ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: এই গরমে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠেছে লোভনীয় ফল তালশাসের কদর। সেই সাথে বাড়ছে বিক্রির ধুম। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের প্রিয় তালশাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এ ফলটি। সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় বিভিন্ন বয়সী, শ্রেণী-পেশার মানুষের এ সময়ের পছন্দের ফল তাল শাঁস। এ ফলটির রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণও। গরমের এই এই দিনে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। পাকা তালের পূর্ব অবস্থাটির নামই হলো তালের শাঁস।
এর নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। একজন বিক্রেতা শাঁস কেটে তুলতে তুলতে আরো অনেক ক্রেতারা দাঁড়িয়ে থাকে শাঁস নেবার জন্য। ভাঙ্গুড়া উপজেলার অনেক গ্রামেই তাল গাছ রয়েছে। তালের শাঁস অতি সুস্বাদু হওয়ায় সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে তালের শাঁস একটি জনপ্রিয় ফল। তালগাছ বাড়ির আনাচে-কাঁনাচে, পুকুর পাড়ে, নদীর ধারে, পরিত্যক্ত স্থানে বেশি দেখা যায়। তবে দিনে দিনে অনেকটা বিলুপ্তির পথে তালগাছ।
উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারের তাল বিক্রেতা নূর ইসলাম বলেন, শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শ্বাস। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি খায়। দামেও বেশ সস্তা। তাই বাজারে এর কদরও বেশি। বাজারের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায়ও প্রতিটি তাল ১০-১৫ টাকাকরে ভ্যানে নিয়ে ফেরি করে বিক্রী করেন তিনি।
মকুল হোসেন নামে অপর এক তালের শাঁস বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি বছর এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালান। গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেড়ে এনে শাঁস বিক্রি করেন। তালের শাঁস কিনতে আসা ভাঙ্গুড়া কলেজের প্রভাষক(অব:) আ: লথিফ বলেন, তালের শাস একটি সুস্বাদু ফল। গরমে তালের শাস খেতে ভালই লাগে।
- সর্বশেষ
ReplyReply allForward
|