চাটমোহর প্রতিনিধিঃ ভোররাতে বাবা আর ছেলে দু‘জনই ঘুম থেকে উঠেছিলেন ফজর নামাজ আদায় করতে। এরপর বাবা চলে যান মসজিদে। সেখান থেকে বাসায় ফিরে দেখেন, ছেলে ঝুলছে ঘরের ডাবের সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবা ছেলেকে সেখানে থেকে নামিয়ে দ্রুত ছোটেন হাসপাতালে। ডাক্তার জানান, বেঁচে নেই তাদের ছেলে।গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
পাবনার চাটমোহরে আশরাফুল ইসলাম নামে এক গৃহশিক্ষকের মৃত্যু সম্পর্কে মুঠোফোনে এমনটাই জানান তার চাচা সাবেক ইউপি সদস্য জাহের আলী। আশরাফুল ইসলাম উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা ওসমান আলীর একমাত্র ছেলে।
কী কারণে আশরাফুল ইসলাম আত্মহত্যা করলেন, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে মানসিক চাপ ও পরিবারের দারিদ্রতা নিয়ে হতাশা থেকে আশরাফুল ইসলাম আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করছেন তার চাচা জাহের আলী।
জাহের আলীর দেওয়া তথ্যমতে, আশরাফুল ইসলাম এমএ পাশ। হান্ডিয়াল বাজারে দেড়শ’র মতো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। তার বাবা পেশায় ভ্যান চালক। পরিবারের দারিদ্রতা নিয়ে মাঝে-মধ্যেই বাবা-মাকে দোষারোপ করতেন আশরাফুল। ঘটনার আগের রাতেও বাবা-মাকে দোষারোপ করেছিলেন তিনি। ওসমান আলী ‘মাটির মানুষ’, এনিয়ে ছেলের উপর তার কোনো রাগ ছিল না, আক্ষেপও করতেন না। ওসমান আলীর এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়েটা ছেলের চেয়ে ছোট, তাকে বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। আশরাফুল ইসলাম অবিবাহিত ছিলেন, চাকরি-বাকরি হয়নি তার।
এদিকে অসেচতন অবস্থায় আশরাফুল ইসলামকে নেওয়া হয় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটমোহর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেননি। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।