ইসরাইল ও বনী ইসরাইলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ
🔴 বনি ইসরাইলের মূল ইতিহাস জানতে হলে আগে ইব্রাহিম আ. এর পরিবারের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। নবীর প্রথম স্ত্রী সারা আ. তার সন্তান ইসহাক আ.। বসবাস ফিলিস্তিনে। নবীর দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা আ. তার সন্তান ইসমাইল আ.। বসবাস সৌদি আরব। এই সিলসিলা থেকেই আমাদের নবী সা. এর জন্ম। প্রথম স্ত্রী সারার বংশ থেকে বনী ইসরায়েলের সিলসিলা।
ইসহাক নবীর সন্তান ইয়াকুব আ. যাকে বলা হয় ইসরাইল। আর তার সন্তানকে বলা হয় বনী ইসরাইল। ইয়াকুব আ. এর ১২ ছেলে। তাদের একজনের নাম ইয়াহুদা। যার থেকে তারা তাদের নাম চয়েজ করেছে ইয়াহুদী হিসেবে। ইয়াহুদা ইউসুফ আ.কে কূপে নিক্ষেপের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল।
এই ইহুদিদের আল্লাহ তায়ালা অনেক সম্পদ, সুযোগ সুবিধা ও পৃথিবীতে অত্যন্ত সম্মানিত জাতি হিসেবে রেখেছিলেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনের বাণী ‘আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের উপর রহমত করবেন। কিন্তু তোমরা যদি পুনরায় কর, তাহলে আমিও পুনরায় করব। আর আমি জাহান্নামকে করেছি কাফিরদের জন্য কয়েদখানা।’ [বনী ইসরাইল ৮] তারা পৃথিবীতে সুখে শান্তিই বসবাস করছিল। পরে ইউসুফ আ.কে কূপে ফেলে দিয়ে সীমালঙ্ঘন করার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে অধঃপতন ঘটান। অত:পর ইউসুফ আ. মিশরের খাদ্য মন্ত্রী হলে ভাইদের মাফ করে দিয়ে পুরো বনী ইসরায়েলকে মিশরে সুখে শান্তিতে রাখেন।
🔴 ইউসুফের পর মুসা আ. এর আগমন :
ইউসুফ আ. এর ইন্তেকালের পর তারা আল্লাহর নাফরমানী ও ওয়াদা খেলাফের কারণে আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য একজন জালেম শাষক পাঠালেন, যার নাম ফিরাউন। কারণ আল্লাহ তাদের বহু সুযোগ দেয়ার পরও তারা সংশোধন হয় নি। ফিরাউন তাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছিল। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি তাদের জন্য একজন নবী পাঠান যার নাম মূসা কালিমুল্লাহ। তারা ফেরাউন সহ সবাই মুসা (আ.) ও তার দলকে তাড়া করলে ফেরাউন লোহিত সাগরে ডুবে মরে।
মুসা (আ.) বনী ইসরায়েলকে নিয়ে আল্লাহ প্রদত্ত মান্না সালওয়া খানা খাওয়ান। পরে নিজেরাই এই জান্নাতি খাবার বন্ধের আবদার করে নিজে চাষাবাদ করে খাবার আবেদনের ফলে জান্নাতি খাবার বন্ধ হয়। আল্লাহ তায়ালা তাদের কিতাব দিলেন তাওরাত। মুসা আ. তাদেরকে আদেশ দিলেন বায়তুল মুকাদ্দাস জিহাদ করে বিজয় করার জন্য। তারা আমালিকা সম্প্রদায়ের ভয়ে মুসাকে উত্তর দিল। তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে। সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’। অত:পর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তীহ নামক জায়গায় অসহায়ের মত ৪০ বছর ফেলে রেখেছিলেন।
🔴 ইউশা বিন নুনের নবুওতি:
তারপর হযরত ইউশা বিন নুনকে আল্লাহ নবী বানালেন। তারা আবেদন করল যেন জিহাদের জন্য তাদের একজন নেতা বানিয়ে দেন। আল্লাহ তায়ালা “তালুত”কে নেতা বানালেন। কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আল্লাহ বলেন, আর তাদেরকে তাদের নবী বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য তালূতকে রাজারূপে পাঠিয়েছেন। তারা এটি মানতে পারল না, তারা বলল, ‘আমাদের উপর কীভাবে তার রাজত্ব হবে, অথচ আমরা তার চেয়ে রাজত্বের অধিক হকদার? আর তাকে সম্পদের প্রাচুর্যও দেয়া হয়নি’।আল্লাহ বলেন, সে বলল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাকে তোমাদের উপর মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ যাকে চান, তাকে তাঁর রাজত্ব দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’। [সুরা বাকারা ২৪৭]
ব্যাখ্যা: ভাবার্থ এই যে, যখন তারা তাদের নবীকে তাদের একজন বাদশাহ নিযুক্ত করতে বললো তখন নবী (আঃ) আল্লাহ তা’আলার নির্দেশক্রমে হযরত তালূতকে তাদের সামনে বাদশাহরূপে পেশ করলেন। তিনি বাদশাহী বংশের ছিলেন না বরং একজন সৈনিক ছিলেন। ইয়াহূদার সন্তানেরা রাজবংশের লোক এবং হযরত তালুত এদের মধ্যে ছিলেন না। তাই জনগণ প্রতিবাদ করে বললো যে, তালুত অপেক্ষা তারাই রাজত্বের দাবীদার বেশী। দ্বিতীয় কথা এই যে, তিনি দরিদ্র ব্যক্তি। তাঁর কোন ধন-মাল নেই। কেউ কেউ বলেন যে, তিনি ভিস্তী ছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে, তিনি চর্ম সংস্কারক ছিলেন।সুতরাং নবীর আদেশের সামনে তাদের এই প্রতিবাদ ছিল প্রথম বিরোধিতা। নবী (আঃ) উত্তর দিলেন : এই নির্বাচন আমার পক্ষ হতে হয়নি যে, আমি পুনর্বিবেচনা করবো। বরং এটা তো স্বয়ং আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ। সুতরাং এই নির্দেশ পালন করা অবশ্য কর্তব্য। তাছাড়া এটাতো প্রকাশমান যে, তিনি তোমাদের মধ্যে একজন বড় আলেম, তার দেহ সুঠাম ও সবল। তিনি একজন বীর পুরুষ এবং যুদ্ধ বিদ্যায় তাঁর পারদর্শিতা রয়েছে।
এর দ্বারা এটাও সাব্যস্ত হচ্ছে যে, বাদশাহর মধ্যে উপরোক্ত গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। [তাফসীরে ইবনে কাসীর] অতঃপর যখন তালূত সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হল, তখন সে বলল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে একটি নদী দ্বারা পরীক্ষা করবেন। অতএব, যে তা হতে পান করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। আর যে তা খাবে না, তাহলে নিশ্চয় সে আমার দলভুক্ত। তবে যে তার হাত দিয়ে এক আজলা পরিমাণ খাবে, সে ছাড়া; কিন্তু তাদের মধ্য থেকে স্বল্পসংখ্যক ছাড়া সবাই তা থেকে তারা পান করল। অতঃপর যখন সে ও তার সাথি মুমিনগণ তা অতিক্রম করল, তারা বলল, ‘আজ আমাদের জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সাথে লড়াই করার ক্ষমতা নেই’।যারা দৃঢ় ধারণা রাখত যে, তারা আল্লাহর সাথে মিলিত হবে, তারা বলল, ‘কত ছোট দল আল্লাহর হুকুমে কত বড় দলকে পরাজিত করেছে’! আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। [সুরা বাকারা ২৪৭]
ব্যাখ্যা: সুদ্দীর (রঃ) উক্তি অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ছিল আশি হাজার। পথে তালূত তাদেরকে বললেনঃ “আল্লাহ তোমাদেরকে একটি নদী দ্বারা পরীক্ষা করবেন।হযরত ইবনে আব্বাসের (রাঃ) উক্তি অনুসারে এই নদীটি উরদুন’ ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী স্থলে অবস্থিত ছিল। ঐ নদীটির নাম ছিল ‘নাহরুশ শারীআহ’। তালুত তাদেরকে সতর্ক করে দেন যে, কেউ যেন ঐ নদীর পানি পান না করে। যারা পান করবে তারা যেন আমার সাথে না যায়।
এক আধ চুমুক যদি কেউ পান করে নেয় তবে কোন দোষ নেই। কিন্তু তথায় পৌঁছে গিয়ে তারা অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ল। কাজেই তারা পেট পুরে পানি পান করে নেয়। কিন্তু অল্প কয়েকজন অত্যন্ত পাকা ঈমানদার লোক ছিলেন। তাঁরা এক চুমুক ব্যতীত পান করলেন না।হযরত ইবনে আব্বাসের (রাঃ) উক্তি অনুযায়ী ঐ এক চুমুকেই তাঁদের পিপাসা মিটে যায় এবং তারা জিহাদেও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু যারা পূর্ণভাবে পান করেছিল তাদের পিপাসাও নিবৃত্ত হয়নি এবং তারা জিহাদের উপযুক্ত বলেও গণ্য হয়নি। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, আশি হাজারের মধ্যে ছিয়াত্তর হাজারই পানি পান করেছিল এবং মাত্র চার হাজার লোকে প্রকৃত অনুগতরূপে প্রমাণিত হয়েছিলেন। হযরত বারা বিন আযিব (রাঃ) বলেন যে, মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাহাবীগণ (রাঃ) প্রায়ই বলতেন:বদরের যুদ্ধে আমাদের সংখ্যা ততজনই ছিল যতজন তালুতের অনুগত সৈন্যদের সংখ্যা ছিল।অর্থাৎ তিন শো তেরো জন। [ইবনে কাসীর, সুরা বাকারা ২৪৯]
যখন তারা তালুতকে বাদশা হিসেবে মেনে নিল তখন তালুতের নেতৃত্বে ৩১৩ জন বায়তুল মাকদিস বিজয়ের জন্য ছুটলেন। বিপরীত শক্তি ছিল “জালুত” ও তার বাহিনী। ৩১৩ জনের মধ্যে একজন তরুণ বয়সী যুবক ছিল যার নাম দাউদ আ.। আল্লাহ তায়ালা বলেন, অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাজিত করল এবং দাঊদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করলেন এবং তাকে যা ইচ্ছা শিক্ষা দিলেন।আর আল্লাহ যদি মানুষের কতককে কতকের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই যমীন ফাসাদপূর্ণ হয়ে যেত।কিন্তু আল্লাহ বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্রহশীল। [সুরা বাকারা ২৫১]
ব্যাখ্যা: অতঃপর হযরত দাউদ (আঃ) জালুতের প্রতি একটি পাথর নিক্ষেপ করেন এবং তাতেই সে মারা যায়। হযরত তালুত তার অঙ্গীকার পূর্ণ করেন। অবশেষে তিনি একচ্ছত্র সম্রাট হয়ে যান এবং বিশ্বপ্রভুর পক্ষ হতে তাঁকে নবুওয়াতও দান করা হয় এবং হযরত শামভীল (আঃ)-এর পর তিনি নবী ও বাদশাহ দু-ই থাকেন। [ইবনে কাসীর, সুরা বাকারা ২৫১] দাউদ আ. নবুয়ত প্রাপ্ত হয়ে এবং বাদশা হয়ে ফিলিস্তিনে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার করলেন। দাউদ আ. বনী ইসরায়েলের বাদশা+নবী। পৃথিবীর অনেক অংশ শাষণ করলেন। বনী ইসরায়েল বাদশাহি জিন্দেগী যাপন করতে লাগল।
🔴 দাউদ আ. ইন্তেকালের পর সুলাইমান আ. নবী হন। পুরো দুনিয়ায় তারা হলেন সুপার পাওয়ার। তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস জীনের মাধ্যমে পুনরায় ভিত্তি স্থাপন করলেন। সুলায়মানের মৃত্যুর পর তারা আবার নাফরমানী করতে লাগল। তারা তাওরাত যাবুর কিতাব নষ্ট করে ফেলল। পরে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে আবার দাস দাসিতে পরিণত করলেন।
🔴 ইরাকের বাদশা “নেজবুত নেজার” ফিলিস্তিনে আক্রমণ করে বনী ইসরায়েলকে দাস দাসি বানিয়ে ইরাকে নিয়ে আসে। তারপর ২ হাজার বছর পর্যন্ত তারা আর মাথা তুলে দাড়াতে পারে নি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের উপর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে লাঞ্ছনা, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন প্রতিশ্রæতি এবং মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রæতি থাকলে আলাদা কথা। আর তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব নিয়ে ফিরে এসেছে। আর তাদের উপর দারিদ্র্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তা এ কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং নবীদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তা এ জন্য যে, তারা নাফরমানী করেছে, আর তারা সীমালঙ্ঘন করত। [আলে ইমরান ১১২] এজন্যই ইহুদিদের পাওয়ার আছে বর্তমানে। কিন্তু তাদের সম্মান নেই। আজকের ইহুদিরা আমেরিকার রশি ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের রশি ধরেই বেঁচে আছে। আমেরিকা রশি ছিন্ন করলে কি তারা বেশি শক্তিশালী ?
🔴 ১৯৩০ সালে পৃথিবীতে বসতিহীন বিচ্ছিন্ন বনী ইসরায়েলরা একসাথে সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করার প্লান করে ফিলিস্তিনের “কিদবুস” নামক জায়গায়। সেখানে কিছু লোক চাষাবাদ শুরু করে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার ৬০ লাখ ইহুদিদের হত্যা করে। বাকিগুলোকে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করে। ফলে তারা ট্রলার ভরে ভরে ফিলিস্তিনে আশ্রয়ের জন্য আসে। যেভাবে আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা এসেছিল। তাদের ব্যানারে ব্যানারে লিখা ছিল আবেগময় কথাবার্তা। যেমন: “জার্মানিরা আমাদেরকে অপমান লাঞ্চিত করে আমাদেরকে পরিবারসহ দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। তোমরা আমাদের ফিরিয়ে দিও না ইত্যাদি।” ১৯৪৮ সালে তারা আলাদা রাষ্ট্র ঘোষণা দেয় যার নাম “ইযরাইল। সবচেয়ে বড় ডাকাতি ও সন্ত্রাসী করে পরের ভুমিতে বসতি গেড়ে আজ তারাই ফিলিস্তির হামাসদের বলছে সন্ত্রাসী জঙ্গী। পশ্চিমের হলুদ মিডিয়া প্রকৃত হামাস বাহিনী ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করছে।
🟥 ফিলিস্তিন ও আল-আকসার গুরুত্ব ও ফজিলত।
১। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (বনী ইসরাইল:১)
২। আল্লাহ তাআলা অন্য জায়গায় ইরশাদ করেন-
‘হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা সেই পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং নিজেদের পিছনের দিকে ফিরে যেয়ো না, তা হলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে। (সুরা মায়েদা-২১)
৩। অন্য জায়গায় ইরশাদ করেন-
আর তাঁকে ও লূতকে উদ্ধার করে সেই ভূখন্ডের দিকে নিয়ে গেলাম, যেখানে বিশ্ববাসীদের জন্য বরকত রেখেছি। (সুরা আম্বিয়া-৭১)
৪। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে-
সাইয়েদুনা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শুধু তিনটি মসজিদ অভিমুখে ইবাদতের নিয়তে সফর করা যাবে। আল মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুন নববী ও মাসজিদুল আকসা।(বুখারী শরিফ হাদিস নং ১৮৬৪)
৫। অন্য হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে-
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সুলাইমান ইবনু দাঊদ (আলাইহিস সালাম) বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহ্র কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেনঃ আল্লাহ্র হুকুমমত সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মাকদিসে কেবলমাত্র সালাত (নামায) পড়ার জন্য আসবে, তার গুনাহ যেন তার থেকে বের হয়ে যায় তার মা তাকে প্রসব করার দিনের মত। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: প্রথম দুটি তাঁকে দান করা হযেছে এবং আমি আশা করি তৃতীয়টিও তাঁকে দান করা হবে। (ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১৪০৮)
🟥 আকসার সাথে আমাদের সম্পর্ক কিসের?
কিসের সম্পর্ক আমাদের?
ঈমানী দায়িত্বের সম্পর্ক।
ঈমানী গায়রাতের সম্পর্ক।
মহাব্বত ও ভালোবাসার সম্পর্ক।
মুমিনের পারস্পরিক সম্পর্ক।
আরে ভাই! যে মাটির সাথে, যে ভূখন্ডের সাথে, ইসলাম ও মুসলমানের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে জড়িয়ে আছে। মুসলমানগণ যে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার উপরে ঈমান এনেছে। সেই আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার ওহীর ধারক বাহক, নবী ও রাসূলগণ যেই ভূখন্ডের উপর ঘুমিয়ে আছে। শুধু কি তাই! সাইয়্যেদুল মুরসালিন, রহমাতুল্লিল আলামিন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার ইমামতিতে, ফিলিস্তিনের মাটিতে আল আকসায়, সমস্ত নবী ও রাসূলদেরকে নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়েছে। বলুন সেই ভূখন্ডর উপরে মুসলমানদের হক আছে না নাই? -আছে…সে মাটির সাথে, সে ভূখন্ডর সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে না নাই? -আছে…
🟥 আল-আকসার জন্য মুসলমানদের কুরবানী।
ফিলিস্তিনের জনগণ যুগে যুগে রক্তের নজরানা পেশ করেছে। যতবার ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণ হয়েছে ততবারই জীবনকে উৎসর্গ করেছে। খৃষ্টানদের নিকটেও আল-আকসার গুরুত্ব রয়েছে। তাদের দাবি হলো- ঈসা আঃ এর কবর মাসজিদে আকসার আসেপাশে কোথাও আছে।
অথচ সঠিক আকিদা হলো ঈসা আঃ এখনো মৃত্যুবরণ করেনি। জিন্দা আসমানে রয়েছেন। তো তারাও আল-আকসাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। ১০৯৫ সালে পোপ আরবান দ্বিতীয়। এমন এক উস্কানিমূলক ভাষণ দেয়। গোটা ইউরোপজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে যায়। সে আহবান জানায় ঈসা মসিহের কবরকে এবং আল-কুদুসকে মুসলমানদের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে।
তার সে ডাকে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। বিশাল এক বাহিনী তৈরি হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। যাকে “ক্রুসেড যুদ্ধ” বলে। এটা তাদের ধর্মীয় পরিভাষা। আমরা যেমন জিহাদ বলি, ওরা বলে ক্রুসেড। যাইহোক ১০৯৯ সালে বায়তুল মাকদিস ক্রুসেডারদের হাতে চলে যায়। তারা বায়তুল মুকাদ্দাসের আঙিনায় প্রবেশ করে পুরো আকসাজুড়ে তারা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। সে সময় তাদের তরবারির সামনে শিশু মহিলা বয়স্ক যুবক যুবতীর কোন বাছবিচার ছিলনা। তাদের নিজেদের বর্ণনাা অনুযায়ী- এত পরিমাণ মুসলমান হত্যা করেছিলো যে, রাস্তায় হাটু সমান রক্তের স্রোত বইতে থাকে। সে রক্তের স্রোতে অসংখ্য লাশ ও শরীরের বিভিন্ন কর্তিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কাটা হাত পা ভেসে যেতে থাকে। আহ! কী নির্মম ইতিহাস কল্পনা করতেও কল্পনা জগৎ কেঁপে ওঠে!
গণহত্যা করার পর খৃষ্টানরা মাসজিদে আকসাকে চার ভাগ করে। একভাগকে করে তাদের গির্জা। আরেক ভাগকে করে সৈন্যদের বসবাসের কোয়াটার। আরেক ভাগকে করে স্টোর রুম। আরেক ভাগকে করে ঘোড়ার আস্তবল (নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক)। এরপর আসে সুলতান সালাহউদ্দিন আয়ুবী রহঃ এর যুগ। ক্রুসেডের হাত থেকে ১১৮৭ সালে আকসাকে উদ্ধার করেন। আয়ুবী রহঃ ও তার সৈন্যরা আকসায় ঢুকে নামায আদায় করেন। আয়ুবী রহঃ এর হাতে শোচনীয় পরাজয় বরণ করার পরও তাদের চক্রান্ত থেমে নেই। পর্যায়ক্রমে আবারও আকসা মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যায়। এবার দখলে নিয়ে নেয় অভিশপ্ত যায়নবাদী ইয়াহুদীরা। অদ্যাবধি মুসলমানগন রক্তের নজরানা পেশ করে আসছে। পৈশাচিক নির্যাতন চালাতেই থাকে মুসলমানদের উপর। যা এখনো চলছে।
🟥আমাদের অবস্থান থেকে আমাদের করণীয়।
প্রথমেই একটি হাদিস শুনুন!
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল মুসলিম একজন ব্যক্তির সমতুল্য। যদি তার চক্ষু পীড়িত হয় তবে তার সমগ্র দেহ পীড়িত হয়ে পড়ে। যদি তার মাথা আক্রান্ত হয় তাহলে সমগ্র শরীরই আক্রান্ত হয়ে পড়ে (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ২৫৮৬)। তাহলে বলুন আমাদের ও আমাদের ভাইদের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া দরকার আছে, না নাই? -আছে.. প্রথমত আমাদের করণীয় হলো তাদের সাথে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! কপাল পোড়া, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে আমাদের জন্য সে সুযোগ নেই, সে রাস্ত বন্ধ! আমরা তাদের জন্য দোয়া করবো। তাহাজ্জুদ পড়ে মোনাজাতে রোনাজারি করবো। আল্লাহর কাছে সাহায্য ভিক্ষা চাইবো। প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ আসলে হাত ছাড়া করবো না। সবশেষে সুলতান সালাহউদ্দিন আয়ুবী রহঃ এর একটি উক্তি দিয়ে শেষ করছি। তিনি বলতেন- “আমি কি করে হাসি, বায়তুল মাকদিস যখন ক্রুসেডারদের দখলে। আমার ভাইকে সেখানে বন্দি রেখে হাসতে আল্লাহর কাছে লজ্জিত হই।”মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল মুসলিম ও মুসলিম উম্মাহকে কোরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনার জন্য তৌফিক দান করুন আমীন ।
লেখক তরণ আলোচক ও গবেষক ।
একটি ধোকার নাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
পল্লী বিদ্যুৎ, এটি বিদেশী একটি কোম্পানী, দেশের উৎপাদিত বিদ্যুৎ স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে উচ্চ মূল্যে, বিভিন্ন দরে বিক্রি করছে। এর সকল আয়-ব্যয় ওই কোম্পানীর-ই। অথচ জাতীকে ধোকা দিতে সমিতি নামক শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কোম্পানী যা মুনাফা করছে সকল আয়-ই ওই কোম্পানীর। স্বাধীন বাংলার অভ্যান্তরে পল্লী বিদ্যুতের নামে যত জমি ক্রয় করা হচ্ছে ওই সকল জমির মালিকানা বিদেশী ওই কোম্পানীর সম্পদ।
দেশের রাষ্ট্র প্রধান যদি বিদেশের সাথে কোন চুক্তিতে ভুল করে আর তা যদি হয় রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভবনা তবে ওই চুক্তি বাস্তবায়ন হবার পূর্বেই ওই রাষ্ট্র প্রধানকে উৎখাত বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলে ওই চুক্তির গুরুত্ব থাকে না। যেমন ভারতের প্রথম রাষ্ট্র প্রধান মহাত্মা গান্ধী লন্ডনে একটি চুক্তি করেছিলেন, সে চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ভারতের আশু ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতো। চুক্তিটি বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই নাথুরাম গডস গান্ধীজিকে গুলি করেছিলো, পরে চুক্তিটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। নাথুরাম গডস এর দেশ প্রেমে মুগ্ধ হয়ে গান্ধীজি তাকে ক্ষমা করেছিলেন।
তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার যখন পল্লী বিদ্যুতের সাথে চুক্তি করে তখনো আমি কলাম লিখে প্রতিবাদ করেছিলাম, ওই লেখার কোন গুরুত্ব হয়নি। এরপর ২০-জুন ২০১৯ তারিখ দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকায় ও পরবর্তীতে সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা পত্রিকায় উপ-সম্পাদকীয়তে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নানা অনিময়ন ও দূর্নীতির অভিযোগে একটি লেখা প্রকাশিত হয় ‘আদালতে মামলা করা উচিৎ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নামে’। লেখাটির সূত্র ধরে আজও বলছি, পল্লী বিদ্যুত সমিতি একটি ধোকার নাম, এটি কিসের সমিতি? কেমন সমিতি? সমিতি হলে প্রতিটি গ্রাহক/সদস্য আর ওই সমিতির লভ্যাংশ কিছু হলেও সদস্যরা পাবেন। আর যদি কোন লোকসান হয় সেটিও সাধারণ সভা করে সদস্যদের অবগত করতে হবে। দেশের সরকারি-বেসরকারি বহু সমিতি রয়েছে সে সকল সমিতির মাসিক-ত্রৈমাসিক অথবা ছয় মাসে কিংবা বাৎসরিক সাধারণ সভা ডাকা হয়। সভায় সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব উথাপিত হয়। সদস্য প্রতি লভ্যাংশ জানিয়ে দেয়া হয়। অথচ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নামের ধোকাটির এমন কোন কার্যক্রম দেখা যায় না।
সমিতির ব্যবসায়ের প্রয়োজনে যদি আমুল কোন পরিবর্তন প্রয়োজন হয় তা সাধারণ সভা ডেকে সদস্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিৎ অথচ পল্লী সমিতির শুরু হতে আজ পর্যন্ত এমন কোন সভার আয়োজন করা হয়নি। প্রতিটি গ্রাহক ওই সমিতির সদস্য কিন্তু শুরু হতে আজ পর্যন্ত সদস্যদের বাৎসরিক হিসাবে লভ্যাংশের ১০/২০ টাকা পৌছে দেয়া হয়নি। যেহেতু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল আয়-ব্যয়, লাভ-ক্ষতি সবই কোম্পানী ভোগ করছে। অহেতুক সমিতি নামের ধোকা না দিয়ে সমিতি নামের শব্দটি প্রত্যাহার করার আহŸান করছি।
একটি বিষয় বিশেষ লক্ষনীয়, বাজার থেকে কোন পণ্য ২৫০ গ্রাম ক্রয় করলে, যে মূল্য দেয়া হয় ওই পণ্য ৫ কেজি ক্রয় করলে অবশ্যই ২৫০ গ্রামের ক্রেতার চেয়ে ৫ কেজি ক্রেতা কিছু হলেও সুবিধা পাবে। নীতিগত দিয়ে বাণিজ্যিক ও আবাসিকে বিদ্যুতের দর আগে থেকেই পৃথক করা হয়েছে। তবে আবাসিকের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার তার দর বেশি হয় কেন?দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এক দরে কিনে বিভিন্ন দরে বিক্রি করছে, তার হিসেব কি কোন গ্রাহক-সদস্যকে দেয়া হয়েছে? কোন গ্রাহক যখন বিদ্যুতের সংযোগ পেতে আবেদন করে আর বিদ্যুৎ ব্যবহারের চাহিদা তখন-ই দেখানো হয়। অথচ প্রতি মাসে বিলের সাথে ডিমান্ড চার্য যোগ করে দেয়া হয়। তাও আবার কোন কোন গ্রাহক-কে একাধিক ডিমান্ড চার্য জুরে দেয়া হয়, এর জবাব কে দেবে? এর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নামে কেন আদালতে মামলা করা হবে না জবাব দেবেন কে? পল্লী বিদ্যুতের মিটার এমন কি সম্পদ? যার ক্রয় ক্ষমতা কোন গ্রাহকের নেই? বিদ্যুৎ সংযোগের আগ্রহী গ্রাহকের বাড়ি ওয়্যারিং করার পর সংযোগ প্রাপ্তির আবেদনের সাথে মিটারের টাকা জমা না দিলে সংযোগ দেয়া হয় না। তবে প্রতি মাসে ব্যবহারিক বিদ্যুৎ বিলের সাথে মিটার ভাড়া যোগ করে দেয়া হয় কিসের? এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের পদস্থ জনৈক কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ওই টাকা মিটারের জামানত বাবদ জমা নেয়া হয়। তাকে পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, পল্লী বিদ্যুতের ব্যবহারিক মিটারের মূল্য কত? যা ক্রয় ক্ষমতা কোন গ্রাহকের নেই, সকল গ্রাহক বংশানুক্রমে প্রতি মাসে মিটার ভাড়া দিতেই থাকবে?
অবিলম্বে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের মূল্য গ্রাহকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে মিটার ভাড়া বন্ধ করা হোক। নইলে গ্রাহক নির্যাতনের অভিযোগ এনে কেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নামে আদালতে মামলা করা হবে না তার জবাব কে দেবেন?
যেহেতু পল্লী বিদ্যুতের প্রতিটি গ্রাহক/সদস্য আপনার ক্রেতা আর আপনি ওই প্রতিষ্ঠানের বিক্রেতা সেহেতু ক্রেতার উপর ভ্যাট আরোপ করা উচিৎ নয়। ব্যবসায় যদি না পুশে দরের মধ্যে ২/৪ % বাড়িয়ে নিন তবুও ক্রেতার উপর থেকে ভ্যাট আদায় করা বন্ধ করা হোক।তাছাড়া ইতোপূর্বে চালু করা গ্রাহক মিটার কার্ড পূনরায় চালু করা হোক।
প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারিক বিলের সাথে ডিমান্ড চার্য/ চাহিদা খরচ বন্ধ করতে হবে।বিদ্যুৎ ব্যবহারিক মিটার গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনে মিটার ভাড়া বন্ধ করতে হবে।ক্রেতার নিকট থেকে ভ্যাট বন্ধ করা হোক। আবাসিক প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর বৈষম্য দূর করা হোক।সমিতি নামের ধোকা প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে গ্রাহক/সদস্যদের ন্যায্য অধিকার দেয়া হোক। পল্লী বিদ্যুতের প্রিয় গ্রাহক সদস্যদের প্রতি উদাত্ত আহŸান আর ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই, উল্লেখিত দফাগুলোর দাবী আদায় না হলে অবিলম্বে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নামে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হোক।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও কলামিষ্ট, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ। আলাপচারিতা: ০১৭৮২-৪৫৭৭
সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ নয়: ওবায়দুল কাদের
ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ নয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী । ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন বিএনপি নিজেই পন্ড করেছে। তারা নিজেদের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে দুটি ঘটনায়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়ে ও একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। এরপর বিএনপির সঙ্গে জনমত থাকার কথা নয়।
অবরোধ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, অবরোধ ডেকে দলটির নেতারা গুহায় ঢুকে গেছে। আর কিছু নেতা বাসায় বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখছে। সংবিধান অনুযায়ীই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন পুনর্ব্যক্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কে আসল, কে আসল না সেটা কোন বিষয় নয়। বিএনপি না আসলে জোর করে আনতে যাব কেন? সূত্র: সমকাল অনলাইন।
বাড়ছে অবরোধ কর্মসূচি : নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপিসহ সরকার বিরোধী দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী চলমান রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি বাড়ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার এবং পর দিন শনিবার বাদ দিয়ে আজ রোববার থেকে সপ্তাহজুড়ে ফের টানা অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে। স্থায়ী কমিটিসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা হাইকমান্ডকে চলমান অবরোধ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপতের শরিকরাও বিএনপিকে একই পরামর্শ দিয়েছে। গত তৃতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষে নতুন এই ঘোষণা আসার কথা।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টার টানা অবরোধ কর্মসূচি গত বৃহস্পতিবার শেষ হেেয়ছে। গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। দলটির দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছিল এবং এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এর প্রতিবাদে পর দিন রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় দলটি। হরতাল কর্মসূচি শেষে মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির নয়াপল্টনস্থ মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সূত্র: ইনকিলাব।
গায়ের রং কালো বলে গৃহবধুকে হত্যা
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গায়ের রং কালো হওয়ায় নার্গিস বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধুর শশুড়, ননদ ও দেবরের বিরুদ্ধে।গত সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের সান্দ্রা গ্রামের আনছের আলীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নার্গিস বেগম ওই গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী।
এদিকে তাড়াশ থানা পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গৃহবুধর শশুড় আনছের আলী, ননদ রাবেয়া খাতুন ও দেবর ইয়াকুব আলীকে থানায় নিয়ে এসে তাঁদের জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে।
গৃহবধুর স্বামী ইউনুস আলী জানান, প্রায় বিশ বছর পূর্বে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের রুহাই গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে নার্গিস বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আমার বাড়ির লোকজন বউয়ের গায়ের রং কালো বলে তাকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই জের ধরে সোমবার আমার বাবা আনছের আলী, বোন রাবেয়া খাতুন, ভাই ইয়াকুব আলী ও মা মিলে আমার বউকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে রশিতে ঝুলিয়ে রাখে। আর গৃহবুধ নার্গিসের বাবা মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,আমার মেয়ে কালো হওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিয়ের পর দিন থেকেই নির্যাতন করে আসছে। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা জিজ্ঞসাবাদের জন্য গৃহবুধর শশুড়, ননদ ও দেবরকে থানায় নিয়ে এসেছি। পাশাপাশি মরদেহ ময়না তদন্তের সিরাজগঞ্জ জেলায় পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে মামলা দায়ের প্রস্তুতিও চলছে।
রশি টেনে চলে খেয়া নৌকা
সেতু নির্মাণের দাবি
গোলাম মোস্তফা,বিশেষ প্রতিনিধি : শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো, বর্ষাকালে নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর বাজার খেয়াঘাটের গুমানী নদীর দুই পাশের হাজার হাজার লোকজন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থী ও বয়বৃদ্ধরা রয়েছেন অধিক ঝুঁকির মধ্যে। এভাবে কেটে গেছে যুগের পর যুগ। দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে সেতু নির্মাণের জোর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে খেয়া ঘাটের রশি গলায় লেগে নদীতে পড়ে মুহিম (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনা ঘটেছে ইতোমধ্যে। রহিম বক্স নামে এক বৃদ্ধ খেয়া নৌকার উপর পড়ে পা ভেঙে অনেক দিন শয্যাশায়ী থাকার পর মারা গেছেন। হর হামেশা দুর্ঘটনা লেগেই থাকে নাদোসৈয়দপুর বাজার খেয়াঘাটে। ভুক্তভোগী আতিকুর ইসলাম, আব্দুর রহমান, আব্দুস সালাম, আলাউদ্দীন, ওছমান আলী, পিন্টু মিয়া, তোতা মিয়া, হাসেম আলী, আব্দুল জাব্বার, আব্দুর রহিম ও হরফ আলী বলেন, নাদোসৈয়দপুর খেয়াঘাটে একটি সেতুর আশায় বুক বেধে অনেকের বাপ-দাদা মারা গেছেন। আমাদেরও বয়স হয়ে গেল। কিন্তু নদী পারাপারের সীমাহীন কষ্ট থেকে মুক্তি পেলাম না।
ভুক্তভোগী লোকজন আরো বলেন, গুমানী নদীতে এখনো ১৮ ফুটের বেশী পানি রয়েছে। বন্যার পানি কমে যাবে, নদীর পানি শুকিয়ে যাবে চৈত্রের শেষের দিকে। তবুও দুর্ভোগের শেষ হবে না। খেয়াঘাটের দুই পাশের পাড় নদী থেকে বেশ উঁচুতে। যেন পাহাড় পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছাতে হয় আমাদের! অপরদিকে শিক্ষার্থী বায়েজীদ হোসেন, ইমদাদুল হক, সিয়াম আলী, আলমগীর হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত, সোহান হোসেন, আছাদুল হক, সুমাইয়া খাতুন, আয়শা পারভিন, বৃষ্টি খাতুন জানায়, শিশুকাল থেকে খেয়ার নৌকায় পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তারা। এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে নাদোয়ৈদপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে। ওদের অনেকের বাপ-দাদা নাদোসৈয়দপুর খেয়াঘাটে সেতু দেখে যেতে পারেননি। কিন্তু তারা ঝুঁকি মুক্ত অবাধ চলাচল করতে চায় একটি সেতু চায়।
নাদোসৈয়দপুর খেয়াঘাটের নৌকার মাঝি বাবলু বলেন, আমার একার পক্ষে দিন-রাত রশি টেনে লোকজন পারাপার করা সম্ভব হয় না। প্রতিদিন কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ খেয়ার নৌকায় পারাপার হন। আমি যখন থাকি না তখন অন্যরা রশি টেনে পারাপার হন। খেয়াঘাটের দুই পাশ থেকে বড় নৌকা এলে রশি উঁচুতে তুলে ধরতে হয়। নয়তো নিশ্চিত দুর্ঘটনা ঘটবে। গুমানী নদীর এ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, প্রতি বছর নাদোসৈয়দপুর খেয়াঘাটের জায়গা বেচে দেওয়া হয়। যে টাকা আসে নাদোসৈয়দপুর বাজার মসজিদ ও চরকুশাবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার উন্নয়নকল্পে ব্যয় করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রশি টেনে নৌকা নিয়ে নদীর এপার থেকে ওপার যাচ্ছেন খেয়াঘাটের মাঝি। আট থেকে ১০ মিনিটি পর পর নদীর দুই পারের লোকজন পারাপার হচ্ছেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় বসে আছেন। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজুল বলেন, প্রাক্কলিত প্রকল্প জমা দেওয়া রয়েছে নাদোসৈয়দপুর বাজার খেয়াঘাটে গুমানী নদীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য।এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, নাদোসৈয়দপুর বাজার খেয়াঘাটের সার্ভে হয়ে গেছে। আমার সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে এলাকাবাসীর জন্য সেতুটি নির্মাণ করার।
তাড়াশ কৃষি অফিসের মহতী প্রচেষ্টা
আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ : উপযুক্ত কলাকৌশল প্রয়োগ করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকদের জন্য। নতুন চিন্তা ধারার মাধ্যমে কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে দিনরাত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ধানের বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাইয়ের জন্য সচেতনতামূলক তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিভাবে রোগ নির্ণয় করা যায় সেই পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় কৃষি উন্নয়নে ব্যাপকভাবে যেন কৃষক সেবা পায় সেই লক্ষ্যে ইতিপূর্ব থেকেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। উৎসুক কৃষকদের মাঝে ইতিমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও ইতিমধ্যে কৃষকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন’র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মানুষ মানুষের জন্য। কৃষকের সাথে আমরা গভীরভাবে মিশতে চাই ,তাদের মাঝে আধুনিকতার উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পরামর্শ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে সহযোগিতা করছি।তিনি আরো জানান, ফসল বৃদ্ধিকল্পে আধুনিক চাষাবাদে কীটনাশক, উদ্ভিদের পরাগায়ণ, সার প্রয়োগ এবং প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর প্রাণপণ প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতাসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসযজ্ঞ দ্রæত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানব স্বাস্থের উপর নেতিবাচক ও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে দেয়া পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ টেকসই কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে : ইরান
ডেস্ক রিপোর্টঃ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগুন যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। তুরস্ক সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সেরকম কিছু ঘটলে তার পুরো দায় আমেরিকা ও ইসরায়েলকেই নিতে হবে।
এ সময় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধে ‘অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে এই অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে ইরান।গত বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তুরস্কব্যাপী ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশাল বিশাল বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাতার সফর শেষ করে তুরস্কে যাওয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করারও আহ্বান জানান।আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলো তেহরানকে একথা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধ করার সামরিক সক্ষমতা তাদের রয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
বাংলাদেশে সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, হয়রানি এখনই বন্ধের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে রাজপথে সহিংসতা (মানুষ হত্যা, বাসে আগুনসহ যে কোনরকম সহিংসতা) বন্ধের তাগিদ দিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দোজারিক গত বুধবার নিউইয়র্কস্থ সদর দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান। মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীকে বেআইনি গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং রাজপথে সহিংসতা আর দেখতে চায় না জাতিসংঘ। ব্রিফিংয়ে বিরোধীদলের ওপর সরকারের নিপীড়ন নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উদ্বেগ এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সরকারের ওপর চাপ তৈরির আহবান বিষয়ক বিবৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশের চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে বিরোধীকর্মীদের খুন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী তার প্রশ্নে বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে বিরোধীদের টার্গেট করে হয়রানি এবং কারাগারে রেখে নির্বাচনকে সুষ্ঠু হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। এই ক’দিনে বিরোধীদলের ৩ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আনসারী জানতে চান জাতিসংঘ মহাসচিব কী সদস্য এই দেশটির চলমান পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন? জবাবে দোজারিক বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিস্কার, দেশটিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন। এ নিয়ে আমরা খুব দৃঢ়ভাবে কথা বলেছি। নির্বাচনের সময়টাতে হয়রানি, বেআইনি গ্রেপ্তার এবং সহিসংতা আমরা আর দেখতে চাই না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এসব বিষয়েও কথা বলেছি। সূত্র: মানবজমিন ।
তাড়াশ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন
মোশাররফ হোসেন মল্লিকীঃ ৫৬৪টি উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রাজধানীর পাশে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে ভার্চুয়ালী শুভ উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত জাতীয় ইমাম সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনামূল ভাষণের পর একে একে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে রাজশাহী বিভাগের ৬টির মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে নির্মিত “তাড়াশ উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র”টিও তিনি উদ্বোধন করেন।
তাড়াশ মডেল মসজিদের প্রশিক্ষণ কক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত গত ৩০ অক্টোবর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ অধ্যাপক ডা: মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি মহোদয়। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান; পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল; উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান; সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ খালিদ হাসান, অফিসার ইন-চার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম; তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার; তাড়াশ পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন; মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম; বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আরশেদুল ইসলাম, গাজী আব্দুর রহমান মিঞা, গাজী আব্দুর রাজ্জাক, গাজী করিম বক্স, গাজী আব্দুল জলিল; সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বিদ্যুৎ; তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য হোসনেয়ারা পারভীন লাভলী; সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর রহমান লাবু, নজরুল ইসলাম বাচ্চু ও মোজাম্মেল হক মাসুদ; সেরাজ সরকার; উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা নাসরিন দোলন; মার্কাস জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ আনিছুর রহমান এবং সেক্রেটারী আলহাজ¦ শিহাব উদ্দিন; তাড়াশ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারবৃন্দ; সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপকবৃন্দ; সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ; স্থানীয় সুধিমহল ও উপজেলার সকল পর্যায়ের আলেম-ওলামাগণ। ভার্চুয়ালী উদ্বোধন শেষে স্থানীয়ভাবে নাম ফলক উম্মোচন ও দোয়া করা হয়। পরিশেষে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
চলনবিলে পাখি নিধন থেমে নেই!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ চলনবিলে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সময় রাতভর অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখি অবাধে নিধন করে চলেছেন শিকারিরা। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ২০১২ যথাযথ প্রয়োগ ও সচেতনতার অভাবে শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় বছরের এই সময়ে। বিশেষ করে শীতের শুরুতে।
সরেজমিনে গত মঙ্গলবার সকালে দেখা গেছে, চলনবিল অধ্যূষিত তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ী, বিনসাড়া, কাজিপুর ও তাড়াশ সদর গ্রামের ১৮ থেকে ২০ জন শিকারি শতাধিক পাখি শিকার করেছেন। চলনবিলের কুন্দইল এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠের জমিতে কারেন্ট জাল ও ফাঁদ পেতে পাখিগুলো শিকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পাখি শিকারিরা। বস্তুত তাড়াশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত পাখি শিকারি রাতে পাখি নিধন করতে বেড়িয়ে পড়েন। শিকারিরা বলেন, সন্ধ্যার পরে বিস্তীর্ণ মাঠের পতিত জমির মধ্যে পাখি ধরার জন্য কারেন্ট জাল, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ও বড়শি পেতে রাখেন। রাতে মাঠেই শুয়ে থাকেন। ভোর বেলায় পাখি ছাড়িয়ে জাল ও ফাঁদ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। স্থানীয়দের কাছে পাখির গোশ্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। লোকজন আগে থেকেই পাখি শিকারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। বিশেষ করে, মোবাইল ফোনে। অনেকে অগ্রীম টাকা দিয়ে রাখেন। পরে তাদের বাড়িতে গোপনে পাখি পৌঁছে দেন শিকারিরা।
এদিকে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, চলনবিল থেকে পানি নামার সময় ফাঁকা মাঠে ও জলাশয়ে পুঁটি, দারকিনা, মলা, খলসেসহ প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ ও পোকা মাকড় পাওয়া যায়। খাবারের লোভে ও অপেক্ষাকৃত শীত থেকে বাঁচতে নানা প্রজাতির পাখি চলনবিলে আশ্রয় নেয়। এছাড়া বেরো মৌসুমেও পাখির দেখা মেলে চলনবিলে। তখন পোকা-মাকড় খেতে আসে। বালিহাঁস, সামুকখোল, ডাহুক, রাত চোড়া, কাঁদা খোঁচা ও বিভিন্ন ধরনের বক পাখি অন্যতম।
স্থানীয় স্বাধীন জীবন নামে একটি জীব বৈচিত্র প্রকৃতি সংরক্ষণ কাজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাছিম বলেন, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট পাখিদের অবাধ বিচরণের জন্য সারাদেশে যথারীতি ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন। এরপরও নির্মমভাবে পাখি শিকার করা হচ্ছে! জানা গেছে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকারিদের জন্য এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। তাছাড়া একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত করাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির তাড়াশ উপজেলার আহŸায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজু বলেন, পাখি বাঁচাতে জনসচেতনতাই মুখ্য। এ জন্য স্থানীয় প্রসাশন কর্তৃক মাইকিং করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী বলেন, চলনবিল অঞ্চলের বেশ কিছু সংখ্যক মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফলে পাখি শিকার আগের তুলনায় কমেছে। প্রয়োজনে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা গেলে পাখি শিকারিদের হাতেনাতে ধরে আইন অনুযায়ী সাজা দেওয়া হবে।
যথাসময়ে নির্বাচন করতেই হবে : সিইসি
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে যথাসময়ে নির্বাচন করতেই হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে কোনো অপশন নেই। গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবেশ প্রতিকূল হলে নির্বাচন করা হবে না, এই ধরনের কোনো ভুল বোঝাবুঝি যেন জনগণের মধ্যে না থাকে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন নির্ধারিত পদ্ধতির মধ্যে এবং সময়ের মধ্যে অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেই ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে আছি।’
সিইসি বলেন, ‘পিটার হাস নির্বাচনী পরিবেশ কেমন সেটা জানতে চেয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের হাতে কোনো অপশন নেই। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন অপশন থাকে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও পারে আবার নাও করতে পারে। তারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করতে পাওে আবার জোট করেও নির্বাচন করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশন আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ধরনের কোনো অপশন নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পিটার হাস বিশ্বাস করেন সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে। এ কথাটা আমরাও বলে এসেছি এবং বিশ্বাস করি। রাস্তায় শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আমরা মনে করি না। পিটারও তাই বলেছেন। তিনিও বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে বসে চা চক্রের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে ।’ সূত্র: নয়া দিগন্ত।
বিএনপিকে আবারো সংলাপে আমন্ত্রণ ইসির
ডেস্ক রিপোর্টঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৪ নভেম্বর ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য অন্যান্য নিবন্ধিত দলের পাশাপাশি বিএনপিকেও আলোচনায় অংশ নিতে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।
গত বুধবার (১ নভেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক বিএনপিকে চিঠিটি পাঠিয়েছেন। এর আগেও সংলাপে বসার জন্য দলটিকে চিঠি দিয়েছিল ইসি। এছাড়া আলোচনা বসতে স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ডিও লেটারও (আধা সরকারি পত্র) পাঠিয়েছেন। তবু ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি। বরং ইসির পুনর্গঠন চেয়েছে তারা।বিএনপি মহাসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির কারণে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের মূল অংশীজন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্ব প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।’ সূত্র: নয়া দিগন্ত।
তাড়াশে বিএনপির নেতাকে পুলিশের
হাত থেকে ছাড়ালেন আঃলীগ নেতা
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সন্ত্রাস,নৈরাজ্যর অভিযোগে তাড়াশ থানা বিএনপির সদস্য ও তালম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালিকা ভুক্ত রাজাকারের সন্তান জহুরুল ইসলামকে পুলিশ ধরতে গেলে নৌকা মার্কার তালম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আঃলীগের সাঃ সম্পাদক আব্দুল খালেক তার পক্ষ নিয়ে তাকে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে নেন। তিনি পুলিশকে বলেন জহুরুল ইসলাম আঃলীগ করে, তাকে ছেড়ে দেন! পরে জহুরুল ইসলামকে ছেড়ে দেয় পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকেলে রানীহাট বাজারে।
তাড়াশ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই ওমর ফারুক জানান, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের অপরাধে তালিকা অনুযায়ী তাড়াশ থানা বিএনপির সদস্য জহুরুল ইসলামকে আটক করতে গেলে তালম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন যে জহুরুল ইসলাম আঃলীগ করেন, তাকে ছেড়ে দেন। ২৮ তারিখে বিএনপির সমাবেশের নামে সন্ত্রাস নৈরাজ্যের করতে যায় নাই। জহুরুল ইসলাম পলক এমপির এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এই জন্য চেয়ারম্যানের অনুরোধে ছেড়ে দিয়েছি৷
তালম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস-উজ- জামান বলেন, জহুরুল ইসলাম শুধু তাড়াশ থানা বিএনপির সদস্য নয়, সে তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তান। সে অবশ্যই ঢাকা গিয়ে বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্যের সাথে জড়িত। এর বিচার হওয়ার দরকার। আর একজন নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান হয়ে রাজাকারের পক্ষ নিয়ে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছেড়ে নেওয়া এটা লজ্জাজনক! তিনি আরো জানান, এই জহুরুল ইসলাম তালম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন তিনি আঃলীগের লোকজনকে অনেক নির্যাতন করেছেন।
তাড়াশে জেল হত্যা দিবস পালিত
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নানা আয়োজনে জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও শোক দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ খন্দকারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার। অনান্যের মাঝে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন মুক্তা, যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান লাবু, প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজ্জামেল হক মাসুদ, খলিলুর রহমান, যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী বিদুৎ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ারা খাতুন মিনি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি শায়লা পারভীন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, প্রমুখ।
বিএনপি ফয়সালা চায় মাঠেই
ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে কঠোর কর্মসূচি থেকে পিছু হটছে না বিএনপি। আরও হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির নেতারা। সেক্ষেত্রে দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে ইতোমধ্যে হাইকমান্ডকে পরাপর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কর্মসূচি সফলে জোরালোভাবে মাঠে নামতে দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। একজন গ্রেফতার হলে বিকল্প আরেকজনকে নেতৃত্ব দিতে হাইকমান্ড থেকে তৃণমূলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
দেশব্যাপী টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ শেষে হয়েছে। নীতিনির্ধারকদের মতে, পনেরো নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময় দ্বাদশ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হতে পারে। তাই এখন পেছনে ফেরার কোনো উপায় নেই। ‘ডু অর ডাই’ মনোভাব নিয়েই কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। আবার আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়েও তারা হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ‘অসহযোগ’ নাম দিয়ে দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার রাতেও ভার্চুয়ালি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতাদের জানান, তাদের পর্যবেক্ষণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল হিসাবে মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। একটা আতঙ্ক তৈরি করতে চাচ্ছে সরকার। তবে এতে তারা বিচলিত নন। কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে তারা পরামর্শ দিয়েছেন। মহাসচিব বলেছিলেন আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরুর কথা। সেটিই শুরু হয়েছে।সূত্র: সংবাদ।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ৩০০ বিচারক চায় ইসি
ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। গত বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সহযোগিতা চান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক হয়।
সূত্র জানায়, এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সিইসিকে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সিইসি হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মূলত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি। সেই সঙ্গে শুধু একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ডিসেম্বরে আদালতে অবকাশ থাকবে। সে সময়ে অধস্তন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’ সিইসি বলেন, প্রধান বিচারপতি তাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছেন এবং সৌজন্য বিনিময় করেছেন।সূত্র: সমকাল।
রোববার ও সোমবার আবারও বিএনপির অবরোধ
ডেস্ক রিপোর্ট : সারাদেশে আবারো দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী রোববার (৪ নভেম্বর) ও সোমবার (৫ নভেম্বর) সড়ক, নৌ ও রেলপথে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। বৃহস্পতিবার ( ২ নভেম্বর) বিকেলে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রূহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচী সফল হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তিন দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে। যে দাবির প্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল এবং সমমনা দলগুলো সঙ্গে জনগণের যে সমর্থন বিএনপি পেয়েছে সে জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকার বাস মালিকদের হুমকি দেয়ার পরেও রাস্তা ফাঁকা ছিল। সূত্র: বণিক বার্তা ।
প্রতি মাসেই বাড়ে তাড়াশ পল্লী বিদ্যুতের ভূয়া বিল
স্টাফ রিপোর্টার : ৬ মাস আগে তাড়াশ সদর গ্রামের জনৈক আবাসিক মিটার গ্রাহকের ৫ শ টাকা বিদ্যুত বিল করা হয় তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে । সেই যে শুরু এরপর উক্ত সমিতির লোকেরা পরের মাসে ৭ শ, তারপর ১২শ, এরপর ২ মাস ১৭ শ এবং সবশেষ অক্টোবর ২৩ মাসে ২১ শ টাকার অধিক বিল দিয়েছে। এরকম অযৌক্তিক ও অবাস্তব ভূয়া বিলের প্রেক্ষিতে তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএমকে দফায় দফায় মোবাইল ফোন ও ক্ষুদে বার্তায় অভিযোগ দিতে থাকলে প্রথমে তিনি বিষয়টি বিভিন্ন খোঁড়া যুক্তি দিয়ে এড়িয়ে যেতে চান। এক পর্যায়ে ওই মিটার গ্রাহক নিজে একজন সাংবাদিক ও একটি পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিলেএই কর্মকর্তা তাড়াশের অধিক সংখ্যক সাংবাদিকের প্রসঙ্গে উপেক্ষামূলক ও নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তখন এ নিয়ে তার সাথে মৃদু বচসা হয়। আরো পরে পল্লী বিদ্যুতের ২ জন স্টাফ তাড়াশ খানপাড়ায় অবস্থিত অভিযোগকারীর বাসভবন পরিদর্শন করে বাসার উইয়ারিং সিস্টেম ও মিটার পরীক্ষা করে তাতে কোন ত্রæটি নেই বলে অভিমত দেন। তারপরও ২১শ টাকার বেশী বিল করা হয়েছে।
এদিকে এ প্রতিবেদক তাড়াশ পৌরসভার একজন কাউন্সিলর, একজন সেলুন মালিক, আশানবাড়ী গ্রামের কয়েকজন আবাসিক গ্রাহকসহ তাড়াশ সদরে ও বাজারে যত লোকের সাথে বিদ্যুৎ বিল করা বিষয়ে কথা বলেছে। সবাই জানিয়েছে, প্রতিমাসেই তাদের বিদ্যুৎ মিটারের বিল অস্বাভাবিক বেড়েই চলেছে যার কোন জবাবদিহি নেই। এটা আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই সমান প্রবনতা দেখা যায়। ইতিপূর্বে তাড়াশে পল্লী বিদ্যুৎ এর তরফে গ্রাহকদের মিটার রিডিং কার্ড চালু করা হলেও অজ্ঞাত রহস্যজনক কারণে হঠাৎ করেই তা বন্ধ করা হয়। পল্লী বিদ্য্রুতর নৈরাজ্যের দৃষ্টান্ত হল, তারা জনৈক ব্যক্তির গ্রামের বাড়ির একই উঠানে পরপর দুটি পোল বসিয়ে দিয়েছে বাড়ি মালিকের অজান্তে ও অনুমতি ছাড়াই এবং টিনের ঘরের চালের উপর বিদ্যুতের ড্রপ তার দিয়ে বাঁশের পোলের সাহায্যে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে রেখেছে অন্য গ্রাহককে। তাছাড়া উল্লেখিত বাড়ি মালিক কর্তৃক অসংখ্যবার বলা সত্বেও তারা চুপিচুপি মিটারের রিডিং নিয়ে যায় , কিন্তু মালিককে অবগত করে না। কোনো মাসে তারা পূর্বের মাসের অনুরুপ অংকের বিল দিলে তাদের বানোয়াট বিল তৈরীর কারসাজি বোধগম্য হয়ে থাকে। পল্লী বিদ্যুত এভাবে জনতার পকেট মেরে নিজেদের সমৃদ্ধি বজায় রেখে চলেছে বলে মানুষ মনে করে।
শেষের পাতার ফিচার কলাম
চলনবিল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশঝাড়
মো. আকছেদ আলী, ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: প্রকৃতির দুর্যোগ প্রতিরোধক ও পরিবেশের পরম বন্ধু বাঁশঝাড় হারিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়া রোধে সহায়ক এই বাঁশঝাড় এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাঁশের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য কুটির শিল্পও। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গ্রামীণ জনপদে একসময় বাঁশঝাড় ছিল না এমনটা কল্পনাও করা যেতো না। যেখানে গ্রাম সেখানে বাঁশঝাড় এমনটিই ছিল স্বাভাবিক। বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপ। বিশ্বে প্রায় ১৫০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। বাংলাদেশে জন্মে জংলি ও আবাদি প্রকৃতির ২৬ প্রজাতির বাঁশ। কিন্তু বনাঞ্চলের বাইরেও এখন যেভাবে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে, তাতে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির পরমবন্ধু এই বাঁশঝাড়। এমনটাই জানালেন উদ্ভিদবিদ মোসাদ্দেক হোসেন।
মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বাঁশ ফাঁপা কান্ড বিশিষ্ট একটি ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। বাঁশের বিস্তৃতি অতি ব্যাপক। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কম-বেশি এটা জন্মায়। এ দেশের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিকট বাঁশের গুরুত্ব অপরিসীম। গৃহ নির্মাণ, মঞ্চ নির্মাণ, মই, মাদুর, ঝুড়ি, ফাঁদ, হস্তশিল্পসহ নিত্যদিনের ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরির কাজে বাঁশের রয়েছে বহুল ব্যবহার।মূলত বাঙালির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাঁশ প্রয়োজন হয়। জন্মের পর বাঁশের চাঁছি দিয়ে নাড়ি কাটা হয়। তারপর বাঁশের তৈরি দোলনায় দোল খায় বাঙালি শিশুরা। মৃত্যুর পর বাঁশের খাটিয়ায় তুলে বাঙালি শেষযাত্রা করে। কবরের ওপরে বাঁশ বিছিয়ে তারপর মাটি দেয়া হয়। বাঙালির দোলনাও বাঁশের, সমাধিও বাঁশের।বাঁশসহ অন্যান্য বৃক্ষ নিধনের ফলে দৈনন্দিন জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়া রোধে সহায়তা করতে পারে এই বাঁশ গাছই। বাঁশ গাছ অন্য যে কোন গাছের তুলনায় দ্রুত গতিতে ক্ষতিকর কার্বন গ্যাস শুষে নিতে সক্ষম এবং এর শিকড় মাটি ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে।
ভাঙ্গুড়াসহ চলনবিলের জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ শিল্প। এক সময় এ গ্রামীণ জনপদে তৈরি হতো হাজারো বাঁশের পণ্য সামগ্রী। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ কেটে গৃহীনিরা তৈরি করতেন হরেক রকম জিনিস। অনেকে এ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বাঁশের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য কুটির শিল্প। ভাঙ্গুড়া ও চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার বাঁশ শিল্পীদের করুণচিত্র। অনেকে পেটের তাগিদে বাপ-দাদার এই ব্যবসা ছেড়ে এখন অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। হরিদাস নামে একজন জানালেন, বাঁশের মূল্য বেশি এবং উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে এ পেশা ছেড়ে তাদের এলাকার অনেকে অন্য পেশায় চলে গেছেন।প্রকৃতপক্ষে বাঁশ শিল্পের স্থান অনেকটাই প্লাস্টিক সামগ্রী দখল করে নিয়েছে। ফলে দুষণ হচ্ছে পরিবেশ। বাঁশ জাতীয় উদ্ভিদ মাটি এবং পানি থেকে ধাতু এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ নিজের শিকড়ের মধ্যে শোষনের মাধ্যমে বিশুদ্ধায়নের বিষয়ে খুব কার্যকরী বলে প্রমাণিত। বিভিন্ন প্রকার ওষুধি কাজে প্রয়োগসহ ‘ব্যামবো ম্যাসেস’ এখন জনপ্রিয় থেরাপি।
বাঁশ চাষ পরিবেশবান্ধব। পরিপক্ক একটি বাঁশ প্রতি বছর নতুন শুট গজানোর মাধ্যমে নতুন বাঁশের জন্ম দেয়। তাই মূল উদ্ভিদটিকে ধ্বংস করা ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে এর থেকে প্রয়াজনীয় বাঁশ সংগ্রহ করা যায় নিয়মিতভাবে। অন্য যেকোন গাছের তুলনায় বাঁশ কার্বনডাইঅক্সাইড শুষে নেয় খুব দ্রæত। অর্থাৎ বাঁশের ঝোপঝাড় সমপরিমাণ বনাঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে শুষে নেয় কার্বন গ্যাস।
বাঁশের শেকড় অবিশ্বাস্য রকম দৃঢ় যা মাটির ক্ষয়রোধে ভূমিকা রাখে এবং এর পাতা পড়ার পর তা মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে মাটিকে পুনরুজ্জীবিত করে। বাঁশের শেকড় মাটির নিচে অনেকদূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়। কোনো ক্ষেত্রে ১০০ মিটার পর্যন্তও যায়। ফলে একজনের বাঁশঝাড়ের শেকড় তার প্রতিবেশীর সীমানার মধ্যেও ঢুকে পড়তে পারে। তবে ভূমিধস ঠেকাতে গ্রামীণ এলাকায় এই প্রজাতির বাঁশ বিশেষভাবে কাজে আসতে পারে বলে মন্তব্য পরিবেশবিদ ও বন কর্মকর্তা আবদুর রহমানের।
প্রকৃতি ও জীবন রক্ষায় বাঁশ চাষ, তার সম্প্রসারণ ও বিকাশের জন্য গড়ে তুলতে হবে বাঁশ নার্সারি। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নতমানের দ্রæত বর্ধনশীল বাঁশের আবাদ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে বাঁশের সবুজ বেস্টনি যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। রক্ষা পেতে পারে আমাদের জীববৈচিত্র। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রকৃতির পরম বন্ধু এই বাঁশঝাড় কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এই বাঁশঝাড় টিকিয়ে রাখার তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশবিদ ও প্রকৃতি প্রেমিরা।
চলনবিলাঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা
মো. শহিদুল ইসলাম সুইট, সিংড়া প্রতিনিধি : চলনবিলাঞ্চলে ভোরের শিশিরবিন্দু জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে এখনই চলনবিলে ভোরে শীতের সঙ্গে দেখা মিলছে ঘন কুয়াশারও। দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পরদিন ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। ভোরে ও সন্ধ্যায় ধানের কচিপাতার ডগায় শিশির বিন্দু জমতে দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। রাত যত গভীর হয়, কুয়াশার ঘনত্ব এবং তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। টিনের ঘরের চালে যেভাবে কুয়াশা পড়ে, তাতে মনে হয় বৃষ্টি পড়ছে।
ভোরের সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এখন প্রতিদিন ভোরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে কুয়াশার। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। রাতভর হালকা বৃষ্টির মত টিপটিপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে মাঠে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা গেছে বিন্দু বিন্দু কুয়াশা। এদিকে এ অঞ্চলে খেৎুর গাছের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি শুরু করেছে গাছিরা। এছাড়াও ভোর ও সন্ধ্যায় ভাপা, চিতাই পিঠাসহ শীতের নানান পিঠা বিক্রি হচ্ছে বাজারে।স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে।
সিংড়া পৌর শহরের চকসিংড়া মহল্লার যুবক আশরাফুল ইসলাম নাইচ বলেন, এবার এলাকায় কুয়াশা বোধ হয় একটু আগেই চলে এসেছে। ভোরে শিশির জমছে ঘাসে। ভোরে ও সন্ধ্যায় হালকা শীত শীত লাগে। নাসিম মাহমুদ নামে আরেকজন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা নামছে। আর এই সময়ে গরম কাপড় পড়তে হচ্ছে। তবে রাত ও সকালে ঠান্ডা করলেও দিনের বেলা গরম পড়ছে। পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, শীতের আগমনী বার্তা প্রকৃতিতে এনে দেয় এক অন্যরকম অনুভূতি। ঘাসের ডগায় শিশির আর ফোঁটা ফোঁটা কুয়াশা পূর্ণতা দেয় শীতের সৌন্দর্যের।
এদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, প্রকৃতি শীতের আগমন জানান দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা কমেছে। মূলত পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই শীত আসতে শুরু করে।
সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় যুবকের মৃত্যুদÐ
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহঃ সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে স্ত্রী হত্যায় শামীম সেখ (৩৬) নামের এক যুবককে মৃত্যুদÐ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবুল বাশার মিঞা এ আদেশ দেন। শামীম শেখ এনায়েতপুর থানার খুকনী ঝাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবুন্নেছা জেবা রহমান সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা কে জানান, ২০০৭ সালে এনায়েতপুর থানার রূপনাই গাছপাড়া গ্রামের খুশিয়া বেগমের সঙ্গে থানার খুকনী ঝাউপাড়া গ্রামের আনছার আলী সেখের ছেলে শামীম সেখের বিয়ে হয়। এরপর পারিবারিক বিষয় নিয়ে শামীমের সঙ্গে স্ত্রী খুশিয়ার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ১১ জুলাই রাতে খুশিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে শামীম। পরে এ ঘটনায় মামলা করা হলে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
চলনবিল বার্তা প্রতিনিধির ভ্রাতৃবিয়োগ
ষ্টাফ রিপোর্টার: সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার রায়গঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আব্দুল কুদ্দুস তালুকদারের ৩য় ভ্রাতা নিমগাছির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আহমেদুল কবীর তালুকদার গত শনিবার বেলা সাড়ে এগারটায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি অ ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ কন্যা ও দুই পূত্র সন্তান রেখে গেছেন । তার পারিবারিক সূত্র জানায়, মরহুম কবীর তালুকদার বেশ কিছুদিন যাবত কিডনী ও স্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভূগছিলেন। সার্বক্ষনিক অক্সিজেন দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হতো বলা চলে। মৃত্যুর দিনে সমস্যা বেশী হলে সিরাজগঞ্জের হাসপাতালে নেবার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার গ্রামের বাড়ী শ্রীরামপুর মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পাশের কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় তার আত্মীয়-স্বজন, গুনগ্রাহীসহ বহু লোকজন অংশ নেন।
গুরুদাসপুরে নতুন এমপির প্রতিশ্রæতি
আবুল কালাম আজাদঃ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় জাতীয় যুবদিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে র্যালী,আলোচনা, সনদপত্র ও ঋণ বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১ নভেম্বর গত বুধবার সাড়ে ১১টায় ইউএনও শ্রাবণী রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত র্যালী,আলোচনা, সনদপত্র ও ঋণ বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর ৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রয়াত সাবেক সংসাদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের প্রতি গভির শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন অনেক অভিজ্ঞ,বিচক্ষন ও জ্ঞানী নেতা। তিনি তাঁর বক্তব্যে সবসময় অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখতেন । তাঁর অনেক উন্নয়নমূলক কাজ অসমাপ্ত রেখে মারা গেছেন। আমি সেইসব অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন,ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলাল শেখ, মোছাঃ রোকসানা আকতার লিপি। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বারী ও নাটোর জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মেহেদী হাসান। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ ফজলুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে জানান, উপজেলায় প্রদত্ত ঋণ আদায়ের হার ৯৬.৩২ শতাংশ। আজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন এবং গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪ জন উদ্যোক্তাসহ ১৩ জনকে ১১ লাখ টাকা ঋণ ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
সিংড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে
নৌকা ভ্রমন ও সাহিত্য আসর
সিংড়া প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে নবীন- প্রবীণ কবি, সাংবাদিক ও লেখকদের নিয়ে চলনবিলে নৌকা ভ্রমন, সাহিত্য আসর প্রীতিভোজ সহ দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত এ উপলক্ষ্যে গত শনিবার সকাল ১০ টায় সিংড়া পয়েন্টের নৌকা ঘাট থেকে একটি নৌকা নিয়ে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে চলনবিলের বিলসার পথে রওনা হয়। এ সময় বিলের বিলসা,কুন্দইল সহ বিভিন্ন স্পর্ট ঘুরে ফিরে বেলা ৩ টায় তিশি খালীর মাজারে এসে শেষ হয়। এখানে মাজার সংলগ্ন কফি হাউজে প্রীতিভোজের পর বিকাল ৪ টায় মাজার চত্বরে মুক্ত মঞ্চে সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়।
সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানার সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাবের সঞ্চালনায় সাহিত্য আসরে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, প্রবীণ কবি মোঃ আবুল হোসেন, কবি আজাহার আলী, জয়নাল আবেদিন, কবি মাহবুব এ মান্নান, প্রভাষক আয়ুব আলী, সহকারী অধ্যাপক মাহবুব এ খোদা, কাজল খান, সুমন প্রামানিক, হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন গণগ্রন্থাগারের সভাপতি আব্দুল মতিন, কবি রাজ কালাম, কবি আলতাফ হোসেন, রিক্তা বানু, সিংড়া স্মার্ট প্রেসক্লাবের সভাপতি খলিল মাহমুদ, নবীন কবি শাকিল আহমেদ, কাওছার আহমেদ, প্রত্যয় সাহা সহ আরও অনেকে।সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা তার বক্তব্যে বলেন, সাহিত্য সমাজের দর্পন। একজন কবি, লেখক ও সাংবাদিকরা তার লিখনীর মাধ্যমে সমাজের অনেক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। সুন্দর ও সুষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থায় সাহিত্য চর্চার বিকল্প নাই। তাই নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমরা সিংড়া প্রেসক্লাবের ব্যানারে প্রতিমাসে নিয়মিত সাহিত্য আসর অব্যহত রেখেছি। সেই ধারা বাহিকতায় চলনবিলে নৌকা ভ্রমণের পাশাপাশি সাহিত্য আসরের আজকের এই আযোজন। এ ধরনের উদ্যোগ আগামীতেও অব্যহত থাকবে।
তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনিছুর রহমান এর বিরুদ্ধে কম্পিউটার ডোনেশন এর টাকা আত্মসাত এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার সদরের ফাজিল মাদ্রাসায় কয়েক মাস আগে এনটিসিআর এর শিক্ষক হিসেবে ৪ জন যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিন ক্রয়ের জন্য নবনিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষক সোহেল রানা ৩০ হাজার , আব্দুল আলীম ২৫ হাজার , সুফিয়া খাতুন ২৫ হাজার ও আলামিন হোসেন ২০ হাজার টাকা ডোনেশন হিসেবে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান এর কাছে জমা দেয়। কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিন ক্রয়ের সময় শিক্ষক সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তাদের নেওয়া হয়নি। আনিছুর রহমান ২০-২২ হাজার টাকার কম্পিউটার পিসি ও মনিটর ক্রয় করেন এবং অবশিষ্ট প্রায় ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সাদিকুল ইসলাম জানান, ডোনেশন এর ১ লক্ষ টাকার মধ্যে একটি কম্পিউটার পিসি ও মনিটর ক্রয় দেখিয়ে আনিছুর রহমান অর্থ আত্মসাত করেন এবং মনিটরটি কয়েক মাস না যেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। শিক্ষক আব্দুল আলীম, সোহেল রানা ও আলামিন হোসেন জানান, আমরা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের জন্য ৪টি কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিন ক্রয়ের জন্য অনুদান দিয়েছি। দুঃখজনক ঘটনা হল, সামান্য টাকা ব্যয় করে পুরো টাকা আত্মসাত হয়েছে। অভিযুক্ত আনিছুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, ১ লক্ষ টাকা পাইনি; কিছু টাকা ডোনেশন পেয়েছিলাম এবং আমার পকেট থেকে ২-৩ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। এখন মনিটরটির সমস্যা হওয়ায় সার্ভিসিং করতে দিয়েছেন বলে জানান। তবে কত টাকা দিয়ে কম্পিউটার ও মনিটর ক্রয় করেছেন তার সদুত্তর দিতে পারেন নি।
তাড়াশে বিনা তদবিরে পল্লী বিদ্যুতের
আবাসিক পোল পাচ্ছেন না
তাড়াশ প্রতিনিধি : কৃষক আমির হোসেন অভিযোগ করেন তার গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ফজল একই সাথে আবেদন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি পেলেও আমি পাইনি। সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর তাড়াশ জোনাল অফিসে আবাসিক পোলের আবেদন করেও ২ শতাধিক আবেদনকারী পোল পাচ্ছে না । অফিসের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পোলের আবেদনকারীদের পোল দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি -১ এর তাড়াশ জোনাল অফিসে ২ শতাধিক আবাসিক পোলের আবেদন জমা পড়ে আছে। সরেজমিন অফিসে গিয়ে (৩১অক্টোবর) দেখা যায়, উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ আমির হোসেন নামে এক কৃষক জানান ২০২২ সালে আবাসিক পোলের আবেদন করেও পোল পান নি। পল্লী বিদ্যুত অফিসের এ জি এম সাহেব জানান গত বছরে তার আবেদন বাতিল হয়েছে। নতুন আবেদন করতে হবে। তাই তিনি এক সপ্তাহ আগে আবারও আবেদন করেছেন। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গত বছর তার সাথে আবেদন করে তার গ্রামের অনেকেই অফিসে দালালদের মাধ্যমে তদবির করে পোল পেয়েছেন, তবে তিনি পান নি। এ বিষয়ে তাড়াশ জোনাল অফিসের এ জি এম রাব্বুল হোসেন জানান চলতি বছর ২ শতাধিক আবাসিক পোলের আবেদন জমা আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা না পাওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম করা হয় নি।
সলঙ্গায় আধুনিক মাদ্রাসার উদ্বোধন
ফারুক আহমেদঃ গত শুক্রবার (০৩ নভেম্বর ২০২৩) সকাল ০৯ টার সময় রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ৩ নং ধুবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আমশড়া গ্রামের জোরপুকুর বাজারে “তারবিয়াতুল উম্মাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার” শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ঘনিষ্ট সুত্রে জানা যায়, এলাকার মাওঃ আজিজুল হক আফ্রিদির উদ্যোগে ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গত কয়েক দিন আগে “তারবিয়াতুল উম্মাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার” ২টি টিসসেড ঘরের কাজ শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকালে সেই টিনসেড ৬টি রুমসহ মাদ্রাসাটির শুভ উদ্বোধন করা হয়। এখানে এক থেকে দেড় শতাদিক ছাত্র ছাত্রী আরবী কোরআন ও হাদীস শিক্ষাসহ নূরানী আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে বলে জানা যায়।
সিংড়ায় অবরোধ বিরোধী সমাবেশ
সিংড়া প্রতিনিধি : নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও সিংড়া উপজেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেছেন, হরতাল-অবরোধ, নৈরাজ্য-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি দেখে বিএনপি-জামায়াত সহ্য করতে পারে না। তাই তারা শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করতে চায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
আ’লীগ নেতা শফিক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের উন্নয়নে বিএনপির সহ্য হয় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের ভূমিহীন মানুষদের ঘর দিয়েছেন। শুধু দেশের উন্নয়ন নয়, দেশের মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতে সুযোগ করে দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক আরও বলেন, ৭১ ও ৭৫ এর পরাজিত শত্রæ ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের বিএনপি-জামায়াত দেশকে আজ পেছনে নিয়ে যেতে আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জনগণকে নিয়ে আমরা এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবো। আগামীতে শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।
জাগো মুসলিম
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
জাগো মুসলিম আর ঘুমানোর সময় নেই
জেগে উঠ এক হও আর একটি বদর ঘটাও।
বিশ্বের সব ইহুদি-খ্রিষ্টান কাফেররা এক হয়েছে,
ওরা বেছে নিয়েছে এক পথ এক মত-
মুসলিম বিদ্বেষী হয়ে।
ইসরাইলের ইহুদি কাফেরদের সাথে-
ফিলিস্তিনের মুসলিম নিধন করতে।
ইউরোপ- আমেরিকান খ্রিষ্টান নাসারারা
অস্ত্র দিচ্ছে গাজা ধ্বংস করতে।
ওরা মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল ধ্বংস করছে
ঔষধ-খাদ্য পানি বন্ধ করেছে।
স্থাপনা-চিকিৎসা কেন্দ্র রক্ষা পাচ্ছে না ওদের থেকে
ওরা এমন কাফের নারী-শিশু হত্যা করছে।
আবু জাহেলের দলকেও ছাড়িয়ে গেছে
আবু জাহেলের দল নারী-শিশু হত্যা করেনি।
যুগে যুগে বহু কাফেরের কথা শুনেছি
ইসরাইলি কাফেরদের হামলায় নারী-শিশু রক্ষা পাচ্ছে না।
জাগো মুসলিম আর ঘুমানোর সময় নেই,
জেগে উঠ এক হও- বিভেদ-বিভুাজন ভুলে যাও।
লাগামহীন দ্রব্যমূল্য
সনজু কাদের
বেড়েই চলছে দ্রব্যমূল্য
দিতে পারছে না লাগাম
কালো বাজারিরা মহাখুশি
দিচ্ছে তারে সালাম।
কেউ সুখে কেউ দুখে
করতে গিয়ে বাজার
অনী আরও হচ্ছে ধনী
গরিব হচ্ছে উজাড়।
মধ্যবিত্তের মাথায় হাত
হাজার ব্যথা বুকে
ঋণের বোঝা নিয়ে মাথায়
মরছে ধুকে ধুকে।
মাংস কেনা আজ স্বপ্নের মতো
যায় না কেন ডাউল
বাজারে গেলে পকেট ফাঁকা
কিনতে গেলেই চাউল।
মাছ-ডিম-চিনি-ময়দা
সব কিছুর দাম চড়া
আলু-মরিচ-আদা-রসুন
যায় না কিছুই ধরা।
পেটের জ্বালা বড় জ্বালা
কি দিয়ে নিভাই
কেমন করে জীবনটাকে
ঈমান নিয়ে বাঁচাই।