গামছা মুড়িয়ে গাড়িতে উঠলো সাজাপ্রাপ্ত আসামি!
এস.কে.কর্মকার, শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজদপুরে ১ম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ১ বছর সাজাপ্রাপ্ত মোঃ সুমন মিয়া নামের এক সেনা সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সুমন মিয়া উপজেলার কাকুরিয়া গ্রামের মোকাররমের পুত্র। বর্তমানে তিনি ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ান রামু সেনানিবাস, কক্সবাজারে কর্মরত আছেন। সুমনের আইডি নাম্বার C00135058, NO-1445795 (সার্জেন্ট)।
সুমন মিয়া বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়ের সাপেক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শাহজাদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী এ আদেশ দেন।পরে এ দিন বিকেলে আদালতের মাধ্যমে সুমনকে সিরাজগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় শাহজাদপুর হাজতখানা থেকে বের হওয়ার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুমন মিয়া গামছা মুড়িয়ে বের হন। বিষয়টি নিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর এসআই আসলাম জানান, ভিতরে কে বা কারা গামছা সাপ্লাই করেছে আমার জানা নাই।
এদিকে বাদী আকাশী খাতুনের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সেনা সদস্য সুমন প্রথম স্ত্রী আকাশির অনুমতি না নিয়ে ২য় বিয়ে করায় আকাশি খাতুন বাদী হয়ে ২০১৪ সালে সুমনকে আসামী করে মুসলিম পারিবারিক আইন ৫(৬) ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষী প্রমান শেষে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর বিকেলে শাহজাদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম রব্বানী ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১মাস কারাদন্ডের রায় দেন। রায়ের পর থেকেই সুমন মিয়া পলাতক ছিলেন।বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মামলার বাদী আকাশি খাতুনের সাথে। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, সুমনের সাথে দেড় যুগ আগে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কিছুদিন পরেই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায় সুমন। পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে বিভিন্ন সময় সমাধানের চেষ্টা করলেও কোন ফল আসেনি। বরং শেষ অবধি আকাশি খাতুনকে স্ত্রী হিসেবেই অস্বীকার করে সুমন। বাধ্য হয়েই আকাশি খাতুন বাদী হয়ে ২০১৪ সালে আদলতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০২১ সালে বিজ্ঞ আদালত রায় প্রকাশ করেন। রায়ের পর থেকেই ভূয়া ঠিকানা ব্যাবহার করে আত্মগোপনে ছিলেন সেনা সদস্য সুমন মিয়া।