ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বোনের মৃত্যু

Spread the love

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে ছোট বাচ্চাদের খেলাধূলা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বোন পারুল খাতুন (২৫) নিহত হয়েছেন।
রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আজেদুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে মোকলেছ পলাতক রয়েছেন।পরিবারের বরাত দিয়ে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, বাড়ির ছোট বাচ্চাদের খেলাধূলা ও মারামারি নিয়ে সকাল সাতটার দিকে মোকলেছ ও পারুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ মোকলেছ কাঠের বাটাম দিয়ে গৃহবধূ পারুল খাতুনকে মাথায় আঘাতসহ বেধড়ক মারপিট করেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত পারুলকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দুপুর ১২টার দিকে পাবনায় নেয়ার পথে পারুলের মৃত্যু হয়।
ওসি মাসুদ আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে চাচাতো ভাই মোকলেছ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

চাটমোহরে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে
১৮ মাস পর পাবনার চাটমোহরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই অভিভাবকেরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা শুরু করেন।
বছরের প্রথম দিনের মতোই শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্কুলে যাবার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ছিল নানা প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পাবনার চাটমোহর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে একটি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থী বসার নির্দেশনা জারি করা হলেও,তা মানা হয়নি অধিকাংশ স্কুলে। একটি বেঞ্চে ৩ জনকেও বসানো হয়। নন-মেডিকেল থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করানো হয়েছে। কোথাও আবার শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। সবার মনে ছিল উৎসবের আমেজ।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সবাই আনন্দ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। অনেকের আবারো নতুন ক্লাসে প্রথমবার আসা। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে সারাদেশের ন্যায় চাটমোহর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে গেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলায় স্কুল খোলার আনন্দে সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতদিন পরে স্কুলে আসতে পেরে তাঁদের আনন্দের যেন শেষ নেই। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মগবের আলী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে দেওয়া সংবাদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাসের জন্ম নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পামাপাশি অভিভাবকরা খুশি হয়েছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD