সোহেল রানা সোহাগ : বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড তুলে ধরে সারা দেশের ন্যায় তাড়াশ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ৩দিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলায় বর্তমান সরকারের সাফল্য তুলে ধরতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাড়াশে যারা এই উন্নয়ন জনগনের সামনে তুলে ধরবেন অর্থাৎ মিডিয়ায় কর্মরত কোন সাংবাদিকদের এই মেলায় আমন্ত্রন জানানো হয়নি।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড প্রচারের জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা বিশেষ ভুমিকা পালন করলেও
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের অবজ্ঞা, অবহেলা, এবং মৌখিক ভাবেও আমন্ত্রন না করায় ৩দিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলার সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত আছেন সাংবাদিকগন । তাড়াশে কর্মরত প্রায় ৫০জন জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকার, অনলাইন ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন এই মেলাকে বয়কট করেছেন।
তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ বলেন, সরকারের সাফল্য উন্নয়ন মেলায় তুলে ধরা হলেও উপজেলা প্রশাসন আমাদের সাথে নুন্ন্যতম সৌজন্য বোধ পর্যন্ত দেখায় নাই। চিঠি বা মৌখিক ভাবে আমাদের অবহিত করেন নাই। এতে তাড়াশের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত রয়েছেন।
তাড়াশ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মির্জা ফারুক আহমেদ জানান,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে কোন চিঠি বা মৌখিক ভাবে না বলায় সংগঠনের সকল সদস্যর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুষ্ঠান বর্জন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন,গত আইন শৃংখলা মিটিংয়ে ইউএনও স্যার মৌখিকভাবে এ মেলার কথা বললেও বাস্তবে কোন আমন্ত্রন পত্র না দেওয়ায় ক্লাবের কোন সদস্য সংবাদ সংগ্রহে অংশগ্রহন করেন নি।
অপরদিকে তাড়াশ থেকে প্রকাশিত একমাত্র সাপ্তাহিক পত্রিকা চলনবিল বার্তার পক্ষ হতে তাড়াশ উপজেলায় বাস্তবায়িত সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে এই পত্রিকায় স্থানীয়ভাবে একটি ক্রোড়পত্র প্রকাশের আহবান জানানো হলেও তাড়াশের উপজেলা প্রসাশন এতে কোন সাড়া দেয় নি।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস ইসলাম বলেন, উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে কোন সাংবাদিক সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হয়নি। তবে উপজেলা আইন শৃংখলা সভায় মৌখিক ভাবে সবাইকে বলা হয়েছে।