শাহজাহান সাংবাদিকঃ তাড়াশে ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদাররা। বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নওগাঁ পশুর হাটে সরকারী বেধে দেওয়া নিয়ম নীতির তিনগুন অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে দেখা গেছে। গরু প্রতি ৬০০ টাকা নিলেও রশিদে ৫০০ টাকা লিখছে । অপরদিকে বিক্রেতার নিকট থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। ছাগল প্রতি ২০০ টাকা আর বিক্রেতার নিকট থেকে ৫০ টাকা আদায় করেছে। জানা যায় গরু প্রতি ১৫০ টাকা আর ছাগল প্রতি ৫০ টাকা খাজনা আদায় করার কথাছিল। কাঠ এবং বাশের তৈরি বাসন কুশনের খাজনা নেওয়ার কথা না থাকলেও মাত্রাতিরিক্তভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। নওগাঁ হাটে অনেক ভুক্তভোগী জানান নওগাঁ হাটে ইজাদাররা জোরপুর্বক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমত খাজনা আদায় করছে । অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পš’ায় খাজনা আদায়ের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও দেখার কেউ নেই। অপরদিকে উপজেলার গুগুল্টা রাণীরহাট,বোয়ালিয়া,তাড়াশ বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে বাজার নতুন হাট, শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গরু, ছাগল ক্রয়-বিক্রয়। সরেজমিনে বৃহস্প্রতিবার নওগাঁ পশুর হাট পরিদর্শন করে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ নাটোর পাবনা চলনবিলের এই তিন জেলার গরু ছাগল ,ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেজায় ভিড়। পশুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। উপজেলায় ছোট-বড় ৪টি হাটে গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এ সকল হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু আমদানি হচ্ছে। বেচা-কেনাও হয়েছে প্রচুর । কিন্তু বাঁধ সেধেছে ইজারাদার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে ইচ্ছেমতো টোল আদায় করছেন তারা। একইসঙ্গে দিতে হচ্ছে দ্বিমুখী টোল। একটি গরু বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট দুশ’ টাকা ও ক্রেতার নিকট পাঁচশ’ টাকা।অতিরিক্ত খাজনা আদায় ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক জানান তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওগাঁ হাটে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা নিবেন কিন্ত বৃহস্পতিবার নওগাঁ পশুর হাটে গরু ছাগলের অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের জোরালো অভিযোগেও তিনি সেখানে যাননি। তবে তাকে সন্ধ্যার আগে নওগাঁ হাট কমিটির অফিস কক্ষে চা চক্রে যোগ দিতে দেখা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস ইসলাম জানান, অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।