুর ছাদের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান দিয়ে রেখেছেন লোকজন সেখানে। ভাঙা সেতুটি হাড়িসোনা গ্রামীণ সড়কের টাগড়া সেতু নামে পরিচিত। এ সড়কের ঝলপিগাড়ী সেতু নামে আরো একটি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড বেড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
টাগড়া গ্রামের ওসমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, চাকরির সুবাদে নিয়মিত হারিসোনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। এক সড়কের দুই সেতুর অবস্থা বেহাল। সাবধানতার সাথে যাতায়াত না করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাগড়া গ্রামের ইছমাইল, মান্নান, রশিদ, ছালাম ও রাজ্জাক ভাঙা সেতু দুইটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে নিবিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভাঙা সেতুটিতে লাল নিশান উড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাগড়া সেতুর ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে তাকালে পানি দেখা যায়। ছাদের ঢালাই খুলে পড়ে লোহার রড়গুলো বেড়িয়ে আছে। দুইটি বাঁশ রডের সাথে বেঁধে বাঁশের আগায় লাল কাপড় দিয়ে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজন নিরুপায় হয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ঝলপিগাড়ি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড় দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, হারিসোনা সড়কটি গ্রামীণ সড়ক বটে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। শালিয়া গাড়ি নিমগাছি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যান। রানীহাট হয়ে বগুড়া শহরে যান। ভবানীপুর হয়েও বগুড়া শহরে যাওয়া-আসা করেন লোকজন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ভাঙা সেতুটির বিষয়ে জানা ছিলনা। শিগগিরই মেরামত করে দেওয়া হবে।

 

কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ
ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম। এর আগে সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গত বুধবার পাবনা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পাবনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেমসহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।তামান্না তাবাসসুম উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তিতুমীর জিহাদীর মেয়ে। তামান্না তাবাসসুম তার এই কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সে জানায়,আগামী ২২ এপ্রিল বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়েও বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন।

রায়গঞ্জে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জি,এম স্বপ্না ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে মাইটিভির ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা প্রতিনিধি এইচ এম মোনায়েম খান ও চলনবিল প্রতিনিধি সনাতন দাসের আয়োজনে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও কেক কেটে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
রায়গঞ্জ প্রেসক্লবের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গার মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ। এ সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ড. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার,রায়গঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজেদুল আলম,যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি টি এম কামরুজ্জান লাবু,সহ সভাপতি আবু হাসেম মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসী,সাংবাদিক দীপক কুমার কর,স.ম আব্দুস সাত্তার, আতিক মাহমুদ আকাশ,আবুল কালাম আজাদ,খোরশেদ আলম,প্রতিদিনের দৃশ্যপটের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক নয়নসহ রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।

 

সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ : কর্তৃপক্ষ নিরব

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন নিরব,এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছেন না এমনটাই মন্তব্য ভুক্তভোগী পথচারীদের। এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর নয়াপাড়া আঞ্চলিক কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীঘদিন ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এই রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের অন্ততঃ শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন আগে নয়াপাড়ার আব্দুস সালাম রাস্তাটির অন্তত সিংহভাগ দখল করে একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তির পরও সে ভবনের কাজ অব্যাহত রাখেন।এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুফল পাচ্ছে না। উল্লাপাড়ার তৎকালিন ইউএনও উজ্জল হোসেনের সরেজমিন তদন্তে সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে ভবনটি ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুস সালামের ভবনটি। উল্টো ভুমিগ্রাসী আব্দুস সালাম হয়রানীমুলক,মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উপর ২টি মামলা দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই এলাকায় উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও উল্লাপাড়াসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি রাস্তা থেকে ভবন সরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দাম বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্যের

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। শনিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু, অসুস্থতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ।

তাড়াশে নতুন সামাজিক প্রথা
গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগি

বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সদ্যগত ঈদুল ফিতরে ব্যাপক সারা ফেলেছে গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করা। গ্রাম, গঞ্জ ও শহরের বেশীরভাগ লোকজন এ গোস্ত দিয়ে খাওয়ার চাহিদা মেটায় ঈদে। এতে যেমন ভালো মানের গোস্ত পাওয়া যায়, বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দামেও কম পড়ে বলে জানিয়েছেন গোস্ত সমিতির অনেকে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করে নেওয়া একটি কার্যকর পন্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের কাসেম আলী নামে এক জন গোস্ত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রামে একাধিক গোস্ত সমিতি রয়েছে। আমাদের সমিতিতে মাসে প্রত্যেকে ২০০ করে টাকা জমিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে ঈদের আগের দিন গোস্ত ভাগাভাগি করে নিয়েছি।ভাদাস গোস্ত সমিতির রাহেলা খাতুন নামে একজন সদস্য বলেন, আমি মাসে মাসে টাকা জমিয়ে এক দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকার গোস্ত পেয়েছি। সমিতি না থাকলে এত টাকার গোস্ত কেনার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। জানা গেছে, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া, হামকুড়িয়া, ঘরগ্রাম, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর, পওতা, পেঙ্গুয়ারি, কাজিপুর, বারুহাস গ্রাম, মাধাইনগড় ইউনিয়নের ধানকুন্টি, গুয়ারাখি, বিলাশপুর গ্রাম, নওগাঁ ইউনিয়েনের খালকুলা, মহিষলুটি, ললুয়াকন্দি গ্রাম, তালম ইউনিয়নের পাড়িল, বরইচড়া, গোন্তা গ্রাম, তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল, সোলাপাড়াসহ আরো অনেক গ্রামে গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগির গরু জবাই করেন লোকজন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, গোস্তের বাজারে ব্যবসায়িদের কারসাজি ভাঙতে প্রতিটি গ্রামে গোস্ত সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় গোস্তের দোকানে চাপ কমবে। তখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশী দামে গোস্ত বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবেনা ব্যবসায়িদের।

 

মে মাস জুড়েও থাকবে তীব্র গরম

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। সারাদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের ত্বক পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক।

গুরুদাসপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: “প্রানি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে দিনব্যাপী প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে। দুপুরে ফিতা কেটে প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে দেশব্যপি ওই মেলার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রানিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে ওই প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন খামারি ও প্রাণি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকাল বেলা তাড়াশ পৌর শিশু পার্কে হাজারো লোকজনের ঘোরাঘুরি উৎসব প্রিয়দের ঈদের এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়।এদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি চলনবিল অধ্যূষিত তাড়শের কুন্দইল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ১০ নং সেতুতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শাহালম বলেন, ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেল পৌর শিশু পার্কে ঘুরে। ছোট মেয়ে আসফিয়া চরকিতে বসে খুব মজা পেয়েছে। রাকিবুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলেন, আমি বিনসাড়া গ্রাম থেকে এসেছি। দোলনায় চড়েছি, নাগড়দোলায় উঠেছি ও ট্রেনে চড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।অপরদিকে রাজিব আহমেদ, ইশতিয়াক হোসেন, কামরুল ইসলাম, আয়শা খাতুন ও রাবেয়া পারভিন বলেন, ঈদের বিকেলটা নৈস্বর্গিক। চলনবিলের বুক জুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে সবুজ বোরো ধান ও মুক্ত বাতাশ। বিশেষ দিনগুলোয় এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকা ঘুরে-ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শিশু পার্কের সবুজ বনায়ন চত্বরের মাঠ লোকজনের ভীরে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরসহ সব বয়সি লোকজন এক সাথে। শিশু-কিশোররা দোলনা, নাগড়দোলা, ট্রেন ও চরকিতে চড়ে আনন্দ করছে। তবে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের উপস্থিতি ছিলো কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করতে যথা সাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই তাড়াশ পৌর শিশু পার্ক পরিপূর্ণ বিনোদন উপযোগী করে তোলা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংখ্যা ২৬ সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯ বৈশাখ ১৪৩১ ১২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ
বিজ্ঞাপন টপের তিনটা ও পিউ মেডিকেল
সব নিউজের ছবি আছে

নিউজ বাদ দিলে কম গুরুত্বপূর্ণ খেয়াল করতে হবে
পাতা-১
‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ’ – ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আগামীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতার কারণে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে সরকারের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কারণেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিএনপি নিজের কর্মকান্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

তীব্র তাপদাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকবে। তবে এরপর যেহেতু শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধ থাকবে টানা সাত দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাশ শুরু হবে। গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দফতরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত।

৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে ভারতের নির্বাচনে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এ দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। খবর- এনডিটিভি।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।
এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। আর ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

তাড়াশে বিভিন্ন সরকারী অফিস চলে “ভারপ্রাপ্ত” দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরের পর বছর ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর চলছে পার্শ্ববর্তী বা অন্য উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা “ভারপ্রাপ্ত” কর্মকর্তা বা অ.দ. দিয়ে।
প্রথমেই উল্লেখ্য তাড়াশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ভারপ্রাপ্ত কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি বিগত তিন বছরের অধিক কাল যাবত তাড়াশে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন । এরপর তাড়াশ উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস। নাটোরের বাগাতিপাড়ার জনৈক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসে মাসে একবার এসে তাড়াশে অফিস করে প্রক্সি দিয়ে চলেছেন গত এক বছর যাবত। ফলে শত শত কর্মচারীর হাজার হাজার বিল নিয়মিত পেতে অসুবিধা হচ্ছে। একারণে বেড়েছে জটিলতা ও দুর্ভোগ। এরপর তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রসঙ্গ বলা যায়। গত তিন বছর যাবত এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে কোন চিকিৎসক এবং বর্তমানে কোন স্টাফও নেই। সে কারণে বর্তমানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সম্পূর্ণ জনবলশূন্য। একই কারণে উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ অফিস চলছে রায়গঞ্জের প্রাণী সম্পদ অফিসার দিয়ে চলতি দায়িত্ব হিসেবে।
সবশেষে লক্ষণীয় তাড়াশ পৌরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য প্রায় এক বছর যাবত। এগুলো হচ্ছে পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী। বেলকুচি উপজেলার পৌর প্রকৌশলী তাড়াশে মাঝে মাঝে উক্ত দুই পদেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।অথচ নতুন ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এই পৌরসভায় সার্বক্ষণিক সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তাই বলা চলে, অবহেলিত তাড়াশ উপজেলার উল্লেখিত অফিসগুলো ভারপ্রাপ্তদের ওজনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মানে হলো, উক্ত অফিসগুলোতে নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় এগুলোর সেবা সুবিধা হতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া মূখ্য কমকর্তা না থাকায় অফিসগুলো কেমন চলে তা দেখার কেউ নেই। এই সব অফিসে কবে নাগাদ পূর্ণ কর্মকর্তার পদায়ন হবে তা-ও কেউ জানে না। তাড়াশ যে আজো বেশী পিছিয়ে এসবই তার নমূনা।

 

কোটেশন : “তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ” । — সূরা আলে-ইমরান

তাড়াশ সদরে ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য – প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ সদর সংলগ্ন এবং আশেপাশে পুকুর খননের মাটি বহনের ড্রাম ট্রাক চলছে তাড়াশ সদরের বিভিন্ন সড়কে সারা রাত ধরে। রাতে অফিস-আদালত বন্ধ ও মানুষের চলাচল না থাকায় চৌর্য বৃত্তির আদলে সদরের প্রায় সব সড়কে চুপি চুপি এসব ড্রাম ট্রাকে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভরাটের জন্য ফেলা হচ্ছে। ভোররাতে হাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রাম ট্রাক চালকেরা খুব দ্রæততার সাথে ক্ষীপ্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ পুকুরের মাটি বহন করে চলেছে। একটি দুটি নয় অনেকগুলো ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেটের আকারে সংগোপনে মাটি বহন এর কাজ করে যাচ্ছে। সূর্য ওঠার পূর্বেই সদরের মাটি ভরার কাজ তারা সেরে ফেলে দিয়ে দিনের বেলা বিরত আর লুকিয়ে থাকে। আবার মধ্যরাত থেকে মাটি বাহনের ড্রাম ট্রাকগুলো ছুটে চলে দৈত্যের মতো।
তাদের কেউ ছুঁতেও পারে না। তাদের দৌরাত্ম্য কেউ রুখতেও পারে না। তাদের দাপট ও দম্ভের কাছে সব মহলই ব্যর্থ। কেননা এদের পিছনে রয়েছে সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী মহল। সবাইকে ম্যানেজ ও নিয়ন্ত্রণ করেই তারা এখন ওপেন সিক্রেটে এই কাজটি করে চলেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় শুকনো মৌসুমের সুবাদে তাড়াশ সদরে ও উপজেলার প্রায় সর্বত্র এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এটা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। অবৈধ পুকুর খনন এবং ট্রাকে মাটি বহন করে রাস্তাঘাট বিনষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে গরু চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ তাড়াশে বেড়েছে গরু চুরি, চলছে গরু চুরির হিড়িক। মাঝে মাঝেই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামে চারটি ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিক সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, রাতে অন্যান্য দিনের মতো গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে গরু বের করতে গেলে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা। আর গোয়াল ঘরের ৪টি গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করেন হায়দার। চুরি যাওয়া চারটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। অপরদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার থানা পাড়া মহল্লায় কে এম মোনায়েম হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ২টি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। তার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী দুইজন কৃষকই তাড়াশ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গরুর মালিক গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের মূল গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের “তাড়াশ প্রেস ক্লাবের“ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ মূল গেটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। তাড়াশ পৌর সভার অর্থায়নে ওই গেট নির্মিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক,পৌর কাউন্সিলর শামিম সরকার,বাবু তালুকদার,বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামীম, সাবেক সভাপতি সনাতন দাস, সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল ইসলাম বাদল, শফিউল হক বাবলু, সাব্বির আহম্মেদ, আলহাজ আলী রনি, মৃণাল সরকার মিলু, লুৎফর রহমান, এম এ মাজিদ, মুন্নি আহমেদ, শায়লা পারভীন, হাদিউল ইসলাম হৃদয় ও রেজাউল করিম ঝন্টু।
তাড়াশে অপরাধ প্রতিরোধে
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভাসহ আট ইউনিয়নের অপরাধ প্রতিরোধে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাড়াশ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়র ও চেয়ারম্যান বরাবর এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অপরাধ বিবেচনায় বছরের ঋতু পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবনতার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে গরু চুরি। এ কারণে পাড়া-মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করুন। পুলিশের একার পক্ষে তাড়াশের ১৫৬ টি গ্রামের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও সড়কগুলো পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ফলে তাড়াশের আপামর জনসাধারনের সচেনতা বাড়বে। ফলে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুকাল যাবত তাড়াশে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর অনশনে প্রেমিক পলাতক

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে মহিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে মহিবুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
কলেজ ছাত্রী বলেন, জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহর সঙ্গে তার চার বছরের প্রেমর সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আজ তার বাড়িতে এসেছি। কিন্তু মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনশণ করা কলেজছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা এবং থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশে শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামী কারাগারে

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মারুফ হাসান (১২) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী কাওসার হোসেন (১৯) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক মো. কাওসার হোসেন উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বেসরকারি আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের টেক্সটাইল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মারুফ হাসান অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় কাওসার হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মারুফের বাবা মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই আসামী কাওসারকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন

আরিফুল ইসলাম ঃ আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ইং শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ’র সভাপতিত্বে কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুভ উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম লাবু, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ প্রমূখ৷

পাতা-২

সম্পাদকীয়
তাড়াশে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন
প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে সেবা চালু হবে কবে?

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাড়াশ উপজেলা সদরেও গত বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রদর্শনী বা প্রাণী সম্পদ মেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে যখন প্রাণী সম্পদ মেলা চলছিল তার অদূরে পশু হাসপাতাল নামে বহু পরিচিত প্রাণী সম্পদ অফিস ছিল নীরব মৃতপুরী। যদিও আগের দিন সন্ধ্যায় সেখানে আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে। কেননা তাড়াশে পশু-প্রাণী সেবা দেবার বা দেখভালের কেউ নেই। জনবল তথা চিকিৎসক সংকটে বছর জুড়েই ধুঁকছে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে বহু লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে। ফল তেমন হচ্ছে না। কারণ এই অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। বড় কথা চিকিৎসক না থাকায় নানা ধরনের প্রাণী ও পশুর চিকিৎসা শুধু ব্যাহতই নয় – বেমালুম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুশকিলে পড়েছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খামারীরা। মানুষ ইদানিং গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার ইত্যাকার স্থানীয় উদ্যোগ-উদ্যোক্তা বেড়ে গেছে সবখানেই। তাড়াশেও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার পশুপালনের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। কারণ এটা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এখন যেকোন গরুর মূল্যই প্রায় লাখ টাকা। আগের দিনে এমনটি ছিল না। এখন একটি গরু অসুস্থ হলে তার পালনকারীও অসুস্থ হয়ে যায়। কারো গরু মারা গেলে সে সাময়িক হলেও ভেঙে পড়ে। কেননা গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি যাই বলুন না কেন সবকিছুর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাই খামারিরা পশু-পাখি পালনের মধ্যে তাদের জীবনের উন্নতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে। এটা তাদেও ভবিষ্যতের আশা জাগানিয়া।
এমনই জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরী প্রাণী সম্পদ ক্ষেত্রে যদি কোনো উপজেলায় প্রাণীদের চিকিৎসা ও সেবা তৎপরতা সংকুচিত কিংবা বন্ধ থাকে তা কিভাবে সহনীয় বলে গণ্য হবে। এখনকার দিনে মানুষের যতœ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসাও অনেক গুরুত্ব বহন করে। যেহেতু এর সাথে অর্থনীতি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি সরাসরি জড়িত। তাছাড়া মানুষের খাদ্য,স্বাস্থ্য,পুষ্টি নিরাপত্তা ইত্যাদিরও সংযোগ রয়েছে। তাই অতীব জরুরী হল, যেকোন মূল্যে তাড়াশের প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরেনারি হাসপাতাল সদা-সর্বদা চালু তথা সচল-সক্রিয় রাখা। মনে রাখতে হবে, মানুষের মতোই পশু-প্রাণীও কখন অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিছুদিন দেশের অন্য স্থানে ন্যায় তাড়াশেও গবাদি পশুর সংক্রমাক রোগ লাম্পি স্কিন এ অসংখ্য গরু মারা গেল বলা চলে বিনা চিকিৎসায়। এর কারণ একটাই, তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চিকিৎসক শূন্য। এখানে কেরানি, পিয়ন বা সহায়ক স্টাফ গরুর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর পশু হাসপাতালে সংলগ্ন পশু ওষুধের ফার্মেসিগুলোই একমাত্র ভরসা। এসব দোকানীরা ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কতিপয় স্বেচ্ছাসেবী এই সুযোগে ডাক্তার সেজে পাবলিককে তাদের গবাদি পশুর ঔষধ বা ক্ষেত্র বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যা নিরাপদ নয় – বিধিসম্মতও নয় এবং পাবলিক অপাত্রে টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছে উপায় না পেয়ে। অতএব জাতীয় প্রাণী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ দপ্তরে দ্রæত চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়োগ করা হবে – এটাই উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

মন্তব্য কলাম
ধারাবাহিক হত্যা-খুনের ঘটনায় তাড়াশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে
আবদুর রাজ্জাক রাজু

গত ২০২৩ সালে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দিবালোকে চরমপন্থীদের হাতে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন। সর্বহারার পরিচয়ে ¯েøাগান দিয়ে ভোগলমান চারমাথা বাজারে জনসমাগম স্থলে তাকে হত্যা করা হয় সন্ধ্যা বেলা। সে হত্যার প্রকৃত রহস্য আজো অজ্ঞাত। যদিও প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের একজন আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তবুও আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তাকে জীবন দিতে হলো ভালো কাজ করে জনগণের প্রশংসা পাওয়া সত্তে¡ও। এতে তাড়াশ উপজেলায় যে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল বলে মানুষ ভেবে নিয়ে ছিল তা হোঁচট খেল।

এর এক বছর পরেই তাড়াশ উপজেলা সদর প্রামে বিকাশ চন্দ্র সরকার নামে এক বিত্তবান ব্যক্তি ২০২৪ সালে সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাটে। তার সাথে তার স্ত্রী ও একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েকেও যুগপৎ জীবন দিতে হয়। ঘটনার সূত্রে নিহত বিকাশের আপন ভাগ্নেকে পরে আটক কওে পুলিশ। বর্তমান সে কারাগারে অন্তরীণ। মামলা চলমান।
আবার তৃতীয় মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রাণনাশের ঘটনাটি ঘটেছে অতিসম্প্রতি তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামে। এই গ্রামের মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেনের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী একমাত্র শিশু ছেলে মারুফ আহমেদকে (১৪) একই গ্রামের দুর্বৃত্তরা প্রথমে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে স্থানীয় ঝুরঝুরি বাজারের এক মার্কেটের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। প্রায় সপ্তাহখানেক পর পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে ও আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তাড়াশ উপজেলায় অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর তিনটি নৃশংস খুন এই জনপদের খ্যাতি ও সুনামকে ¤øান করে দিয়েছে। এর বাইরে উপজেলায় প্রায়শ: আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যার শিকার একমাত্র নারীরা । পূর্বে তাড়াশ দস্যু-তস্কর অতঃপর চরমপন্থী বিচরণের লোকালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময় এই থানাকে বলা হত “পানিশমেন্ট জোন” । তাই তখনকার দিনে কেউ সরকারি চাকরিতে বদলি হয়ে এখানে আসতে চাইতো না। স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস পেয়ে স্থানীয় এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

বলা যায়, অনেক দিন এ উপজেলায় খুন-খারাবী ও রক্তারক্তি ছিল না বললেই চলে। সকলেই যখন নির্ভয়ে ও নিরাপদের ভেতর দিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছে এমনই মুহূর্তে উপরোক্ত বড় ধরনের পর পর তিনটি অপরাধজনক প্রাণনাশের ঘটনা আবার এলাকাবাসীর মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা কোথাও হঠাৎ করে জীবন তথা প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটলে গোটা পরিবেশ আতঙ্কিত হয়। সুস্থ সমাজে অসুস্থতা দেখা দেয়। মানুষের মানসিক চেতনা তথা মনজগতে রীতিমতো ছাপ ফেলে, দাগ কাটে। কেননা এই আধুনিক ও আলোকিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখতে চায় না। তাছাড়া যে এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়- সেই লোকালয়কে স্বাভাবিক রূপেই দুর্নাম বহন করতে হয়। এতে ঐ অঞ্চলের মানব ও সমাজ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা জন্মে।আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপর মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নরবড়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উপজেলার সর্বত্র। এগুলো এলাকাবাসীর জন্য এক ধরনের লজ্জা ও কলঙ্ক বটে। এই অমানবিক ও পৈশাচিক ঘটনার সংখ্যা বা মাত্রা দিয়ে নয়, এটা ঘটা মানে এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের দিনে প্রযুক্তির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই এমন দুঃসংবাদ দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে ওই এলাকা কেন্দ্র করে সবার খারাপ চিন্তার উদ্রেক করে। এটা বিশেষত আজকের দিনে আদৌ কাম্য নয়। আমরা উন্নয়নে-প্রগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। অমনুষ্যত্বের ও পশুত্বের প্রবণতাকে অবশ্যই দমন করতে হবে। বাইরের মানুষ এসব দেখে ভাবে, এটা ক্রাইম জোন। ভয়াবহ জনপদ। বসবাস কিংবা ব্যবসা বালিজ্যের জন্য এই উপজেলা নিরাপদ নয়। এ রকম কালচার সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। অতীতে আমরা শুনেছি“ যার কপাল মন্দ-সে যায় কামারখন্দ”। অথচ সেই কামারখন্দ এখন তাড়াশের চেয়ে অনেক উন্নত। তাড়াশ একসময় “ত্রাস” নামে গণ্য হতো, মনে হতো এটা অপরাধের অভয়ারণ্য। কিন্তু ইতিহাসের সে কালো যুগ চলে গেছে। এখন অতীতের অপবাদ বা অপমান ঝেড়ে ফেলে আমরা গর্বিত আধুনিক ও মানবিক জীবনচারের অংশীদার।

তাই তাড়াশের নাগরিক সমাজ ও সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হবে, এলাকায় সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণে ভূমিকা নেওয়া এবং সর্বোপরি স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাতে সমাজে হিংসা-হানাহানি, শত্রুতা-বৈরিতা এবং উগ্র স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে সুনাগরিকের গুনাবলী বিশিষ্ট সভ্য-সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা। তাড়াশে যেন আর কোন একটি হত্যা ও জিঘাংসার দৃষ্টান্ত না দেখা যায়- সে লক্ষ্যে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী শুভবুদ্ধি মনষ্ক মানুষের সক্রিয় সচেষ্ট তৎপড়তা চালাতে হবে। শান্তিপ্রিয় নিরীহ তাড়াশবাসী কোন দুর্নামের ভাগীদার হতে চায় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সহজ-সরল খুব সুন্দর প্রিয় তাড়াশ বার বার কালিমালিপ্ত হোক তা কারো কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “ কেউ যদি একজন মানুষকে হক্যা করল, সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।” তাড়াশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় এমন কিছু এলাকায় না ঘটুক সেই দিকে নজর রাখা সবার দরকার।

শিশুর ভবিষ্যৎ রচনায় পিতা-মাতা-শিক্ষকের ভূমিকা
মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন)
তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাঃ ০১৭১৯-৩৬২৪৪৪

মানব জীবন স্বাপ্নিক। স্বপ্ন নিয়ে মানব জীবন শুরু হয়। স্বপ্নের স্তর অনুযায়ী একটি শিশুর জন্মের মধ্যে দিয়ে পিতা-মাতা পরিবারের স্বপ্নের ধারা শুরুহয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারিবারিক শিক্ষা একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষক, তার পরিবার ও মাতা-পিতা। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর জীবনে প্রাথমিক বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে থাকে। পারিবারিক শৃংখলা, স্বপ্ন দেখানো, পথ বাতলিয়ে দেয়া, পথ দেখানো তার জীবনে একটি স্বাপ্নিক বাস্তবতার জন্ম দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিশু যখন স্কুলে যাবার উপযুক্ত হয় তখন পারিপার্শ্বিকতা, স্কুল প্রতিষ্ঠান থেকে, সমাজ থেকে জ্ঞান আহরন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকে তার চরিত্রের বুনিয়াদ রচনা করে, পারিবারিক শিক্ষার পরপরই। এর পর শিশুটি যখন শিশু থেকে কৈশরে পদার্পন করে তখন সে পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে দেখাদেখি জ্ঞান আহরন অনুকরন-অনুসরন করতে থাকে।
বিশেষ করে শিশুরা শিশুকালে অধিকতর অনুকরণ প্রিয়। অনুকরণের মধ্যে দিয়ে তার শিক্ষার বুনিয়াদ রচিত হয়। কৈশরের পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর শিক্ষা জীবনকে সমৃদ্ধির পক্ষে স্বার্থকতার পথে এগিয়ে নেয়। বর্তমান সমাজেমাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটেছে। শিশুরা মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত, কাটুন দেখায় আসক্ত, টিকটকে আসক্ত। এর মধ্যে দিয়ে শিশু-কিশোর-যুবকদের মধ্যে অনৈতিকতার প্রভাব পিতা-মাতার ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে ভুলন্ঠিত করছে। সমাজ থেকে মাদকের বিস্তার, মোবাইল আসক্তি ও অনৈতিকতার বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। আগত শিশু যাদের নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের। আজ আমরা শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি শিক্ষক সমাজ।
একজন শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে। শিক্ষক মনা আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দানের জাতীয় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এখন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে সচেতন হয়ে সমাজ গঠনে আগত শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশ, জাতি, সমাজ গঠনে শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা সমুন্নত থাক। এ প্রত্যাশা..

বোশেখ আসে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

বোশেখ আসে কাল বৈশাখীর – রুদ্র রূপের ঝড়কে নিয়ে
বোশেখ আসে পূরান দিনের – জীর্ণতাকে বিদায় দিয়ে।
বোশেখ আসে ঈশান কোনে – কাল মেঘে দিনের শেষে
বোশেখ আসে শীলাপাতে – নুইয়ে পড়া ধানের শীষে।
বোশেখ আসে বৃষ্টি শেষে – আউশ চাষের দিতে সুযোগ
বোশেখ আসে পাট চাষীদেও – বীজ বোনার তুলতে হুজুগ।
বোশেখ আসে ঝড়ের পরে – আম কুড়ানোর সুখ ছড়িয়ে
বোশেখ আসে তীব্র দাহে – কৃষক কূলের ঘাম ঝরিয়ে।
বোশেখ আসে স্বল্প জলের – ব্যাঙের গলার জোর বাড়াতে
বোশেখ আসে তুফান তুলে – মশার গোষ্ঠী দেশ তাড়াতে।
বোশেখ আসে নববর্ষে – রমনা পার্কে বটের মূলে
বোশেখ আসে ছায়ানটের – সূর সাগরে তরঙ্গ তুলে।
বোশেখ আসে চারুকলার – লিচুতলায় মূখোস পরে
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আসে – ভূত-প্রেতের আকার ধরে।
বোশেখ আসে পান্তাসহ – সংগে থাকে ইলিশ মাছ
বোশেখ আসে গ্রামীণ মেলায় – এক কোণে যার পুতুল নাচ।
বোশেখ আসে ললনার – বৈশাখী শাড়ীর ভাঁজে
বোশেখ আসে গামছা মাথায় – ঘুরে বেড়ানো যুবার মাঝে।
বোশেখ আসে কাঁচা আমের – গন্ধ ভরা স্বাদ চেনাতে
বোশেখ আসে সুন্দরীদেও -মেহেদী রাঙা কোমল হাতে।
বোশেখ আসে পেটুক জনকে – তরমুজ খাওয়ার লোভ দেখাতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে -ভালবাসার ছল শেখাতে।
বোশেখ আসে গঞ্জের হাটে – মহাজনের হালখাতায়
বোশেখ আসে গরম হাওয়ায় – গাছের নীচের ঝরা পাতায়।
বোশেখ আসে বিশ্ব কবির -ছোট্ট নদীর শুকনো কূলে
বোশেখ আসে বাউল গানের – কবিয়ালের বাবরী চূলে।
বোশেখ আসে দূপুর বেলার – বিরহী কোন্ ঘুঘুর ডাকে
বোশেখ আসে বিলের ধাওে – চিল চেঁচানো শিমুল শাখে।
বোশেখ আসে মেলা ফেরত – শিশুর খেলনা বাঁশীর সূরে
বোশেখ আসে আনন্দে ভেসে – তারই ক্ষুদ্র হৃদয় জুড়ে।
বোশেখ আসে নতুন প্রাণে -উদ্দীপনার শিক্ষা নিতে
বোশেখ আসে বাঙ্গালীকে – উৎসবে মাতিয়ে দিতে।।

তাড়াশে বাবা-ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ
আরিফুল ইসলাম ঃ তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২ নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩ নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো। তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি। এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে। আসামিগণ ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫ এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

শাহজাদপুরে শালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বড় চানতারা গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইইপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন চান মোল্লা(৭৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হামলা ও মারপিটে চান মোল্লা গ্রুপের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বড় চানতারার বাড়িতে শালিস বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০), মেয়ে সালমা খাতুন(৪৫),আয়শা খাতুন(২০), সুলতানা খাতুন(৩০) ও শ্যালক ইউসুফ মোল্লা অভিযোগে জানান, বড় চানতারা গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে সোলায়মান ফকিরের(৩৫) সাথে ৯ বছর আগে সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঔরসের আব্দুল্লাহ(৬) ও আব্দুল কাদের(৩) নামের দুইটি ছেলে রেখে আরও দুইটি বিয়ে করে ছোট বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। বড় বউ সুলতানাকে কোনো ভরনপোষণ ও কাপড়চুপড় দেয় না। এবিষয়ে কথা বললে সুলতানাকে মারধর ও নির্যাতন করে। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে মারপিট করে। দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেরে যাওয়ায় সুলতানা ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়। ঈদের ১০/১২ দিন আগে সোলায়মান শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুলতানা আপষ মিমাংসা ছাড়া এভাবে যেতে রাজি না হওয়ায় সোলায়মান তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঈদের আগে ছেলেকে ফেরত পেতে অনেক দৌড় ঝাপ করেও ছেলেকে ফেরত পায় না।
এর মধ্যে সুলতানার ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক আব্দুল মজিদ, ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসায় সন্তান ফেরত ও বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষের সম্মতিতে সুলতানার স্বামী সোলায়মানের চাচা সোনাতনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাহ ফকিরের বাড়িতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শালিস বৈঠক বসে। এ শালিসের শেষের দিকে সুলতানার ভাতিজা সেনাবাহিনীর সৈনিক মিলন মোল্লা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের রায়ের লিখিত চাইলে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এর জের ধরে জিন্নাহর ছেলে, ভাই, ভাতিজা ও লোকজন দুই সেনাবাহিনীর সৈনিক সহ তাদের পক্ষের ১০/১৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধ চাম মোল্লা হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বৃদ্ধ চান মোল্লা ঘটনাস্থল ইউপি সদস্য জিন্নাহর বাড়ির উঠনে ঢলে পড়ে মারা যায়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ৫ লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নিহতের স্বজনেরা রাজি না হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ এদিন রাত ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা ঘাতক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির সহ সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকির মোবাইল ফোনে জানায়, শালিস বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসিত হওয়ার পরেও সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটিছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল ফোনে এতো কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দুুপুরে নিহতের বড় ছেলে লালন মোল্লা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জিন্নাহ ফকিরকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে এদিন সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আসামীরা সব বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আশাকরি অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

রায়গঞ্জে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতি

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: ‘বন্ধু, কী খবর বল?’ দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই এভাবে কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয়জীবনের মজার স্মৃতির কথায়।নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ ¯েøাগান সামনে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক গোলজার হোসেন ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. পিয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন প্রাক্তন ছাত্র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার। প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বছরের শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ পর্ব উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান খ ম রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, একটি বেসরকারি সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদী আলমাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ‘শেষ জীবনে এ রকম একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সোহেলী আক্তার বলেন, ‘আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এ আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। ফুচকা, আইসক্রিম, চা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

নন্দীগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডাঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গরমে ঝরছে আমের গুটি – শঙ্কায় চাষীরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ দেশের আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা সব উপজেলার মধ্যে তাড়াশ চলনবিল একটি সব ধরনের অধ্যায় সম্প্রতি প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে পানি শূন্যতায় ব্যাপক হারে মাটিতে ঝরে পড়ছে কৃষকের স্বপ্নের আমের গুটি। তীব্র খরা আর টানা বৃষ্টিহীনতায় শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল ও ডোবাগুলো।
সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপদাহে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন্নআয়ের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে পূরনো পুকুর খাল ও ডোবাগুলো দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কারের অভাবে পানির ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রচন্ড রোদ ও গরমের কারণে আগে থেকেই সেচের কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাগানে গাছের গোড়ায় পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়েছে গাছের আম। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে এবার আম গাছে কম এসেছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতায় মুকুল দেরিতে আসা এবং কিছু এলাকায় অসময়ে বজ্র বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুল ও গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে আম চাষিরা বিশেষভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে সূর্যের তাপের আধিক্য বেশি হওয়ায় আম ঝরে পড়া রোধ করতে না পারায় হতাশা ও শঙ্কায় দিন পার করছেন আম বাগান মালিকরা।

শাহজাদপুরে সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার
৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেতু ভেঙে আশপাশের আট গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত দেড় বছর ধরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামের ফুলছড়ি খালের ওপর নির্মিত ভেঙে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের কাছে ফুলছড়ি খালের ওপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করা হয়। গত ২০২২ সালের বর্ষার শুরুতেই পানির চাপে সেতুটির পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে । এ কাশীনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পাঁচটি বিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা ও একটি এতিমখানা।চকহরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুতে ওঠানামা করার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। এ সাঁকো থাকায় ওই ভাঙা সেতুটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সেতুটি পারাপার হতে কষ্ট হয়। বর্ষার আগেই সেতুটি সংস্কার না করা হলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
সড়াতৈল গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে এলাকার ধান-চাল, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, অন্তঃসত্ত¡া, শিশু ও বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যা হয়।স্থানীয় সায়েস্তাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে ভাঙা সেতুতে উঠে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পারপার হতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অসংখ্যবার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও কোনো কাজ হয়নি।এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যেই ওই ভাঙা সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই স্থানে একটি নতুন দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।

 

 

 

 

 

পাতা-৪
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ চলনবিলের জনজীবন

জি,এম স্বপ্না ঃ প্রখর রোদ,প্রচন্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চলনবিলের জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তয় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। বয়:বৃদ্ধ-শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস। নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি চলনবিলের সর্বত্র।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচন্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। সলঙ্গার রিকশাচালক কফিল উদ্দিন (৫৭) বলেন, একে তো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। চলনবিলের সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়, প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না।এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ মেলা বসলেও
প্রাণীসম্পদ অফিসে প্রাণী সেবা-চিকিতসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে তাড়াশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আজিজ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. অলি উল্লাহ্, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল প্রমূখ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। বিশেষ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় রায়গঞ্জের কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কোনরকমে নামেমাত্র অফিস চালানো হচ্ছে। ফলে তাড়াশের জনগনের এক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে।

 

তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

লুৎফর রহমান ঃ সারা দেশের যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৭ এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌরসভা মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল আল মামুন,উপ পুলিশ পরিদর্শক দেবব্রত কুমার, চেয়ারম্যান ময়নুল হক, মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপাসহ বিভিন্ন দফতরে দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আজ ১৭ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

তাড়াশে দুই সেতু ভাঙা
দুর্ঘটনার আশংকা সার্বক্ষণিক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি সেতুর ছাদের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান দিয়ে রেখেছেন লোকজন সেখানে। ভাঙা সেতুটি হাড়িসোনা গ্রামীণ সড়কের টাগড়া সেতু নামে পরিচিত। এ সড়কের ঝলপিগাড়ী সেতু নামে আরো একটি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড বেড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
টাগড়া গ্রামের ওসমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, চাকরির সুবাদে নিয়মিত হারিসোনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আমাকে। এক সড়কের দুই সেতুর অবস্থা বেহাল। সাবধানতার সাথে যাতায়াত না করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাগড়া গ্রামের ইছমাইল, মান্নান, রশিদ, ছালাম ও রাজ্জাক ভাঙা সেতু দুইটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে নিবিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভাঙা সেতুটিতে লাল নিশান উড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাগড়া সেতুর ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে তাকালে পানি দেখা যায়। ছাদের ঢালাই খুলে পড়ে লোহার রড়গুলো বেড়িয়ে আছে। দুইটি বাঁশ রডের সাথে বেঁধে বাঁশের আগায় লাল কাপড় দিয়ে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজন নিরুপায় হয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ঝলপিগাড়ি সেতুর ছাদের ঢালাই উঠে রড় দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, হারিসোনা সড়কটি গ্রামীণ সড়ক বটে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। শালিয়া গাড়ি নিমগাছি হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে যান। রানীহাট হয়ে বগুড়া শহরে যান। ভবানীপুর হয়েও বগুড়া শহরে যাওয়া-আসা করেন লোকজন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, ভাঙা সেতুটির বিষয়ে জানা ছিলনা। শিগগিরই মেরামত করে দেওয়া হবে।

 

কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ
ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার তামান্না তাবাসসুম। এর আগে সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। গত বুধবার পাবনা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পাবনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেমসহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা তার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।তামান্না তাবাসসুম উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তিতুমীর জিহাদীর মেয়ে। তামান্না তাবাসসুম তার এই কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। সে জানায়,আগামী ২২ এপ্রিল বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়েও বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন।

রায়গঞ্জে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জি,এম স্বপ্না ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে মাইটিভির ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা প্রতিনিধি এইচ এম মোনায়েম খান ও চলনবিল প্রতিনিধি সনাতন দাসের আয়োজনে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও কেক কেটে মাইটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
রায়গঞ্জ প্রেসক্লবের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গার মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ। এ সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ড. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার,রায়গঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজেদুল আলম,যুব লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি টি এম কামরুজ্জান লাবু,সহ সভাপতি আবু হাসেম মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসী,সাংবাদিক দীপক কুমার কর,স.ম আব্দুস সাত্তার, আতিক মাহমুদ আকাশ,আবুল কালাম আজাদ,খোরশেদ আলম,প্রতিদিনের দৃশ্যপটের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক নয়নসহ রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।

 

সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ : কর্তৃপক্ষ নিরব

সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন নিরব,এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছেন না এমনটাই মন্তব্য ভুক্তভোগী পথচারীদের। এ ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী পথচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর নয়াপাড়া আঞ্চলিক কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীঘদিন ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এই রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের অন্ততঃ শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন আগে নয়াপাড়ার আব্দুস সালাম রাস্তাটির অন্তত সিংহভাগ দখল করে একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর নিষেধাজ্ঞা ও আপত্তির পরও সে ভবনের কাজ অব্যাহত রাখেন।এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় এক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুফল পাচ্ছে না। উল্লাপাড়ার তৎকালিন ইউএনও উজ্জল হোসেনের সরেজমিন তদন্তে সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে ভবনটি ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুস সালামের ভবনটি। উল্টো ভুমিগ্রাসী আব্দুস সালাম হয়রানীমুলক,মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উপর ২টি মামলা দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমেই এলাকায় উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও উল্লাপাড়াসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি রাস্তা থেকে ভবন সরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দাম বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্যের

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। শনিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু, অসুস্থতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ।

তাড়াশে নতুন সামাজিক প্রথা
গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগি

বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সদ্যগত ঈদুল ফিতরে ব্যাপক সারা ফেলেছে গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করা। গ্রাম, গঞ্জ ও শহরের বেশীরভাগ লোকজন এ গোস্ত দিয়ে খাওয়ার চাহিদা মেটায় ঈদে। এতে যেমন ভালো মানের গোস্ত পাওয়া যায়, বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দামেও কম পড়ে বলে জানিয়েছেন গোস্ত সমিতির অনেকে। এদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য গোস্ত সমিতি ও গোস্ত বাটি করে ভাগাভাগি করে নেওয়া একটি কার্যকর পন্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের কাসেম আলী নামে এক জন গোস্ত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রামে একাধিক গোস্ত সমিতি রয়েছে। আমাদের সমিতিতে মাসে প্রত্যেকে ২০০ করে টাকা জমিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি মহিষ কিনে ঈদের আগের দিন গোস্ত ভাগাভাগি করে নিয়েছি।ভাদাস গোস্ত সমিতির রাহেলা খাতুন নামে একজন সদস্য বলেন, আমি মাসে মাসে টাকা জমিয়ে এক দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকার গোস্ত পেয়েছি। সমিতি না থাকলে এত টাকার গোস্ত কেনার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। জানা গেছে, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া, হামকুড়িয়া, ঘরগ্রাম, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর, পওতা, পেঙ্গুয়ারি, কাজিপুর, বারুহাস গ্রাম, মাধাইনগড় ইউনিয়নের ধানকুন্টি, গুয়ারাখি, বিলাশপুর গ্রাম, নওগাঁ ইউনিয়েনের খালকুলা, মহিষলুটি, ললুয়াকন্দি গ্রাম, তালম ইউনিয়নের পাড়িল, বরইচড়া, গোন্তা গ্রাম, তাড়াশ পৌর এলাকার কাউরাইল, সোলাপাড়াসহ আরো অনেক গ্রামে গোস্ত সমিতি ও বাটি ভাগাভাগির গরু জবাই করেন লোকজন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, গোস্তের বাজারে ব্যবসায়িদের কারসাজি ভাঙতে প্রতিটি গ্রামে গোস্ত সমিতি গড়ে তোলা উচিত। এতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় গোস্তের দোকানে চাপ কমবে। তখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশী দামে গোস্ত বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবেনা ব্যবসায়িদের।

 

মে মাস জুড়েও থাকবে তীব্র গরম

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। সারাদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের ত্বক পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক।

গুরুদাসপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: “প্রানি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে দিনব্যাপী প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে। দুপুরে ফিতা কেটে প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এর আগে দেশব্যপি ওই মেলার ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রানিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে ওই প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এসময় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন খামারি ও প্রাণি প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকাল বেলা তাড়াশ পৌর শিশু পার্কে হাজারো লোকজনের ঘোরাঘুরি উৎসব প্রিয়দের ঈদের এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়।এদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি চলনবিল অধ্যূষিত তাড়শের কুন্দইল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ১০ নং সেতুতে লোকজনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শাহালম বলেন, ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেল পৌর শিশু পার্কে ঘুরে। ছোট মেয়ে আসফিয়া চরকিতে বসে খুব মজা পেয়েছে। রাকিবুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলেন, আমি বিনসাড়া গ্রাম থেকে এসেছি। দোলনায় চড়েছি, নাগড়দোলায় উঠেছি ও ট্রেনে চড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।অপরদিকে রাজিব আহমেদ, ইশতিয়াক হোসেন, কামরুল ইসলাম, আয়শা খাতুন ও রাবেয়া পারভিন বলেন, ঈদের বিকেলটা নৈস্বর্গিক। চলনবিলের বুক জুড়ে বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে সবুজ বোরো ধান ও মুক্ত বাতাশ। বিশেষ দিনগুলোয় এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকা ঘুরে-ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শিশু পার্কের সবুজ বনায়ন চত্বরের মাঠ লোকজনের ভীরে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরসহ সব বয়সি লোকজন এক সাথে। শিশু-কিশোররা দোলনা, নাগড়দোলা, ট্রেন ও চরকিতে চড়ে আনন্দ করছে। তবে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের উপস্থিতি ছিলো কুন্দইল সেতু ও ১০ নং সেতু এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করতে যথা সাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই তাড়াশ পৌর শিশু পার্ক পরিপূর্ণ বিনোদন উপযোগী করে তোলা হবে।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD