চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কৈডাঙ্গা রেলব্রিজের নিচ থেকে নাসির হোসেন নয়ন নামে এক কলেজ ছাত্রের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী ) সকালে উপজেলার শরৎনগর রেলস্টেশনের আউটারের কৈডাঙ্গা ব্রিজ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহিত নয়নের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাৎপুর উপজেলার লাউতারার প্রতারিয়া গ্রামে ও ইকবাল হোসেনের ছেলে, সে ঢাকার কোন এক কলেজে পড়াশোনা করত।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, রাত্রের কোন এক সময় ঢাকা টু রাজশাহী গামী কোন একটি ট্রেনের আঘাতে, আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ব্রিজের নিচের পানিতে পরে ছিল। পরে এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে স্হানীয় ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরনে ছিল সবুজ নীল শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট।ভাঙ্গুড়া থানা কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে আঘাত প্রাপ্ত নিহত ব্যক্তির পকেট থেকে মোবাইলফোন পাওয়া গেছে। সেই ফোনের কললিস্টে থাকা কয়েকটি নম্বরে ফোন করে তার পরিচয় শনাক্ত করে আত্মীয় স্বজনকে খবর দেয়া হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছ। এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাটমোহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
পাবনার চাটমোহরে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সড়ক দূর্ঘটনায় এ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কবিরপুর শিকদারপাড়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ বারেক শিকদারের ছেলে ও পাবনা-২ আসনের এমপি আহমেদ ফিরোজ কবিরের গাড়িচালক ফারুক শিকদার (৪২)। জানা গেছে,বুধবার দিবাগত রাতে নিহত ফারুকসহ ৩জন একটি সিএনজি যোগে পাবনা থেকে চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে আসছিলেন। পথিমধ্যে চাটমোহর-পাবনা সড়কের উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের কায়েমখোলা মোড়ে তাদের বহনকারী সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ৩জন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষনা করেন। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন দূর্ঘটনা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।