তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোছা. সুমাইয়া পারভীন (১৩) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামী মো. ছাবেন আলী (৩২)।বুধবার রাতে সুমাইয়ার বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ছাবেন আলীকে একমাত্র আসামী করে তাড়াশ থানায় একটি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরে আলম জানান, মূলতঃ সুমাইয়াকে ধর্ষণের জন্য আসামী ছাবেন আলী দীর্ঘদিন সুযোগ খুঁজছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে আসামী সেই সুযোগটি কাজে লাগান। সুমাইয়ার দাদি বেগম খাতুন (৬৫) সুমাইয়াকে বাড়িতে একা রেখে মাঠে ছাগল চড়াতে মাঠে যান। আর সে সুযোগে ছাবেন আলী সুমাইয়ার ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় বাঁধা দেবার কারণে ধর্ষিতাকে মারধরও করা হয়েছিল। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহৃও রয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের পর কিশোরী সুমাইয়া ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয় বলে স্বীকারোক্তি দেন ধর্ষক ছাবেন আলী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে তাড়াশ থানা পুলিশ পৌর এলাকার কোহিত মহল্লার দিঘিপাড়ায় একটি বাড়িতে কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় কিশোরী সুমাইয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন আলামত পান। তখন পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। পাশাপাশি একই মহল্লার পশ্চিম পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে ছাবেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। আর সেখানে ছাবেন আলী সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুমাইয়ার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘটনে শতভাগ পেশাদায়িত্বভাবে কাজ করেছেন। তাই ২৪ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যেই বিষয়টি উন্মোচন হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলার একমাত্র আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।