বাড়ির লোকের দাবি, হাসপাতালে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই নেতিয়ে পড়েছিল কিশোর। জ্ঞান আর ফেরেনি। আর, সেই সূত্রেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুললেন কৃষ্ণনগরের বিন্দুপাড়া লেনের সৌমিত্র মণ্ডলের (১৩) পরিবার।
ঘূর্ণী হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সৌমিত্রের পেটে ব্যথা বাড়তে থাকায় বাড়িতে ভরসা না করে বুধবার দুপুরে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার মারা যায় ছেলেটি। তার পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, দিব্যি শুস্থ হয়ে উঠছিল সৌমিত্র। কিন্তু, বৃহস্পতিবার ভোরে কর্তব্যরত নার্স তাকে দু’টো ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই নেতিয়ে পড়তে থাকে ছেলেটি। মিনিট কুড়ির মধ্যে মারা যায় সে। তার বাবা সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “চিকিৎক জানিয়েছিলেন পেটে সংক্রমণ হয়েছে, সেরে যাবে। সারা দিনে বেশ কয়েকটা ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছিল। ক্রমশ সুস্থও হয়ে উঠছিল ও। কিন্তু ভোরের নার্স যে কী দিলেন!’’
চিকিৎসকেরা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন যে, সৌমিত্রর এমন কোনও জটিল অসুখ হয়নি। পেটে এক্স-রে করেও মেলেনি তেমন কিছু। তা হলে? যার তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল, জেনারেল সার্জেন নবারুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পেটে সামান্য ইফেকশন ছিল। কিন্তু সেটা বড় বিষয় না। বিষযটা হল ছেলেটি দীর্ঘ দিন ধরে এপিলেপসি বা খিচুনি রোগে আক্রান্ত ছিল।” তার কথায়, “এই ধরনের রুগীদের চিকিৎসা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পেট ব্যথার পাশাপাশি তার এ জন্যও চিকিৎসা চলছিল। সুস্থ হয়ে উঠছিল, কী কারণে এমন হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ কি এমন ঘটল যার জন্য ইনজেকশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হল ওই কিশোরের? নবারুণবাবুর দাবি, “সেই সময় তার এপিলেপসি অ্যাটাক হয়েছিল বলেই মনে হচ্ছে। তাতেই মৃত্যু হয় বলে অনুমান।” হাসপতাল সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। সেই মতো পদক্ষেপও করা হবে।”