আর একদিন পরেই তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
মো: ইসহাক আলী ঃআর এক দিন পর তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী মঙ্গলবার ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করেছেন প্রার্থীরা। জমে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ। এছাড়া গত ১১ মে (শনিবার)তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আসন্ন এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তারা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি দোয়াত কলম প্রতীক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার আনারস প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।অপরদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এরা হচ্ছেন সাবেক পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন বাল্ব প্রতীক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক পিয়াস তালা প্রতীক এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা যথাক্রমে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মোছাঃ মর্জিনা ইসলাম ফ্যান প্রতীক,সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম মিনি কলস প্রতীক,সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাহফুজা আক্তার ফুটবল প্রতীক, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শায়লা পারভীন প্রজাপতি প্রতীক ও মোছাঃ নাজমা খাতুন হাঁস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
উল্লেখ্য, তাড়াশ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১,৫৮,৬২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৯,২৫৮ জন, নারী ভোটার ৭৯,৩৬৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ৩ জন। এই নির্বাচনে মোট ৭১টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পদ বেড়েছে মনিরুজ্জামান
ও সঞ্জিত কর্মকার দু’জনেরই
তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু জন চেয়ারম্যান প্রার্থীরই সম্পদ বেড়েছে। পাশাপাশি তাদের স্ত্রীদেরও সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় ২১ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিব হবে। চেয়ারম্যান পদে দু জন প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি ও সঞ্জিত কর্মকার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
মনিরুজ্জামান মনির ২০১৯ সালের জমা দেয়া হলফনামায় ব্যংকে জমা ছিল ১ লক্ষ টাকা। বর্তমানে সেটি বেড়ে হয়েছে ৫২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকা। বিগত হলফ নামায় মনিরুজ্জামান মনির বার্ষিক আয় ছিল ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। যা বর্তমানে হয়েছে ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৭৯ টাকা। ২০১৯ সালে তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন কাজলীর জমানো কোন টাকা ছিল না। বর্তমানে তার স্ত্রীর নামে ১৫ লক্ষ টাকা জমা আছে। তবে তার স্ত্রী তাড়াশ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
অপর প্রার্থী সজ্ঞিত কর্মকারের সম্পদও বেড়েছে বহু গুন। তিনি ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নর্বিাচন করে হেরে যান। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তার সম্পদও বেড়েছে। সে সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯১৪ টাকা। বর্তমান তার বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকা। সে সময় তার জমানো টাকা ৩ লক্ষ হলেও এখন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষ টাকা সঞ্চিত আছে। আবার পূর্বে তার স্ত্রীর কোন সঞ্চয় না তাকলেও বর্তমানে স্ত্রীর হিসাবে ২ লক্ষ টাকা সঞ্চিত আছে। মনিরুজ্জামান মনি তাড়াশ পৌর শহরের তাড়াশ ডিগ্রী কলেজেল অধ্যক্ষ এবং গত বছরের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। অন্যদিকে সঞ্জিত কর্মকার ওই কলেজের ভ’গোল বিষয়ের প্রদর্শক এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। মনিরুজ্জামান মনি দোয়াত কলম আর সঞ্জিত কর্মকার আনারস প্রতিক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
তাড়াশে তাল গাছে মড়ক
মারা যাচ্ছে শত শত তাল গাছ
সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অজ্ঞাত রোগে মারা যাচ্ছে শত শত তাল গাছ। তাল গাছের মালিকগণ কৃষি বিভাগে যোগাযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। সরেজমিন উপজেলার মাদারজানি গ্রামের লেবু সরকারের পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারী মানের তালগাছগুলোর পাতা লাল হয়ে ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে লেবু সরকার জানান, আমার পুকুর পাড়ে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো তাল গাছগুলো হঠাৎ করে পাতা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। গাছে কোন পোকা লেগেছে কি না তাও দেখা যায় না। তবে কি কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে বুঝে উঠতে পারছি না। এ গাছগুলো মারা গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।কাস্তা গ্রামের দবির উদ্দিন জানান, আমার পুকুর পারে লাগানো তাল গাছগুলো একই অবস্থায় মারা যাচ্ছে। কোন ধরনের প্রতিকার পাচ্ছি না।
তাড়াশ উপজেলার মাটি তাল গাছের জন্য উপযোগী হবার কারণে অনেকেই তাল গাছ রোপন করেন। তাল গাছের তাল ও রস যেমন সুস্বাদু,তাল কাঠ ঘর তৈরীর ক্ষেত্রে খুবই মজবুত এবং বর্জ্রপাত নিরোধক। সরকার যখন বর্জ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে তাল গাছ লাগানোর জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছেন ঠিক সেই সময় বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে উপজেলার শত শত তাল গাছ ।এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়েই আমি উপসহকারী কৃষি কর্মকতা সুমনকে ঘঁটনা স্থলে পাঠিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, পানি শুন্যতার কারনে এমন হতে পারে। তারপরেও ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি অল্প সময়ের মধ্যে হটিকালচারের বিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনে তাদের এনে প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করব।
তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার
শীর্ষে অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি
মোঃ আব্দুল হান্নান : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ জয় নিশ্চিত করার প্রত্যাশায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিগত সময়ের মহৎ কর্মকান্ডের প্রতিচ্ছবি ও ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিত্বের গুণাবলীর সমন্বয়ে বর্তমানে ভোটযুদ্ধে জনপ্রিয়তার এবং হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে সবার শীর্ষে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি। তার নির্বাচনী প্রতীক ‘দোয়াত কলম’ মার্কা।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে তাড়াশ উপজেলায় আগামী (২১ মে) মঙ্গলবার ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।এই উপজেলায় ২ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি ‘দোয়াত কলম’ প্রতিকে। সরেজমিনে দেখা যায়, জয়ের লক্ষ্যে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রতিনিয়ত শোডাউন, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, পাড়া-মহল্লায় হেঁটে হেঁটে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি । তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন সম্পৃক্ত। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি, তাড়াশ উপজেলার সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও তাড়াশ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে ,অন্য প্রার্থী থেকে অনেক সুপরিচিত এবং মানবিক সব মিলিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছেন অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি ।
উপজেলার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, মনি ভাই শিক্ষিত, মেধাবী, পরিশ্রমী ও পর উপকারী একজন মানবিক মানুষ। সে আমাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকে।আমরা তাকে ভোট দেবো। তিনি বিগত দিনগুলোতে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আমাদের আস্থার জায়গায় স্থান করে নিয়েছেন। ভোটাররা দৈনিক আলোকিত সকালকে আরও জানান, আমাদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান মনিকে আগামী ২১ মে ‘দোয়াত কলম’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা সেটা প্রমাণ করে দিবো।’এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘আমার প্রিয় উপজেলাবাসীর ভালোবাসায় আমি পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘দোয়াত কলম’ প্রতীকে জয়যুক্ত হয়েছিলাম। আমি আশা করি, এবারও গতবারের ন্যায় তাড়াশ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাকে আমার নির্বাচনী প্রতীক ‘দোয়াত কলম’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জিয়ী করবে এবং সেবা করার সুযোগ দিবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে আমার অধীনস্থ তাড়াশ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো ইনশাআল্লাহ।সূত্র: আলোকিত সকাল।
ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা সঞ্জিত কর্মকার
তৃণমূলের আস্থার অপর নাম
মিলু সরকার: নেতৃত্ব দেয়ার গুণে তৈরি হয় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কর্মী। আর এই দক্ষতা তৈরী হয় ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই। এতে পরবর্তীতে ভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়াও সহজ হয়। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখা। তাদের উদ্যোগেই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সকল সংগঠন একটি পরিবারে রূপান্তরিত হয়।সঠিক নেতৃত্ব তৈরিই হয় ছাত্রলীগ থেকেই। এটি কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নাই।
সঞ্জিত কর্মকার ছাত্রলীগের তেমনই এক সোনালী অর্জন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমনই একটি দল, যে দলটি যুগ যুগ ধরে একজন করে নেতৃত্ব তৈরি করে আসছে। যা অন্য কোনো দল তৈরি করতে পারে নাই। সেই নেতৃত্বের মাঝে তাড়াশে জন্ম নেয়া তেমনই এক নেতৃত্বের নাম সঞ্জিত কর্মকার। যা আরেকটা সৃষ্টি হবে কিনা সন্দেহ।সিরাজগঞ্জের তাড়াশের সঞ্জিত কর্মকারের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানা যায়, মহেন্দ্র নাথ কর্মকার ও প্রভাতী কর্মকারের ৬ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সঞ্জিত কর্মকার। তার শিক্ষা জীবন এসএসসি ১৯৮৮ তাড়াশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। এইচ এস সি ও বি এ(পাশ) যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ থেকে, দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন।তার রাজনৈতিক জীবন, ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তাড়াশ থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারিতে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ তাড়াশ এর চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিলেন ।বিএনপি জামাতের ২০০১ সালের বিস্ফোরক মামলায় কারাবরণ ছাড়াও আসামী ছিলেন ১৮টি মামলার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পরবর্তী নির্যাতিত পরিবার। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার ১৫ই ফেব্রæয়ারির প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১/১১ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
তার ব্যবসায়ীক বিবরণে জানা যায়, প্রথমে মুদি দোকান, কাপড়ের ব্যবসা ও পরবর্তীতে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার হিসেবে ব্যবসা শুরু, যা এখনও চলমান। তাড়াশ ডিগ্রী কলেজে প্রদর্শক পদে ২০০০ সালে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তনের জনক। তার স্ত্রীর নাম শিল্পি রানী, তিনি তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বড় মেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ছোট মেয়ে হাই স্কুলের ছাত্রী। তার পরিবার আওয়ামী পরিবার এবং তার বড় ভাই মনোরঞ্জন কর্মকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়ার কথা ভাবছেন। আর এখানেই তাড়াশের তৃনমূল আওয়ামী লীগ সঞ্জিত কর্মকার’কে নিয়ে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে। সঞ্জিত কর্মকার তৃনমূল আওয়ামী লীগ এর বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।তিনি তাড়াশের ভবিষ্যত উন্নয়ন রূপকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল : ইসি হাবিব
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।
অগত বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে। প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘেœ কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে। প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় দেয়া হবে না।আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে। সূত্র ঃ ইত্তেফাক।
তাড়াশে ইটভাটার বিরুপ প্রভাবে
ফসল ও পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয়
শাহজাহান , তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ ঃ তাড়াশ উপজেলায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ফসলি জমিতেএকের পর এক ইটভাটা গড়ে ওঠায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার প্রভাবে ফসল হানির আশঙ্কা করছেন তারা। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা এলাকার মালিপাড়াএমএমবি ইট ভাটার প্রভাবে এ বছর ৩০ বিঘা কৃষি জমির ইরি ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫নং নওগাঁ ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের মধ্যে এমএমবি ইটভাটা গড়ে তুলেন ঐ এলাকার জনৈক প্রভাবশালী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ মোফাজ্জল হোসেন। ইটভাটা স্থাপন করতে এলাকাবাসীরা বাধা প্রদান করলে কোন কাজ হয় নাই। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ও পেশি শক্তির দাপটে কেউ কুলাতে পারে নাই। জোরপুর্বক অবৈধভাবে ঐ ইটভাটা স্থাপন করলেও এ পযর্ন্ত সরকারীভাবে লাইসেন্স পান নি বলে সংশ্লিষ্ট দপÍর থেকে জানিয়েছেন। ইট ভাটার কারনে স্থানীয় জনজীবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ইরি বোরো ফসল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইটভাটার দুষিত ধোঁয়ায় প্রায় ৩০ বিঘা জমির ইবি ধান পুড়ে গেছে। মালিপাড়া গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের ৯ বিঘা, আবু তালেব প্রাং এর ২ বিঘা, আকতার হোসেনের ২ বিঘা, জয়নাল হোসেনের ২ বিঘাসহ গোটা ফসলের মাঠ পুড়ে কালো ধোয়ার মত হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগন প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে আবু তালিব প্রাং জানান, গত বছর এলাকার শত শত বিঘার ধান পুড়ে গিয়েছিল। এ বছর যে জমিতে ফসল হয় ৩০ মন সে জমিতে ধান হচ্ছে ৩-৪ মন । তাড়াশ উপজেলায় রয়েছে ১৩টি ইটভাটা। আর জেলা জুড়ে রয়েছে ১৪০টির মতো। এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমোদন (লাইসেন্স) আছে মাত্র ১৮টি । আর ১৩০টি ইটভাটা অনুমোদনহীন, অবৈধ। জনবসতি ও আবাদি জমির আশপাশে ইটভাটা করা নিষিদ্ধ হলেও আবাদি জমিতে গড়ে ওঠা অধিকাংশ ভাটার লাইসেন্স নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন ছাড়পত্রও দেওয়া হয় নাই বলে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তাড়াশ উপজেলার মালিপাড়া এমএমবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটির চারপাশে কৃষি জমি। রাস্তার ২ পাশে জনবসতি পাশে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও মাদ্রাসা অবস্থিত। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয় কৃষকদের আপত্তি উপেক্ষা করে ভাটাটি নির্মাণ করা হয়।ইটভাটা সংলগ্ন আকতার জয়নাল আবু তালেব,আলমগীরসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তারা ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালীরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা নির্মাণ করেন। ভাটার চুল্লি জ্বালানো হলে আশপাশের মাটি গরম হয়ে যায়। চিমনি দিয়ে ধোঁয়ার সঙ্গে ছাই বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে. ফসলসহ নানা জাতের ফলের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে চলছে।কৃষকদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এমএমবি ইট ভাটার দায়িত্বরত ম্যানেজারকে ফোন করে পাওয়া যায় নি। আর মালিকের টিকিটিও ছোঁয়া সম্ভব নয়। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন এ বিষয়ে বলেন, ইটভাটার কারণে দীর্ঘমেয়াদে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। তাছাড়া ফসলি জমিতে ইটভাটা কৃষির জন্য অশনিসংকেত। এলাকার সচেতন মহল বলেন, ইটভাটাগুলোর পোড়ানো ধোঁয়ার সঙ্গে ছাই চারদিকে ছড়িয়ে ফসলের পাশাপাশি গাছপালা ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। আবাদি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান। উল্লেখ্য, তাড়াশের মাধাইনগর, ক্ষিরপোতাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত অনুরুপ অনেকগুলো ইটভাটা সংশ্লিষ্ট সকলমহলকে অর্থ ও প্রভাবের বলে ম্যানেজ করে কৃষি ফসল ও পবিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে চললেও প্রশাসন এব্যাপারে স্থায়ী কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।অনেকে বলেন, শর্সেও ভেতরেই ভূত লুকিয়ে আছে তাই এসবের কোস প্রতিকার হয় না।
তাড়াশে রক্তদান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ‘আমরা পেরেছি আমরাই পারবো, রক্ত দিয়ে অসহায় রোগীর পাশে দাঁড়াবো’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে তাড়াশ স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শতাধিক রক্তদাতাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার (১১ মে) দুপুরে তাড়াশ মহিলা মাদ্রাসার হলরুমে সংগঠনের সভাপতি দেলবর আহম্মেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ। সংগঠনের সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)’র বিভাগীর প্রধান প্রফেসর ডা. হাফিজা সুলতানা বলেন, রক্ত দেওয়া বড় একটি কঠিন ও মহৎ কাজ, যা তাড়াশ রক্তদান সংগঠন করে যাচ্ছে। রক্ত দেয়ার সাহসই প্রকৃত সাহস, যারা রক্ত দেয় তারাই প্রকৃত বীর। যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায় তারাই জীবনে সফল হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাফর ইকবাল, সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, প্রভাষক আইয়ুব আলী, প্রভাষক রহুল আমিন, ভিলেজ ভিশনের পরিচালক শরীফ খন্দকার, তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ম. ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল প্রমূখ।
দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের সম্পদের পাহাড়
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে নৈরাজ্য, রিজার্ভ সংকট, অর্থপাচার সংক্রান্ত নানা আলোচনার মধ্যেই আগুনে ঘি ঢালার মতো খবর দিলো অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর।এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশীও। তাদের মালিকানায় বাংলাদেশী মুদ্রায় ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১টি সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে।সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় আরো রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও দুবাইয়ে বিপুল সম্পদের মালিক।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।বাংলাদেশী নাগরিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশীদের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ এবং দাম উল্লেখ রয়েছে।সূত্রঃ নয়া দিগন্ত।
তাড়াশে থামছেই না গরু-মহিষ চুরি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলায় থামছেই না গরু-মহিষ চুরি। গত মাসাধিক কাল যাবত অত্র উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায়শই গরু চুরি হচ্ছে। এবার মহিষ চুরির খবর এলো।
জানা যায়, গত ১৫ মে দিবাগত রাতে তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কোরবান আলীর বাড়ির গোয়ালঘর হতে ৪ টি মহিষ চুরি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাস জুড়েই প্রায়ই উপজেলার তাড়াশ সদর, ভাদাশ, সান্দুরিয়া ইত্যাদি গ্রাম থেকে অনেকগুলো গরু চুরি হয়েছে। চুরি বন্ধে তাড়াশ থানা কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। তারপরও কিছুতেই থামছে না গরু চুরি তৎপরতা। অবশেষে ৪ টি মহিষ চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। পাড়ায়-মহল্লায় রাত জেগে পাহারা দিলেও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।
সম্পাদকীয়
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণের চাওয়া-পাওয়া
আবদুর রাজ্জাক রাজু
গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব শর্ত, সোপান বা ধাপ হলো নির্বাচন। প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হল যে কোনো ইলেকশনের মূল সৌন্দর্য। এর সাথে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, ভয়-ভীতিহীন পরিবেশে বিভিন্ন দল ও মতের অংশগ্রহণে, সংমিশ্রণে ও সমন্বয়ে যে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয় তার আমেজই আলাদা, আস্বাদন প্রীতিময়। সেটাই হয় প্রাণবন্ত, উৎসবমুখর ও আনন্দ-উল্লাসে উদ্ভাসিত উপভোগ্য ইলেকশন। আর সেটা স্থানীয়-জাতীয় যে নির্বাচনই হোক না কেন। এমনকি বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানেও গঠনতান্ত্রিক নিয়মে গণতান্ত্রিক চর্চা ও অন্তর্ভূক্তিমূলক পরিবেশে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি অথবা পর্ষদ নির্বাচিত হওয়া একটি শ্বাশত প্রথা।একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক সভ্য সমাজ বিনির্মাণে এই অনুশীলনের মন-মানসিকতা থাকা অপরিহার্য। তৃণমূলে এটাই উদার গণতান্ত্রিক অনুশীলনের প্রাথমিক আলামত।
এক সময় আমাদের দেশে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা যেত। আমি ছোটবেলায় পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের বিডি বা মৌলিক গণতন্ত্রের মোড়কে তথাকথিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্ষাকালে চেয়ারম্যান-মেম্বার পদপ্রার্থীদের গুদামের নৌকায় করে ধরে নিয়ে ধানক্ষেতের মাঠের মধ্যে ভাগিয়ে রাখতে দেখেছি। গণতন্ত্রের নামে সেটা লুকোচুরি ও পাতানো খেলা এবং হাস্যকর হলেও তবুও তখনকার দিনে নির্বাচন কেন্দ্র করে টানাটানি মাতামাতি ছিল। কিন্তু আমাদের জাতীয় রাজনীতির অবক্ষয় ও অবনমনের বর্তমান করুণ প্রেক্ষাপটে ভোটারদের মধ্যে সাম্প্রতিককালে ভোটকেন্দ্রে যাবার আগ্রহ-স্পৃহা কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা একটা সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নেতিবাচক প্রবণতার লক্ষণ বিশিষ্ট। এই ধারা পাল্টাতে না পারলে একসময় ভোট বা নির্বাচনও জাদুঘরে যেতে পারে। তাতে যে কোনো সরকার হবে আরো স্বৈরতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদী। আর এটা বিরাজনীতিরণেরও ফল বলা যায়।
এবার আসি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের ব্যাপারে। আমরা জানি, জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত প্রার্থী যিনি এমপি নামে অভিহিত হন তিনি পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন ও সরকারের নীতি-পলিসি তৈরীর সাথে যুক্ত থাকেন। যদিও সেই আদর্শিক ধারা এখন আর সম্পূর্ণ অবশিষ্ট নেই। এখন সাংসদদের উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা বানিয়ে কার্যত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দুর্বল করা হয়েছে। পক্ষান্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্থানীয় এলাকার উন্নয়নে জনসাধারণের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের দেশে জাতীয় বাজেটে স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেট অন্তর্ভুক্তির নিয়ম নেই। অবশ্য তা থাকা বাঞ্ছনীয়। অথবা স্থানীয়ভাবে সেই পরিকল্পনা বাজেট ও বিনিয়োগের কর্তৃত্ব থাকা আবশ্যক। আর স্থানীয় সরকারকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা উচিত যা আমাদের সংবিধানেও বর্ণিত আছে। এতে করে স্থানীয় এলাকার উন্নয়ন ও জনকল্যাণ তুরান্বিত হবে। জনগণ তাদের সমস্যা ও সুখ-দু:খ তাদের নিজ জনপ্রতিনিধিকে বলতে পারে। সমস্যা ও উন্নয়ন সম্পর্কে মতামত রাখতে পারে, তাদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ থাকে। এভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠার মাধ্যমে সমাজে উন্নতি ও উৎকর্ষ সাধিত হয়। সমাজ হয় প্রগতিমুখি ও গতিশীল।
। কেবল তাই নয়- স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হলে জাতীয় পর্যায়ে এর নানামুখী ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটে। এটা জাতির সার্বিক সমৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক উপাদান। তাই স্থানীয় সরকারে সুশিক্ষিত, যোগ্য, আদর্শবান, সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা উচিত। ইদানিং সমাজে একটা প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়, সমাজের যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিরা শুধু নির্বাচনে নয় কোন সামাজিক নেতৃত্বেই এগিয়ে আসছে না। পরিবর্তে অসৎ, অনভিজ্ঞ, অদক্ষ, অশিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত এমনকি অশিক্ষিত দুর্নীতি প্রবণ লোকেরা সর্বত্র নেতৃত্বের আসনে জায়গা করে নিচ্ছে। ক্রমশ নিচু মানের নেতৃত্ব দিয়ে সমাজ ভরে যাচ্ছে, মূর্খেরা চালকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। এর একটা বড় কারণ সম্ভবত: দূষিত ও দুবৃর্ত্তায়িত রাজনীতি ও বিভিন্ন সময়ের সরকারগুলোর ভুল নীতি। নষ্ট রাজনীতির বীজ তথা সংক্রমণ আমাদের পরিবারের শেকড়ে পর্যন্ত সংক্রমিত হয়ে মানুষের সম্প্রীতির বন্ধনকে পর্যন্ত ভেঙে দিচ্ছে। ক্ষমতা ও স্বার্থের বিরোধে আজ সর্বত্র বিষাক্ত বাতাস প্রবাহিত। সবকিছু রাজনীতিকরণ আজ জাতীয় ব্যাধিকে পরিণত হয়েছে। সরকার একবার দলীয় প্রতীকে আবার প্রতীকবিহীন মনোনয়ন উৎসাহিত করছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনীতির এই অনুপ্রবেশ এর আদর্শিক গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে ব্যাহত করে জনসেবা ও জনকল্যাণের প্রকৃত পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
ফলে মতলববাজ, ধান্দাবাজ, স্বজনতোষী, সংকীর্ণ চেতনার গুণহীন লোকজনের এখানে আগমন ঘটছে বেশি। অথচ যারা সত্যকার জনসেবক, সুশিক্ষিত,সমাজসেবী, জনদরদী, ত্যাগী ও আদর্শের অনুসারী তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখছে। তারা সমাজের পতন ও পচন দেখে ভয় ও লজ্জায় নিজেদেরকে আড়াল করে রেখেছে। তাই দুষ্ট চক্রের এই দ্বান্দিক বেড়াজাল ছিন্ন করে ভালো সাদা মনের মানুষগুলোকে সামাজিক নেতৃত্বে আনার জন্য আমাদের সংগ্রামী মনোভাব নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে- সমাজের অধঃপতন ঠেকাতে সৎ ও আদর্শবান মানুষগুলোকে সাহসী ভূমিকা নিতে হবে। আমরা উপযুক্ত প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য ভোটারদের উদাত্ত আহ্বান জানাবো। শেষে যেন তাদের অনুতাপ করতে না হয়। চা-পান, সিগারেট বা সামান্য টাকার বিনিময়ে কোন ভোট দেয়া অন্যায্য, গর্হিত ও অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য, পরিণামে সমাজ ও সাধারণ মানুষের জন্য তা অমঙ্গলজনক।কেননা, ভোট একটি মূল্যবান আমানত। নির্বাচনের বিনিময়ে আমাদের প্রাপ্য স্বার্থ প্রধানত সামষ্টিক, বৃহত্তর সমাজ ও জনগোষ্ঠি যার মূখ্য লক্ষ্য। তাই এই ধ্বংসাত্মক ও অধপতনের ধারা থেকে আমাদের রেরিয়ে আসতে হবে। আশা করি শুভ বুদ্ধির উদয় ওজয় হবে।
ইমাম বুখারী নিশাপুরে ঠাঁই পেলেন না কেন?
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ
ইমাম বুখারী নিশাপুরে ঠাঁই পেলেন না। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে চারদিকে কিছু হিংসুক তৈরি হল। হিংসুকের হিংসা এবং ভ্রষ্ট শাসকের জুলুমি সিদ্ধান্ত তাঁকে আর থাকতেই দিল না নিশাপুরে। রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি হল, “ঠিক এখনই নিশাপুর ত্যাগ করুন।”
শাসকের ক্ষোভের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল, রাজদরবারে গিয়ে তার ছেলেকে পড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া। রাষ্ট্রীয় এই প্রস্তাবর জবাবে তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন,”জ্ঞান মজলিসে বসেই নিতে হয়, ঘরের দরজায় গিয়ে বিলি করা হয় না।”
ইমাম বুখারী রাহি. কিতাবাদি গুছিয়ে যাত্রা শুরু করলেন নতুন গন্তব্যের দিকে। যাবেন নিজ এলাকা বুখারাতে। তিনি বুখারাতে যখন পৌঁছলেন সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে শহরের মূল প্রবেশদ্বারে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন। মানুষের ঢল নেমেছিল সেদিন। সে কি উচ্ছ্াস, আনন্দ! বহুদিন পর যেন হারানো ধন খুঁজে পেলেন তারা। হঠাৎ যেন কী একটা হয়ে গেল বুখারায়। মানুষের দৃষ্টি শুধু একদিকেই। জনগণের এই পরিবর্তিত আচরণ নীতিনির্ধারকদের অনেকেই সইতে পারল না। হিংসায় জ্বলে উঠল। হিংসার সেই তাপ লাগল দরবারেও।
এদিকে নিশাপুরের গভর্নর আরো বেসামাল। তার ক্ষোভ যেন কিছুতেই কমছে না। বুখারাতে ইমাম আশ্রয় নিয়েছেন এই সংবাদ পেয়ে বুখারার গভর্নরের কাছে পত্র লিখল। পত্রের সারমর্ম ছিল এমন, “লোকটাকে নিশাপুর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনার রাজ্যের কল্যাণের জন্য ওকে বুখারা থেকেও বহিষ্কার করুন।”বুখারার গভর্নরের রাগে যেন ঘি পড়ল। জ্বলে উঠল ছ্যাঁৎ করে। সঙ্গে-সঙ্গে রাজকীয় পিয়নের মাধ্যমে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হল। সেখানে লেখা ছিল, “ঠিক এই মুহূর্তে বুখারা ছাড়ুন।”
বাধ্য হয়ে ইমাম বুখারী রাহি. বুখারা ত্যাগ করলেন। কোথায় যাবেন তখন, তাঁর জানা ছিল না। যেখানেই যাচ্ছিলেন সেখান থেকেই বের করে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি বুখারা থেকে বের হয়ে নির্জন প্রান্তরে তাঁবু টানিয়ে তিন দিন অবস্থান করেছিলেন, যাতে সব কিতাবাদি সংগ্রহ করে সাথে করে নেওয়া যায়। কারণ, এই জন্মস্থানে তো আর আসা হবে না। তাঁর একান্ত সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ইবরাহীম বিন মাকীল।হঠাৎ ইমামের মনে হল, সমরকন্দের খারাতনাক গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বসবাস। সেখানে চলে গেলে মন্দ হবে না। জীবনের বাকিটা সময় অপরিচিত সেই গ্রামের নির্জনতায় কাটিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে!
চললেন আত্মীয়ের বাসার দিকে। চলতে চলতে পৌঁছে গেলেন সমরকন্দের অন্তর্ভুক্ত খারাতনাক গ্রামে অবস্থিত আত্মীয়ের বাসায়। তাঁরা ইমামকে খুশিতে বুকে টেনে নিলেন। গ্রামের মানুষ বেজায় খুশি। এদিকে হিংসুকদের দৃষ্টিও ইমামের পিছনে পিছনে চলতে লাগল। সংঘবদ্ধ চক্র খবর রাখছিল, ইমাম বুখারী কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেয়৷ যেখানেই আশ্রয় নেবে সেখান থেকেই তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সমরকন্দের শাসকের কাছে রাষ্ট্রীয় চিঠি চালাচালি করে ইমামের অবস্থান শনাক্ত করে সেখান থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ জানাল। সমরকন্দের শাসক চিঠির হুকুম তামিল করল। রাষ্ট্রীয় বার্তাবাহক বহিষ্কারাদেশ ফরমান নিয়ে হাজির হল অজপাড়া সেই গ্রামে। তখন ঈদের রাত। রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। চিঠিটাও লিখছিল সেভাবেই। “এখনই বের হোন, ঈদের পরে নয়।” এটা পড়ে ইমাম একমুহূর্ত অবস্থান করার চিন্ত করলেন না। তিনি নিজের জীবনের চেয়ে আশ্রয়দাতা আত্মীয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বেশি। ভাবলেন, যদি এখনই অর্থাৎ ঈদের রাতেই ত্যাগ না করি তাহলে বাড়ির কর্তাদের ওপর জুলুম করা হতে পারে।
আবার চললেন ইমাম বুখারী। বের হয়ে বিশ কদম এগুতে পারলেন না। ক্লান্ত হয়ে গেলেন খুব। এতটাই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন যে, তাঁর স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। ইবরাহীম বিন মাকীলকে বললেন, যাতে সে তাঁকে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেয়। ইবরাহীম বিন মাকীল তড়িঘড়ি করে তাঁর শায়খকে রাস্তার পাশেই বসিয়ে দিলেন। ইমাম বুখারী বসা থেকে শুইয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে দিলেন। বিন মাকীল মনে করলেন শায়খ আমার ঘুমুচ্ছেন। তিনি যাত্রা শুরু করার জন্য কিছুক্ষণ পর ইমামের মাথায় আলতো করে হাত রেখে ডাকতে থাকলেন। না, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এবার আরেকটু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন, ইমাম আর এই দুনিয়াতে নেই। তিনি তাঁর রবের সাক্ষাতে বের হয়ে গেছেন।
ইমাম বুখারী রাস্তার পাশে মারা গিয়েছিলেন। ঈদের রাতে ঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।২৫৬ হিজরীর পহেলা শাওয়ালে মারা গিয়েছিলেন।তিনি যেসময় ছন্নছাড়া হয়ে এই শহর থেকে ওই শহরে ঘুরছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬২ বছর। ১২০০ বছর পর আজ ইমাম বুখারীর নাম সবার মুখেমুখে। কিন্তু যেই শাসক এবং হিংসুকরা তাঁর পিছনে লেগেছিল তাদের নাম পর্যন্ত আজ অবশিষ্ট নেই।মানুষ ইমাম বুখারীকে পড়বে, জানবে এবং রিসার্চ করবে কিয়ামত পর্যন্ত। বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ইমামের জ্ঞান থেকে ইস্তেফাদা নেবেন। তিনি উলুমুল হাদীসের রাজ্যে রাজাই থাকবেন। আর যারা তাঁর পিছনে লেগে তাঁকে চরম কষ্ট দিয়েছিল তারা কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে সেই কবে!মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক কথা বুঝার জন্য তৌফিক দান করুন ,আমীন !
লেখক ঃ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, কলামিস্ট , গবেষক ও সাংবাদিক। শেরপুর, বগুড়া।
দেশের প্রথম যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি
পেলেন তাড়াশের মেরিনা খাতুন
তাড়াশ প্রতিনিধি ঃবাংলাদেশে প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন তাড়াশের মেরিনা খাতুন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকার) ৮৯তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যুদ্ধশিশু মেরিনার কোথাও পিতার নাম লেখার প্রয়োজন হবে না। পিতার নাম ছাড়াই তিনি রাষ্ট্রের সব সুবিধা বা অধিকার ভোগ করতে পারবেন।
এর আগে ২০২২ সালে জামুকার ৮২তম বৈঠকে মেরিনা খাতুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নির্যাতিত বীরাঙ্গনার সন্তানদের ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানোর পর বিষয়টি আর এগোয়নি। অবশেষে মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে জামুকার বৈঠকের বিবরণীতে বলা হয়েছে, মেরিনা খাতুনের নাম যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মতামত দিয়েছে। সে অনুযায়ী জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কাছে এ-সংক্রান্ত নথি উপস্থাপন করা হলে তিনি ‘মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যায়’ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ‘মন্ত্রণালয়ের এলোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী ও আইন বিধিবিধানের আলোকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের কোনো পরিপত্র, আইন ও বিধিবিধান এ মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায়নি।’ পরে বিষয়টি নিয়ে জামুকার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করে মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির বিষয়টি জানিয়ে মেরিনা খাতুনকে চিঠি পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বীরাঙ্গনার সন্তানেরাই এখন থেকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবেন। গত ৫৩ বছরে যুদ্ধশিশু হিসেবে বাংলাদেশে কোনো শিশু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। আমরা জামুকার ৮৯তম বৈঠকে তাদের স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিতে বলেছি।
মেরিনা খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি পাঠান। আবেদনে মেরিনা খাতুন উল্লেখ করেন, ‘আমার মাতা মৃত পচি বেগমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। যার গেজেট নম্বর ২০৫। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার মাতা পচি বেগম পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। সে সময় আমি তাঁর গর্ভে জন্মগ্রহণ করি। উল্লেখ্য, সে সময় আমার মাতা বিধবা ছিলেন। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি আমাকে ভ্রূণেই শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যগুণে আমি বেঁচে যাই এবং মায়ের অন্য সন্তানদের ¯েœহ-ভালোবাসায় আমি বেড়ে উঠি। সম্প্রতি আমার মা পচি বেগম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও আমার কোনো পরিচয় আজও আমি নিশ্চিত করতে পারিনি।’
১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে তাড়াশের মৃত ফাজিল আকন্দের স্ত্রী পচি বেওয়াকে বাড়ি থেকে স্থানীয় রাজাকাররা অস্ত্রের মুখে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে আটক রেখে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁর ওপর নির্যাতন চালায়। এরপর জন্ম হয় যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুনের।যুদ্ধ শিশু হিসেবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয় সম্পর্কে মেরিনা খাতুন জানান, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীকে । আশা করি আমি মুক্তিযোদ্ধাদের মত সকল সুবিধা পাব।
উল্লাপাড়ায় জনজরীপে এগিয়ে মুক্তি মির্জা
জি,এম স্বপ্না : দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উল্লাপাড়ায় প্রার্থীরা করছে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা আর শেষ মুহুর্তে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।তার মধ্যে শেষ মুহুর্তের গণসংযোগ ও প্রচারণায় জনজরীপে শীর্ষে রয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তি।
নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা ছুটে বেড়াচ্ছেন।সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মোটর সাইকেল মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন।পথসভা,জনসভা,উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে।তার প্রতিটি গণসংযোগ যেন জনসমুদ্রে রুপ নিচ্ছে।সেলিনা মির্জার পক্ষে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ও গণজোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা,পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের কমান্ডার,প্রয়াত এমপি আব্দুল লতিফ মির্জার সুযোগ্য কন্যা,উল্লাপাড়া উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা মির্জা মুক্তিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, উল্লাপাড়ার সাবেক এমপি প্রয়াত নেতা আব্দুল লতিফ মির্জার পরিচিতি,অবদান,জনপ্রিয়তা ছিল পুরো সিরাজগঞ্জে।প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পুরনে উল্লাপাড়া- সলঙ্গাবাসীর কাছে ভোট ও দোয়া চাইছেন তারই যোগ্য কন্যা,একজন পর্দানশীল, নীতিবান একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তি মির্জা।
ইতিমধ্যেই তিনি তার নির্বাচনী পথসভা,গণসংযোগে বলে বেড়াচ্ছেন যে,আমার বাবা প্রয়াত এমপি আব্দুল লতিফ মির্জাকে ভোট দিয়ে আপনারাই উল্লাপাড়া-সলঙ্গার এমপি বানিয়েছিলেন।তিনি শান্তির উল্লাপাড়া,স্বপ্নের সলঙ্গা রেখে গেছেন।কিন্তু তিনি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন নি।বাবার মৃত্যুর পর উপজেলার রাজনীনিতে হাহাকার দেখা গেছে।শুন্যতা বিরাজ করছিল নেতাকর্মীদের মনে।তখন থেকেই আমাকে এমপি নির্বাচন করতে অনেকেই বলেছিলেন।সর্বোচ্চ মাঠের অবস্থান ভালো থাকার পরও যে কারনেই হোক জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিতে পারেন নাই।ওনার সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নিয়েছি।স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে না গিয়ে বাবার সহযোদ্ধা শফি চাচাকে মুরুব্বী হিসেবে সম্মান দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি নাই।উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমার নির্বাচনে ঈর্ষাম্বিত হয়ে হাতে গোনা কয়েকজন নেতা কর্তৃক আমাকে নানাভাবে কটুক্তি,অপদস্থ করা হচ্ছে। লতিফ মির্জা সারা জীবন আপনাদের ভাই হয়ে,বন্ধু হয়ে আপনাদের পাশে ছিল।
আমার বাবা সারা জীবন আপনাদের পাশে ছিল।ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করত,বন্ধুর মত ভালোবাসতো,বাবার মত সম্মান করত। প্রয়াত বাবা লতিফ মির্জার প্রতি মানুষের ছিল দৃঢ় ভালোবাসা। সাধারন মানুষের কাছে তিনি ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ আর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদ।সুখে-দুখে,বিপদে-আপদে তার একটাই ধ্যান-জ্ঞান ছিল,উল্লাপাড়া-সলঙ্গার মানুষের জন্য কাজ করা। তিনি নিজের জন্য কিছুই করেন নাই।স্ত্রী,সন্তান,পরিবার রেখে দিনরাত মানুষের সেবা করে গেছেন।আমি তারই সন্তান।আপনাদের বোন, আপনাদের মা।আমি যতদিন বেঁচে আছি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।চেয়ারম্যান হয়ে নিজের কোন সুযোগ সুবিধা বা ক্ষমতার লোভ আমার প্রয়োজন নাই।প্রার্থী হয়েছি মরহুম বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে,উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন রাজনীতি ফিরে আনতে।হারিয়ে যাওয়া লতিফ মির্জার নেতৃত্বকে ফিরিয়ে আনতে এবং নেতাকর্মীদের হাহাকার দুর করতে চাই।তাই আমাকে বিজয়ী করার দায়িত্ব আপনাদের হাতে।সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে এসেছি,যোগ্য পিতার সন্তান মুক্তি মির্জাকে উল্লাপাড়া-সলঙ্গাবাসী ভালোবেসে ভোট দিবেন।আমি শতভাগ বিজয়ের আশাবাদী।আশা করি, উল্লাপাড়া-সলঙ্গার মানুষ এবার বুঝিয়ে দিবে,ভোটের মাধ্যমে লতিফ মির্জার মেয়ে আমি মুক্তি মির্জাকে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।
জিন্দানী ডিগ্রী কলেজে “জনসাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নীতি সুরক্ষায় গাইডলাইন গ্রহণ” বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
রোখসানা খাতুনঃ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার নওগাঁয় অবস্থিত জিন্দানী ডিগ্রী কলেজের হলরুমে গত ৯ মে ২০২৪ তারিখে“জনসাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নীতি সুরক্ষায় গাইডলাইন গ্রহণ”বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রহিম। পরিবর্তন, ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট, বাটা ও জিন্দানী ডিগ্রী কলেজ যৌথ আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবর্তন এর পরিচালক আবদুর রাজ্জাক রাজু ,উপ-পরিচালক রোকসানা খাতুন রুপা,অধ্যাপক আব্দুল আলিম,অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, অধ্যাপক আলী রেজা খন্দকার সহ আরো অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্টাফবৃন্দ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিল জিন্দানী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীগণ।
এ সভায় স্বাগতিক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিবর্তন পরিচালক আবদুর রাজ্জাক রাজু। তিনি বলেন, তামাক হল মাদকের জননী। মূলত তামাক থেকেই সকল মাদকের উৎপত্তি হয়। এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি সুরক্ষায় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর জরুরী বাস্তবায়ন প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহের ওপর ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট প্রদত্ত লিফলেট থেকে তিনি কিছু হাইলাইটস প্রদান করেন। এগুলো হচ্ছে ঃ আর্টিকেল ৫.৩, নীতিতে তামাক কোম্পানির প্রভাব, তামাক কোম্পানির সজ্ঞা, আর্টিকেল ৫.৩ এর নীতি-নির্দেশনাসমূহ, আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়ন সুবিধা, আর্টিকেল ৫.৩ এর সুপারিশমালা, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবায়নে করণীয় দিকসমূহ ইত্যাদি। রাজু বলেন, আজ থেকে জিন্দানী ডিগ্রী কলেজ কর্তৃক এফসিটিসি এর অনুচ্ছেদ আর্টিকেল ৫.৩ এর আলোকে কোড অব কনডাক্ট বাস্তবায়নে প্রদত্ত সমর্থন পত্র কার্যকরী হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই কলেজের সকল কর্মকান্ডে গৃহীত কোড অব কনডাক্ট অনুসরণ করে চলবে।
এরপর মুক্ত আলোচনা পর্বে প্রথমেই দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, আমি নিজেও তামাক সেবন করি না। এছাড়া আমরা মোট পাঁচজন বন্ধু আছি সবাই তামাক থেকে মুক্ত রয়েছি।এর পাশাপাশি আমরা কলেজের সকল ছাত্রকে তামাক ছাড়ার বিষয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি। ফারুক তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কতিপয় তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এ কলেজের অধিকাংশ ছাত্ররাই কোন ধুম পান বা তামাক সেবন কওে না।
শিক্ষকদের মধ্য থেকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, তামাকের ক্ষতিকর দিক বলে শেষ করা যাবে না। এজন্য আমাদের সবাইকে তামাকমুক্ত থাকতে হবে। তবে সবার আগে নিজেকে তামাকমুক্ত রাখতে হবে। তারপর অন্যকে তামাক ছাড়তে উৎসাহিত করতে হবে। আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টির কথা বলি বটে । তবে তা শুরু করতে হবে নিজ পরিবার থেকে। বিশেষ করে ছোট ছেলে-মেয়েরা যেন এই নেশার কবলে না পড়ে। পরিশেষে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তামাক বা ধুমপান হতে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানান।
জীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইয়াসিন আলী বক্তব্যের শুরুতেই তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে কথা বলেন। তামাক গ্রহণের ফলে একজন ব্যক্তির ক্যান্সার,যক্ষা,শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ সমস্যা হয়ে থাকে। সমাজকে তামাকমুক্ত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ কন। এছাড়া তিনি ছাত্রদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃকি চর্চা করতে বলেন। কারণ “খেলাধুলা করলে বাড়ে বল, তামাক ছেড়ে খেলায় চল”। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, “ধুমপান মানেই বিষ পান”। সুতরাং এটা অবশ্যই বর্জনীয়।বাংলার সহকারী অধ্যাপক আলী রেজা খন্দকার বলেন, নেশা খুবই খারাপ জিনিস। কোন ব্যক্তি যদি একবার নেশা করা শুরু করে, তাহলে সে নেশার জগত থেকে বেড় হতে পারে না বরং ধ্বংস হয়ে যায়। এজন্য ছাত্রদের তিনি তামাকমুক্ত থাকার আহ্বান জানান ও সমাজে যে সকল ব্যক্তিরা তামাক সেবন করে তাদের তামাকমুক্ত করতে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন। বিশেষত তামাক ও ধুমপান যে বেআইনী এবং জরিমানা দন্ডযোগ্য অপরাধ তা জনগণকে অবহিত করতে পারে ছাত্রসমাজ। এমনকি ধুমপায়ী নেতাকে ভোট না দিতে এবং তামাকসেবী ছেলেকে বিয়ে না করতে সমাজসচেতনা সৃষ্টির ক্ষেত্রে তারা ভূমিকা রাখতে পারে।
পরিবর্তনের উপপরিচালক তাড়াশ পৌরসভার কাউন্সিলর রোখসানা খাতুন রুপা বলেন, বর্তমানে কিশোর-তরুণদের মাঝে তামাক সেবনের হার অনেক বেশি। রাস্তাঘাটে প্রায় সব জায়গায় কিশোরদের তামাক সেবন করতে দেখা যায়। তবে তারা তো জানে না তামাক শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর। এজন্য আমাদের সবাইকে খুব বেশি সচেতন থাকতে হবে। তিনি আসন্ন জাতীয় বাজেটে তামাকের উপর আরো কর বৃদ্ধির আবেদন জানান। রুপা উল্লেখ করেন,আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমাদের সকলের কর্তব্য হবে নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তার এই উচ্চাভিলাষী স্বপ্নকে সার্থক ও সফল করতে অবদান রাখা। কেননা দেশের সার্বিক উন্নয়নের মূলে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। একটি সুস্বাস্থ্যবান জাতিই কেবল উন্নত-সমৃদ্ধ জাতিতে উপনীত হতে পারে।
সভাপতির ভাষনে জিন্দানী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, এ রকম একটি মহতী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বর্তমানে সব জায়গায় তামাকের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও এক সময় তামাক সেবন করতাম।এই তামাকের মধ্যে ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ নেই। তামাক সেবনের ফলে একজন মানুষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তা সে নিজেও জানে না বা ভাবতেও পারে না। তাই তোমরা কখনই তামাক সেবন করবে না। তিনি বলেন, অত্র জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ এমনিতেই ধুমপান মুক্ত এলাকা ছিল। তবে এখন থেকে আমরা এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ মোতাবেক কোড অব কনডাক্ট সমর্থন করায় এই কলেজ কখনই এই নীতি-কানুনের বাইরে যাবে না। তিনি এব্যাপারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহবান জানান। ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট, বাটা ও পরিবর্তনকে অত্র কলেজে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনসূচক বক্তব্যে পরিবর্তন পরিচালক বলেন, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কার্যকর আইন রয়েছে। সে আইন আমাদের জানতে হবে আর মানতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংক্ষিপ্ত ধারাসমূহের ৪, ৫,৬,৬ক,৮ ও ১০ বই থেকে তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে পড়ে শোনান। এ সময় তিনি জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সাস্থ্য সেবা বিভাগ সাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত “বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধি-বিধান” বইখানি আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজ অধ্যক্ষের হাতে তুলে দেন। শেষে রাজু বলেন, আমরা মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব।আমরা কেন নেশা খেয়ে ইহকাল ও পরকাল নষ্ট করব। তার চেয়ে আমাদের প্রাত্যাহিক টেবিল থেকে ছাইদানী ফেলে দিয়ে ফুলদানী ও তামাক পরিহার করে মধু পানের অভ্যাস তৈরী করি।এটাই হোক আমাদের সবার প্রত্যয়। সবশেষে এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তিনি জিন্দানী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের অংশগ্রহীতাদের মাঝে ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট প্রকাশিত লিফলেট,সমস্বর পত্রিকা ও বিধি-বিধান সম্পর্কিত বই ইত্যাকার উপকরণাদি বিতরণ করা হয়।
তাড়াশে নয়ছয় করেও বহাল তবিয়তে
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে খড়খড়িয়া, বিনোদপুর, কুসুম্বী দাখিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও আয়া পদে নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করা হয় পর পর তিনবার। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম যোগদানের পর কোনো অনিয়মের তোয়াক্কা না করে নিয়োগ বোর্ডের বøাংক ফলাফল শীটে স্বাক্ষর করে নিয়োগ পরিক্ষা বাস্তবায়ন করেন। তারপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না থেকেও নিরাপত্তাপ্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদে চাকরির নিয়োগ বাস্তবায়ন করেন এই অসাধু কর্মকর্তা। বিশেষ করে রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার সকাল ৭ টায়। ঐ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সিরাজগঞ্জ জেলায় নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মিটিংয়ে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা। তারও আগে আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্যের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এদিকে নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিযোগিতায় জমিজমা ও গরু-বাছুর বেচে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রত্যশী অসহায় পরিবারের অনেক লোকজন। গত ৪ মে শনিবার ধাপ ওয়াশীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ দিন বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষার সময় একটু অদূরে লিখন নামে একটি ছেলেকে দোকানের সামনে দাড়িয়ে গুমড়ে-গুমড়ে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে আট লাখ টাকা নিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মাধাইনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবিব, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মাদ। পরে ১০ লাখ টাকা করে নিয়ে চাকরি দিচ্ছেন অন্যদের। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির কারণে আমি পথে বসে গেলাম। দুইবার নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করা হয়।
কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে নিয়োগ পরিক্ষা বাস্তবায়ন করলেন। তবে ধাপ ওয়াশীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হাবিলুর রহমান হাবিব ও প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মাদ চাকরি প্রত্যশী লিখনকে পাগল বলে আখ্যায়িত করেন। অভিযোগ রয়েছে, রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসার নিরাপত্তাপ্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদে নিয়োগের জন্য একটি পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে তা গোপন রাখা হয়। পুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টিও চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় নাই। তাছাড়া এই নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মামলা নং ৪০/২৪। বিশেষ করে মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওছারের সহোদর ছোট ভাই আল মাহমুদ নিয়োগ পরিক্ষার পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরির পরিক্ষায় অংশ নেয়। যা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একের পর এক নিয়োগ বানিজ্য বাস্তবায়ন করে চলেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও অনিয়ম হয়নি। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আফছার আলী বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, কর্মকর্তার লাগাতার দুর্নীতি সম্পর্কে ইতোমধ্যে জাতীয়-স্থানীয় পত্রপত্রিকায় ধারাবাহিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তাড়াশে মাদ্রাসার টাকা মেরে দাতা সদস্য ..
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চকজয়কৃষœপুর এস এন দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মো. রবিউজ্জামান নান্নুর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্যের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদ্রাসার আজীবন দাতা সদস্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. শাহাদত হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকজয়কৃষœপুর এস এন দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তাপ্রহরী ও আয়া পদে দুইজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে নিয়োগের টাকা ম্যানিজিং কমিটির নির্দেশক্রমে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখেন। তারপর এক লাখ টাকা নিয়োগ খরচ, পঞ্চাশ টাকা মাদ্রাসার স্বীকৃতি নবায়ন খরচ, দুইজন কর্মচারীর বেতন-ভাতা চার লাখ টাকা মাদ্রাসার মাদ্রাসার সাধারণ হিসাব নাম্বারে রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মোতাবেক সোনালী ব্যাংক তাড়াশ শাখায় টাকা জমা করতে গেলে মো. রবিউজ্জামান নান্নু একই সাথে ব্যাংকে যান। বিশেষ করে নিয়োগের হিসাবের টাকার মধ্যে থেকে দুই লাখ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নিজের নামে জমা ভাউচার লিখে মাদ্রাসার হিসাব নাম্বারে জমা দেন। তার পর থেকে তিনি দাবি করেন, “ এই টাকা আমার ভাগের। আমি মাদ্রাসার হিসাব নাম্বারে জমা দিয়েছি। এখন থেকে আমি মাদ্রাসার আজীবন দাতা সদস্য।
এদিকে আজীবন দাতা সদস্য হওয়া নিয়ে মো. রবিউজ্জামান নান্নুর একটি ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বক্তব্যের মূল কথায় তিনি বলেন, চকজয়কৃষœপুর এস এন দাখিল মাদ্রাসার আজীবন দাতা সদস্য হওয়া থেকে আমাকে কেউ আটকাতে পারবেনা। বরং সুপারিনটেডেন্ট মো. শাহাদত হোসেন মাদ্রাসা ছাড়া করা হবে।
অপরদিকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মসগুল আজাদ। তিনি বলেন, ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, তখন আমি তাড়াশে ছিলাম না । তদন্ত প্রতিবেদন দেখে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে আমেরিকায়
একের পর এক পদত্যাগ
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ গাজার বর্তমান যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা। মূলত গাজা নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রকাশ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরও একজন কর্মী প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছেন বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সি জানিযয়েছে।পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তার নাম লিলি গ্রিনবার্গ কল। তিনি মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিফ অব স্টাফের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন বলে বুধবার এপি জানিয়েছে। লিলি গ্রিনবার্গ কল তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, তিনি ‘তার বিবেক ও বিচারবুদ্ধিকে সাথে নিয়ে এই প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করা চালিয়ে যেতে পারেন না’।আল জাজিরা বলছে, লিলি গ্রিনবার্গ কল নিজেও একজন ইহুদি এবং গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেসব মন্তব্য করেছেন তারও নিন্দা করেছেন তিনি।অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদে মার্কিন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সাবেক একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা-সহ বাইডেন প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং নিয়োগপ্রাপ্তরা যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছেন। সূত্র ঃ থোলা কাগজ।
হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সকে (আইডিএফ) লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। এতে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
গত বুধবার হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরাইলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে অভিযান চালায় হামাসের আল-কাসাম বিগ্রেডের যোদ্ধারা। তারা ইয়াসিন-১০৫ নামের একটি শেল দিয়ে ইসরাইলের ডি-৯ সামরিক বুলডোজারকে লক্ষ্যবস্তু করে। এতে দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হন। পরে একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা একটি ইসরাইলি ফোর্সকে লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করে হামাস, সেখানেও একজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস। জাবালিয়ায় ইসরাইল বিমান হামলা চালানোর পর বুধবার এই অভিযান চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এসময় ইসরাইলি মারকাভা ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে সেটিকে ধ্বংস করেছে হামাসের যোদ্ধারা। হামাসের এই অভিযানে সেখানে ১২ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস। সূত্রঃ মানবজমিন।
শত ভাগ পাশের সাফল্যে
আঙ্গারু এস.এ বালিকা বিদ্যালয়
সলঙ্গা প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার আঙ্গারু এস.এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ সহ শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে।ফলাফল প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়ে।
এ উপলক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রীরা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। পরে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে এক আনন্দ শোভা যাত্রা বের হয়। শেষে মিষ্টি বিতরণও করা হয়। অত্র এলাকায় নারী শিক্ষা বিস্তারে আঙ্গারু এস.এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি অনন্য ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম,মেধা, আন্তরিকতা ও নিরলস পাঠদানে প্রতি বছরই জেএসসি,এসএসসিসহ সকল পরীক্ষায় গৌরবোজ্জল ভুমিকা পালন করে চলেছে।প্রধান শিক্ষিকা মোছা. হুসনে আরা বলেন,প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকেই শিক্ষা ক্ষেত্রে যথারিতী সাফল্য অর্জন করে আসছে।আমাদের এ কৃতিত্বের মুল কারিগর হলেন বিদ্যালয়ের সচেতন ম্যানেজিং কমিটি ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী।শিক্ষকদের পরিশ্রমের ফসলই আজ জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাশ।তিনি আরও বলেন,সকলের সহযোগীতা ও সুদৃষ্টি থাকলে অতীত এবং বর্তমানের ন্যায় ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলে আশা করছি।
রায়গঞ্জে বই পড়া কর্মসুচীর পুরস্কার বিতরণ
সলঙ্গা প্রতিনিধি : যতো বেশি বইপড়া,ততো বেশি পুরস্কার- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত নৈঃশব্দ্য মহাকাল উন্মুক্ত পাঠাগারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা কলেজের বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক মো. সাজেদুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সদরের ধানঘরা উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু ইউছফ জাকারিয়া, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম,উপজেলা সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ শহিদুজ্জামান, বিআরডিবির ইউসিসিএ লি. এর সভাপতি মো. ফরহাদ আলী, উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক তাপস কুমার পাল,প্রভাষক শিশির কুমার দাস, রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কেএম রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম হোসেন খান,জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নজারুল ইসলাম খান,উপজেলা সদর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান,শিক্ষক ও প্রথম আলো রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা খোন্দকার,ধানঘরা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আকিদুল ইসলাম,প্রথম আলো রায়গঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি ও কুড়মালি ভাষার লেখক উজ্জ্বল কুমার মাহাতো,সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ,সামাজিক সংগঠন আমাদের ধানগড়ার অ্যাডমিন আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বইপড়া কর্মসূচির মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া প্রথম আলো রায়গঞ্জ বন্ধুসভা আয়োজিত ভাষাভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
গুরুদাসপুরে পুকুর খননের মহামারী চলছে
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে এমপির হুঙ্কার আর ইউএনও’র জেল-জরিমানা দেওয়ার পরও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না রাক্ষুসে মাটি খাদকদের। কৌশল বদলে রাতের দ্বিতীয় প্রহরে চলছে তিন ফসলি জমিতে মাটি কেটে পুকুর খননের কাজ। শত শত বিঘা ধানি জমি চলে যাচ্ছে পুকুরের পেটে। মহামারী আকার ধারণ করায় পুকুর খনন রোধে মাইকিং দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার।
গত বুধবার সকাল থেকে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেওয়া ওই প্রচার মাইকিং চালু করা হয়েছে। নির্বাহী অফিসারের জারি করা ওই জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ১৩ ধারা মোতাবেক ‘মাটির উপরিস্তর কর্তন ও ভরাটের দÐের কথা তুলে ধরা হয়।মাইকিংয়ে বলা হয়- ‘যদি কোন ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে আবাদযোগ্য বা কর্ষণীয় জমির উপরিস্তর কর্তন, জমির রেকর্ডীয় মালিকের বিনা অনুমতিতে বালু, মাটি দ্বারা ভরাট এবং অনুরূপ কাজ অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এই অপরাধে অনধিক দুই বছর কারাদÐ ও অর্থদÐের বিধান রয়েছে’। উপজেলাবাসীকে এই আইনের প্রতি দায়িত্বশীল থাকার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন- গুরুদাসপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন একশ্রেণির মানুষের নেশা-পেশায় পরিণত হয়েছে। এসব মাটি খেকোদের হাত থেকে ফসলি জমি রক্ষায় তিনি ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য মাইকিং দিয়েছেন। একইসাথে জরুরী বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন।স্থানীয়রা জানায়- বিলের তলানি থেকে পাকা সড়কের ধার। কোনো জমিই বাদ যায়নি রাক্ষুসে মাটি খাদকদের হাত থেকে। বিলের এসব তিন ফসলি জমি নির্বিচারে কেটে পুকুর বানানো হয়েছে। হাঁড়িভাঙ্গা, কুমারখালী, চাকলের বিলের যতদূর চোখ যায় শুধু পুকুর আর পুকুর।
গুরুদাসপুর কৃষি স¤প্রসারণ অফিসের পরিসংখ্যানে দেখাযায়- এভাবে পুকুর খননের ফলে গত ১৩ বছরে গুরুদাসপুর উপজেলায় ফসলি জমি কমেছে ১ হাজার ৫১০ হেক্টর। ২০১১ সালে গুরুদাসপুরে ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৬০৯ হেক্টর। এই জমি চলতি বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার হেক্টরে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন- এভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করায় মারাত্মকভাবে ফসল হানি হচ্ছে। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নির্বিচারে পুকুর খনন করায় প্রতি বছরই আশঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমি।নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন- পুকুর খননকারীরা কোনো দলের হতে পারেনা। পুকুর খনন বন্ধে তিনি সবার সহযোগিতা চান।
নিমগাছি হাইস্কুলে মেধাবী নেত্রী নির্বাচন
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদারঃ গত বুধবার বেলা ১১ টায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী নিমগাছি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের মত মেধাবী নেত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দশম শ্রেনীর ছাত্র – ছাত্রীদের সরাসরি গোপন ভোটে তাদের ক্লাস রুমে। এতে সিইসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কে এম ইউনুস রবিন। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হীরেন্দ্র নাথ, সুমন আহমেদ ও মানিকুজ্জামান। মোট ভোটার উপস্থিত ছিলেন ৮৩ জন। সবাই ভোট দেন। তবে ২ ভোট বাতিল হয়। এতে ৫৫ ভোট পেয়ে মেধাবী নেত্রী নির্বাচিত হন অন্বেষা কামাল অর্পি। তার রোল নং ৪। এছাড়া অংশগ্রহণকারী উম্মে হাবিবা টুম্পা পান ১৫ ভোট, তার রোল নং ২ এবং নুরে জান্নাত জেরী পান ১১ ভোট। তার রোল নং ২০। বিধি মোতাবেক বার্ষিক ১২০০০ টাকা বৃত্তি পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা হিসাবে বিজয়ী নেত্রী অর্পি, যা দেয়া হবে প্রস্তাবিত এ কিউ তালুকদার ট্রাস্টের সৌজন্যে। বর্তমান মাস অবধি হিসাবে ৫০০০ টাকা নগদ প্রদান করেন তাৎক্ষনিক, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য টিচারগন বিজয়ী নেত্রীর হাতে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে নির্বাচিত হন পুল্লা গ্রামের ভূট্টো সরকারের মেয়ে ভাবনা সরকার এবং ২০২৩ সালে নির্বাচিত হন নিমগাছি বাজারের নিরঞ্জন পোদ্দারের মেয়ে অনন্যা পোদ্দার।
উল্লাপাড়ায় ৪টি মাদরাসার সবাই ফেল
উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃচলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গত রোববার (১২ মে) প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সারাদেশে জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রতিযোগিতা সেখানে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলতি বছরের অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ৪টি দাখিল মাদরাসায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি।
দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ অকৃতকার্য মাদরাসাগুলো হলো- উপজেলার বগুড়া দাখিল মাদরাসা, এলংজানী দাখিল মাদরাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদরাসা এবং বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদরাসা।জানা যায়, বগুড়া দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষা দেয় ১৫ জন, এলংজানী মাদরাসা থেকে ১২ জন, হাজী আহমেদ আলী মাদরাসা থেকে ১৪ জন এবং বড় কোয়ালীবের মাদরাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এছাড়া উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদরাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন, উধুনিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন এবং হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন।
এলংজানী দাখিল মাদরাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিরভাগ দিনই ক্লাসে অনুস্থিত ছিল। এদের অভিভাবকদের বার বার বিষয়টি জানালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন সবাই ফেল করে মাদরাসার দুর্নাম করল। শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত। বগুড়া দাখিল মাদরাসা সুপার আতিকুর রহমান বলেন, মাদরাসাটিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পড়ে। এরা একেবারেই লেখাপড়া করে না। অনেক চেষ্টা করেও এদেরকে ক্লাসে মনোযোগী করা যায়নি।
ঈদুল আজহার জন্য পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, এবারের ঈদুল আজহায় এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদার বিপরীতে দেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে।বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদা থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার জায়গা আমরা ধরে নিয়েছি।তিনি বলেন, বাইরে থেকে যাতে পশু না আসে, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেরই। এ সুযোগ নেই। চোরাই পথে যাতে না আসে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক এবং সজাগ থাকবো। সূত্রঃ যায়যায়দিন।
নন্দীগ্রাম উপজেলাকে সকল ধরনের অপরাধমুক্ত করার অঙ্গীকার
নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি: সাড়াদেশে চলতি উপজেলা পরিষদের ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে আগামী ৫ই জুন নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভ আহম্মেদ।তিনি গ্রামে গ্রামে ভোটারদের কাছে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন এবং সকল ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট আর দোয়া চাচ্ছেন।
শুভ আহম্মেদ বলেন, আমি এইবার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আপনাদের দুয়ারে এসেছি।আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে একবার সেবা করার সুযোগ দেন।আর আল্লাহ তাআলা যদি আমাকে সম্মান দেন,তাহলে নন্দীগ্রাম উপজেলাকে সকল ধরনের সন্ত্রাস মুক্ত চাঁদাবাজ মুক্ত দুর্নীতি মুক্ত মাদকমুক্ত সহ নন্দীগ্রামকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।নন্দীগ্রাম উপজেলাকে বেকারমুক্ত করব।আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের সকল ধরনের হয়রানী পেরেশানী দূর করে দিব। আপনাদের ঘরে ঘরে আমার সেবা পৌঁছে দিব।
পাল্টে যাচ্ছে তিস্তার গতিপথ, ভারতের দুশ্চিন্তা
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ভারতের অভ্যন্তরে পাল্টে যাচ্ছে তিস্ত নদীর গতিপথ, যা স্থানীয়ভাবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল দেশটির সিকিম রাজ্য। এবার সেই তিস্তার বুকে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিস্তার গতিপথ ক্রমেই বদলাচ্ছে। চিন্তার বিষয় হল- তিস্তার গতিপথ ইতোমধ্যে একাধিক জায়গায় বদলে গেছে।
এদিকে সামনে বর্ষা এলে ফুঁসে উঠবে তিস্তা তখন কোথায় কী হয় সেটা আগে থেকে আঁচ করা মুশকিল। এমতাবস্থায় বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির সেচ দফতরের কাছে।জানা গেছে, সম্প্রতি রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউট নদীপথ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সেচ দফতর। কোথায় নদী কতটা সরে গেছে, কতটা কোথায় চওড়া হয়েছে, কোথায় কতটা সরু হয়েছে তা সেই রিপোর্টে থাকবে। সেই অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে সেচ দফতর। কারণ সেই অনুসারেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।প্রাথমিকভাবে সেচ দফতর ২৮ কোটি রুপির কাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করতে হবে। পুরনো গতিপথ বদলে ফেলার জেরে নতুন নতুন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেবক থেকেই সমতলের উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। আর সেই পাথুরে জমির পর থেকেই তিস্তাও তার গতিপথ বদলে ফেলেছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস-ইনকিলাব।
উল্লাপাড়ায় বিনা ধান ২৫ আবাদে কৃষকেরা লাভবান
ডাঃ আমজাদ হোসেনঃসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিনা ধান ২৫ জাতের বোরো(ইরি) ধান আবাদে কৃষকেরা লাভবান হয়েছেন। আশার চেয়ে বেশী হারে ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। এটি সবশেষ উন্নত জাতের একটি ধান ফসল। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করে আরো জানানো হয়, এবারের মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আবাদী মাঠে প্রায় ১শ ২৫ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বিনা ২৫ জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ ধানের আবাদে বিভিন্ন এলাকার প্রায় পঞ্চাশ জন কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনায় ধান বীজ ও নানা উপকরণাদি সহায়তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন মাঠে বিনা ২৫ জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লট করা হয়। এর মধ্যে হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারী বøকের কুমারগাতী গ্রামের মাঠে পাঁচজন কৃষককে নিয়ে ২ একর জমিতে ও পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের মধুপুর মাঠে পাঁচজন কৃষককে নিয়ে ২ একর জমিতে বিনা ধান ২৫ এর প্রদর্শনী প্লট করা হয়। অনেক মাঠেই বিনা ধান ২৫ কৃষকেরা কাটতে শুরু করেছেন। বেশীর ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। কৃষকেরা বলছেন ফলন ভালো হারে মিলছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন, বিনা ধান ২৫ হলো সবশেষ উন্নত জাতের ধানী ফসল। দুটি ইউনিয়নে এ ধানের প্রদর্শনী প্লট করা হয়। কৃষি প্রণোদনায় ধান বীজ দেওয়া হয়। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে বিনা ধান ২৫ সহ সব ধরণের বোরো ধান ফসলের আবাদে পরামর্শ দিয়েছেন।এর ফলন প্রত্যাশার চেয়ে বেশী হারে হওয়ায় কৃষকেরা খুশী হয়েছেন। অনেক কৃষক আগামী মৌসুমে বিনা ধান ২৫ এর আবাদ করবেন বলে তিনি আশা করছেন।
ভারতে মোদির জয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই ফিকে হচ্ছে
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ভারতে এবার সংসদ নির্বাচন শুরুর আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্লোগান দিয়েছিলেন ‘আব কি বার চারশ পার’, অর্থাৎ বিজেপি জোট এবার ৪০০ আসন অতিক্রম করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।তবে সাত দফার নির্বাচনে চার ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন দলটির নেতারাও ওই শ্লোগান ভুলেও মুখে আনছেন না। অন্যদিকে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছে, ‘দেখবেন, বিজেপির আসন সংখ্যা দুইশর নিচে নেমে আসবে।’
বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রায় সব রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা মোটামুটি একমত, মোদির নেতৃত্বে বিজেপি জোট এখনও অবশ্যই এগিয়ে। কিন্তু ৪০০ আসন তো দূরস্থান, গত নির্বাচনে এককভাবে বিজেপি যে ৩০৩টি আসনে জিতেছিল, সেই পুরোনো রেকর্ড ধরে রাখাও তাদের পক্ষে খুবই কঠিন হবে। এমনকি পার্লামেন্টে সাধারণ গরিষ্ঠতা পেতেও হয়তো তাদের বেগ পেতে হবে।ভারতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসন। ফলে সাধারণ গরিষ্ঠতা পেতে হলে কোনো দল বা জোটের অন্তত ২৭২টি আসনে জিততে হয়। মোদির গত ১০ বছরের শাসনকালকে ভারতে ‘মোদি ডিকেড’ বলে ডাকা হচ্ছে। তারপরও এবারের নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে এমন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও বিজেপি নেতারা তা ভাবতেও পারেননি। চার দফায় দেশের ৭০ শতাংশেরও বেশি আসনে ভোট হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি নেতাদের গলায় সেই আত্মবিশ্বাসী সুর আর শোনা যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতা-নেত্রীরা রোজই তাদের আক্রমণের সুর চড়াচ্ছেন। বলছেন, বিজেপি ২শর নিচে নেমে যাবে। সূত্রঃ সমকাল।
তাড়াশে ভর্তুকিতে ধানকাটার যন্ত্র বিতরণ
লুৎফর রহমান ঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২০২৩ -২০২৪ অর্থ বছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমের আওতায়, অর্ধেক মূল্যে ভর্তুকিতে ধানকাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার চারজন কৃষকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১১ মে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার দেওয়া গ্রামের কৃষক আয়েজ উদ্দিনের হাতে কৃষি যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টারের চাবি হাতে তুলে দেন ও সেই সাথে উক্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। এর পর আরো ৩ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আজিজ বলেন, সরকার কৃষি প্রণোদনার আওতায় অর্ধেক মূল্যে কৃষককে ভতুর্কি দিচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে চারটি ধানকাটার কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করা হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের কৃষককে সাশ্রয়ী মূল্যে ধান কাটতে সহায়তা করবে।
তাপপ্রবাহ আরও বাড়ার আশঙ্কা
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ মাঝে কয়েকদিনের বিরতির পর গরম বাড়তে থাকার মধ্যে তাপপ্রবাহ দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।গত বুধবার সন্ধ্যার বুলেটিনে নতুন করে আরও ১৬ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগের দিন ৪২টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের তথ্য দেয় আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, চলমান তাপপ্রবাহ আগামী শনিবার পর্যন্ত আরও বিস্তার লাভ করতে পারার আভাস রয়েছে।
দেশে আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। সেদিন সাত জেলায় দাবদাহ ছিল; যা ক্রমেই নতুন নতুন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে।বুধবার দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে দুই দিনের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে পারদ চড়তে থাকলে এপ্রিলের শেষ দিকে ও মে মাসের শুরুতে কয়েকদফা সতকর্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সারা দেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই উঠানামা করবে। সূত্রঃ সমকাল।
তাড়াশে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ মে (শনিবার) সকালে তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুইচিং মং মারমা এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর (২য় ধাপ) উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, পিপিএম বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা গণপতি রায়, জেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম, উল্লাপাড়া সার্কেল সহ পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধ,তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালয় সুষ্ঠু সুন্দর ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরণ করে ইভিএম পরিচালনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
শাহজাদপুরে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল দুই শিশু
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড় থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের এক দিন পর গত রোববার উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে নদীর পাড় থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ। মারা যাওয়া শিশুরা হলো উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে আবু বক্কার (৪) ও আবু বক্কারের খালাতো ভাই ইয়াসিন (৫)।
পুলিশ ও নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে রুবেল হোসেন তাঁর ছেলে আবু বক্কার ও শ্যালিকার ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে জালালপুর ইউনিয়নে মামাশ্বশুরের বাড়িতে যান। সেখানে যমুনা নদীর পাড়ে বালুর মধ্যে এই দুই শিশু খেলছিল। এর পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। না পেয়ে সবার ধারণা হয়, তারা নদীর পানিতে ডুবে গেছে। ঘটনাটি পুলিশকেও জানানো হয়