বদলানোর চেষ্টা করিও না নিজেই বদলে যাবে
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
নিজের সংস্কৃতি বদলানোর চেষ্টা করিও না, তোমার ধর্মের একটি আইনও বদলাতে পারবে না। বরং নিজেই বদলে গিয়ে তাদের দলভুক্ত হবে। যুগ যুগ ধরে মানুষ যে পৃথিবীতে বসবাস করে আসছে, এখন তা বদলানোর চেষ্টা করছে। শত চেষ্টা করে পৃথিবীর এমন কি বদলাতে পেরেছ। তারা বলছে আমরা পুরাতন সংস্কৃতি বদলে দিয়ে আধুনিকতা এনেছি। তারা কিছুই বদলাতে পারেনি। শুধু ধর্মীয়দের অধর্মের পথে ঠেলে দিচ্ছে। পর্দানীশিন নারীদের বেপর্দায় এনেছে, সামাজিক আদব তুলে দিয়ে স্থান দিয়েছে অসামাজিকতায়।
যদি পারতে সাগরের জল পর্বতে স্তুপাকার করতে, যদি পারতে ধান গাছে আম ফলাতে, যদি পারতে নারীদের যৌনাঙ্গ দারা পুরুষদের গর্ভ ধারণ করাতে, পারোনি। বদলানোর চেষ্টা করে শুধু শুধু নিজেরাই বদলে যাচ্ছ। আমাদের প্রতিপালক মহান সৃষ্টিকর্তা সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করে বসবাসের জন্য স্থান দিয়েছেন শ্রেষ্ঠ মাখলুক মানুষকে, সেই মানুষের চলাফেরা, কাজমর্কে, আচারনুষ্ঠান, ধর্ম-কর্ম করার জন্য বিধান দিয়েছেন। বিধানের বানীগুলো নির্ভুল-সঠিক, সকল আলোচনা-সমালোচনা উর্দ্ধে যা পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি অক্ষরও বদলাতে পারে নি কেউ, বদলাতে পারবেও না।
পশ্চিমা বিশ্বের অবিশ্বাসীরা প্রতিপালকের বিধান বদলানোর চেষ্টা করে নিজেরাই বদলে গেছে। তাদের দেখে আমাদের দেশের মুসলিমেরাও লুফে নিচ্ছে ওই সংস্কৃতি, বদলে যাচ্ছে নিজেরই।
হে মুসলিম ওদের আধুনিকতার তালে তালে নিজেকে বদলাইও না, পৃথিবীর সকল মানুষ যদি বদলে যায়, তাতে আল্লাহর আইন এক চুলও বদলাবে না। তিনি বান্দার জন্য হুকুম করেছেন, তাঁর প্রতিটি হুকুমই ফরজ, যা অবশ্যই করনীয়।
পৃথিবীর সকল মানুষ নর-নারীর জন্য পর্দার হুকুম করা হয়েছে, ফরজ। যেমন ফরজ করা হয়েছে কালেমা, নামায, রমজানের রোজা, হজ্ব ও যাকাত, একই ধারায় পর্দা করা। কোন ইমানদারের নিকট হতে যদি একটি ফরজ ছুটে যায়, বাদ পরে কিংবা ইচ্ছা করে একটি ফরজ ছেড়ে দেয় তার আমল নামায় গুনাহে কবিরা লেখা হয়, ইমান থাকে না।
সারা বিশ্ব এখন নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে জোরালো প্রচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। তবে সরকার এমন ঘোষনা দেইনি যে, মুসলিম নারীরা ক্ষমতা পেলে পর্দা করার প্রয়োজন নেই। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর উন্নয়ন, নারীর অধিকার নিশ্চিত করার আদলে বর্তমান সমাজের চিত্র, যা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাতে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও শপিংমলে মুসলিম নারীদের পোষাক চলাফেরায় অনুভব করায় কঠিন, তারা কোন ধর্মের নারী। অন্যদিকে বাজারে কিছু নারী দেখা যায় বোরকা পরে মাথায় একটি কালো কাপড় রাখে যা হয় তো মুখ ঢাকার উদ্দেশ্য কিন্তু এটিও মাথার উপরে দিয়ে চলতে দেখা যায়।
আরও একটু গভির ভাবে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, কিছু নারী সুন্নাতী আদবে পর্দা করেছে, হাতে-পায়ে মুজা বোরকায় সারা শরীর আবরিত মুখে মেকাপে আবরন করা, অথচ শপিংমলে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরছে, নামাযের সময় চলে যাচেছ, নামাযের কোন খবর নেই, এটি কেমন বোরকা, কেমন আদব? অবিশ্বাসীদের আধুনিক সংস্কৃতির তালে তালে নিজেদের সংস্কৃতি বদলানোর চেষ্টা করিও না। পৃথিবীর কোন কিছুই বদলাতে পারবে না। শুধু নিজেই বদলে গিয়ে অবিশ্বসীদের দল ভুক্ত হবে। মনে রাখবে পর্দাহীন নারীদের অভিভাবকদের কপালে দাউস লেখা হবে, দাউসের জন্য জান্নাত হারাম।