নৌকা প্রার্থীর বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ

Spread the love

মোঃ মুন্না হুসাইন : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ধুবিল ইউপি নির্বাচনে এক আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বাড়িতে হাতবোমা নিক্ষেপ, মোটরসাইকেল ও প্রচার মাইক ভাংচুর হয়েছে।একই উপজেলার সোনাখাড়া ইউপিতে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এছাড়া সদরের কালিয়া হরিপুরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস।দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর এ দুটি উপজেলার ১৭টি ইউপিতে নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে নৌকা প্রতীকের ছয়জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই ছয় ইউপিতে শুধু সদস্য পদে নির্বাচন হবে।ধুবিল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে তার সলঙ্গা বাজারের বাড়িতে পরপর তিনটি হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়। দুটি বোমার বিস্ফোরণ হলেও অপরটির বিস্ফোরণ ঘটেনি। তিনি বলেন, এর আগে বিকালে চুনিয়াখাড়া বাজারে পোস্টার লাগাতে গেলে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে তার সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আটটি মোটরসাইকেল ও প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয় এবং তার অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হন।

এই দুটি ঘটনার জন্য তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল করিম রেজা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ইমাম তালুকদার সহনকে দায়ী করেছেন। তবে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল করিম রেজা বলেন, বিকালে চুনিয়াখাড়া বাজারে চশমা প্রতীকের পোস্টার লাগাতে গেলে নৌকার সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তার পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছে।স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ইমাম তালুকদার সহন বলেন, “নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আমার কোনো সমর্থক সেখানে ছিল না। নৌকার প্রার্থী আমাদের দমাতেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”এছাড়া রাতে নৌকার প্রার্থীর বাড়িতে হাত বোমা নিক্ষেপের বিষয় সম্পর্কে তারা অবগত নন বলে দাবি করছেন।

সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, “আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান তালুকদারের সলঙ্গা বাজারের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিস্ফোরিত বোমার আলামত ও একটি অবিস্ফোরিত বোমার কৌটা উদ্ধার করেছি।”তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে তিনি জানান।বিকালে চুনিয়াখাড়া বাজারে ভাংচুর ও মারামরির প্রসঙ্গে ওসি বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। উভয় ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। এদিকে, বুধবার সকালে নিমগাছি বাজারে সোনাখাড়া ইউপির আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারিতে অন্তত ৫/৭ জন আহত হয়েছেন। এজন্য তারা একে অপরকে দায়ী করেছেন।   বিদ্রোহী প্রার্থী আমজাদ হোসেন ছানা বলেন, তার সমর্থকরা ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার লাগাতে গেলে নৌকার সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় মারামারিতে তার ৫/৬ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। আর নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল রিপন বলেন, নৌকার পোস্টার লাগানোর সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় তার পক্ষেরও কয়েকজন আহত হয়েছে।এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নিমগাছি বাজারে দুই চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।এদিকে, বুধবার ভোরে সদরের কালিয়া হরিপুর ইউপির মৌলভীপাড়া মোড়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সবুরের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD