শাহজাহান : তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গরু চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড অব্যাহতভাবে চলছেই। থেমে নেই বিশেষ করে গরু চুরি। একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। উপজেলার নাদোসৈয়দপুর মুসলিম পাড়া এক রাতে ৪টি মহিষ চুরি হয়েছে। যার মুল্য ৮ লাখ টাকা। মহিষের মালিক রাজশাহী থেকে ইরি ধান বহনের জন্য গাড়ী মহিষ নিয়ে নাদোসৈয়দপুর এলাকার কৃষকদের খেতের ধান বহনের কাজ করত গত বুধবার রাতে ৪টি মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, মাত্র গত সপ্তাহে উপজেলা সদরে থানার অদূরবর্তী পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া হতে ২টি ও সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া গ্রাম হতে ৪টি গরু চুরি হলে স্থানীয় পুলিশ অপরাধ প্রতিরোধে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারী করে। কিন্তু তাতে কোন ফল হচ্ছে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে গরু চুরি অব্যাহতভাবে চলছেই। গত ২৭ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বারহাস ইউনিয়নের সান্দুরিয়া গ্রামে মোকছেদ আলীর পুত্র মোক্তার হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে একযোগে ৫টি গরু নিয়ে যায় চোরেরা। এরপরের ঘটনা তাড়াশ সদর নিকটবর্তী ভাদাশ গ্রামে। ২৮ এপ্রিল রোরবার রাতের বেলা উক্ত ভাদাশ গ্রামের এবাদত আলীর ৩টি গরু চোরেরা নিরাপদে নিয়ে ভেগে পড়ে। এর আগে মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ২টি ষাড় গরু চুরি হয়।. এভাবে প্রতিনিয়ত গরু চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্চে। তাড়াশ থানা কর্তৃক অতি সম্প্রতি গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় পাহাড়া জোড়দার করার পরামর্শমূলক প্রচার পত্র দেয়া হলেও সেটা তেমন কোন কাজে আসছে না বলেই উপরোক্ত ধারাবাহিক ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা কর্তৃপক্ষের এব্যাপারে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে এলাকাবাসী মনে করে।# শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ।