বিয়ের দিনে একসঙ্গে থাকার যে প্রতিশ্রুতি তাঁরা দিয়েছিলেন, সেটাই করেছেন জীবনভর। ওয়ান্ডা ও মারভিনের জীবনে কোনও বাধাই তাঁদের সম্পর্ককে টলাতে পারেনি। এবং সেই কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাঁদের মেয়ে অ্যাম্বার।
বিয়ে মানে এক প্রতিশ্রুতি— সুখে-দুঃখে পরস্পরের পাশে থাকার। কিন্তু, নানা কারণে সব সময়ে সেই প্রতিশ্রুতি বাঁচিয়ে রাখা যায় না।
তবে, ওয়ান্ডা ও মারভিনের জীবনে কোনও বাধাই তাঁদের সম্পর্ককে টলাতে পারেনি। এবং সেই কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাঁদের মেয়ে অ্যাম্বার।
৭০ বছরের মারভিন ব্রিউইংটন ও তাঁর স্ত্রী, ৬৭ বছরের ওয়ান্ডা, বিয়ে করেছিলেন ৪৭ বছর আগে। কলেজেই প্রেম শুরু। তার দু’বছর পরেই বিয়ে করেন মারভিন ও ওয়ান্ডা।
বিয়ের কয়েক বছর পরেই কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হন মারভিন। ১৯৮৭ সালের পর, ২০১৩ সালে আবারও তিনি কর্কট রোগাক্রান্ত হন। এবার প্রস্টেটে। শুধুমাত্র মারণ রোগই নয়, এর পাশাপাশি ছিল জীবনের নানা ওঠা-পড়াও, জানিয়েছেন তাঁদের মেয়ে অ্যাম্বার। কিন্তু, কোনও পরিস্থিতিতেই পরস্পরের সঙ্গ ছাড়েননি মারভিন ও ওয়ান্ডা।
‘পপসুগার’ নামে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মারভিন ও ওয়ান্ডা জানান যে, বিয়ের দিনে একসঙ্গে থাকার যে প্রতিশ্রুতি তাঁরা দিয়েছিলেন, সেটাই করেছেন জীবনভর।
মারভিন-ওয়ান্ডার দুই মেয়ে। দু’জনেই নিজের জগতে প্রতিষ্ঠিত। তার মধ্যে অ্যাম্বার চিত্রগ্রাহক। মা-বাবার এই সম্পর্ককে তিনিই ক্যামেরাবন্দি করে পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে।
২০১৪ সালে, পার্কিনসন্স ডিজিজে আক্রান্ত হন ওয়ান্ডা। বর্তমানেও তাঁর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু, তাতে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি বর্ষীয়ান এই যুগলের সম্পর্কে।