শাহজাদপুর প্রতিনিধি: গাজী সৈয়দ শুকুর মাহমুদ, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, কথাসাহিত্যিক, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত কলাম লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুগুণে গুণান্বিত ব্যক্তিত্ব একজন মানুষ। ব্যক্তি জীবনে স্থায়ী কোন কর্মসংস্থান না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে মাস্টার রোল পদ্ধতিতে বিল ভাউচার প্রণয়ন কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে সহযোগিতামূলক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি উপকৃত হয়ে তাকে সম্মানী বা পারিশ্রমিক দেন। এই জনসেবামূলক কাজে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৪০ বছর। এসকল কাজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি। সেবামূলক এ পেশার পাশাপাশি পূর্ব পুরুষের পথ অনুসরণ করে সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্য সংগঠন করে অবদান রাখছেন। শাহজাদপুর সহ পাশ্ববর্তী উপজেলা ও জেলার কবি সাহিত্যিকদের সংগঠিত করে সাহিত্য সংগঠন করেছেন। শাহজাদপুর সাহিত্যমেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। কবিতা, গল্প, সামাজিক উপন্যাস ও ধর্মীয় আলোকে বহু গ্রন্থ রচনা করে প্রকাশ করেছেন। জাতীয় ও দৈনিক কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত কলাম লিখছেন। এগুলো সবই তার নেশার ফসল। আয় উপার্জনের পেশা মাস্টাররোল পদ্ধতিতে বিল ভাউচার প্রণয়ন কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সহযোগিতা করা। একই নিয়মে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত ও উন্নয়ন অনুদানের অর্থ বরাদ্দ পেয়ে থাকে। এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নেও তার সহযোগিতা সেবামূলক প্রশংসনীয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে বরাদ্দ আসলে শিক্ষকগণ গাজী সৈয়দ শুকুর মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। অন্যদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুল হক, শুকুর মাহমুদের সাথে একান্তভাবে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তাব করেন। শিক্ষা অফিসারের প্রস্তাবটি তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, আমি কারো অধিনস্থ কর্মচারী নই। তাই কারও সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাত করা প্রয়োজন মনে করি না। গাজী সৈয়দ শুকুর মাহমুদ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাত না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৩ জুন ২০১৯ ইং তারিখ উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশে শুকুর মাহমুদ কর্তৃক সহযোগিতার বিল ভাউচার ছুড়ে ফেলে দিয়ে শুকুর মাহমুদকে কটাক্ষ করে বিশ্রিভাবে বক্তব্য রাখেন। গাজী সৈয়দ শুকুর মাহমুদ একজন মুক্তিযোদ্ধ জানা সত্বেও প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে শালীনতাহীন বক্তব্য দেন। তার এ বক্তব্যে একজন মুক্তিযোদ্ধার মানহানী ঘটিয়েছেন বলে শুকুর মাহমুদের অভিমত। তিনি একজন অফিসার কর্তৃক এহেন আচরণে মানহানীর বিচার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন। একই সঙ্গে প্রিন্ট মিডিয়ায় তিনি অনুলিপি দিয়েছেন।