ডাঃ আমজাদ হোসেন মিলন : সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। গত সন্ধ্যা ৬টার আপডেট অনুযায়ী, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৭ সেন্টিমিটার কমেছে এবং কাজিপুর পয়েন্টে কমেছে ১১ সেন্টিমিটার। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, পানি কিছুটা কমলেও জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরএও) মো. আব্দুর রহিম জানান, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও চৌহালীসহ ছয়টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নের এক লাখ দুই হাজার ৪৭৭টি পরিবারের প্রায় ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৫ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ১৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও মাত্র ২৬৮ জন পুরু, ২৭২ জন নারী এবং ৩৫ জন শিশুসহ ৫৭৫ জন সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় চলমান বন্যায় ৯৬৬ কিলোমিটার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলার ২৬০ কিলোমিটার রাস্তা আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ১৪ হাজার ১৩ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫শ’ মেট্রিক টন চাল ও ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪৬ মেট্রিকটন চাল, নগদ দুই লাখ ৮৯ হাজার টাকা এবং গো ও শিশু খাদ্য বাবদ আলাদা চার লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ শুকনো খাবারের প্যাকেট ৫ হাজার ৮শ’ ৯০টি বিতরণ করার পর ২ হাজার একশ ১০টি জেলার ভান্ডারে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, এতগুলো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও বন্যার্ত মানুষজন নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সেখানে যেতে চান না। সদর উপজেলার শিমলা স্পারটি গত শুক্রবার বিলীন হলে বেশ কিছু পরিবার শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই আশ্রয় কেন্দ্রে গেছেন। বাকিরা হয়তো বাঁধেই আছেন, তবে কবে নাগদ নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন তা এখনো অনিশ্চিত।