কাঁচামরিচ-ডাল-ডিম-মুরগির দর ঊর্ধ্বমুখি

Spread the love

ঢাকা: রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচাপণ্যের দর ওঠানামা করলেও এখনো তা স্বাভাবিক হয়নি। আগের সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম কমলেও শুক্রবার রাজধানীতে মরিচের দাম বেড়েছে। এছাড়া ডিম, মসুর ডাল ও ব্রয়লার মুরগির দামও আগের সপ্তাহের চেয়ে সামান্য বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে তাদের বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু কি কারণে এভাবে দাম বাড়ছে সে বিষয়ে তারা কিছুই জানাতে পারেনি।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা আমদানি কম অজুহাতে দাম বাড়ছে বলে জানান। তাছাড়া পাইকারি বাজারে সামান্য বাড়লেই খুচরা বিক্রেতারা এই অজুহাতে বেশি দরে পণ্য বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
শুক্রবার বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দেশি প্রতিকেজি রসুন ৮০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে দেশি মসুর ডালের দাম ছিল ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা। শুক্রবার প্রতিকেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়।
যাত্রবাড়ী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মহুর আলী জানান, আমরা যখন কোনো মালামাল বেশি দামে ক্রয় করি তখন বেশি দরেই বিক্রি করতে হয়। আর কম দামে ক্রয় করলে কম দামে বিক্রি করা যায়। এটাই স্বাভাবিক হিসাব। তবে দাম কেন বাড়ছে বা কমছে এটা আমরা বলতে পারবো না। এটা পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলতে পারবেন।
শ্যামবাজারের পাইকারি ডাল ব্যবসায়ী হাজী আসমত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলামেইলকে জানান, আমদানি সামান্য কম থাকায় ডালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। দেশি মসুর ডাল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১২২ টাকা থেকে ১২৩ টাকা। পাইকারি মূল্য সামান্য বাড়লেও খুচরা বিক্রেতারা অনেক বেশি দামে দামে বিক্রি করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় (আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা), বেগুন ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, টমেটো ৭০ টাকায়, শশা ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, দোন্দল ৩৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, গাজর ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়, কাকরুল ৫৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, পটল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, মূলা ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, ঝিঙা ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, ভেন্ডি ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, বটবটি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, কহি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, উস্তা ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, পেঁপেঁ ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির লাল ডিমের পাইকারি দাম ৩৭ টাকা থেকে ৩৮ টাকা। যা খুচরা বাজারে ৪২ টাকা থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে হাসের ডিম পাইকারি বাজারে কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে তা কমেনি। খুচরা বাজারে প্রতি হালি হাসের ডিম ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা পাইকারি বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রতি হালি হাসের ডিমের দাম ছিল ৪২ টাকা।
ডিমের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। শুক্রবার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা।
বিক্রিতারা বলছেন, পাইকাররা দাম বাড়ানোর কারণেই তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। তবে ব্রয়লার লাল মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার লাল মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
সেগুনবাগিচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী নান্নু মিয়া বাংলামেইলকে বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম কেন বেড়েছে তা বলতে পারবো না। আমাদের কাছে পাইকাররা মুরগি সাপ্লাই দিয়ে যায়। তারা প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে আমরাও বাড়িয়ে বিক্রি করছি।’
এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD