ফেসবুকে বলে কি হবে?

Spread the love
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি:যখন কারও বাবা-মা বা কাছের মানুষের হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেইন স্ট্রোক করে বা কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন আপনাদের নির্বিকার হয়ে অপেক্ষা করতে হয় অ্যাম্বুলেন্স কখন আসবে, কখন হাসপাতালে নেয়া হবে।

হাসপাতালের পথটি তখন পৃথিবীর দীর্ঘতম পথ মনে হয়। কেউ কেউ হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐ পথেই, হয়তো ছোট্ট একটি কারণে বেঁচে যেতে পারত তার অমূল্য জীবন, যদি কেউ সেই মুহূর্তে সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসাটি দিতে পারত! আপন মানুষগুলোর কিছু হলে আমাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, জানা কথাও ভুলে যাই। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের সাথে যদি দক্ষ প্যারামেডিক থাকেন এবং তিনি তার দায়িত্ব পালন করেন, তার সেই ভূমিকা, প্রাথমিক চিকিৎসা কিন্তু বাঁচিয়ে দিতে পারেন, ভরসা দিতে পারেন হাজার মানুষকে। আর কর্মসংস্থানের কথা পরেই বলি।

আপনার কাছের মানুষটির যখন ভয়াবহভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাকে হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমরা অজানাতেই আরও তার ক্ষতি করে দেই, উপকার করতে গিয়ে। যেমন, ওই ব্যক্তি কে তুলতে গিয়ে, ধরতে গিয়ে, গাড়িতে উঠাতে গিয়ে। তার শরীর যখন অলরেডি ইনজুরড, তখন অসচেতন ভাবে ধরাধরি করলে তার bone, back bone, joints, nervs, neck কোনদিকে যে কোনভাবে আমরাই স্থায়ীভাবে ড্যামেজ করে দিচ্ছি আমরা জানি না। অথচ, আমরা কিন্তু উপকারই করতে চাচ্ছি।

আপনি অ্যাম্বুলেন্স ডাকার পর যদি ওই একই ঘটনা ঘটে, তা আপনার কাছের মানুষের সাথে ঘটলে কি মেনে নিতে পারবেন? তাই জরুরি, অ্যাম্বুলেন্সের সাথে দক্ষ প্যারামেডিকের। উনারা জানবেন কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় রোগীকে, বুঝতে পারেন প্রাথমিক ভাবে রোগী এর কতো খানি ড্যামেজ হতে পারে। একই ক্ষেত্রে ঘটে, কারও গায়ে আগুন লাগলে বা কেউ গুরুতর আহত হলে।

শুধুমাত্র একটি সাইরেন যুক্ত গাড়ি দিয়ে একজন ভিক্টিম বা রোগীকে বাঁচানো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর জরুরি equipments থাকা এবং সাথে দক্ষ প্যারামেডিক থাকা অত্যন্ত জরুরি।

At the same time, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সরকারের উচিত প্রতিটি প্রধান সড়কে ছোট করে একটি জরুরি লেইন রাখা, যা শুধুই অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার ব্রিগেড বা জরুরি কাজে জন্য থাকবে, যেন একটি মূল্যবান জীবন জ্যামের কারণে হারিয়ে না যায়। সাথে কঠিন আইন ও জরিমানা ও থাকতে হবে যাতে কেও এই আইন ভঙ্গ করে ওই লেইন ব্যাবহার করতে না পারে। (ঢাকার রাস্তায় এমনিতেও জ্যাম থাকবে অমনিতেও থাকবে, কিন্তু জরুরি বলে কিছু কথা আছে, তাও সাথে বুঝতে হবে)।

কে জানে, ওই অ্যাম্বুলেন্স এ তো আপনি বা আপনার বাবা-মা বা আপনার সন্তান ও থাকতে পারেন কোনদিন, তাই না? আমার বাবা-মা নেই, তাদের সময়ে অ্যাম্বুলেন্সের দরকার ও পড়েনি। যাদের আছেন, তাদের জন্য আমার এত কথা বলা। ফেসবুকে বলে কি হবে? আপনারা দাবি জানাবেন আপানদের অধিকারের জন্য, আপনাদের মৌলিক অধিকারের জন্য।

(ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD