Spread the love
তাড়াশে সেই এতিম কণ্যা স্বপ্না’র বিয়ে দিলেন অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল বৃস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে ইরি বোরো ধান কাটতে গিয়ে জমিতেই স্টোক করে মারা যান সিরাজুল ইসলাম। ওই দিন স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ছাপানো নিউজ “ধান কাটতে গিয়ে- হিট স্টোকে মারা গেলেন কৃষি শ্রমিক সিরাজুল” “অসহায় দুই কন্যাকে নিয়ে মা রুপভান” অসহায়দের পাশে দাড়াতে বিত্তবানদের অনুরোধ সহ বিভিন্ন শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়। আর সেই নিউজের সুত্র ধরেই ২৭ তারিখ শনিবারে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ স্ত্রী ডা. হাফিজা সুলতানাকে নিয়ে  হাজির হয়ে দুই মেয়ের দায়িত ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় তার স্কুলপড়ুয়া দুই মেয়ে শাবনূর (১৬ ) ও স্বপ্নার (১৫) পড়াশুনা  ও বিয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
দুই মাসের মাথায় ঘড় নির্মাণ ও ঘড়ের সমস্ত ফার্নিচার কিনে দেন।
এরপর গত চার বছরে লেখাপড়ার ব্যায়ের পাশাপাশি ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ স্ব শরীরে হাজির হয়ে আর্থিক সহযোগীতা, ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ১ জুন স্বপ্না  (১৯) এর বিয়ে বারুহাস ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মাসুদের মধ্যস্থতায় পারিবারিক ভাবে ঠিক হলে ২ জুন রাত ৯.৩০ টার সময় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দূল আজিজ চলে আসেন বিয়ে বাড়ী। সেখানে বিয়ে করতে আসা বারুহাস ইউনিয়নের সরবাড়ী গ্রামের মোঃ রওশন আলীর ছেলে মোঃ আরিফের হাতে এতিম কন্যা স্বপ্নাকে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী বিধবা
 রূপবান খাতুন বলেন, এমপি আজিজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি আরো  জানান আমার ঘড় ছিলনা, খাবার ছিলনা, এতো দুরাবস্থা ছিল। এমপি সাহেব আমার  সব কিছু ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ মেয়ে স্বপ্নার  বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে কন্যা দায় থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটি কখনো ভাবিনি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, উনি যেন ভালো থাকেন। এভাবেই মানুষের সেবা করে যেতে পারেন।
এপ্রসংগে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি একটি অসহায় পরিবারের পাশে থাকার। তিনি আরোও বলেন, অসহায় মানুষের সেবার মধ্য দিয়ে আমি আমার জীবনের সুখ খুজে পাই। আমি বিশ্বাস করি একমাত্র মানুষকে ভালবাসলেই মনের  হিংসা দুর হয়। তাছাড়া এমন ঘটনা আমার দৈনন্দিন জীবনের নৈমিত্তিক ঘটনা।
এসময় বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত ছিলেন, বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ, বারুহাস ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা, ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক মোঃ আব্দুস সামাদ, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রমুখ।
উল্লেখ্য: সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে শাবনূরের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব এমপি আজিজ বহন করেছিলেন।#

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD