ডেস্ক : চট্টগ্রামে মুস্তাফিজুর রহমান, জুবায়ের রহমান, ডেল স্টেইন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। চার বলে তিন উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেওয়া মুস্তাফিজ কিংবা লেগ স্পিনের ঘূর্ণিতে হাশিম আমলাদের বিপাকে ফেলা জুবায়ের অথবা টানা ৫১ বল ডট নেওয়া মোহাম্মদ শহীদ; এমন কীর্তিতে উজ্জ্বল চট্টগ্রাম টেস্টের ফল কিন্তু ড্র। এসব কীর্তিকে পেছনে ফেলে চট্টগ্রামের নায়ক কিন্তু বৃষ্টি! পাঁচদিনের টেস্টের শেষ দুদিন মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। সব মিলিয়ে খেলা হয়নি ২৩২ ওভার। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া টেস্টে আড়ালে থাকলেও আলোচনায় ছিল উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ। আজ শুরু ঢাকা টেস্ট। আজও আলোচনায় উইকেট। আলোচনায় স্পিন বোলিং!
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি সিরিজের আগে যে আট টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিলেন মুশফিকরা, তার পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। সবগুলো হারের সাতটিই ছিল ইনিংস ব্যবধানে। একটি উইকেটে এবং সেটা ২০০৮ সালে এই মিরপুরে। এমন পরিসংখ্যানের বিচারে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ফেবারিট ছিল কিন্তু প্রোটিয়ারা। অথচ চট্টগ্রামে মুশফিকদের লড়াকু মেজাজের সঙ্গে পেরে উঠেনি। পেরে উঠতে দেননি তামিম, মাহমুদুল্লাহ, লিটন দাস, মুস্তাফিজ, জুবায়েররা। প্রথম তিনজন প্রোটিয়া বোলারদের গতি, বাউন্সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন দলকে। মুস্তাফিজ, জুবায়ের দুরন্ত বোলিং করে উইকেটকে নিজের করে নেন। টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স যেমন গত এক বছরের টানা ভালো খেলার ফসল, ঠিক একইভাবে পরিচিত উইকেটের আচরণও ছিল সহায়ক। সেই ভাবনায় মিরপুরের উইকেটও একই রকম বানানো হচ্ছে, যেখানে ব্যাটসম্যানদের সহায়তা পাবেন শতভাগ। ধীরলয়ে বল আসবে বলে ধীরগতির বোলারদের সুবিধা থাকবে একটু বেশি।
চট্টগ্রামের উইকেটের আচরণই বরাবরই ভিন্ন। বাউন্স একটু বেশি। সেখানে গতিশীল বোলারদের সুবিধা পাওয়ার কথা। অথচ বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্সের ভিড়ে আড়ালে পড়ে যান প্রোটিয়া বোলার ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, ফিল্যান্ডাররা। আলোকিত ছিলেন মুস্তাফিজ, জুবায়েররা। মিরপুরে যাতে টাইগার ব্যাটসম্যানরা সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেন এবং আমলাদের উপরে চড়াও হতে পারেন মুস্তাফিজরা, তাই মিরপুরের উইকেটকে বানানো হয়েছে ধীরলয়ের। কাল মিডিয়ার মুখোমুখিতে উইকেট নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ‘আবহাওয়ার কারণে উইকেটটা হয়তো কিউরেটর তার ইচ্ছেমতো বানাতে পারেননি। উইকেট ১০-১২ দিন উইকেট কাভারের নিচে ঢাকা ছিল। ফলে কাজ করার সময় পাননি। তারপরও উইকেট নিয়ে আমি খুশি। আশা করি উইকেটে ব্যাটসমানরা সুবিধা পাবেন। স্পিনাররাও ভালো করবেন। পেসারদের ভালো করারও সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা উইকেট যেমনই হোক, আমাদের সেটা কাজে লাগাতে হবে।’