ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নব্বইয়ের দশকে সরকারিভাবে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দহপাড়া ও চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে ওই নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে নদীটি খালে পরিণত হয়। পরে ২০১৮ সালে নদীর ওপর থেকে বাঁধটি অপসারণ করায় নদী তার প্রবাহ আবার ফিরে পায়। তখন থেকে এলাকাবাসীর নদী পারাপারে অসুবিধা হওয়ায় তারা সেখানে প্রায় একশ মিটার দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। নদীর দক্ষিণ পাড়ের ভাঙ্গুড়া উপজেলার দহপাড়া, গজারমারা, নুর-নগর, শাহনগর ও চাটমোহর উপজেলার যাবরখোল, পাইকপাড়া, চরপাড়া, মথুরাপুর, পৈলানপুর, জালেশ্বরসহ অন্তত ১৫ টি গ্রামের জনসাধারণ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে।
মন্ডুতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সেতুর অভাবে নদীর দুই পাড়ের কৃষকদের উৎপন্ন ফসল তাদের ঘরে তুলতে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কৃষক।’দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘বন্যার সময় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হয়। তাই এখানে সেতু নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশলী আফ্রোজা খাতুন বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া আছে। আমরা প্রস্তাবটির পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’