শাহজাদপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় অতি মাছের লোভে মাছ ব্যবসায়ীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন শাহজাদপুর থানার এএসআই আশরাফুল ইসলাম।
জানা যায়,গত ২৬ আগষ্ট সোমবার সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় শাহজাদপুর থানার এএসআই আশরাফুল ইসলাম কন্সটেবল বাছেতকে সংগে নিয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার দ্বারিয়াপুর বাজারে মাছ কিনতে যায়। তিনি মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে মাছ বিক্রেতার সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পরেন। বির্তকের এক পর্যায়ে এএসআই আশরাফুল উত্তেজিত হয়ে মাছ বিক্রেতাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং মাছের ডালিও লাথি মারলে ডালির মাছ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাজারে উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতা জড়ো হয় এবং উত্তেজিত এএসআইকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বিক্রেতা মাছ ওজনে কম দিয়েছে। তখন উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে কেউ একজন তার হাতের মাছ নিয়ে ওজন করলে দেখা যায় যে ঐ মাছ কম তো নয়ই বরং ৫০ গ্রাম বেশি আছে। এমতাবস্থায় তার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ সময় মাছ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে এএসআই আশরাফুলকে গণপিটুনি দেয়। জনতার ভিরের মধ্যে থেকে কন্সটেবল বাছেত পালিয়ে যায়। গনপিটুনির পর ঐ পুলিশ অফিসারকে মাছ বাজারের দোতলায় মাছের আরতে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে এসে এএসআই আশরাফুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে জনতার আক্রোশ থেকে রক্ষা করার জন্য ঐ এএসআইকে শাহজাদপুর থানা থেকে ক্লোজ করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়। এতে মাছ ব্যবসায়ী রাজিব খান শাহজাদপুর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের এ সকল মানবতাবিরোধী ও উচ্ছৃংখল আচরণে জনতা চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও সচেতন মহল এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। কারণ, পুলিশের লোভ শুধু মাছের দিকেই নয়- মানির প্রতিও খুব বেশী বলে তারা রাষ্ট্রে দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে।