রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তৃত্ব এবং মর্যাদাকে চিন দৃঢ়তার সঙ্গে রক্ষা করবে বলে নিজের ভাষণে এ দিন মন্তব্য করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। চিনের যে সব আন্তর্জাতিক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, সে সব পূরণ করার লক্ষ্যেও বেজিং নতুন বছরে অনেক বেশি সক্রিয় হবে বলে চিনা প্রেসিডেন্টের বার্তা।
দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেও, চিনা প্রেসিডেন্টের এই ভাষণের মূল লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মহল। বলছেন কূটনীতিকরা। চিনকে ‘দায়িত্বশীল বৃহৎ দেশ’ হিসেবে এ দিন আখ্যা দিয়েছেন চিনফিং। সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতেই চিনের মতামত নেওয়া জরুরি— এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তৃত্ব এবং মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে কি না, চিনের উপরে তা অনেকখানি নির্ভর করছে, ঘুরিয়ে এমন বার্তাও তিনি দিতে চেয়েছেন। কূটনীতিকদের অনেকের বিশ্লেষণই এ কথা বলছে।
২০১৭ সালে হওয়া পার্টি কংগ্রেসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রায় সব স্তরে শি অনুগামীরাই সামনের সারিতে চলে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর মতামত বা ভাবধারা সর্বমান্য ভাবধারা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে চিনের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই চিনে এখন শি চিনফিং-এর বিরোধিতা করা মানে দেশদ্রোহিতা করা।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, দেশের অন্দরে নিজের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করে ফেলার পরে প্রেসিডেন্ট চিনফিং-এর লক্ষ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা। সেই কারণেই তাঁর বার্তা, এ বার থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চিন নিজের মতামত জানাবে।
তবে চিনা প্রেসিডেন্টের ভাষণে নিজের দেশের কথাও এসেছে। বেশ চমকে দিয়েই তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর সরকার এখনও অনেক সমস্যার সমাধানই করে উঠতে পারেনি। এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে সরকারের কাজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ, মন্তব্য প্রেসিডেন্ট চিনফিং-এর। ‘‘সেই কারণেই আমাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে এবং জনাসাধারণের স্বাচ্ছন্দ্য সুনিশ্চিত করতে ভাল ভাবে কাজ করতে হবে।’’ বলেছেন প্রেসিডেন্ট চিনফিং।